
12/09/2025
এক নজরে,
বই: ইসলাম ও বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা
লেখক: আবদুল মুনইম মুস্তফা হালিমাহ
অনুবাদ: Ammarul Hoque
প্রকাশনি: রিশাহ পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠা: ৪৯৬
মূল্য: ৭২০% (৫০%ছাড়)
রিভিউকারী: বিনতে শাহরিয়ার
“that these dead shall not have died in vain– that this nation, under God, shall have a new birth of freedom and that government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earth” (আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, গেটিসবার্গ এড্রেস, ১৯ শে নভেম্বর,১৮৬৩)
বিশ্ব ইতিহাসে খুব পরিচিত একটি বক্তব্য এবং সম্ভবত গ'ণ/তন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে সবচেয়ে প্রভাবশালী উক্তি।
সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রে 'স্বাধীনতা' এবং 'গ'ণ/তন্ত্র' এই দুটি শব্দকে প্রতিশব্দ, এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমার্থক হিসেবে গণ্য করা হলেও, আসলে তা নয়। বরং গ'ণ/তন্ত্র স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিক রুপ, অন্যদিকে সংবিধান হলো গ'ণ/তন্ত্রের পথে বাধা। এমনটিই মনে করেন গবেষকগণ।
'ইসলাম ও বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা' ইসলামি রাষ্ট্রের শরীয়াহভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি পুরো বিশ্বের রাষ্ট্রচিন্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলীলভিত্তিক বার্তা। সাধারণ জনগণের প্রতি চিন্তার খোরাক ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু।
কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক পরিচালিত রাষ্ট্রনীতি বা খিলlফতব্যবস্থার বিপরীতে আর যেসকল আইন বা রাষ্ট্রব্যবস্থা রয়েছে তা কিছু না কিছু হলেও আল্লাহর বেধে দেওয়া আইনের ব্যতিক্রম। এই মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে দলে দলে বিভক্ত হয়েছে জাতি ও সমাজব্যবস্থা। কিন্তু ইসলামি চিন্তাধারা বা মতাদর্শের আদীরুপ খুঁজে পেতে চাইলে খিলাফাতের তুলনা নেই। ইতঃপূর্বে লেখক 'গ'ণ/তন্ত্র ও বহুদলীয় রাজনীতির ব্যাপারে ইসলামের হুকুম' (বাংলা অর্থে) নামে প্রথম সংস্করণে সমস্ত বিষয় আলোচনা করলেও কিছু ভুলত্রুটি থেকে গিয়েছিল। পরবর্তী সংস্করণে সেসব সমাধানে পূর্বোল্লিখিত আলোচনাকে দুইশত পৃষ্ঠা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা পাঠক চাহিদা ও প্রয়োজন অনুভব করেই করা হয়েছে। বইয়ের মূল লেখক আবদুল মুনইম মুস্তফা হালিমাহ তার চিন্তাধারা এবং মতাদর্শকে উপস্থাপন করেছেন দালীলিক আলোচনায়। তিনি ছুড়ে দিয়েছেন প্রশ্ন। আর সমালোচক ও শিক্ষিতমহলের জন্য আলোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন সমাজব্যবস্থার ভিত্তিকে। কীসের উপর টিকে আছে গোটা ভবিষ্যৎ!
পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থাই বলুন কিংবা লাইফস্টাইল; সবটা জুড়ে রয়েছে আমাদের মন মগজে। আসলে মুসলিম জাতি এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে, চাইলেও এর শিকড় থেকে মুক্তি মেলা সহজ কথা নয়। পাশ্চাত্যের আদলে ইসলাম কিংবা ইসলামের আদলে পাশ্চাত্য কোনোটিই যুক্তিযুক্ত না হলেও এমনটিই ঘটে আসছে। বলা যায়, আমাদের খেয়াল খুশিমতো আমরা সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছি। একটি বিধ্বংসী কাজ বটে। অবস্থা এমন শোচনীয় যে, "না ঘর কা, না ঘাট কা"।
ইজতেহাদী ভুল বলে এড়ানোর সুযোগ নেই। অনুবাদক নিজেও কথা প্রসঙ্গে বলেছেন, "ইসলামি খেলাফতের অবসানের ঘটার পর থেকে মুসলিম বিশ্বে পাশ্চাত্যের আদলে রাজনীতি চর্চা নিতান্তই ভুল ছিল......." তাই মুসলিম বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি ও সমসাময়িক নবশক্তির উত্থানের নেপথ্যকথা বুঝতে এই গ্রন্থ যে কতখানি মূল্যবান তা পাঠকমাত্রই পাঠ করে বুঝবেন।
বহু পূর্বেই রাজনীতির নামে নানা দলে বিভক্ত হয়েছে মুসলিম বিশ্বের বাঘা বাঘা সাম্রাজ্য। নবশক্তির উত্থানের নেপথ্যকথা ঘাটতে গেলেই বোঝা যায়, 'সবে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ' - এই কথা তাদের গায়ে লেগেছিল, ক্ষমতালোভের নে'শায়। বিজয়, শান্তি, সফলতা ও কল্যাণের নামে যে বীজ বপন হয়েছিল, তা ছিল ইসলামি রাজনীতির মৌলিক ধারণার ছেটেফেলা রুপ ও ভুলচর্চা। আধুকায়নের প্রতিচ্ছবি।
বইটি কাদের জন্য এই কথাটি জানা বেশি দরকার। সাধারণ পাঠককূলের জন্য বই পড়া ও তদারকি এই শেষ কাজ। কিন্তু আলিম সমাজকে লেখক বারংবার দুষেছেন, ইসলামি রাষ্ট্রনীতির এই বেহাল দশার জন্য। ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণ যেহেতু ইসলামের দেখানো পথ ব্যতীত অন্যকোন পথে নেই, তাই ইসলামি শরীয়াহ বাস্তবায়নে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। লেখক তার বয়ানে এটি পরিষ্কার করে বলেছেন, যে পরিশ্রম বা চেষ্টা মুসলিম বিশ্ব করে চলেছে তা সঠিক পন্থা নয়, ফলশ্রুতি হতাশাজনক।
ইসলামের নীতি ও আদর্শ অপরিবর্তনীয়, এবং সকল যুগের জন্য শ্রেষ্ঠ। এর সংবিধান সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। অথচ গণ/ত'ন্ত্রের পদ্ধতি অবলম্বন, শাখাগত বিষয়, মৌলিক নীতি ইসলামের নীতির সাথে শুধু আকিদাগত পার্থক্যই নয়, বহুস্থানে বিরোধিতা করে। কারণ এই রাষ্ট্রনীতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেই ধর্ম। এই বাস্তবতা জেনেও অজ্ঞতার অভিনয় তাওহীদের সাথে বৈপরীত্তে সহাবস্থানের নামান্তর।
বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সাপোর্ট, প্রমোট করা, আহ্বান করা, বানানো নিয়মনীতির খেয়ালখুশিতে জীবনযাপন, স্বজনপ্রীতি, দলান্ধতা, প্রবৃত্তির দাসত্ব করা, এছাড়াও ইসলামের ভুলচর্চাকারীদের প্রতি নসিহাহস্বরুপ লেখক বইটিকে একটি গাইডলাইন হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
লেখক ও অনুবাদক আম্মারুল হকের বহুল পরিশ্রমের ফসল হিসেবে কঠিন বিষয়বস্তুর উপরে মাতৃভাষায় অনুবাদকৃত প্রাঞ্জল ও সাবলীল গ্রন্থটিকে বারবার পঠিতব্য একটি গ্রন্থের তালিকায় রাখার যোগ্য বলে মনে হয়েছে। বইটির কভারে অনুবাদক হিসেবে আম্মারুল হকের নাম থাকলেও কভার পরবর্তী পাতায় আবু মুহাম্মদ নামে আরেকটি নাম রয়েছে। তাছাড়া দুই জায়গায় লেখকের নামের বানানে 'মুনইম' ও 'মুনয়িম' সম্পাদনার প্রমাদ দেখা যায়। কিন্তু গ্রন্থসত্ত্ব ও প্রচ্ছদ কারিগরের নাম নেই। যেখানে দর্শনদারীর বিচারে দশে দশ পাবে রুচিশীল প্রচ্ছদটি। বইয়ের সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রশংসার দাবিদার।
পুরো বইটি খুব সময় নিয়ে পড়তে হলো। আসলে, রাজনীতির মতো কাঠখোট্টা বিষয়ে ইন্টারেস্ট না থাকলেও জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় জানার আগ্রহ ও চাহিদা রয়েছে। আর ডিবেটটা যখন ইসলাম ও বহুজাতিক রাষ্ট্রনীতি নিয়ে, তখন চেখে দেখতেই হলো। আম্মারুল হকের সব কাজই পড়ে দেখা হয়েছে। বেশ ভালো। প্রমিজিং রাইটার তিনি। আর এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় ও পরিশ্রমী কাজ। কিছু কিছু জায়গায় বারবার পড়ে বোঝার দরকার হলেও অনুবাদের মান ছিল ঝরঝরে। তাই খোশমেজাজে পড়ে ফেলা যায়। টপিকটাই গুরুগম্ভীর। যেহেতু প্রসঙ্গই বাস্তবতাকেন্দ্রিক, তাই মূল আলোচনায় আসা যাক।
আচ্ছা, শত্রুর পক্ষ থেকে ভয়াবহতা ও তার ষড়'যন্ত্র কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে যখন শত্রুকেই বন্ধু ভাবা হয়?
খুব কঠিন একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন লেখক। এরকম অসংখ্য প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেও লেখক নিজের মতামতকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সাজিয়েছেন ধাপে ধাপে। মাত্র একটি আলোচিত বিষয়কে কেন্দ্র করে।
গ'ণ/তন্ত্র নিয়ে তন্ত্রমন্ত্র যাই থাকুক, লেখক এর সংজ্ঞা, ভিত্তি ও মূলনীতিসমূহের ব্যবচ্ছেদে কার্পণ্য করেননি। সত্যি বলতে, মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে এসব ইতিহাস জেনে নেওয়াটা জরুরি ছিল। এমন অনেক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা লেখক সংকলন করেছেন, যা পাঠ্যবইয়ের পাতায় পাওয়া যায় না। এগারোটি ভিত্তির উপর দাড় করিয়েছেন চূড়ান্তভাবে এই একটি বিষয়কে।
- জনগণই সকল ক্ষমতার মূল উৎস
- ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা
- সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
- বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা
- ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ
- অবাধ বাকস্বাধীনতা
- একাধিক রাজনৈতিক দলগঠন
- সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত
- ভোট ও নির্বাচন প্রক্রিয়া
- গ'ণ/তন্ত্রের ভিত্তি
- সম্পদের প্রকৃত মালিকানা জনগণের জন্য সাব্যস্ত করা
এই এগারোটি পয়েন্টের বিস্তারিত আলোচনা সাপেক্ষে পুরো বিশ্বের রাষ্ট্রনীতির রোল মডেল হিসেবে বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করা সম্ভব। এই বিষয়ের বাইরে একদম অজ্ঞব্যক্তিও একটি প্রচ্ছন্ন ছবি এঁকে নিতে পারবেন।
রাষ্ট্রব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কারণ, এর উপর টিকে আছে সমাজব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক চুক্তি। কিন্তু সর্বোপরি যেটা মাথায় রাখার বিষয় ছিল, তা হলো ধর্মীয়। যা আধ্যাত্মিকতাকেও সাপোর্ট করে বলা যায়। কেন বলছি, বিষয়টি অপার্থিব ও জীবন পরবর্তী হিসাবের সাথেও সম্পর্কিত। তাই রাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনার এ পর্যায়ে এসে লেখক কতিপয় আলেমের ফতোয়া উল্লেখ করেছেন। এবং পরবর্তীতে উপমহাদেশের আলেমদের ফতোয়া বা মতামত পেশ করেছেন। ইসলামের সাথে বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পার্থক্য বুঝতে হলে ইসলামি শুরার মহল থেকেও একটু বিচরণ না করলেই নয়। এ পর্যায়ে লেখক, অনেক শক্তপোক্ত একটি টার্ম তুলে ধরেছেন। ফিকহ শাস্ত্র যেমন সকলের জন্য নয়। এ অংশটিও বইয়ের একটি কঠিন অধ্যায়। অন্তত আমার জন্য তো বটেই। তবুও এ অধ্যায়ের পরিণতিতে ইসলামি শুরার সাথে আলোচ্য বিষয়ের গুণগত পার্থক্যের মূল পয়েন্টগুলো বুঝে নিতে সুবিধা হবে।
গ্রন্থের অর্ধেক অংশ এই পরিচিতি, টার্ম ও মেথড এসব দিয়ে সাজানো হলেও বিশদ আলোচনা রাখা হয়েছে বাকি অর্ধেক অংশে। যেখানে গ'ণ/তন্ত্রের পারিভাষিক দিক ও আরবি সমার্থক শব্দ থেকে এর বাস্তবায়নের রুপরেখা কতখানি সরে এসেছে তা বোঝা যায়। সম্মানিত নেতৃবৃন্দ ও ইখ'ওয়ানের বিবৃতিতেও অজানার সলুক সন্ধানে কিছুটা দর্শন লাভ হবে।
ইসলামে আল্লাহর আদেশই শেষ কথা। তাই জনগণের শাসন ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যশীল হলেও তা ইসলামিক অনুশাসন নয়, এ কথা অনস্বীকার্য। বহুদলীয় সংগঠনের ব্যাপারে যেমন ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তেমনি শরীয়াহভিত্তিক শাসনের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠনের জোরালো অবস্থান রয়েছে। যার যার দিক থেকে শক্ত পক্ষালম্বন নীতি ও মতামত নিয়ে বিস্তর আলোচনা বেশ উপভোগ্য।
পাশ্চাত্যে গণ;;তন্ত্র এত জনপ্রিয় কেন? প্রশ্নের উত্তর নিয়ে মাথা এর আগে খাটাইনি। সত্যিই তো কেন? একটি অধ্যায়ে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। মানসিক দাসত্বের চুক্তি।
ইসলামি আদর্শের বহু নেতা ও কিংবদন্তীরাও বারবার একই প্রসঙ্গের যে দুয়ার খুলেছেন, তাসের ঘরের মত সব আলোচনা আবার এলোমেলো হয়েছে। সংশয় ও সন্দেহও বাসা বেধেছে। লেখক সেসব সংশয়ের নিষ্পত্তি করেছেন, হাদিসের ব্যাখ্যা ও কুরআন থেকে দলীল দিয়ে বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে পর্যায়ক্রমে লিখেছেন। যেহেতু বিশ্ব দরবারে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক আইন পুরোপুরিভাবে নেই বললেই চলে সেক্ষেত্রে মুসলিমদের করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সুদুপদেশ দিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে বিকল্প বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। মানবরচিত যেকোন শাসন ও ব্যবস্থাপনা, যা দ্বীন ও ধর্মকে রাষ্ট্র ও জীবনের সকল বিষয় থেকে আলাদা করে দেয়, তা দুশ্চিন্তার বিষয় বৈ কী। কিন্তু বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কি ইসলামের অংশ; যা ইসলাম থেকেই এসেছে? এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতের উত্তর দিয়েছেন লেখক গোটা বইটিতে।
এক বৈঠকে নয়, বরং সময় নিয়ে পড়ার মতো গ্রন্থ। তাছাড়া সব ধরনের পাঠকের উপযোগী নয়। কারণ, বহু স্টেটমেন্ট, দালীলীক আলোচনা, টার্মের উপস্থাপন, ঐতিহাসিক ঘটনা সর্বসাধারণের জন্য সহজপাঠ্য নয়। বিষয়ভিত্তিক সাধারণ ধারণা ও পাঠের সময় রিসার্চ করে পড়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। টীকা, নোট, ছোটখাট পয়েন্টও এক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুরো বইটির বিষয়বস্তু একটির সাথে একটি জড়িত। ধাপেধাপে আলোচনা করায় প্রাসঙ্গিকতা অক্ষুন্ন রয়েছে। এটি অন্য সাধারণ বইয়ের কাতারে না ফেলে গবেষণাধর্মী বইয়ের ঘরানায় বিবেচ্য। বিশ্ব রাজনীতির বিষয়ে জানার আগ্রহ জাগানিয়া ও অগ্রগণ্য গ্রন্থ। মনযোগ ধরে রেখে অল্প করে পড়লে পুরো বইটি ভালোভাবে বোঝা যাবে। তাছাড়া, প্রথম দিকে স্লো মনে হলেও টার্মগুলো আয়ত্তে এসে গেলে অনুবাদে মৌলিকত্ত্বের স্বাদ পাওয়া যাবে।
সর্বোপরি, এ যেন চিন্তাধারায় এক আলোর মশাল।
_________________________
মুদ্রিত মূল্য: ৭২০ টাকা