Afrin Ananna

Afrin Ananna ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা �

16/10/2024

গল্প: গোলাপী ঔষুধ
পর্ব: ১

"কি হলো ঝাঁপ দাও! ভয় করছে? হাহাহা তাহলে try করবা নাকি ম্যাজিক ঔষধ?" কথা টা শুনে পিছে তাকালো পরমা। অদ্ভুত একটা লোক সামনে দাঁড়ানো। " কে আপনি? কি ম্যাজিক?"
"আমি তোমার জন্য দেবদূত ভাবতে পারো। আর ম্যাজিক টা আমার বানানো ওষুধ। ইচ্ছা পূরণের ম্যাজিক ঔষধ!"
"এইরকম ঔষধ হয় নাকি আবার?"
আগে ছিল কিনা জানিনা কিন্তু আমি আবিষ্কার করেছি। একটা ট্রাই করেই দেখ।" লোকটা একটা গোলাপী রঙের ঔষুধ এর পাতা দিলো। তেমন আহামরি পার্থক্য কই এমন ঔষুধ পরমা আগেও অনেক দেখেছে। " ফাজলামো করছেন আমার সাথে? এগুলা ম্যাজিক ঔষুধ?"
"হ্যাঁ সত্যি বিশ্বাস নাহলে পরীক্ষা করেই দেখো তুমি " কথাটা বলে এক পাতা ঔষুধ পরমার হাতে ধরিয়ে চলে গেলো লোকটা।ঐদিন আর অন্য কিছু মাথায় এলোনা পরমার। মনের ভেতর একটা কৌতূহল জাগলো। "লোকটা কি আমায় বোকা বানিয়ে চলে গেলো? না টাকা তো নিলো না। তাহলে কোনো কারণ ছাড়াই কীসব বলে হাতে এক পাতা হাবিজাবি ঔষুধ ধরিয়ে দিয়ে গেল!" এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় ফিরল। সেই কোন ভোর বেলায় কাউকে না বলে উধাও হয়ে গেছিল। কিন্তু এতে বাসার কারোর মাথাব্যথা আছে দেখে মনে হচ্ছে না। চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেলো সে। পরে রেডি হয়ে সোজা কলেজে মাঝে কারোর সাথে কথা হলোনা....
বেলা তখন ১১ টা হবে পরমার ভাই পিয়ম বাসায় আসলো। সে একটা ব্যান্ড দলের সঙ্গে যুক্ত। ইচ্ছা অনেক বড় মিউজিশিয়ান হবে। চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই তবে ভাগ্য সহায় হচ্ছে না কিছুতেই। সারারাত জেগে রয়েছে কোনো শো ছিল নাকি। "মাথা টা যা ব্যথা করছে বাবা আজকে ঔষুধ না নিলে আর হবেনা।" প্রথমে নিজের ঘরে খুঁজে ঔষুধ না পেয়ে পরমার ঘরে ঢুকলো সে। টেবিল এর উপর গোলাপি পাতা টা চোখে পড়ল তারপর কোন খেয়ালে যে ঐটাই খেয়ে নিল সে হয়তো নিজেও জানেনা....

বি. দ্র: এটা আমার একদম প্রথম লেখা গল্প। ভুল ত্রুটি মাফ করবেন। আর ভালো লাগলে response করবেন next পর্ব এর জন্য।

03/09/2023


Beautiful drama
Way too good 😊👍
Follow me for more 😍

07/04/2022

Women can do anything 😵‍💫

07/04/2022

তোমার জন্য আমার রূপচর্চা করা হয় না। ডায়েট করা হয় না। আমাকে মেকআপ ছাড়াই সুন্দর লাগে এসব বলে বলেই দিনদিন আমাকে অসুন্দর করে ফেলছো তুমি। এখন থেকে আমাকে আর সুন্দর বলবা না।

ইফতি বিচলিত হয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল, সুন্দরকে সুন্দর বলবো না তো কী বলবো?

আমি রাগি স্বরে বললাম, বলবা যে, তোমাকে একটুও ভালো লাগতেছে না। তুমি তো মোটা হয়ে যাচ্ছো। মানে আমাকে বেশি বেশি করে অসুন্দর বলবা। তাহলে কী হবে, আমি বেশি বেশি রূপচর্চা করবো। মনের মধ্যে আমার একটা জেদ সৃষ্টি হবে। আমি বেশি বেশি ডায়েট করে স্লিম হয়ে যাব।

ইফতি নিচু স্বরে বলল, ঠিক আছে।

বিকেলে আমি আর ইফতি একটু শপিং করতে যাব। তাই রেডি হচ্ছিলাম। এমন সময় ইফতি বলল, এটা কী পরছো তুমি! আজকাল কোনো রঙের জামাতেই তোমারে ভাল্লাগছে না। আর মুখটার কী অবস্থা দেখো! একটু বেশি বেশি রূপচর্চা করতে পারো না!

আমার মাথাটা চট করে গরম হয়ে গেল। তেড়েমেরে ইফতির সামনে গিয়ে বললাম, কী বললা তুমি? আমাকে কোনো ড্রেসে মানায় না! আমার চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে? ও এখন তো আর আমাকে ভালো লাগবে না। সব বুঝি আমি। আমি শপিংয়েই যাব না।

ইফতি তব্দা খেয়ে কতক্ষণ পর্যন্ত আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।

বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছি। ইফতিকে বললাম, সুন্দর করে আমার একটা ছবি তুলে দাও তো।

ইফতি ছবি তুলতে তুলবে বলল, ছবি গুলো এতো জোশ আসছে! আসবে নাই বা কেন! সুন্দরী বউ আমার মাশাআল্লাহ।

আমি রাগি স্বরে বললাম, এই সব বলে বলেই আমার স্বভাবটা নষ্ট করে দিছো। জামাইর চোখে এতো সুন্দরী হইলে কোনো মেয়ের আর খাটনি করে ত্বকের এক্সট্রা যত্ন নিতে ইচ্ছে করে! সব দোষ তোমার।

ইফতি বলল, আচ্ছা এখন থেকে কড়া করে রূপচর্চা করবা আর ডায়েট করবা। তুমি দিনদিন মোটা হয়ে যাচ্ছো। স্লিম হতে হবে। তবেই সবাই আমাদেরকে পারফেক্ট কাপল বলবে। আদনান ভাইর বউকে দেখছো! কী সুন্দর ডায়েট কন্ট্রোল করে নিজের সৌন্দর্য্যটা ধরে রাখছে।

ও এখন তো আমাকে আর ভালো লাগবে না। এখন তো আমাকে মোটা লাগবে। আমার চেয়ে এখন পাশের বাসার ভাবী বেশি সুন্দর হয়ে গেল? আমি বলছি বলেই কী আমাকে এভাবে বলবা তুমি! কী করে বলতে পারলা তুমি আমাকে! হায় এই ছিল আমার কপালে!!

ইফতির কথার আওয়াজ না পেয়ে তাকিয়ে দেখি ও হা হয়ে বসে আছে
আমি ইফতিকে ধাক্কা দিয়ে ডাকতে শুরু করলাম, এই কী হলো তোমার?

তারপর থেকে ইফতি শুধু একটা গানই গাচ্ছে, "মেয়েদের মন বোঝা নয় রে নয় সোজা.......।

Afrin Ananna

24/03/2022

তুমি চলে যাওয়ায় দু‌ক্কু হচ্ছে হোক
আমি যা তা মা তা জীবনে না রাখার‌ই লোক🤣🤣🤣🤣🤣🤣

22/03/2022

আসুন- হিউম্যান সাইকোলজি'র একটা পরীক্ষা নিই!
(কেউ চিট করবেন না)

এখানে থামুন!

আপনাকে কিছু অনুমান করতে বলবো!!

অনুমানগুলো মনে মনে রেখে আমার অনুমানের সাথে মিলিয়ে নিবেন। পোস্টের নিচের দিকে যাবেন না। এটা একটা গেইম- ধারাবাহিকভাবে পোস্টটা পড়ুন!

আপনাকে বলছি....
১। খুব দ্রুত যেকোন একটা ফার্নিচারের নাম ভাবুন যেকোন, যা মনে আসে তাই!

২। খুব দ্রুত যেকোন একটা ফুলের নাম ভাবুন!
৩। খুব দ্রুত যেকোন একটা রঙের নাম ভাবুন!
৪। খুব দ্রুত ১ থেকে ১০ পর্যন্ত যেকোন একটা সংখ্যা ভাবুন!

এই জিজ্ঞাসাগুলোতে মানুষ যা অনুমান করে...

১। ৯০% মানুষ ফার্নিচার হিসেবে আগে চেয়ার/সোফা টাইপ কিছু ভাবে- যেখানে বসা যায়!

২। ৯০% মানুষ ফুলের প্রসঙ্গ আসলেই গোলাপ চিন্তা

করে।

৩। রঙের প্রসঙ্গ আসলে ৯০% মানুষ লাল রঙ চিন্তা

করে।

৪। ১-১০ পর্যন্ত কোন নাম্বার মনে করতে বললে ৯০% মানুষ ৭ (সাত) চিন্তা করে। এটাই হিউম্যান সাইকোল্যজি!

17/03/2022

Be strong girls ❤️

16/03/2022

কাজের মেয়ে চাপা নতুন আইডি খুলেছে। কে না কে ভেবে প্রথমে রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করি নি। কিন্তু আজ সকালে সে আমায় বলল, আপা মনি আপনার নতুন ফডোটা খুব চুইট হইছে।

তার কথা শুনে আমি হা করে তাকিয়ে আছি।

আপা আমি আপনারে লিকুয়েস্ট দিছি একচেপ্ট কইরেন।

তা নাম কি তোমার আইডির!

সে লাজুক গলায় বলল, আপা এ্যাঞ্জেল প্রিয়া।

বাহ এতো সুন্দর নামের খোজ কে দিলো তোমাকে?

আপা আমগো পাশের বাসার কাশেম আছে না অয় আইডিটা খুইলা দিছে। ওর আইডির নাম হুনলে তো আপনে আরো হা কইরা থাকবেন।

কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বললাম, তা কী নাম তোমার কাশেমের আইডির?

'আমি এঞ্জেল প্রিয়ার বয়ফ্রেন্ড'।

নাম শুনে হিচকি উঠে মুখ থেকে কফি পরে গেলো।

কাশেম তোমার বয়ফ্রেন্ড!!

হ আপা ওই আর কি। আমি ওরে ভীষন পছন্দ করি। আমাগো রেগুলেশন তো পেরায় এক বছর হইতে চলল।

ওইটা রেগুলেশন না রিলেশন।

ওই হইলো আপা। আপনে কিন্তু আমার লিকুয়েস্ট একচেপ্ট কইরেন।

ওকে অনলাইনে গেলে করবো। তুমি এখন আমাকে আরেক কাপ কফি বানিয়ে দাও চাপা।

আপা চাপা কইয়েন না এখন থেইকা আমারে এ্যাঞ্জেল প্রিয়া বইলা ডাইকেন।

ওর কথা শুনে মুচকি হেসে বললাম, ঠিক আছে।

চাপা আমাকে কফি দিয়ে রান্না ঘরে গেলো। আমি অনলাইন গিয়ে ওর রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করতেই দেখলাম টাইলাইনে কতো রকম ননসেন্স পোস্টের সমাহার। মনে হয় কিছু সার্চ করতে গিয়ে ভুলে টাইমলাইনে পোস্ট করে ফেলেছে বেচারি।

লাস্ট দুটো পোস্ট দেখে আমার ভ্রু কুচকে গেলো।

'প্রেমের ইসটেটাস'(বেচারি বোধহয় প্রেমের স্ট্যাটাস সার্চ করতে চেয়েছিলো)।

'ইনজিরি কেপচন'(ইংরেজী ক্যাপশন বোঝাতে চেয়েছে হয়তো)।

এসব বাদ দিয়ে আমার টাইমলাইন গিয়ে দেখি 'এ্যাঞ্জেল প্রিয়া' আইডি থেকে আমার টাইমলাইনে পোস্ট করেছে___
আপা নুনের কৌটা খুইজা পাইতাছি না একটু রান্না ঘরে আইবেন?

সেখানে একশো রিয়েক্ট পরেছে সব গুলোই হাহা রিয়েক্ট। আমার ফ্রেন্ডসরা কমেন্টস করেছে__
কিরে তোর আইডি কি হ্যাক হয়েছে নাকি!! কয়েকজন আমাকে ম্যাসেজ করেও জানতে চাইলো এরকম ননসেন্স পোস্ট কে করেছে আমার টাইমলাইনে?

আমি দৌড়ে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি চাপা নেই। সারা বাসা খুঁজতে খুঁজতে ছাদে গিয়ে দেখি চাপা ফোনে কথা বলছে___
তোমাকে ছাড়া আমি এ জীবন রেখে কি করবো কাশেম তুমি কি এখন আর আমাকে লাভ করো না? তোমার এঞ্জেল প্রিয়ার থেকে ওই ড্যাডিস প্রিন্সেস লাইলি বেশি কাছের হইয়া গেলো!!

ওর এসব স্টুপিড বকবকানির পাত্তা না দিয়ে ওকে ডাক দিয়ে ওর ননসেন্স পোস্ট দেখাতেই বলল, আপা আমি তো ভাবছি এইহানে মিসেজ করে। ভুল হইয়া গেছে আপা আর হইবো না।

রাতে অনলাইন যেতেই দেখি এ্যাঞ্জেল প্রিয়া মানে চাপা ম্যাসেজ দিয়েছে,
আপা আমি চরি। আজকে আমার কাশেমের লগে চেকআপ হইয়া গেছে মনটা ভালো নাই আপা।

নিচে তাকিয়ে দেখি You can't reply to this conversation লেখা
মনে হয় আবার ভুলে কিছু চাপতে গিয়ে ব্লক করে ফেলছে আমাকে। যাক ভালোই হয়েছে এই মেয়ের ননসেন্স কাজ কারবার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সকালে চাপা কাজে এসে বলল, আপা আমি আপনারে মিসেজ দিতে পারতাছি না। কি যে হইলো আমার আইডির। ভাবছি আরেকটা নতুন আইডি খুলুম নাম দিম "এ্যাঞ্জেল প্রিয়া এহন আবুলের"।

এই আবুলটা আবার কে?

কেউ না আপা। কাশেমরে একটু জিলাফি করাইতে চাই।

কিসের জিলাফি!!

আরে আপা বুঝেন নাই? একটু জ্বালাইতে চাই যেনো অয় ভাবে আমি চেকআপের পরে আবুলের লগে ভালো আছি।

চাপা তোমার উচ্চারন গুলো ঠিক করো ওটা জিলাফি না জেলাসি আর চেকআপ নয় ব্রেকআপ হবে।

ওই হইলো আর কি আপা।

চাপা তোমার স্টুপিড কথা বার্তা শেষ হলে আমাকে এক কাপ কফি দাও।

জ্বি আপা নতুন আইডি খুললাম আপনে আমার লিকুয়েস্ট একচেপ্ট করেন আমি কফি বানায়া পোস্ট দিয়া আপনারে ঠ্যাগ দিতাছি।

#চাপার_সাথে_একদিন
Afrin Ananna

14/03/2022

আজকের সকালটা একটু বেশিই সুন্দর। নীলা আর শুভ্র বিয়ের তিন বছর পর সাজেকে বেড়াতে এসেছে। তিনটে বছর কেটে যাওয়ার পরেও দুজনের মধ্যে এখনও কতটা দূরত্ব রয়ে গেছে। এই প্রথম তারা হানিমুনে এলো। নীলার শ্বশুর-শাশুড়ির জোরাজুরিতেই আসতে হয়েছে।

শুভ্র ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, আচ্ছা নীলা! পূর্ণা যদি আমার হতো তাহলে কী খুব ক্ষতি হতো বলো? আমি তো ওকে মন থেকে চেয়েছিলাম। আমার মতো করে কেউ ওকে ভালোবাসতে পারবে না। ঠিক কতটা ভালোবাসলে একটা মানুষকে নিজের করে পাওয়া যায় বলতে পারো?

নীলা চায়ের কাপে চুমুক দিতে নিয়েও থমকে গেল। ভারী গলায় বলল, তোমাকে যে ভালোবাসতে পারে নি সে পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা মানুষ। সে নিজেও জানে না সে কী হারিয়ে ফেলেছে। তোমাকেও না ভালোবেসে থাকা যায়!

শুভ্র বলল, আমার কথা ছাড়ো। তোমার কথা বলো। তোমাকে কেনো সে ভালোবাসে নি?

নীলা কোনো উত্তর দিলো না। শুধু মৃদু হাসলো। ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দিয়ে মনে মনে বলল, কারন সে পূর্ণা নামের একটা মেয়েকে আজও ভালোবাসে।

Afrin Ananna

11/03/2022

মোবাইলটা হাতে নিবো এমন সময় রনক কল দিয়ে বলল, ম্যাথটা করছিলা!

রনক আর আমি এক‌ই বর্ষে অনার্স করছি। ভার্সিটি থেকেই পরিচয় তারপর থেকে প্রনয়। ওর হাবাগোবা আচরণ আর পড়াশোনার প্রতি ঝোঁকের কারনেই ওকে ভালো লাগে। কিন্তু এই ভালো লাগাই এখন প্যারা হয়ে উঠেছে।

আমি হতভম্ব হয়ে বললাম, হ্যাঁ করছি তো।

সে বলল, কই দেখি! ভিডিও কল দিতেছি আমি ওয়েট। কোনো প্রবলেম থাকলে সলভ করে দিবো এখনি।

আমার তো এমবি নাই কল দিয়ে কী হবে!

আচ্ছা আমি টাকা পাঠাচ্ছি এমবি কিনে ভিডিও কল দাও তুমি।

কী ফ্যাসাদে পড়লাম রে বাবা!! বয়ফ্রেন্ড না যেন আস্ত একটা ভেজাল। সারাক্ষণ বই নিয়ে বসে থাকে। ম্যাথ তো করিই নাই। কল দিলে দেখাবো কী!

আমি বললাম, আমার ফোনে চার্জ নেই পরে কথা বলবো।

আরে ম্যাথটা.....

দিলাম কল কেটে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠায় কল দিয়ে। এলার্ম দিয়ে রাখলেও আমি উঠতে পারিনা সেইজন্য। আরে উঠবো ভালো কথা। নামাজটা পড়ে ঘুমায় যাই! তা না আটটা পর্যন্ত টেবিলে বসে থাকতে হবে। তাও আবার ভিডিও কল দিয়ে রাখবে নিজে পড়বে আর একটু পরপর দেখবে আমি পড়ছি কিনা।

অসহ্য হয়ে বললাম, এটা কি কোনো রিলেশন নাকি টিউশনি!

সে চশমাটা নাড়া দিয়ে বড় বড় চোখ করে বলল, কেন কী হয়েছে?

রাগান্বিত স্বরে বললাম, প্রেম করলে মানুষ ফোনে কথা বলে, গল্প করে, ঘুরতে যায় ,খেতে যায়। আর তুমি কী করতেছো এইগুলা!! ফোন দিয়ে ক্যালকুলাস বুঝাও ঘন্টার পর ঘন্টা এসব কী!!

সে বইয়ে মুখ গুজে বলল, এখন তো আমাদের পড়াশুনার সময়। আর আমি তো পড়াশুনার পরে পাঁচ মিনিট তোমার সাথে গল্প করি।

রাগটাকে একটু কন্ট্রোল করে বললাম, পাঁচ মিনিটের মধ্যে তুমি বহু বার ম্যাথ নিয়ে আসো আর আমি রেগে গেলে অন্য কথা বলো। এই গুলোকে তুমি প্রেম বলবা!!

সে নিচু স্বরে বলল, শুনো ম্যাথ হচ্ছে দারুন একটা জিনিস। যেটা একবার বুঝে গেলে তারপর আর তোমার বিরক্ত লাগবে না। এখনও বুঝতে পারো নি তাহলে চলো এবার একটু ফান্ডামেন্টালটা বোঝাই। তবেই জীবনের ফান্ডাটা বুঝবা।

মাথাটা ভীষণ ঘুড়াচ্ছে পরে কল দিবো আমি।

একথা বলেই ফোন কেটে দিলাম।

বান্ধবীকে এক্ষুনি সাবধান করতে হবে। আর যাই করুক যেন কোনো ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্টের সাথে প্রেম না করে। জীবনটা ম্যাথের মতো প্যাঁচানো হয়ে গেল আমার।

পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। রেজাল্ট হাতে নিয়ে টানা ত্রিশ মিনিট কথা শোনালো।

-আমি ফার্স্ট ক্লাস পেলাম আর তুমি কী করলা এইটা! সারাদিন রাত পড়াশুনা করিয়ে কী শিখাইলাম তোমারে!

মনে হচ্ছে যেন আমি কোনো ম্যাথ টিচারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।একটুও মায়া নেই, ভালোবাসা নেই একটানা এভাবে বকে যাচ্ছে।

কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, তুমি কি রোবট! তোমার মনে কি একটুও প্রেম নাই! দুনিয়ায় কি আর কোনো ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট নেই নাকি একা তুমিই বিশ্ব জয় করে ফেলতেছো।

সে মুখ বেকিয়ে বলল, রেজাল্ট দেখো।

রেজাল্টের দিকে তাকিয়ে দেখি, আমিও ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছি।🥴

#ম্যাথ_বিড়ম্বনা
Afrin Ananna

10/03/2022

রিহিন আর আমার বিয়ের বয়স প্রায়‌ ‌ পনেরো বছরের কাছাকাছি চলে এসেছে।এই পনেরো বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে আমাদের মাঝে।আগের সেই ব্যাপার গুলো নেই। একসময় ও আমার জন্য যে পাগলামি গুলো করত তার বিন্দুমাত্র এখন আর দেখি না। মাঝে মাঝে মনে হয় আর একাই হেসে উঠি কতটা পরিবর্তন চলে এসেছে আমাদের জীবনে। আমি নিজেও কত পরিবর্তন হয়ে গেছি।দুজন দায়িত্বের চাপে এতটাই ব্যস্ত হয়ে গেছি যে নিজের সত্তা কোথাও যেন বিলীন হয়ে গেছে।

একদিন হঠাৎ মনে হল এভাবে যদি হারিয়ে যাই তবে এমন সময় চলে আসবে যে জীবনটাকেই তিক্ত মনে হবে ।রিহিন কোন পদক্ষেপ তো নিচ্ছে না তাই ভাবলাম আমি শুরু করে দেখি।

আমাদের প্রতিদিনের রুটিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলে আর ছেলের বাবা একসাথে নাস্তা করে। যদিও রিহিন অফিসের জন্য আগে বের হয়। আর ছেলেটাকে আমি স্কুলে রাখতে যাই।

ওদেরকে নাস্তা করতে দিয়ে বেডরুমে চলে আসলাম।রিহিনের ল্যাপটপের ব্যাগে ছোট্ট একটি চিরকুট রেখে আসলাম,‌"কতদিন তোমায় ভালবাসি বলা হয় না আজ খুবই বলতে ইচ্ছে হলো। ভালোবাসি তোমায় প্রিয়।"

অনেকদিন পর হঠাৎ কেমন যেন কিশোরীদের মত মনে হচ্ছে নিজেকে। কতদিন পর এমন এক্সাইটেড লাগছে কি তুচ্ছ একটা ব্যাপার নিয়ে ভেবেই হেসে উঠলাম। রিহিন বরাবরের মত বেড়িয়ে গেল।আমিও সারাদিন অপেক্ষায় রইলাম তার কিছু একটা উত্তরের আশায়। কিন্তু সারাদিনে কোনোকিছুই হলো না।রিহিন একটাবার ফোন‌ও দিলো না। হঠাৎ কষ্ট লাগছে খুব।কেমন হতাশা ভর করছে। না রিহিন আগের মত রোমান্টিক আছে না আমি আগের মত পরিপাটি আছি । সবকিছু কেমন যেন পানসে হয়ে গেছে।

হাল ছাড়লাম না।হয়ত রিহিনের নজরে চিরকুট টা পড়েই নি।
নিজেকে একটু সুন্দর করে পরিপাটি করে নিলাম। আলমারি থেকে একটা ভালো জামা পড়ে নিলাম , চুলগুলো পরিপাটি করে নিজেকে গুছিয়ে নিলাম। আমার ছেলে দেখে বলল,"আম্মু বাইরে যাবে নাকি কোথাও এই সন্ধ্যায় রেডি হ‌ইছো কেন!!!" মুখ টিপে হেসে ওকে বললাম কোথাও যাব না এমনি জামাটা পড়ে ছিল তাই আজ বের করে পড়লাম।
ছেলেটা যে আমাকে নোটিস করেছে দেখে খুব ভালো লাগলো।

রিহিন বাসায় ফিরেই বলল এককাপ চা দিতে ঠিক করে আমার দিকে তাকাল‌ই না।আমি রান্নাঘরে গিয়ে চা করে এনে দিলাম। "কেমন গেলো আজকের দিনটা?" "আর বলো না অফিসের এত চাপ একটু পরে আবার মিটিং আছে তুমি খাবার রেডি করো খেয়ে মিটিং করে আমি ঘুমাব কাল সকালে আমার আরো আগে বেরুতে হবে" এই বলে সে ব্যস্ত হয়ে পড়ল । এই মুহূর্তে নিজেকে খুব তুচ্ছ আর অসহায় মনে হচ্ছে।

মেয়েদের জীবনটাই এমন হয়ে যায় সংসার গোছাতে গিয়ে যেন প্রনয়টা কোথাও হারিয়ে যায়।আমিও আর কোন কথা বাড়ালাম না নিশ্চুপে শুয়ে পড়লাম।কখন ঘুমিয়ে গেছি টের পাই নি। রিহিন তখনও দেখি জেগে আছে ল্যাপটপের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে রেখেছে।
" ঘুমাবে কখন?"
"এইত শেষ প্রায়।"

"আচ্ছা শোন, আমিও তোমায় ভালবাসি। সময়ের সাথে সাথে হয়ত আর আগের সেই রোমান্টিকতা নেই তবে ভালবাসা হারায় নাই । দায়িত্বের ভারে এগুলো বলা হয় না তবে আজ‌ও তোমায় সেইভাবেই দেখি যা আগে দেখতাম,তুমি ছেড়া জামা পড়ো বা নতুন জামা পড়ো না কেন। তুমি আমার কাছে সবসময়ই ‌প্রিয়।
রিহিনের কথাগুলো শুনে আর কান্না ধরে রাখতে পারলাম না। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বলে মনে হলো।

#প্রচেষ্টা
Afrin Ananna

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Afrin Ananna posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Afrin Ananna:

Share