09/08/2025
আজ শ্রী বলরাম জয়ন্তী 💞💞
ভগবান বলরামের শুভ আবির্ভাব তিথি 💞💞
বলরাম হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জ্যেষ্ঠভ্রাতা।
তিনি বলদেব, বলভদ্র ও হলায়ুধ নামেও পরিচিত।
বলরাম হলেন সৎ-চিৎ-আনন্দের প্রতিমূর্তি।
শ্রাবণ পূর্ণিমা বা রাখী পূর্ণিমা তিথিতে মাতা রোহিণীর গর্ভে জন্মলাভ করেন বলরাম। রোহিণী হলেন শ্রীকৃষ্ণের পিতা বসুদেবের আর এক পত্নী ও নন্দের ভগিনী।
অত্যাচারী কংসের কারাগারে বন্দী বসুদেব ও দেবকীর সপ্তম গর্ভে বলরাম আসেন, কিন্তু কংসের হাত থেকে সেই শিশুকে বাঁচানোর জন্য শ্রীহরির আদেশে দেবী যোগমায়া দেবকীর সপ্তম গর্ভের ভ্রূণ সেখান থেকে নন্দগৃহে রোহিণীর গর্ভে স্থাপিত করেন। ফলে দেবকীর সপ্তম গর্ভ মৃত সন্তান জন্ম দেয় এবং রোহিণীর গর্ভে বলরামের জন্ম হয়।
ভাই কৃষ্ণ শ্যামবর্ণ হলেও দাদা বলরাম কিন্তু গৌরবর্ণধারী ।
অমিত বলশালী ও ভক্তদের শক্তি প্ৰদান করেন বলে তার নাম হয় বলরাম‚ বলভদ্র বা বলদেব, নামকরণ করেন ঋষি গর্গ । আর রাম শব্দের অর্থ পরম সুন্দর । কৃষির প্রতীক হাল তাঁর সঙ্গে থাকে বলে তিনি হলায়ুধ ।
অন্য নাম সঙ্কর্ষণ বা শেষনাগ নামেও পরিচিত ।
শৈশবে কংস প্রেরিত অসুর ধেনুকা এবং দুই মুষ্টিযোদ্ধা প্রলম্ব ও মুষ্টিকাকে বধ করেন বলরাম ।রাজা কংসকে বধ করতে কৃষ্ণ যখন মথুরা যান‚ সঙ্গী ছিলেন বলরামও । কৃষ্ণের সঙ্গে তিনিও শিক্ষাগ্রহণ করেন উজ্জয়িনীতে আচার্য সন্দীপনের আশ্রমে ।
তিনি ভ্রাতা শ্রীকৃষ্ণের সহিত অনেক অসুর বধ করেন ও ভাইয়ের সাথে এক মধুর সম্পর্কের আদর্শ স্থাপন করেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে বলরাম কোনও পক্ষ অবলম্বন করেননি। একজন আদর্শ ভ্রাতা হিসেবে বলরাম তুলনাহীন। বাল্যকাল থেকে কৃষ্ণ তাঁকে কম জ্বালাননি। তবু সবকিছু হাসিমুখে সহ্য করেছেন। বহু বিপদে কৃষ্ণকে আগলে রেখেছেন।
বলরাম অত্যন্ত পত্নীনিষ্ঠ, স্ত্রী রেবতী তাঁর চাইতে বয়সে অনেক বড়, একেবারে অন্য যুগের নারী। তাঁর প্রতি বলরামের প্রেম এতটাই দৃঢ় যে, তিনি দ্বিতীয় বিবাহের কথা ভাবেনইনি। তাঁর দুই পুত্র, নিষ্ঠা এবং উল্মুক।
বলরাম পূর্বজন্মে ছিলেন রামের ভ্রাতা লক্ষ্মণ। তিনি অনুরোধ করেন তাঁকে যেন তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হিসেবে একজন্ম কাটাতে দেওয়া হয়। বলরামের অস্ত্র এক বিশাল লাঙল। তিনি এ কারণে ‘হলধারী’ নামেও পরিচিত। তিনি সর্বদা নীলাম্বরধারী।
মহাভারতে আদিগুরু বলরাম দুর্যোধন এবং ভীমের গদাচালনার আচার্য/গুরু। বলরাম বা সঙ্কর্ষণ-ই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সর্ব প্রথম অবতার।
হরেকৃষ্ণ 🙏