01/11/2025
আমেরিকা ও ভারত আজ ১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
আবারো প্রমাণিত হলো যে, চীনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকার একমাত্র বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র হচ্ছে ভারত।
মাঝখানে ভারত-পাকিস্তান যু দ্ধে@র পর চীনের বন্ধু পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউজে ডেকে নিয়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যে যু@ #দ্ধ লাগিয়ে দেয়া হলো! আফগানিস্তান-পাকিস্তানের এই যুদ্ধে লাভবান হয়েছে ট্রাম্প ও মোদি। মূলত উভয় রাষ্ট্র পরোক্ষভাবে বুঝে হোক না বুঝে হোক আমেরিকা ও ভারতের প্রক্সি হিসেবে একটা ছোটখাট যু*"দ্ধে জড়িয়েছে!
২.
যাই হোক, চীনের সাথে বাংলাদেশের আপাতত কোনো শত্রুতা নেই।
কিন্তু চীনের সাথে আমেরিকার শত্রুতা আছে, চীনের সাথে ভারতের শত্রুতা আছে।
এই কারণে চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ভারত বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন বিরোধী আমেরিকা ও ভারতের এই জোটকে বলা হয় ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ও কোয়াড সামরিক জোট।
বাংলাদেশকে আমেরিকা ও ভারত তাদের চীন বিরোধী জোটে নিতে চায়।
কিন্তু চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ কী?
মার্কিন-ভারতীয় জোট ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে প্রবেশ করে বিনা কারণে চীনের মত একজন দূর-প্রতিবেশীকে শত্রু বানানো ছাড়া বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ এখানে দেখা যায় না।
৩.
দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন পলিসি ভারতকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। চীন বিরোধিতার কারণে এটা ভবিষ্যতেও হবে।
অনেকে মনে করে, ভারতকে বাদ দিয়ে আমেরিকা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু বানাবে।
আসলে এই ধরনের চিন্তা রাজনৈতিক অজ্ঞতা প্রসূত।
বাস্তবতা হচ্ছে - বাংলাদেশকে আমেরিকা শুধুমাত্র ব্যবহার করবে চীনের বিরুদ্ধে। এতোটুকুই! বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে আমেরিকা ভারতকে শায়েস্তা করবে এই চিন্তা এক ধরনের ফ্যান্টাসি! এসব উদ্ভট ও অজ্ঞতা প্রসূত চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে আসা জরুরি।