SDNews24

SDNews24 ★ সাহস করে সত্য প্রকাশ ★

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ডিজিটাল পরিচয় চুরির নতুন এক কৌশলে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু ব্যবহারকারী। প্রতারণার এই নতুন রূপটি পর...
18/08/2025

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ডিজিটাল পরিচয় চুরির নতুন এক কৌশলে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু ব্যবহারকারী। প্রতারণার এই নতুন রূপটি পরিচিত হচ্ছে ‘হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিন-শেয়ারিং প্রতারণা’ নামে। সরল এই কৌশলেই প্রতারকেরা ব্যবহারকারীর একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যাংক অ্যাক্সেস হাতিয়ে নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা।

★ প্রতারণা হচ্ছে যেভাবে

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানায়, প্রতারকেরা নিজেদের ব্যাংক বা পরিচিত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে তারা একটি ‘জরুরি সমস্যার’ কথা বলে ভুক্তভোগীকে হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার করার অনুরোধ করে।

একবার স্ক্রিন-শেয়ারিং শুরু হলে প্রতারকেরা ব্যবহারকারীর ফোনের সবকিছু—ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত বার্তা ও ওটিপি দেখতে পায়। এরপর খুব সহজেই তারা বেআইনি লেনদেন করতে পারে বা অ্যাকাউন্টের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।

আরও বিপজ্জনক হচ্ছে, কিছু উন্নত ক্ষেত্রে তারা ব্যবহারকারীর ফোনে কি-লগার জাতীয় ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে দেয়, যা প্রতিটি টাইপ করা অক্ষর রেকর্ড করে। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া বা ই-মেইলের পাসওয়ার্ডও তাদের হাতে চলে যায়।

★ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেন

প্রতারকেরা সাধারণত মানুষের বিশ্বাস ও তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতাকে কাজে লাগায়। তারা এমনভাবে বলে যেন সমস্যাটি খুবই জরুরি এবং সমাধানের জন্য দ্রুত স্ক্রিন শেয়ার করতে হবে। অনেক ব্যবহারকারী চিন্তা করার আগেই শেয়ার করে ফেলেন, আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিপদ।

যদিও কিছু ব্যাংক অ্যাপ স্ক্রিন রেকর্ডিং বন্ধ করে দেওয়ার মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখে, স্ক্রিন-শেয়ার করার অনুমতি দিলে এই সুরক্ষা ব্যর্থ হয়ে যায়।

★ এই প্রতারণা থেকে বাঁচবেন যেভাবে

🛑 ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে কেউ কল করলে, তাদের পরিচয় যাচাই করুন।

🛑 হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি ছাড়া কখনো করবেন না।

🛑 অজানা সূত্র থেকে অ্যাপ ইনস্টল করার অনুমতি বন্ধ রাখুন।

🛑 আর্থিক অ্যাপ ব্যবহারের সময় কখনো স্ক্রিন শেয়ার করবেন না।

🛑 অপরিচিত নম্বর থেকে কল এলে সতর্ক থাকুন।
দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেউ স্ক্রিনে চাপ দিলে তা এড়িয়ে চলুন।

🛑 সন্দেহজনক নম্বর বা বার্তা সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করুন।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রতারণার মূল অস্ত্র হলো প্রযুক্তির প্রতি মানুষের অন্ধবিশ্বাস‌‌। তাই সচেতন থাকাটাই হতে পারে একমাত্র প্রতিকার।

★ ৪৪ হাজার প্রতারণার অভিযোগ

হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিন-শেয়ারিং প্রতারণা নিয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, ‘আপনার পরবর্তী একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল হতে পারে বড় ধরনের প্রতারণার কারণ। হঠাৎ পাওয়া একটি বন্ধুসুলভ বার্তাই আপনাকে ঠেলে দিতে পারে ভয়াবহ ফাঁদে।’

আন্তর্জাতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিন-শেয়ারিং ফিচার চালু হওয়ার পরবর্তী প্রথম ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি–মার্চ) এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ এসেছে প্রায় ৪৪ হাজার, যা টেলিগ্রাম বা ইনস্টাগ্রামের চেয়ে অনেক বেশি।

এই স্ক্যামগুলো সাধারণত ‘লাভজনক বিনিয়োগ প্রস্তাব’ বা ‘ভুয়া চাকরির অফার’ দিয়ে শুরু হয়। নতুন স্ক্রিন-শেয়ারিং ফিচারের ফলে কল চলাকালীন বার্তা, নোটিফিকেশনসহ আপনার স্ক্রিনের সবকিছু প্রতারকেরা দেখতে পায়, যা দিয়ে তারা অনায়াসে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

১৮ আগস্ট ২০২৫, সোমবার

আজ ১৭ আগস্ট ২০২৫ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারর্সনের সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম স...
17/08/2025

আজ ১৭ আগস্ট ২০২৫ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারর্সনের সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা হারুনার রশিদ খান মুন্নুর ৯২ জন্মবার্ষিকী।

১৭ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটার দাঁড়াল ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।আজ রোববার (১০ আগস্ট) ইসি সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচন ...
10/08/2025

হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটার দাঁড়াল ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।

আজ রোববার (১০ আগস্ট) ইসি সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সারা দেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে একযোগে আজ রোববার হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগে ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।

হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে মৃত ভোটার হিসেবে বাদ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জনকে।

হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জন বলে জানান মি. আহমেদ।

তিনি বলেন, “এ বছর আসলে মোট তিনটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। গত দোসরা মার্চ একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৩১ অগাস্ট একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে।”

খসড়া তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের কোনো ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ থাকবে ১২ দিন। অর্থাৎ ২১শে অগাস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

২৪শে অগাস্টের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি হবে। এরপর অন্যান্য কাজ শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১শে অগাস্ট।

১০ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

'শূন্য রিটার্ন' জমাদানকারী করদাতার পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছে জাত...
10/08/2025

'শূন্য রিটার্ন' জমাদানকারী করদাতার পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে এনবিআর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোনো একটি শূন্য অথবা সব কটি তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।

করদাতার জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নে তার আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে বর্তমান আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারা অনুসারে করদাতাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আয়কর আইন অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

পহেলা জুলাই থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেন। সেখানে সারা বছরের আয়-ব্যয়ের তথ্য দিতে হয়।

১০ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্...
06/08/2025

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের বৈঠক হয়েছে।

জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর।

তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সরকার গঠনে বিএনপির ভাবনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।

০৬ আগস্ট ২০২৫, বুধবার

05/08/2025

‘অফিসের নির্দেশনা ছিল, নিজেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছি’

০৫ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ বিরোধ আর প্রতিশোধের রাজনীতি চায় না। জনগণ চায় রাজনীতি...
03/08/2025

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ বিরোধ আর প্রতিশোধের রাজনীতি চায় না। জনগণ চায় রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন”।

রোববার ঢাকার শাহবাগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদলের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, “এই দেশে পরিবর্তন আসবেই। আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্বে থাকবে ছাত্রসমাজ। আমাদের ইতিহাসের সব মহান আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তারুণ্য—আজও তাই হবে। ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মীই হবে জনগণের প্রতিনিধি, শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ।”

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় শুধুমাত্র ছাত্রদলের ২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। যেই সংগঠনে তোমাদের মতো সাহসী মায়ের সন্তানেরা আছে, সেই সংগঠনের নেতাকর্মীদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না”।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কারিগরি প্রযুক্তি এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষা থাকবে”।

মি. রহমান বলেন, “বিএনপি স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে আগামী দিনের কারিকুলাম ঢেলে সাজানোর কাজ করছে। এবং আমাদের দলের থেকে যারা অভিজ্ঞ তারা সেই কাজগুলো তৈরি করছে”।

০৩ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

গত বছরের জুলাই-অগাস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপ...
03/08/2025

গত বছরের জুলাই-অগাস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সূচনা বক্তব্য শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভি।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিচার চলছে প্রধান দুই আসামীর অনুপস্থিতিতেই।

এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামি হলেও তিনি অপরাধের দায় স্বীকার করে নেওয়ায় মামলার রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।

গত ১০ই জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ৩রা আগস্ট এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ঠ্ আগস্ট দিন ঠিক করা হয়।

০৩ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, হত্যা, পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁ...
03/08/2025

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, হত্যা, পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তাদের বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ই জুলাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।

ওই বক্তব্যে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনকারীদের 'রাজাকারের বাচ্চা', 'রাজাকারের নাতি-পুতি' বলে উল্লেখ করেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের 'প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায়' আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র 'আওয়ামী সন্ত্রাসী'রা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে।

প্ররোচনা, উস্কানি, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থতা, ষড়যন্ত্রের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে এতে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের 'হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ' দিয়েছেন।

যা বাস্তবায়ন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযোগটি আনা হয়েছে।

শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা, উস্কানি, ষড়যন্ত্র, সহায়তা, সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে এই অভিযোগে।

চার নম্বরে গত বছরের পাঁচই অগাস্ট ঢাকার চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আন্দোলনকারী ছয় জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উস্কানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি।

পঞ্চম অভিযোগ, তিন আসামির বিরুদ্ধে আশুলিয়ায় নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

০৩ আগস্ট ২০২৫, রবিবার

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষায় দুনিয়ার 'ট্যারিফ কিং' বা 'শুল্ক বসানোর রাজা' ভারতের ওপর বুধবার ২৫ শতাংশ হারে পাল্টা শুল্ক – আর ত...
01/08/2025

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষায় দুনিয়ার 'ট্যারিফ কিং' বা 'শুল্ক বসানোর রাজা' ভারতের ওপর বুধবার ২৫ শতাংশ হারে পাল্টা শুল্ক – আর তার ওপর তথাকথিত 'রাশিয়া পেনাল্টি' – এই হুকুম জারির কিছুক্ষণের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে বিরাট এক জ্বালানি সমঝোতার কথা জানান।

পাকিস্তানের 'বিপুল খনিজ তেলের রিজার্ভ' সদ্ব্যবহার করতে আমেরিকা যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে, ঘোষণা করেন সে কথাও।

নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে এটাও লিখতে ভুললেন না – "কে জানে, একদিন হয়তো দেখা যাবে এই পাকিস্তান ভারতেও তেল বিক্রি করছে!"

অথচ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দফার মেয়াদে এই পাকিস্তান সম্বন্ধেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "এরা আমাদের মিথ্যে আর ধোঁকা ছাড়া কিছুই দেয়নি।"

কিন্তু এই দ্বিতীয় মেয়াদে এসে সেই অবস্থান থেকে তিনি শুধু 'ইউ টার্ন'-ই করেননি, ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক দিন-কে-দিন ক্রমেই আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।

তার পাশাপাশি দিল্লিকে 'খোঁচা' দেওয়ার কোনও সুযোগই যেন ট্রাম্প ছাড়তে চাইছেন না!

এই ধারাবাহিকতাতেই তিনি বুধবার জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপুল তেল সম্পদ যৌথভাবে বিকশিত করার জন্য তাদের দুই দেশ সমঝোতায় পৌঁছেছে – এবং কোন মার্কিন কোম্পানি এই পার্টনারশিপে নেতৃত্ব দেবে, সেটাও এখন বাছাই করার কাজ চলছে।

জ্বালানি খাতের এই সমঝোতা সাম্প্রতিক পাক-মার্কিন সম্পর্কের ডায়নামিক্সে সবশেষ সংযোজন, যদিও পাকিস্তানে এই তেলের রিজার্ভ ঠিক কোথায় সেটা ট্রাম্প কিছু ভেঙে বলেননি।

ভূরাজনীতির পর্যবেক্ষকরা অবশ্য এই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি দেখে বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইসলামাবাদের যে একটা নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, তাতে কোনো ভুল নেই।

এই জ্বালানি সমঝোতার ঘোষণাও এমন একটা সময়ে এলো, যখন পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও আলাপ-আলোচনা চলছে।

গত সপ্তাহেই পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার তার মার্কিন কাউন্টারপার্ট মার্কো রুবিও-র সঙ্গে দেখা করার পরে জানিয়েছিলেন, দু'পক্ষ চুক্তির 'খুব কাছাকাছি' পৌঁছে গেছে এবং দিনকয়েকের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

কিন্তু পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিবেশী ভারতের জন্য এর অর্থ কী? ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে মোড় নিচ্ছে তাতে কি ভারতের বিচলিত হওয়ার কারণ আছে?

★ মার্কিন জেনারেলকে পাকিস্তানের সামরিক সম্মান

তবে এই তেল সমঝোতা বা সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির বাইরেও এমন অনেক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে – যা থেকে পরিষ্কার ইসলামাবাদ এবং ওয়াশিংটন পরস্পরের কাছাকাছি আসতে চাইছে।

মাত্র কয়েক দিন আগেই মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (ইউএসসেন্টকম) প্রধান, জেনারেল মাইকেল কুরিলাকে পাকিস্তান তাদের অন্যতম শীর্ষ সামরিক খেতাব, 'নিশান-ই-ইমতিয়াজে' ভূষিত করেছে।

বলা হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তির প্রসার এবং পাক-মার্কিন সামরিক সম্পর্কে তার অবদানের স্বীকৃতিতেই এই সম্মান অর্পণ করা হলো।

তবে এই পদক্ষেপ যে আমেরিকার প্রতি পাকিস্তানের একটা স্ট্র্যাটেজিক বার্তা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে জেনারেল কুরিলাকে এই খেতাব তুলে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি স্বয়ং।

এই অনুষ্ঠানের কয়েক সপ্তাহ আগেই জেনারেল মাইকেল কুরিলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে পাকিস্তানকে 'ফেনোমেনাল পার্টনার' বা অসাধারণ এক সঙ্গী বলে বর্ণনা করেছিলেন।

ফলে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও দুই দেশ এখন আবার কাছাকাছি আসছে – যে ইঙ্গিত পরিষ্কার।

★ ট্রাম্পের সঙ্গে ফিল্ড মার্শালের মধ্যাহ্নভোজ

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জমানায় পাক-মার্কিন সম্পর্ক যে বদলাচ্ছে, তা অবশ্য খুব ভালভাবে টের পাওয়া গিয়েছিল মাস দেড়েক আগেই – যখন পাকিস্তানের সেনাধ্যক্ষ, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বন্ধ দরজার আড়ালে খাবারের টেবিলে বসে দু'জনের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছিল তা অবশ্য জানা যায়নি।

তবে পরে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি জানিয়েছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে 'সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধ' ঠেকানোয় ট্রাম্পের অবদানের স্বীকৃতিতে পাকিস্তান তার নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করার পরই এই বৈঠক চূড়ান্ত করা হয়।

আরও যেটা লক্ষ্যণীয়, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ওই সফরের ঠিক পর পরই জুলাই মাসের গোড়ায় ওয়াশিংটন ডিসি-তে যান পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান জাহির আহমেদ বাবর সিধু।

'দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা' আরও উন্নীত করতে এবং 'পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে' আলোচনা করতে ওই সফরে তিনি পেন্টাগন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ক্যাপিটল হিলে একের পর এক বৈঠক করেন।

অনেক সামরিক পর্যবেক্ষকই মনে করছেন, এয়ার চিফ মার্শাল সিধুর সফরের প্রধান লক্ষ্যই ছিল মার্কিন ডিফেন্স হার্ডওয়ার বা ভারি সামরিক সরঞ্জাম পাওয়ার পথ প্রশস্ত করা।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান বেশ কিছুদিন ধরেই আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ ব্লকের ৭০টি যুদ্ধবিমান, এআইএম-৭ স্প্যারো এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল এবং হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের ব্যাটারি কেনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

★ ক্রিপ্টোকারেন্সি, ট্রাম্প পরিবারকে ব্যবসার সুযোগ

অথচ মাত্র কয়েক মাস আগেও মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক ছিল বেশ শীতল।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের পূর্বসূরী জো বাইডেন তো তৎকালীন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতেও রাজি হননি।

কিন্তু জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরই সেই পরিস্থিতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটান।

৪ঠা মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের নাম করে তাদের 'বিশেষ ধন্যবাদ' জানান – অ্যাবি গেট বোমা হামলার মূল ষড়যন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে তারা যেভাবে সাহায্য করেছে তার জন্য।

ভূ-রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সম্বন্ধে ট্রাম্পের এই মনোভাব বদলানোর পেছনে দুটি ফ্যাক্টর কাজ করে থাকতে পারে।

প্রথমত, পাকিস্তান ক্রিপ্টোকারেন্সি সিস্টেমকে গ্রহণ করছে এবং 'ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল' নামে ট্রাম্প পরিবারের মালিকানা আছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে অংশীদারিত্বে যেতে রাজি হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, পরবর্তী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তান ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেছে।

ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদ কে সি সিং-এর মতে, "পাকিস্তানকে ট্রাম্প যে আচমকা এতটা ভালবাসতে শুরু করেছেন, তার পেছনে অবশ্যই এই দুটো ঘটনারই বড় ভূমিকা আছে।"

গত মে মাসের প্রথমার্ধে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' ও তারপর পাকিস্তানের পাল্টা জবাবকে কেন্দ্র করে দুই দেশ যেভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, সেই ঘটনাও ট্রাম্প ও ইসলামাবাদের মধ্যে আস্থাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

কারণ ওই সংঘাত শুরু হওয়ার চার দিনের মাথাতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবার আগে দাবি করেন, তার সরকারের মধ্যস্থতাতেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে সত্যি সত্যি যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়ে যায়।

পরে পাকিস্তান তার বক্তব্যকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিলেও ভারত এখনও যুদ্ধবিরতিতে মার্কিন মধ্যস্থতার দাবি স্বীকার করতেই রাজি হয়নি।

ভারতের পার্লামেন্টেও সরকার দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতিকে তৃতীয় কোনো দেশের কোনো ভূমিকাই ছিল না। ওদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও বারে বারেই বলে চলেছেন, তিনিই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছেন।

এই আবহে তার কোন পক্ষের দিকে ঝোঁকাটা স্বাভাবিক, সেটা অনুমান করা কঠিন নয় মোটেই।

★ ভারতের জন্য কতটা দুশ্চিন্তার?

'কোয়াড' জোটের শরিক হিসেবে ভারত বহুদিন ধরেই আমেরিকার 'স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার' – কিন্তু সম্প্রতি যেভাবে পাকিস্তান ও আমেরিকার ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে তা এশিয়া প্যাসিফিকে সম্পর্কের সমীকরণগুলো দ্রুত বদলে দিতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

পর্যবেক্ষকরা বলে থাকেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতকে নিয়ে 'কোয়াড' জোট তৈরিই করা হয়েছিল এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব-প্রতিপত্তিকে রুখতেই।

চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার সেই লড়াইতে ভারতকে তাদের পাশে পাওয়ার দরকার ছিল, আর সেই প্রক্রিয়ায় চীনের 'অল ওয়েদার ফ্রেন্ড' (সব পরিস্থিতির বন্ধু) পাকিস্তান স্বভাবতই আমেরিকার থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল।

কিন্তু ট্রাম্প জমানায় এসে সেই বাস্তবতায় পরিবর্তন ঘটছে – এমন কী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে গত কয়েক মাসে 'কোয়াডে'র কথাও খুব একটা শোনা যায়নি।

সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে সি সিং-এর কথায়, "আসলে চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে একটা ব্যালান্সিং ফ্যাক্টর হিসেবে আমেরিকা দেখতে চেয়েছিল বলেই তারা এতদিন ধরে 'লং রোপ' দিয়ে এসেছে – মানে ভারতকে ইচ্ছেমতো অনেক কিছু করতে দিয়েছে।"

"কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্য ধাতুর মানুষ – তিনি চাইছেন আমেরিকা চীনের সঙ্গে সরাসরি ডিল করবে, সেখানে মাঝখানে ভারতের কোনো ভূমিকা থাকবে না।"

এই কারণেই আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে আমেরিকার চোখে ভারতের ভূমিকা অনেকটা খাটো হয়ে গেছে – এবং পাকিস্তানকে সামরিক সহযোগিতার হাত বাড়াতেও ট্রাম্প প্রশাসনের আর কোনও দ্বিধা কাজ করছে না।

আমেরিকার আরোপ করা চড়া হারে শুল্ক ও তার সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানা ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য যেমন বিরাট এক চ্যালেঞ্জ বয়ে এনেছে – তেমনি পশ্চিম সীমান্তে এই নতুন সমীকরণ স্ট্র্যাটেজিক ও সামরিক দৃষ্টিকোণেও ভারতের জন্য বড় বিপদ সংকেত বয়ে আনছে।

০১ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার রাজ...
31/07/2025

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২৩তম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির পরে এ সিদ্ধান্ত জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় ও ভিন্নমত থাকায় উচ্চকক্ষে সদস্য নির্বাচন কীভাবে হবে, বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়। সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে কমিশন এ সিদ্ধান্ত জানায়।

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে অর্থবিল ছাড়া অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে সেটিকে উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।

নিম্নকক্ষে প্রস্তাবিত বিলসমূহ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সংশোধনসমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে উচ্চকক্ষের প্রার্থীও ঘোষণা করতে হবে। উচ্চকক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে ১০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার কথা বলা রয়েছে।

বিএনপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২-দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী জোট পিআর পদ্ধতি হলে উচ্চকক্ষ চায় না বলে দুপুরের বিরতির আগে জানানো হয়। দুপুরে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি ও উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বিএনপিসহ কয়েকটি দল ও জোট। এ কথা লিখিত থাকলে আমরা সই করতে চাই।’

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় সিপিবি, বাসদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আমজনতার দল উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করে। নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা না থাকায় উচ্চকক্ষ চায় না তারা।

৩১ জুলাই ২০২৫, বৃৃহস্পতিবার

সেনাবাহিনী কখনো কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে সহায়তা করেনি এবং গোপালগঞ্জে যাদের জীবন নাশের হুমকি ছিল তাদের সহায়তা করে...
31/07/2025

সেনাবাহিনী কখনো কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে সহায়তা করেনি এবং গোপালগঞ্জে যাদের জীবন নাশের হুমকি ছিল তাদের সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, "আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে কখনো কাউকে সহায়তা করিনি। এবং আমাদের দায়িত্বের মধ্যে আমরা কাউকে বিশেষভাবে দেখি না। গোপালগঞ্জে যেটা হয়েছে ওই রাজনৈতিক দলের অনেকেরই জীবন নাশের হুমকি ছিল। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই সেনাবাহিনী সহায়তা করেছে। এখানে জীবন বাঁচানোই মূল লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু না।"

যে কোনো রাজনৈতিক দল কোথায় তাদের সভা, সমিতি ও বৈঠক করবে তা সাধারণত স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ জানতো।"

গত ১৬ ই জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা চলে। ওই ঘটনায় সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন।

সেখানে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি বলে জানান মি. ইসলাম। আত্মরক্ষার্থে তারা বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে বলেও জানান মি. ইসলাম।

"এটা একটা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ছিল, যেখানে ইট - পাটকেলই শুধু নিক্ষেপ করা হয়নি- এখানে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। যখন সেখানে জীবন নাশের হুমকি ছিল তখন আত্মরক্ষার্থে আমাদের যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল তারা বলপ্রয়োগ করেছে বা করতে বাধ্য হয়েছে। এখানে প্রাণঘাতী কোন অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি" বলেন তিনি।

গোপালগঞ্জে কি হয়েছিল সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই তদন্ত কমিটি সঠিক এবং সত্য ঘটনা উন্মোচনে সক্ষম হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

গোপালগঞ্জে কি হয়েছিল সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই তদন্ত কমিটি সঠিক এবং সত্য ঘটনা উন্মোচনে সক্ষম হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

গোপালগঞ্জে ওইদিন সেনাবাহিনী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে আরও হতাহত বা জীবন নাশের সম্ভাবনা থাকতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

"বিশেষ কোনো দলের ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নজর নেই। আমরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সকলেই আমাদের কাছে সমান। যেখানে জীবনের হুমকি আমরা আগেও বলেছি জনদুর্ভোগ বা জীবন নাশের হুমকি থাকে সেখানে আমরা কঠোর হই বা আমরা জনসাধারণকে সহায়তা করে থাকি। তো সেখানে আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করতাম তাহলে হয়তো আরও হতাহত বা জীবন নাশের সম্ভাবনা থাকতো। তো সেই হিসাবে আমরা এটা করেছি" বলেন মি. ইসলাম।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সকল বাহিনীকে একত্রে কাজ করতে হবে এবং যাদেরকে অগ্রভাগে কাজ করা দরকার তাদের আরও ইফেক্টিভ হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

একইসাথে সেনাবাহিনীকে যে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে তাতে তারা শুধু তল্লাশী এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা।

"অপরাধীকে গ্রেফতার করার পরে বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার পরে আসলে আমাদের আর কিছু করার থাকে না। এজন্য বলছি, যে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সর্বাগ্রে কাজ করার দরকার তাদেরকে আরও ইফেক্টিভ হতে হবে" বলেন মি. ইসলাম।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,"পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী নিরাপত্তা দিতে পারছে না, এটা ঠিক না। এটা সঠিক নয়। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রোটেকশন নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে এবং ভালোভাবেই দিচ্ছে।"

৩১ জুলাই ২০২৫, বৃৃহস্পতিবার

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SDNews24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SDNews24:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share