07/09/2025
আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ
🌍 পৃথিবী ☀️ সূর্য আর 🌙 চাঁদ – এই তিনটি বস্তু এই সময় একই সরল রেখায় চলে আসে।
ঘটনার ধাপ:
1. পূর্ণিমার সময় চাঁদ পৃথিবীর বিপরীতে থাকে, মানে সূর্যের আলো পুরোপুরি পড়ে চাঁদে।
2. চন্দ্র গ্রহণের সময় পৃথিবী সূর্য আর চাঁদের মাঝখানে চলে আসে।
3. তখন পৃথিবীর ছায়া (Umbra ও Penumbra) চাঁদের উপর পড়ে।
যদি পুরো চাঁদ পৃথিবীর মূল ছায়ায় ঢেকে যায় →তবে তখনই তাকে পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ হিসেবে ধরা হয়
চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই, সূর্য থেকে আলো গ্রহণ করেই পৃথিবীতে সে স্নিগ্ধ আলো ছড়ায়। সেদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সত্তা, যিনি সূর্যকে কিরণোজ্জ্বল ও চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত করেছেন।’ (সুরা ইউনুস : ৫)
সুরা কিয়ামাতে রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘যখন দৃষ্টি চমকে যাবে, চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে, তখন সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে’ (আয়াত : ৭-৯)। উল্লিখিত আয়াতে ‘চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে পড়া’- এর বাস্তব রূপই হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ।
এটা কেবল মহাকাশের ঘটনা নয়, বরং আল্লাহর এক নিদর্শন।
এই সময় নামাজ, দোয়া আর ইস্তিগফার—এটাই মুমিনের করণীয়।"
চন্দ্র গ্রহন নিয়ে নবী করিম ( সা: ) এর হাদিস -
"সূর্য ও চাঁদ আল্লাহর নিদর্শন, কারও জন্ম বা মৃত্যুর কারণে এগুলোর গ্রহণ হয় না।
তোমরা যখন তা দেখতে পাও, তখন নামাজ পড়ো, দোয়া করো এবং আল্লাহকে স্মরণ করো।"
— (সহিহ বুখারি: ১০৪৪)
দোয়া:
اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَتُبْ عَلَيَّ
** “আল্লাহুম্মাগফির লি, ওয়ারহামনি, ওয়া তুব আলাইয়্যা”
*বাংলা:* “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো, দয়া করো এবং আমার তাওবা কবুল কর। "
যারা চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবেন, তারা নিজ নিজ বাসায় ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন। ইচ্ছা করলে চার রাকাত বা এর চেয়ে বেশিও পড়া যাবে, তবে প্রত্যেক দুই বা চার রাকাত পরপর সালাম ফেরাতে হবে। অন্যান্য নফল নামাজের মতো এ নামাজেও আজান-একামত নেই। নামাজ শেষে চন্দ্রগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিকির, দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবে। (বোখারি, আল-মাবসুত, শারহুল বিকায়া)
চন্দ্র গ্রহণ নিয়ে সমাজে নানা ধরনের কু-সংস্কার প্রচলিত আছে,, এগুলো কেউ বিশ্বাস করবেন না।
বাহিরে পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ চলছে,, সবাই নিজ চোখে দেখুন এবং আল্লাহকে স্মরণ করুণ।