21/11/2025
উপরের তলা (৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম) থাকলে মানুষ প্রায়ই সিঁড়ি ধরে নেমে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবতা নিচের তলা ভেঙে উপরের তলা পড়তে পারে। কম্পন শুরু হলে সিঁড়ি বা বারান্দায় যাওয়া বিপজ্জনক। বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না! সিঁড়িতে লোকের ভীড়, ধাক্কাধাক্কি, অন্ধকার – ৯০% মানুষ সিঁড়িতেই মারা যায় বা আহত হয়। Think Fast!
Drop–Cover–Hold On:
বেডরুমে থাকলে খাটের নিচে, ড্রয়িং বা ডাইনিং-এ থাকলে মজবুত টেবিলের নিচে, কোনো আশ্রয় না পেলে দেয়ালের কোণে বসে মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখুন! বারান্দায় যাবেন না—রেলিং ভেঙে পড়তে পারে
বাথরুম নিরাপদ হতে পারে; বালতি উল্টো করে মাথার ওপর দিয়ে বসে থাকলে অনেকে বেঁচেছে! হেলমেট, বালতি, ঝুড়ি, ব্যাগ—যা খুঁজে পাবেন মাথার ওপর রাখুন।
যদি আপনি ১ম/২য় তলায় থাকেন (এটাই সবচেয়ে ভাগ্যবান):
কম্পন শুরু হলেই দরজা খুলে রাখুন (দরজা জ্যাম হলে বের হতে পারবেন না) ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যে সিঁড়ি দিয়ে নেমে রাস্তায় চলে আসুন কিন্তু রাস্তায় এসে বিল্ডিং-এর গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না – ১০০ ফুট দূরে সরে যান! ভবন ছেড়ে খোলা মাঠে চলে যান!
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে গেলে চিৎকার করবেন না—ধুলো ঢোকে, গলা শুকায়, হুইসেল থাকলে বাজান, না থাকলে দেয়ালে বা পাইপে ৩ বার টোকা দিন (আন্তর্জাতিক রেসকিউ সিগন্যাল) মোবাইল টর্চ অন রাখুন, কথা বলবেন না—ব্যাটারি বাঁচান,মুখে কাপড় চেপে ধরুন, ধুলো ঢোকা কমবে!
আজ থেকেই যা করবেন, বিছানার পাশে জুতা রাখুন, বেডের পাশে হেলমেট ও হুইসেল রাখুন, ভারী আলমারি, টিভি বা ফ্রিজের অবস্থান এমন রাখুন যাতে পড়ে গেলে আঘাত না হয়,গ্যাস সিলিন্ডার চেইন দিয়ে বেঁধে রাখুন, দরজা কখনো অটো-লক হবে না, চাবি কাছে রাখুন!
ঢাকা, একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর, যেখানে ৫ থেকে ৭ তলার অ্যাপার্টমেন্টগুলো শহরের প্রধান আবাসন। একটি লাইন মনে রাখুন:
আমি ৪র্থ তলার উপরে – তাই আমি দৌড়াবো না, শুধু টেবিল বা বিছানার নিচে ঢুকবো। আমি যদি ১ম-২য় তলায় থাকি — প্রথম ২০ সেকেন্ডে বের হয়ে যাবো।
প্রস্তুতি ছাড়া ঢাকায় ভূমিকম্প হলে বেঁচে থাকা ভাগ্যের উপর। প্রস্তুতি থাকলে বেঁচে থাকা ভাগ্যের হাতে।
জীবনকে কখনও কখনও খুব কঠিনভাবে মনে করিয়ে দেয়—প্রকৃতি কত শক্তিশালী, আর মানুষ কত সহজেই ভেঙে যেতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কিছু করার থাকে না, কিন্তু একটু সচেতনতা, একটু প্রস্তুতি!
দুর্যোগ দেখলে বোঝা যায়!
জীবন মানে শুধু শ্বাস নেওয়া না,
জীবন মানে সচেতন আর প্রতিটি মুহূর্তকে সম্মান করা,যেন এটা শেষ সুযোগ।
তাই শেষ কথা জীবন অনিশ্চিত, কিন্তু কৃতজ্ঞতা নিশ্চিত। যা আছে যতটুকু আছে -সেটাই আমাদের শক্তি এবং সেই শক্তির নামই আলহামদুলিল্লাহ ❤️