13/10/2023
কোনো একজন নির্যাতিত মুসলিম যেকোনো ভূখণ্ডেরই হউক না কেন, তার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা এবং তার পাশে দাড়ানো প্রত্যেক মুসলিমেরই নৈতিক দায়িত্ব। কারণ ইসলাম তাদেরকে এরূপ ভ্রাতৃত্ব-বোধেরই শিক্ষা দেয়, পাশাপাশি ইসলাম সবকিছুকেই শারঈ সীমারেখার মধ্যে গণ্ডিবদ্ধ করে দিয়েছে যেন সবকিছুর মধ্যেই ন্যায় প্রতিষ্ঠার চিরন্তন নীতির কোনো ব্যাত্যয় না ঘটে। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা সকলেরই কাম্য। সেখানে মুসলিমদের অধিকার রক্ষার জন্য যারা প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে যেমন আহলুস সুন্নাহর লোকজন আছেন, পাশাপাশি শিয়া-রাফেযীরাও আছে। তাই বলে ফিলিস্তিনের মুসলিমদেরকে সাপোর্ট এর সাইনবোর্ড এর আড়ালে একজন মুসলিম কখনোই শিয়া-রাফেযীদেরকে সমর্থন দিতে পারেন না। বস্তুত এই শিয়া-রাফেযী গোষ্ঠী নিজেদের কোনো হীন-স্বার্থ চরিতার্থ করা ব্যতীত কখনোই মুসলিমদের পাশে দাঁড়ায় নি। যুগে যুগে তার বহু প্রমাণ পাওয়া যাবে।
একজন আলিম এজন্যই বলেছিলেন, " যে সালাউদ্দীন আল আইয়ুবী বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় করেছিলেন, তিনিই কিন্তু মিশরের রাফেযী-বাতিনীদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন।আর সালাউদ্দিন আল আইয়ুবীরও বহু পূর্বে উমর রাদ্বি'আল্লাহু আনহু বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় করেছিলেন, অথচ আজকালকার যুগে বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়ের জন্য যারা যুদ্ধে যাচ্ছে তাদের মধ্যেই তো একদল লোক উমরকে কাফির মনে করে। তাহলে এসকল ব্যক্তি কিভাবে সফল হতে পারে?? "
অতএব শিয়াদের সমর্থিত দল হামাসকে সমর্থন করা এবং ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের অধিকার সমর্থন করা- এই দুইটা আলাদা বিষয়। কিছুলোককে দেখলাম,মৃত্যুঞ্জয় ভাই হামাসের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলার কারণে ক্ষেপে গেছে। অথচ, এসকল লোকের অনেকেই হামাস সম্পর্কে জানে না। আমরা মুসলিমদের পাশে আছি কিন্তু কোনো শিয়া ওরফে গুপ্তকাফিরের পক্ষপাতিত্ব করতে রাজি নই ।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের নির্যাতিত মুসলিম ভাইয়ের পাশে থাকুন এবং তাদেরকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়ে দিন,এবং আমাদেরকেও সামর্থ্য দান করুন যেন আমরা আমাদের ভাইদের পাশে দাঁড়াতে পারি ।