মা-নু-ষ

মা-নু-ষ আনন্দ ও জীবনের প্রয়োজনে সাথে থাকুন।

পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই হয়তো একটা সংকটহীন সাচ্ছন্দ্য নির্ভেজাল জীবন কাটাতে চায়। এই চাওয়াটাই যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। অথচ জ...
26/05/2021

পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই হয়তো একটা সংকটহীন সাচ্ছন্দ্য নির্ভেজাল জীবন কাটাতে চায়। এই চাওয়াটাই যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। অথচ জীবন মানেই প্রকৃতির মাঝে শত সংকটপূর্ণ প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া।

মানুষের জীবনে সংকট থাকবেই, জীবনের প্রতি পদে পদে নতুন নতুন সংকট আসবেই। যে জীবনে কোনো সংকট নেই, সেই জীবনে সংকট থেকে মুক্তির জন্য কোন প্রচেষ্টা বা সংগ্রাম নেই, তাই কোন শিক্ষাও নেই। আর শিক্ষা বা সংগ্রামহীন জীবনে মনুষ্যত্ব থাকেনা। মনুষ্যত্বহীন জীবন কি কখনও মানুষের জীবন হতে পারে?

অথচ আমাদের সমাজে প্রতিটি বাবা-মা-ই চান তার সন্তানের জীবনটা সংকটমুক্ত নির্ভেজাল হোক। এর জন্য আজীবন চলতে থাকে প্রাণপন চেষ্টা। অথচ এটা কি সন্তানের জন্য কোন কাজে দেয়?

জীবনে সংকট থাকবেই। সংকটকে এড়িয়ে চলা সম্ভব না।
কিন্তু জীবনে জটিলতা থাকলে জীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠে। তখন জীবনটাকে যাপন না করে বয়ে বেড়াতে হয়। এজন্যই যুগে যুগে মানুষ সরল পথের সন্ধান করেছে, বিশ্বাসই যেখানে মূল প্রাণশক্তি। বিশ্বাসী না হলে সরল পথের সন্ধান পাওয়া সম্ভব না।

একটা সুন্দর জীবনযাপন করার জন্য তাই দুটি জিনিসের খুবই প্রয়োজন। অভিজ্ঞতালব্দ শিক্ষা আর সরলতাপূর্ণ বিশ্বাস।

*****জীবন-মানে-সংগ্রাম*****

26/05/2021
03/12/2020
বিয়ে বা পরিবার গঠন ব্যাপারটা সমাজ ও পাত্র-পাত্রীর কাছে বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, বৈধ যৌনতা, ভবি...
03/12/2020

বিয়ে বা পরিবার গঠন ব্যাপারটা সমাজ ও পাত্র-পাত্রীর কাছে বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, বৈধ যৌনতা, ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রাপ্তির পথ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা এবং আরো অনেক কারণ হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাথার স্বার্থেই বিয়ে বা পরিবার কে শুধুমাত্র প্রজন্মের ধারাবাহিকতা রক্ষার শর্তেই নির্দিষ্ট করেছে। যা প্রকৃতির আগামীর দিক। এই শর্তের সঙ্গে সম্পর্ক কেবল সন্তান জন্মদান, সন্তানের সুস্থভাবে বেড়ে উঠা ও টিকে থাকা । অন্যান্য সকল শর্ত সামাজিক জীবনে মানুষের মননজগতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দিলেও প্রকৃতির কাছে তা মূল শর্তের অনুষঙ্গ হয়ে এসেছে মাত্র, যা পাত্র-পাত্রীকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মৌলিক শর্তের প্রয়োজনে মোটিভেট করে।

কিন্তু বৈবাহিক জীবনে বা পারিবারিক জীবনে স্বামী বা স্ত্রী অথবা উভয়ের মধ্যে যখন মূল শর্তের চেয়ে যে কোন আনুসঙ্গিক শর্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে তখনি বিপত্তি ঘটে। প্রকৃতি তখন এই প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখা আর গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। প্রকৃতি তার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার সময়কে ব্যবহার করে, সময় নির্দিষ্ট করে দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর লক্ষ্য মৌলিক শর্তের দিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হলে, দুজন আলাদা হয়ে যায়। আমরা দেখি ডিভোর্স হিসেবে।

সহজ কথায়, দু’জন মানুষ একসাথে পথচলার জন্য অভিন্ন লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা অনিবার্য। লক্ষ্য ভিন্ন তো পথ ভিন্ন, ভিন্ন পথে দু’জন একসাথে থাকতে পারে না।

আর প্রতিটি দাম্প্যত্যের প্রকৃতি-নির্দিষ্ট, কাল-নিরপেক্ষ মৌলিক লক্ষ্য বা আগামী হলো সন্তান।

অর্থাৎ যে দম্পতির মধ্যে সন্তানের চেয়ে অন্যকিছু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে তাদের আর যা-ই হোক সংসার টিকবে না।

16/11/2020

এই শতকে এসে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি হলো আমরা এত বৈচিত্র্য চিন্তাধারার মধ্যে থেকেও কিভাবে আমরা একটা ঐক্যমতে পৌছাতে পারি? যেখানে প্রতিটি বিষয়ের উপর আলাদা আলাদা তথ্যযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য যৌক্তিক ব্যখ্যা বা মতামত রয়েছে।

অসীমতা অনুভব করার একটিই উপায় আছে। চোখটাকে বন্ধ করা। বাইরের চোখদুটো বন্ধ করলে ভেতরের চোখটা খুলতে সহজ হয়। যাকে অনেকে তৃতীয়...
15/11/2020

অসীমতা অনুভব করার একটিই উপায় আছে। চোখটাকে বন্ধ করা। বাইরের চোখদুটো বন্ধ করলে ভেতরের চোখটা খুলতে সহজ হয়। যাকে অনেকে তৃতীয় নয়ন বলে থাকেন। যা দিয়ে দেখলে বোধোদয় হয়।

মানুষ কল্পনাপ্রবন কিন্তু পশু কল্পনা করতে পারে না। এই জন্য মানুষ চোখ খোলা রেখে যা দেখতে পায় চোখ বন্ধ করলে তার চেয়ে অনেক বেশি দেখে। যৌক্তিক-অযৌাক্তিক কোন কল্পনাই করতে পারে না পশু। মানুষ দুটোই পারে। এই বৈশিষ্ট্যও মানুষকে পশু থেকে আলাদা করে দেয়। যৌক্তিক কল্পনা মানুষকে আবিষ্কার করতে শেখায়। মানুষের বোধোদয় ঘটায়। স্রষ্টাকে উপলব্ধি করায়। শয়তানকে চেনায়। অযৌক্তিক কল্পনা ঈশ্বর আর শয়তানকে আলাদা করতে পারে না।

সত্য কথার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে- তুমি কাউকে সবসময় খুশি রাখতে পারবে না যদি সে সত্যের অনুসন্ধানী না হয়।আমাদের সমাজটাই যেহেতু মি...
20/08/2020

সত্য কথার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে- তুমি কাউকে সবসময় খুশি রাখতে পারবে না যদি সে সত্যের অনুসন্ধানী না হয়।

আমাদের সমাজটাই যেহেতু মিথ্যা আর পঙ্কিলতায় ডুবে আছে তাই আমাদের সবার জীবনে মিথ্যা-ই প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে।

আমাদের সমাজ যে মিথ্যা, অনাচার, অন্যায় আর পঙ্কিলতায় ডুবে আছে চারপাশে তাকালে এটা যে কেউ বুঝতে পারে। তবুও আমরা সবাই মনে করি নিজে যা করছি ঠিকই তো করছি। সেটাকেই আমরা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় ভেবে মেনে চলছি।

কোন এক সময়ে এগিয়ে যাওয়ার শর্তে পূজিবাদী দর্শনকে পৃথিবী গ্রহন করলেও তা আজ কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। শিল্প, প্রযুক্তি আর মুক্তবাজার অর্থনীতির বিকাশ হতে হতে আজ তা দানবে পরিনত হয়েছে। অল্প কিছু মানুষের হাতে চলে এসেছে পৃথিবীর অর্ধেক সম্পত্তি। বলা হচ্ছে, পৃথিবীর ১ ভাগ মানুষের কাছে পৃথিবীর ৯৯ ভাগ সম্পত্তি চলে এসেছে। অন্যদিকে ৯৯ ভাগ মানুষের হাতে থাকে মোট সম্পত্তির ১ শতাংশ। আর এই ১ শতাংশের মধ্যে থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতায় কামড়া কামড়িতে ব্যস্ত। এদিকে আর্থিক মানদন্ডই সমাজের মুল মানদন্ড হয়ে উঠেছে। এই মানদন্ডে কে বড় কে ছোট হলাম এই হিসেব করতেই আমাদের জীবন কেটে যায়। একে অপরকে হেয় করতে, অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে বিভেদ করে চলছি। এই বিভেদ করার কূটকৌশল ও শিক্ষানীতি সমাজে তারাই জারি রেখেছে, যাদের হাতে বেশিরভাগ সম্পত্তি বন্দি হয়ে আছে। একদিকে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে সমাজের চলমান দৃষ্টিভঙ্গি টিকিয়ে রাখতে আর অন্যদিকে শিক্ষাখাতে যথাযথ মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ করতে সরকারকে বাধা দিচ্ছে।

অথচ এই নীতি চলমান থাকলে পৃথিবীর ৯৯ ভাগ সম্পত্তিই অচিরেই হাতেগোনা কিছু পুজিপতিদের হাতে চলে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তারা চাইলেই এটা করতে পারে। ফলে ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, ঋণগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, কর্মহীন বেকারের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই বাড়তে থাকবে, সামাজিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে, পূজিপতিরা নতুন নতুন ফর্মূলা এনে দাড় করাবে মানুষের সামনে- মুখের সামনে মুলো ঝুলানোর মত, সর্বোপরি মানুষ কৃতদাসের চেয়েও মূল্যহীন হয়ে পড়বে। পূজিপতিদের দয়া, দান-খয়রাত আর ঋণকার্যক্রম হয়ে উঠবে সাধারণদের বাঁচার একমাত্র মাধ্যম। একদিকে চলবে কিছু মানুষের বিলাসবহুল জীবনযাপন অপরদিকে দেশজুড়ে চলবে অসহায় মানুষের আর্তনাদ। এমতাবস্থায় বার বার দূর্ভিক্ষ, মহামারী হতেই থাকবে। এগুলোই মানব সৃষ্ট বা কৃত্রিম দূর্যোগ। অথচ পৃথিবীর তাবৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যক্তির হাতে সম্পত্তি কুক্ষিগত হওয়ার এই পথ খোলা রেখেছে। এভাবে যতখুশি সম্পত্তি অর্জন করা বর্তমান ব্যবস্থায় বৈধ বলে বিবেচিত হচ্ছে। কথাটাকে এভাবও বলা যেতে পারে, নিজ মেধা, শ্রম, যোগ্যতায় কোনো মানুষ যদি সারা পৃথিবীর সকল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়, আর বাকি সমস্ত মানুষ যদি ভুমিহীন, সম্পত্তিহীন, খাদ্যহীন, বস্ত্রহীন হয়ে যায়, এমনকি অসুস্থ হয়ে মারাও যায় তাতেও ভু-সম্পত্তির মালিককে দায়ী করা যাবে না। সে চাইলে তার সমস্ত সম্পত্তি অনাবাদী রাখতে পারে, তার সমস্ত অর্থ মাটির তলায় জমা করতে পারে, কোনো মানুষকেই তার সম্পত্তির ভাগ নাও দিতে পারে তবুও সে আইনত বৈধ। পৃথিবীর
বর্তমান ব্যবস্থায় তাকে দোষী বলার কোনো সুযোগ নেই। সত্যিকার অর্থেই আমরা এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি এবং এর জন্য অনেকটা আমরাই দায়ী। নিজের ঘাড়ে সমস্যার বোঝা না চাপলে এর তীব্রতা কেউ অনুভব করি না। যেন নিজে বাঁচলেই সব সমস্যা শেষ। চারপাশের সংকটকে নিজের সংকট হিসেবে ভাবতে চাই না তবে চারপাশে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চাই ঠিকই। আমাদের এই চরিত্রটাও চলমান ব্যবস্থার ফল। আমাদের চরিত্রটা এই চলমান ব্যবস্থার মতোই স্বার্থান্ধ, মিথ্যা আর অমানবিক।

আসলে মানুষের জন্য বর্তমান পৃথিবীর চলমান ব্যবস্থাটাই অবৈধ হয়ে পড়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দরকার নূতন ব্যবস্থা।

সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জীবনের জন্য এত বড় নির্মম সত্য সামনে চলে আসলেও আমরা সত্যকে একপাশে ঠেলে ব্যক্তিস্বার্থকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবনকেই সত্য থেকে বহুদূরে ঠেলে দিয়েছি। তাই সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলেও জীবনের সাথে সত্যের সম্পর্ক না থাকার জন্য সত্যকে ঠিকমতো চেনা হয় না, জানা হয় না, উপলব্ধি করা হয় না। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কথা যদি আমার ফেবারে থাকে তবে তা আমরা সত্য বলে মেনে নেই, খুশি হই, আর ফেবারে না থাকলে তা মিথ্যা বলে ছুড়ে ফেলি, অখুশি হই।

তাই কাউকে খুশি করার উদ্দেশ্য নিয়ে সত্যের সাথে থাকা যায় না। সত্যের সাথে থাকতে হলে নির্মোহ হতে হয়। সত্যের অনুসন্ধান করতে হয় জীবন ও জগৎকে সঠিকভাবে চেনার জন্য, উপলব্ধি করার জন্য, চিন্তা, লক্ষ্য ও কর্মে জগতের সাথে জীবনের ঐক্যতা স্থাপনের জন্য, প্রকৃতির সকল উপাদানের সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে ভালো থাকার জন্যে, নিজে ভালো থেকে সবাইকে ভালো রাখার জন্য।

17/08/2020

ALL_OF_US - award winning animated short film. Everyone should watch this film. This ‍short film has a big message for everyone.

03/08/2020

মা হওয়ার চেয়েও মানুষ হওয়াটা বেশি জরুরী।

01/08/2020

রাজনীতিকদের প্রতি-

পুনরাবৃত্তি - ১ =========লোকটার ডাকনাম হাবু, পেশায় কৃষক, পড়াশোনার দৌড় কেলাস ফাইভ পর্যন্ত। বাপের সামান্য জমি আছিল, চাষবাষ...
13/05/2020

পুনরাবৃত্তি - ১
=========

লোকটার ডাকনাম হাবু, পেশায় কৃষক, পড়াশোনার দৌড় কেলাস ফাইভ পর্যন্ত। বাপের সামান্য জমি আছিল, চাষবাষ কইরা কোনমতে দিন চইলা যাইতো। পড়ালেহার খরচ জোগাবার না পাইরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ হইয়া গেছিলো হাবুর। একটুখানি জমি, কোনমতে দিন চলে, এইডা বেইচা তো আর পড়ালেহা করানো সম্ভব না, তাছাড়া পড়ালেহা কইরা কি হইবো? গরীব মানুষ, চাকরি দিব কেডায়? দেশে যে গন্ডগোল চলতাছে কখন যে কি হয় কওয়া যায় না।

হাবুর বাপ বাবলু, যুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর হাত থেইকা কোনমতে জান নিয়া পালাইতে গিয়া অন্ধকারে গর্তের মধ্যে লাফ দেয়। নিচে শক্ত মাটি আছিল, বুঝবার পারে নাই। মাটিতে পইড়া ডাইন ঠ্যাং ভাইঙ্গা গেছিল। চিৎকার মারবারও পারে নাই, পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়বার ভয়ে। দুইদিন গর্তের মধ্যে লুকাইয়া আছিলো। ‍দুই দিন পরে রাইতের বেলা অন্ধকারে গর্ত থেইকা বার হইয়া কোনমতে ঘরে ঢুইকা দেখে ঘরের সব কিছু লন্ডভন্ড, খাবার মত কিচ্ছু নাই ঘরে। যা আছিল সব ঐ কানা মন্টু নিয়া গেছে। বাবলুরে আর মুক্তিবাহিনীর পোলাপানরে ঘরে না পাইয়া ঘরের সবকিছু লন্ডভন্ড করে। তারপর তার বাড়ির আশেপাশে সব জায়গায় খুজে। তবুও তারে খুইজা না পাইয়া তার পাকা ধানক্ষেতটারে পাড়ায়া মাটিতে মিশায়া ফেলে।
বাবলুর গলা শুকায়া আসে, বাড়ির পাশের পাগাড় থাইকা ভাঙ্গা গেলাসে একটু জল নিয়া খায়, গলাডা ভিজায়। ভিজা গলায় চিৎকার দেওন যায়, শব্দ বেশি হয়। কিন্তু গলাডা আবার শুকাইয়া যায়। সে আর চিৎকার দেয় না। ধানক্ষেতটার দিকে তাকাইয়া সে শুকনা গলায় বিড় বিড় করে- “হালারা আমার ধানক্ষেতটারে শেষ কইরা দিলো”।

অন্ধকারে কাউরে খুইজা না পাইয়া দুইদিনের খালিপেট নিয়া সে ঘরের মেঝেতে শুইয়া পড়ে, প্রচন্ড বেদনা আর ভাঙ্গা ঠ্যাং নিয়াই কোনমতে ঘুমায়।
পরের দিন পাশের বাড়ির কানু মিয়া বাবলুর বাড়িতে খোজ নিতে আইসা দেখে লোকটা ঘরের মেঝেতে মরার মতন পইড়া আছে, ডাইন পাও ভাঙ্গা। সে তাড়াতাড়ি বাবলুরে ধইরা নিয়া চাইরডা খাওয়াইয়া তার নিজের রিকশা দিয়া বাবলুরে শশুর বাড়ি পৌছাইয়া দেয়।

বাবলু মুক্তিবাহিনীর লাইগা নিজের ঘরে ডাইলভাত খাওনদাওনের ব্যবস্থা করতো। পাশের এলাকার কানা মন্টু জাইঙ্গার ব্যবসা ছাইড়া দিয়া রাজাকার বাহিনীতে নাম দেয়। তার কাম হইলো পাকবাহিনীরে নানান খবর সরবরাহ করা। তয় পাশের এলাকায় বাবলু যে এত বড় একটা কাম করতাছে, গোপনে মুক্তিবাহিনীরে ঘরে থাকবার ব্যবস্থা কইরা দিছে, খাওনাদাওনের ব্যবস্থা কইরা দিছে, এত বড় একটা খবর পাকবাহিনীরে না দিয়া সে কেমনে থাকে? তার একটা দায়িত্ব আছে না?

মুক্তিবাহিনীরা কয়দিন পরে পরে মাঝে মধ্যেই রাইতের অন্ধকারে গোপনে বাবলুর বাড়িতে আইসা উঠে। যুদ্ধ করতে করতে গুলি আর বোমা ফুরাইয়া গেলে দুই একদিনের জন্যে বাবলুর বাড়িতে আইসা উঠে। এই এলাকায় বাবলুই তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। তারপর দুই-তিন দিন ভালমন্দ খাইয়া, গুলি আর বোমা হাতে পাইলে আবার হঠাৎ কইরা রাইতের অন্ধকারে উধাও হইয়া যায়। দুরের কোনো এলাকায় অপারেশন চালাইতে চইলা যায়।
সেইদিনও মুক্তি বাহিনী খবর পাডায় বাবলুর কাছে, আইজকা তারা বাবলুর গেরামে আইবো, একদিন থাইকা চইলা যাইবো। কোনমতে খাওনদাওনের ব্যবস্থ্যা করলেই হইবো, এত ভালো কিছু রান্ধন লাগবো না। তাছাড়া বাবলুর বউডা পাঁচ মাসের পোয়াতি, বেশি রান্ধিবার গেলে তার বউয়ের কষ্ট হইয়া যাইবো।

বাবলুর আরেকটা পোলা আছিল, বছরখানিক আগে উডানে খেলতে গিয়া পানিতে পইড়া ডুইবা মরে। দেড় বছরের পোলা, সারা বাড়ি দৌড়ায়া বেড়াইতো, বাপ-রে কেবল চিনছে কোনমতো। একদিন বাবলুর বউ শেফালী রান্ধিবার গেছে, পোলাডা বল নিয়া উডানে খেলতেছিল। শেফালী একটু পরে পরে ঘর থাইকা উকি দিয়া পোলাডারে দেখে, বাইরে খেলতাছে কি না। আছরের আযান দেওয়ার লগে লগে শেফালী মুখ বাইর কইরা পোলাডারে খোজে, দেখে পোলাডা উডানে নাই। শেফালীর বুকের মধ্যে ছ্যাৎ কইরা উডে। দৌড় দিয়া উডানের আরেক মাথায় যায়। দেখে পোলাডা আবার ধান ক্ষেতের দিকে গেল কি না! পোলাডারে দেখা যায় না। শেফালী চিৎকার কইরা ডাকতে থাহে, হাবুরে, হাবু, কই গেলি রে বাপ, ও হাবু, হাবুরে… কোন সাড়া শব্দ পায় না শেফালী। শেফালীর মাথা ঝিম ঝিম কইরা উডে, সে কানে যেন কিছু শোনে। পানিতে ঢিল মারলে যে শব্দ হয়, সেই শব্দ। দৌড় দিয়া পাগাড়ে যায়।
পাগাড়ের মাঝখানে লাল বলডা দুলতে দুলতে ভাসতাছে। আর কি যেন একটা পানির নিচ থেইকা বুদবুদ ছাড়তাছে। শেফালীর বুকটা ধড়ফড় কইরা উঠে। চিৎকার দিবার চায় কিন্তু গলা দিয়া কোন শব্দ বের হয় না। সে দৌড় দিয়া পাগাড়ের মধ্যে চইলা যায় যেহান থেইকা বুদবুদ উঠতেছিল। দুই হাতে পোলাডারে ধইরা কাছাড়ে তুইলা গলা ফাডায়া চিৎকার করে- আল্লারে--- আমার কি হইলো রে--- আমার হাবুরে--- । হাবু তহনও মরে নাই একটু একটু কইরা হেচকি মারতাছে। কিন্তু শেফালী কি করবো বুঝতে পারে না। পোলাডারে বুকের মধ্যে একবার চাইপা ধরে আর একবার নামায়া পেডের মধ্যে চাপ দেয় যদি পেট থেইকা পানি বাইর হয়। আশেপাশের মানুষজন দৌড়ায়া আসার আগেই হাবুর শরীর নেতায়া আসে। পোলাডা আর দম নিবার পারে না। মায়ের চউক্ষের সামনে পোলাডার দুইচোখ বন্ধ হইয়া যায়। শেফালীও সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়া মাটিত পইড়া মুর্ছা যায়।

দুই তিনডা মাস শেফালী আর বাবলু কেউ কারো দিকে তাকায় না। দুই জনের মুখ শুকায়া কাঠ হইয়া যায়। খাওয়ার কোন ঠিক নাই, ঘরদোড় সব আওলাঝাওলা কইরা দুই জন ঘরের মধ্যে পইড়া থাহে। এই দুর্দিনেও পাশের বাড়ির কানু মিয়ার বউ তাদের রান্ধা বাড়া কইরা খাওয়ায়। এই এলাকায় বাবলুর কাছের মানুষ বলতে ওই একটা পরিবারই আছে। কানু আর কানুর বউ চাম্পা। তাদের কোন পোলাপান নাই। হাবুর পোলাডারেই তারা নিজের পোলার মতো আদর করতো। হাবু মইরা যাওয়াতে দুইডা পরিবারই ভাইঙ্গা পড়ে। কানু পেশায় রিকশা চালক। সে নিজের রিকশা চালায়, বড়লোকী কারবার ।

কয়েক দিন ঘরে পইড়া থাইকা বাবলু ঘর থেইকা বাইর হয়, ক্ষেতে যায়। ধানক্ষেতটা মনোযোগ দিয়া দেখে। এই ধানক্ষেতটাও তার পোলার মতোই। ধানক্ষেতটার দিকে তাকায়া আবার তার পোলার কথা মনে হয়। সে গামছা দিয়া মুখ ঢাইকা কতক্ষণ কান্দে। তারপর আস্তে আস্তে উইঠা কিছুক্ষণ ধানগাছ গুলারে হাতায়। তারপর মনডারে শক্ত কইরা নিজেরে কয়, যা হইবার হইছে, আল্লার ফেরেসতারে আল্লায় লইয়া গেছে, আমার আর বইসা থাকলে চলবে না, এইবার কামে নামতে হইবো। সে দিল থেইকা পোলাডার লাইগা আল্লার কাছে দোয়া করে- হে আল্লা, তুমি আমার পোলাডারে জান্নাতে জায়গা দিও।

দেখতে দেখতে প্রায় বছর যায়। বাবলুর বউ আগের সবকিছু ভুইলা একটু স্বাভাবিক হয়। তার পেটে আবার বাচ্চা আসে। দুইজনের মুখেই আবার কিছুটা হাসি ফুইটা উঠে। এর মধ্যেই শুরু হয় গন্ডগোল। পাকবাহিনীরা হঠাৎ কইরা রাইতের আন্ধারে ঢাকা শহরে আক্রমণ কইরা বসে, বাড়ি ঘরে আগুন লাগায়। তারপর থেইকা শুরু হয় যুদ্ধ। সারাদেশেই মুক্তিবাহিনীর দল তৈরী হয়। জায়গায় জায়গায় মুক্তি বাহিনীরা অস্ত্র নিয়া পাহারা দেয়। সেই সাথে রাজাকারেরাও সারা দেশে তাদের কার্যক্রম চালায়, পাকবাহিনীরে সাহায্য করাই তাদের কাম। পাশের এলাকার মন্টু সেই সময়ই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়। মাইনষের বাড়িঘরে আগুন লাগায়া জিনিসপত্রগুলা যদি লোপাট করন যায় সেই আশায়। তাছাড়া এই যুদ্ধের সময়তো তার জাইঙ্গার ব্যবসা চলবে না। তাইলে সে খাবে কি?

ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধ শেষ হয়। বাংলাদেশের জন্ম হয়। সব মানুষের মুখে হাসি। পেটে ভাত নাই, তবুও শান্তি। হারামজাদারা দেশ থেইকা বিদায় হইছে। কিছুদিন পড়েই মন্টুর ঘরেও আলো ফুটে। আরেকটা পোলার জন্ম হয়। কি সুন্দর পোলাডা! ঠিক যেন হাবু। জন্মের পরেই পোলাডার চিৎকার শুইনা শেফালী চমকাইয়া উঠে। এই চিৎকার তো সে আগেও শুনছে! বড় পোলা জন্মের সময়ই ঠিক এই চিৎকারটাই দিছে। ঠিক একই চেহারা, একই গলা। শেফালী সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক কইরা ফেলে, এই পোলার নামও সে ‘হাবু’ই রাখবে। এই পোলার মধ্যে দিয়া সে আগের পোলাডারেও খুইজা পাইছে। শেফালীর মনে হয়, তার চাইতে সুখী দুনিয়াতে আর কেউ নাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার তার মনে হয়, দেশে এহন আকাল, ঘরে ক্চ্ছিু নাই, পোলাডারে ঠিকমতো খাওয়াইতে পারবো তো? তবুও পোলাডার মুখের দিকে চাইয়া দিলডা জুড়াইয়া যায়। ঘরে খাওন নাই, তাও শান্তি।

কষ্টে কষ্টে তবুও দিনগুলা চইলা যায়। পোলাডা আস্তে আস্তে বড় হয়। যে বছর পোলাডার স্কুলে যাওয়ার কথা, তার আগের বছর দেশে আবার গন্ডগোল হয়। বঙ্গবন্ধুরে গুলি কইরা মাইরা ফেলে কত্তগলা বেইমান। পুরা দেশ থমথমে হইয়া যায়। সেনা বাহিনী দেশের ক্ষমতায় যায়। তারপর থেইকা দুই-তিন বছর পরে পরে একটার পর একটা গন্ডগোল লাইগা আছে। এর মধ্যে দিয়াই পোলাডা ক্লাস ফাইভ পাস করে। পড়ালেহা করানোর ইচ্ছা থাকলেও অভাবের কারনে হাবুরে আর স্কুলে ভর্তি করানো সম্ভব হয় নাই। বই খাতা ছাইড়া দিয়া বাপের সঙ্গে মাঠে কাম করতে যায়। শেফালীর বুকটা ধুকপুকাইয়া উঠে। পোলাডারে লেহাপড়া করানোর ইচ্ছা আছিল, একটুখানি জমি, আবাদ-ফসল কইরা কোনমতে সংসার চলে, এইডা বেইচা তো আর পড়ালেহা করানো সম্ভব না। তাছাড়া পড়ালেহা করায়া কি হইবো ? গরীব মানুষ! চাকরি দিব কেডায়? এমনিতেও দেশের যা অবস্থা, কহন কি হয় তা তো কওয়া যায় না। হাবুর আর পড়ালেহা করা হয় না। গামছা কান্দে লইয়া, লেংটি পইড়া বাপের লগে মাঠে কাম করতে যায়। ধীরে ধীরে ওই একটুকরা জমিই তার দেশ, দুনিয়া হইয়া ওঠে। ওখানেই ধান চাষ করে, ওখানেই সবজি চাষ করে। মাঝে মধ্যে মাইনষের ক্ষেতেও মজুরীর কাম করে। আস্তে আস্তে সংসারের সব কাজ কাম শিইখা ফেলে। স্বৈরাচার সরকারের পতন হইলে দেশে গণতন্ত্রের শুরু হয়। তার সংসারেও গণতন্ত্রের ছোয়া লাগে। তারে বিবাহ দিয়া বাপ মা কিছুটা দায়মুক্ত হয়। এদিকে গনতন্ত্র কিছুদিনের মধ্যেই একনায়কতন্ত্রে পরিনত হইলো। সে বুঝতে পারে, সংসারে সে মূল্যহীন। অভাবের সংসারে সব পুরুষরাই কাপুরুষ। তবুও যে-সব মহিলারা অভাবের সংসার ধইরা রাখতে প্রাণপন চেষ্টা কইরা থাকে তারা নিতান্তই সাদাসিধা বোকা টাইপের মহিলা। কিন্তু হাবুর বউ কোন মতেই বোকা মহিলা ছিলেন না। তাই সে একটা বাচ্চার জন্ম দিয়া তাকে হাবুর কোলে তুইলা দিয়া ঘর ছাইড়া বাহির পানে চইলা গেলেন এই ভেবে যে- যদি অভাবটাকে অতিক্রম করন যায়। পরে তার কি হইছিল তা কেউ জানে না, কারন যে নারী ঘর ছাইড়া যায়- তার খবর কেউ কইতে পারে না অথবা রাখে না। এইদিকে হাবু নীরবে তার বউয়ের বিদায়শোক অতিক্রম কইরা চান্দের কনা পোলাডারে কোলেপিডে কইরা মানুষ করতে থাকে। এইদিকে হাবুর বাপ-মা, অর্থাৎ বাবলু আর শেফালী পোলার কষ্ট আর একাকীত্ব বুঝতে পাইরাও সব নিয়তি মাইনা লইয়া ফুটফুটে নাতির লগে আনন্দ ভাগাভাগি করার অভিনয় করতে করতে কিছুদিনের মধ্যে দুইজনই ইহকাল ত্যাগ করলেন। হাবুও কিছুদিনের মধ্যেই উপলব্ধি করতে পারল যে, পোলাডারে পাইয়া সে হাতে চাঁদ পাইয়াছিল বটে কিন্তু বাবা-মা কে হারাইয়া চিরকালের জন্য সে যেন সূর্যটারে হারাইল।

[হাবুর জীবনের পরবর্তী গল্পটা খুবই করুণ। কারন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে দিয়া দেশটা এমন একটা জায়গায় পৌছে যাচ্ছিল যেখানে হাবুরা সমাজের পতিত, ফেলনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাছাড়া ছোট খাটো কৃষক হিসেবে পরবর্তী বাংলাদেশে তাদের কোন জায়গা ছিলো না। বেশিরভাগ কৃষকরা তাদের কৃষিজমি সহ কৃষকত্ব হারাইতে হারাইতে প্রথমে শ্রমিক এবং পরে সমাজের উচ্ছিষ্টভোগী, ত্রানভোগী হয়ে বাঁচতে থাকে। এক্ষেত্রে হাবু প্রাণপনে পিতৃভুমিটুকু আকড়াইয়া ধরিয়াছিলো। পিতার রেখে যাওয়া জমিটুকুতে সে প্রতিবছর ফসল ফলায়।]

কিন্তু তারও এহন বয়স হইছে। যদিও সে এহন এই যুগের মানুষ তবুও এই যুগের কোন প্রভাব তার উপর পড়ে নাই। এই করোনা ভাইরাসের আমলেও সে তার ক্ষেতডারে সবুজে সবুজে ভইরা ফালাইছে। কিন্তু সে জানতো না তার ছোডো ধানক্ষেতটাও প্রযুক্তির কারনে ইতিহাসের পাতায় জায়গা কইরা নিছে। তার ক্ষেতে কি কারনে এত সরকারী-বেসরকারী নেতা, সাংবাদিক, পুলিশ, বিজিবি, এমপি, মন্ত্রীদের ভিড় তা বুঝবার পারে না। তার আগেই সে বুইঝা যায়, এইবার তার না খাইয়া থাকতে হইবে আর না হয় মাইনষের দুয়ারে হাত পাততে হইবে। সে মাথায় হাত দিয়া মাটিতে বইসা পড়ে। মাটির সাথে মিশ্যা যাওয়া পাকা ধানের ছড়াগুলার দিক তাকাইয়া মনের খেয়ালেই সে বইলা উঠে “হালারা আমার ধানক্ষেতটারে শেষ কইরা দিলো”।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুদ্ধ করতে করতে চলে গেলেন ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন। তার এই মৃত্যুকে বাংলাদেশ নিশ্চয়...
16/04/2020

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুদ্ধ করতে করতে চলে গেলেন ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন। তার এই মৃত্যুকে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমরা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি।

সেই সাথে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি ।

বাংলাদেশে এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমনের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ সময় চলছে। আগামী মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত বাধ্যতাপূর্ণ হোম কোয়ারে...
30/03/2020

বাংলাদেশে এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমনের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ সময় চলছে। আগামী মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত বাধ্যতাপূর্ণ হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলাটা জরুরী। সবাই খুব সাবধানে থাকবেন।

Address

Ganai Vorua Para, Chaitankhila, Sherpur Sadar
Dhaka
1230

Telephone

+8801710066667

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মা-নু-ষ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share