24/10/2025
(Revised)
.
2023M6W2B18
প্রত্যেকটা ব্যক্তি অনেক বেশি উপার্জন করতে চায়, চিন্তামুক্ত থাকতে চায়, অধিক প্রভাবশালী হতে চায়, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চায় এবং অন্যের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক গড়তে চায়।
লেখক যিক য্যাকলার সফতা পাওয়ার জন্য ৬ পদক্ষেপ নিয়ে এই বইটিতে আলোচনা করেছেন।
Step - 01: Self image:
প্রায় বেশিরভাগ লোকজন তাদের Self Image খারাপ বানিয়ে ফেলেন, কারণ সমাজের লোকজন সবসময়ই Negative impact বা Negative কথা বলতে শেখায়। আমরা যখন নিজেরাই নিজেদের Image খারাপ বানিয়ে ফেলি তখন আমরা অন্যকে আর কি শেখাবো.??
লেখক নিজের Self Image - Positive বানানোর জন্য কিছু নিয়মনীতি নিয়ে বলেন..
>> নিজের প্রতি আত্ত্ববিশ্বাস রাখুন এবং নিজের আত্ত্বাকে সবসময় সৎ রাখুন। যদি এসব গুনাগুন না থাকে তাহলে সেগুলো আয়ত্ত্ব করে নিন।
গবেষণায় পাওয়া যায় যে, যেসব লোকজন, অফিসে পরিছন্ন বা পরিপাটি থাকে সে অনান্য লোকজনের থেকে KPI ভালো করেন। সুতরাং নিজেকে Positive Changes আনার জন্য প্রথমে দর্শনধারী হিসেবে যাহির করুন।
নিজের আত্ত্ববিশ্বাস বাড়ানোর জন্য, সফল মানুষের Biography পড়তে পারেন। যেমন হেনরি ফোর্ড, আব্রাহাম লিংকন, এডিসন। এসব মানুষের জীবনি পড়লে আপনার নিজের প্রতি আত্ত্ববিশ্বাস বেড়ে যাবে, আর কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি হবে।
মজার বিষয় হচ্ছে নিজের প্রতি আত্ত্ববিশ্বাস, কথা কখনও একদিনেই তৈরি হয়না।
Step-02:
Your Relationship With Others:
জীবনে সফল হওয়ার জন্য, এটা খুব জরুরী যে, অনান্য লোকজনের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন। একটা গবেষণায় ১০০ জন ব্যক্তির উপর রিসার্চ করা হয়েছিল, যারা নিজের প্রচেষ্টায় কোটিপতি হয়েছিলেন। যারা ভিন্ন দেশ এবং ভিন্ন শিক্ষা, ভিন্ন সমাজের ছিল। সেই ব্যক্তির মধ্যে ৭০ জন লোকের আশেপাশে থাকা ব্যক্তির কমন একটা গুনাগুন ছিল - অনান্য ব্যক্তির সাথে ভালো সম্পর্ক এবং অন্যকে সবসময় পজিটিভ চোখে দেখা। খারাপ মুহূর্তেও তারা সবসময় পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতেন।
আমরা অন্যের সাথে যেমন ব্যবহার করব, তারাও আমাদের সমন্ধে ঠিক তেমনই ভাববেন।
অন্যের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার প্রথম ধাপ হচ্ছে, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার Positive নাকি Negative ধারণা জন্মায়। সফল ব্যক্তিরা সবসময় অন্যকে Positive চোখে দেখেন।
সুতরাং আপনি অন্যের সম্পর্কে কেমন ধারণা পোশন করেন..? যদি কারো সম্পর্কে Negative ধারণার তৈরি হয়ে থাকে তাহলে, তাহলে সেখান থেকে নিজের সরিয়ে নিন। কারণ প্রত্যেকটা ব্যক্তির কোন না কোন Positive দিক থাকেই।
সফল হবার জন্য সবার আগে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা জরুরী এবং অন্যের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার জন্যও অন্যের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা জরুরী। যার মাধ্যমে অন্যেকে উৎসাহিত করা খুব সহজ হয়ে যায় এবং তার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।
শুধুমাত্র অনান্য লোকজনের সাথে নয়, আপনার পরিবারের লোকজনের সাথেও ভালো সম্পর্ক থাকা জরুরী। কারণ আপনার পরিবারের লোকজনের সমস্যা মানে আপনার সমস্যা। আর সেই সমস্যার কারণে, আপনার সফলতার পথে বাধার সৃষ্টি করে থাকে।
সফল ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সাথে খুব ভালো মানের সম্পর্ক Maintain করেন, কারণ এটাই তাদের Success Secret. কারণ যখন পরিবার নিয়ে কোন ধরনের তেমন চিন্তা থাকে না, সেই মুহূর্তে যেকোনো কাজে খুব মনোনিবেশ করার কারণে, সফলতা অর্জনের রাস্তা দ্রুত তৈরি হয়ে যায়।
Step-03: Set Goals:
লক্ষ্য নির্ধারন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা কোন একটি ব্যক্তির লক্ষ্য উদ্দেশ্য না থাকলে, তার কাজের কোন ধারাবাহিকতা থাকে না আর এভাবেই মূল্যবান সময় গুলো শেষ হয়ে যায়। একটা সময় সে নিজের প্রতি হতাশার জন্ম নেয়।
লক্ষ্য নির্বাচন করার জন্য আপনার নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সম্পুর্ন স্পষ্ট ধারণা থাকা চাই। কেননা আপনি নিজের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে কখনও পিছপা হবেন না, নিজের আনন্দ নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবেন।
লক্ষ্য নির্ধারন করাই শেষ কাজ নয়, সেই মাফিক কাজের পরিকল্পনাও থাকা চাই, সাথে কঠোর পরিশ্রম।
লক্ষ্য পূরণ করার জন্য লেখকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ -
>> আজকে আপনি যে অবস্থায় থাকেন না কেন সেটার রেকর্ড রাখুন, কারণ আপনি কোথায় থেকে শুরু করেছিলেন, সেটা ভুলে যাবেন। কোথায় থেকে কোথায় যাবেন- সেটার জন্য কাজের তাগাদা এমনিতেই চলে আসবে।
>> আপনার লক্ষ্যের তালিকা তৈরি করুন এবং সময় নির্ধারন করে দিন ১-১০ বছর কখন কি কি অর্জন করতে চান।
>> লক্ষ্য সম্পুর্ন স্বচ্ছ থাকা চাই - যেমন কোন মাস বা বছরে কতো টাকা উপার্জন করতে চাই।
>> অনেক টাকা উপার্জন করার গাড়ি কেনার স্বপ্ন আছে এটা না লিখে কি গাড়ি, কি মডেল, কেম্ন রঙের, কতো টাকায়, কোন সালে কিনবেন সেটাও স্বচ্ছ থাকা চাই।
>> সব সময় দীর্ঘ মেয়াদি স্বপ্ন নিয়ে পরিকল্পনা করুন আর আপনার মাথায় ভবিষ্যতের স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে কাজের প্রতি বিশেষ তাগাদা তৈরি হবে।
>> লক্ষ্য পূরণ করার জন্য যেসব বাধাবিপত্তি আসতে পারে সেটারও একটা তালিকা তৈরি করুন, যাতে করে আপনার অন্য কোন বিকপ্ল রাস্তা তৈরি থাকে। অনেক সময় এসব বাধার কারণেই আপনি হাল ছেড়ে দেন, অথবা স্বপ্ন পূরণ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
>> আপনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য, আপনার কল্পনা শক্তি মজবুত থাকা চাই।
Step-04: Attitude:
আপনি কি আসলেই সফল হতে চান, জীবনের আনন্দ খুশিতে কাটাতে চান, অধিক প্রভাবশালী হতে চান, ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান, বা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে চান?? আপনি সব কিছুই হাসিল করতে পারবেন সেজন্য দরকার Proper Attitude.
আজকে আপনি কোন অবস্থায় আছেন আছেন সেই দিকে বেশি নজর না দিয়ে, আপনি ৪/৫ বছর পরে কোথায় পৌছাতে চান, সেই দিকেই নজর দিন। এতে করে আপনার কাজের প্রতি বিশেষ একাগ্রতা তৈরি হবে, আর কাজের ফলাফলও ভালো আসবে এবং বছর শেষে আপনার Promotion হয়ে যাবে।
Step-05: Work:
"There is no Shortcut for Success"
জীবনে সফল হওয়ায় জন্য কেবল সেই কাজটি করুন যেটা করতে আপনার ভালো লাগে। যে কাজগুলো আপনার করতে ভালো লাগে না, সেটি যদি করতে শুরু করেন তাহলে একটা সময় আপনি বিরক্ত হয়ে যান। সফল হওয়ায় জন্য কেবল একমাত্র Secret হচ্ছে, নিজের কাজ নিজেই করা। লেখক বলেন "Work is Must to get Success "
Step-06: Desire:
Desire হচ্ছে কোন কিছু অর্জন করার জন্য তীব্র ইচ্ছাশক্তি। যখন কোন একটি নিদিষ্ট কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তখন সফলতার রাস্তা তৈরি হয়ে যায়।
অনেক ব্যাক্তির সফলতা হাসিল করার জন্য যোগ্যতা থাকে স্বত্তেও, তীব্র ইচ্ছা না থাকার কারণে, সে সফলতা হাসিল করতে পারে না যার কারণে সে ছোট-খাটো কাজ করেই কোন রকম জীবন যুদ্ধে টিকে থাকে।
সফলতা অর্জনের জন্য নিজের রাস্তা নিজেই তৈরি করতে হয়। আশাবাদী থাকতে হয় এবং কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
>> নিজের Self Image তৈরি করুন এবং নিজেকে আত্ত্ববিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলুন।
>> অন্যের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে থাকা Creative & Positive দিকগুলো অনুসরণ করুন।
>> সঠিক মনোভাব পোষণ করুন।
ত্রুটি-ক্ষমা মার্জনীয় 🙏🙏
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ