
23/04/2025
আমরা ২০২২ সালে কাশ্মীরে যখন যাই, তখন দেখি—একজন কাশ্মীরি মুসলিমের পেছনে ১০ জন ইন্ডিয়ান আর্মি থাকে। এমনকি গাড়িতে এক কাশ্মীরি ছাত্র বলেছিল, “আমরা ভারতের হতে চাই না, আবার আমরা পাকিস্তানেরও হতে চাই না। আমরা শুধু স্বাধীনতা চাই।” কিন্তু এখানে কেউ জন্ম নিলেও, সরকারের পক্ষ থেকে তার পেছনে ১০ জন আর্মি লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে রাস্তায় একটু পরপরই চেকপোস্ট, আর কাশ্মীরে আর্মির গাড়ি! এত বেশি নিরাপত্তা, তার ওপরে জায়গায় জায়গায় পুলিশ হাঁটছে। একটা রাস্তায় ৫০ জন আর্মি মোতায়েন থাকে কাশ্মীরে!
আপনার কি মনে হয়, সম্প্রতি কাশ্মীরে যে হিন্দু হত্যাগুলো হয়েছে—তা টেরোরিস্ট রা করেছে ? লোল! একমাত্র ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী আর অশিক্ষিতরাই এটা বিশ্বাস করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট JD Vance এখন ভারতের সফরে রয়েছেন। আর যতবারই আমেরিকা কিংবা জাতিসংঘ থেকে কোনো প্রতিনিধি ভারত সফরে আসেন, ততবারই দেখা যায়, ভারত সরকার নিজেদের লোক দিয়ে হিন্দুদের উপর হামলা চালিয়ে সেই ঘটনাকে মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে — যেন মুসলিমরাই টেরোরিস্ট ।
এইবারও আলাদা নয়। কারণটা খুব পরিষ্কার — সম্প্রতি গোটা দুনিয়ায় ভারত সরকার এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা মুসলিমদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে, তা নিয়ে অনেক দেশেই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে। মসজিদ ভাঙা, মুসলিমদের মারধর করে হত্যা করা এটা আমরা সবাই জানি !
এই কারণেই ভারত সরকার চায় সেই সত্য গুলিকে ঢাকা দিতে এবং মুসলিমদের সন্ত্রাসী বানাতে পুরোনো ২০০০ সালের সেই নাটকীয় খেলা আবার খেলছে।
ভারত সরকারের একটাই উদ্দেশ্য — ভারত থেকে মুসলিমদের সরিয়ে দেওয়া এবং মুসলিমদের ইমেজ ধ্বংস করা। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে দেশকে বিভক্ত রাখা।
আর বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া হলি আর্টিজানের সন্ত্রাসী ঘটনাটাও ছিল ভারত সরকার আর শেখ হাসিনার বানানো নাটক — যার ফলে অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
বাংলাদেশ আর ভারতের রিসেন্ট যে সমস্যা হলো - তখন সাইফ আলী খানের বাসায় গিয়ে এক লোক অকারণে তাকে ছুরি দিয়ে মারতে চাইলো -
ইন্ডিয়ান পুলিশ মিডিয়াতে বললো - যে লোক এই কাজ করেছে সে বাংলাদেশী !
এমনকি তারা ক্যামেরার সামনে বাংলাদেশী লোকও নিয়ে আসছে !
মানে তাদের যখন যাকে নিয়ে সমস্যা হবে ? সে সেই নির্দিষ্ট জাতিকে ক্রিমিনাল বানানোর জন্য এসব ফেক টেররিস্ট এটাক এর স্টোরি সাজায় !
তাদের জন্য এসব জলজ্যান্ত মানুষ দার করিয়ে কাহিনী বানানো কোনো ব্যাপারই না !
কাশ্মীরে এত কড়া নিরাপত্তা থাকার পরেও কীভাবে এমন একটি খোলা জায়গায়, এত মানুষের সামনে, দীর্ঘ সময় ধরে হত্যাকাণ্ড চালানো সম্ভব হয়? তখন পুলিশ কি মোদির বাসায় গিয়ে ঘুমাচ্ছিল?
শুধু তাই নয় , আপনি বলিউড মুভিগুলা দেখেন ?
সেখানেও দেখানো হয় গল্পাকারে - মুসলিমরা টেরোরিস্ট! বাংলাদেশ খারাপ , পাকিস্তান খারাপ !
একটা দেশের মানুষের ব্রেইনওয়াশ করার মূল মাধ্যম হলো সেই দেশের - মুভি , নিউস মিডিয়া !
মুভিতে শিখানোই হয় - মুসলিমরা টেরোরিস্ট ! সেটা দিয়েও কাজ যখন না হয় তখন মুভিকে বাস্তবে রূপান্তর করে ভারত সরকার !