Way of Allah

Way of Allah হে আল্লাহ মালাকুল মউতকে দেখার পূর্বেই আমাদের ক্ষমা করে দাও ।

07/05/2025

'''নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন'''
এর মধ্যে কি আছে আসুন জেনে
নেয়।

ভিন্ন ঘরনার মানুষ আপনাদের কাছে বিভিন্ন দাবী পেশ করবে এটাই স্বাভাবিক,
তবে দাবী গুলি পূরন করার আগে আপনাদের মনে রাখা উচিত এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তাই মুসলমানদের মনে কোন বিষয়ে আঘাত করা মানে এদেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী কে আঘাত করা।

সম্প্রতিকালে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ কিছু নারী
'নারী সংস্কার কমিশন' নামে ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ওলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশাবাদী ।

তারপরও একজন মুসলিম হিসেবে সংক্ষেপে কয়েকটি সাংঘর্ষিক বিষয় আপনাদের কাছে পেশ করছি।

এক.
'সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার'
উক্ত প্রতিবেদনের একাদশতম অধ্যায়ের ১১.৩.১ এর 'ক' অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সমান অধিকার' যা সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ
আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, পুরুষের অংশ দুই নারীর সমান।
আন নিসা - ১১

দুই.
'বহু বিবাহ রোধ' 'বহু বিবাহ প্রথা বিলুপ্ত'
পঞ্চম অধ্যায়ের ৩.২.৩ এর 'খ' অনুচ্ছেদ এবং তৃতীয় অধ্যায়ের ৩.২.৩.১.১ এর 'গ' অনুচ্ছেদে উক্ত দাবী গুলি করা হয়েছে।
এটি সুরা নিসার ৩নং আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক।

فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ
নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের পছন্দ হয় বিবাহ কর দুই-দুইজন, তিন-তিনজন অথবা চার-চারজনকে।
আন নিসা - ৩

নোট.
একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার হওয়া দরকার যে শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতা দিয়েছে, এ বিষয়ে আলাদা লেখা প্রয়োজন।

গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীদের সংখ্যা পুরুষদের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদি প্রত্যেক পুরুষ শুধু একজন নারীকে বিয়ে করে, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়াবে যে কিছু নারীকে স্বামী ছাড়াই থাকতে হবে, যা তার ওপর এবং সমাজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে। এটি তার জীবনকে সংকীর্ণ করার পাশাপাশি তাকে বিপথগামিতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। এবং এর মাধ্যমে সমাজে অনাচারের পথ প্রশস্ত হতে পারে।
এ ছাড়া বহু কল্যাণ রয়েছে, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার অনুরোধ রইল।

তিন.
'শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার'
এটি দশম অধ্যায়ে রয়েছে। এই অংশটিও কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।

اَلَا لَہُ الۡخَلۡقُ وَالۡاَمۡرُ
স্মরণ রেখ, সৃষ্টি ও আদেশ দান তাঁরই কাজ।
আল আ'রাফ - ৫৪

চার.
নারীদের অসুস্থ হওয়া কুসংস্কার, কুপ্রথা, ইত্যাদি বলা। (দশম অধ্যায়ঃ ১০.২ অনুচ্ছেদ)
এটির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াত কে চ্যালেঞ্জ করা।

وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ ہُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَلَا تَقۡرَبُوۡہُنَّ حَتّٰی یَطۡہُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَہَّرۡنَ فَاۡتُوۡہُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَیُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ

লোকে আপনার কাছে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, তা অশুচি। সুতরাং হায়যের সময় স্ত্রীদের থেকে পৃথক থেক এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পবিত্র না হয়, ততক্ষণ তাদের কাছে যেয়ো না (অর্থাৎ সহবাস করো না)। হাঁ যখন তারা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের কাছে সেই পন্থায় যাবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই সকল লোককে ভালোবাসেন, যারা তাঁর দিকে বেশি বেশি রুজু করে এবং ভালোবাসেন তাদেরকে, যারা বেশি বেশি পাক-পবিত্র থাকে।
আল বাকারা - ২২২

পাচ.
"ট্রান্সজেন্ডার"
চতুর্থ অধ্যায়ের ৪.১ অনুচ্ছেদে 'জেন্ডার' বলে পরোক্ষভাবে ট্রান্সজেন্ডারের বিষয়ে বলা হয়েছে, যা কুরআন ও সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক, এগুলো ইবলিসের পলিসি,

وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ
তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।
আন নিসা - ১১৯

لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ‏
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে।
বুখারী- ৫৮৮৫

ছয়.
'বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার'(ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ ৬.৩.১ এর 'ক' অনুচ্ছেদ)

اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّبِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ
পুরুষ নারীদের অভিভাবক, যেহেতু আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু পুরুষগণ নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে।
আন নিসা - ৩৪

নোট:-
কোন নারী পুরুষ কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হলে সেখানে ও ইসলামের বিধান রয়েছে, সে বিষয়ে আলেমদের থেকে পরামর্শ নিলেই চলবে।

সাত.
'দত্তক শিশুকে গর্ভজাত শিশুর ন্যায় বিধান করা'
(তৃতীয় অধ্যায়ঃ ৩.২.২.১.৪ এর 'খ' অনুচ্ছেদ)
এটিও একটি জোরপূর্বক প্রস্তাবনা, কুরআন এ বিষয়ে স্পট বার্তা দিয়েছে,

وَمَا جَعَلَ اَدۡعِیَآءَکُمۡ اَبۡنَآءَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ قَوۡلُکُمۡ بِاَفۡوَاہِکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ یَقُوۡلُ الۡحَقَّ وَہُوَ یَہۡدِی السَّبِیۡلَ
আর তোমাদের মুখের ডাকা পুত্রদেরকে তোমাদের প্রকৃত পুত্র সাব্যস্ত করেননি। এটা তো তোমাদের মুখের কথামাত্র। আল্লাহ সত্য কথাই বলেন এবং তিনিই সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।
আল আহ্‌যাব - ৪

আট.
'শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান' (দ্বাদশ অধ্যায়ঃ ১২.৩.১১ এর 'জ' অনুচ্ছেদ)
এটা ইলাহী গজব ডেকে আনার প্রস্তাবনা, এই জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করলে কিছুদিন পর ধর্ষকরাও শ্রম অধিকার চেয়ে বসবে।

اَلزَّانِیَۃُ وَالزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّلَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِہِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَلۡیَشۡہَدۡ عَذَابَہُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত চাবুক মারবে। তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখ, তবে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি করুণাবোধ যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত না করে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
আন নূর - ২

নয়.
'কোন ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করে সংবিধান শুরু করা উচিৎ নয়' (তৃতীয় অধ্যায়ঃ ৩.২.১.১.৩ এর 'ক' অনুচ্ছেদ)

এটা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে Islam কে হেয় করার চেষ্টা মাত্র।

اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট (গ্রহণযোগ্য) দীন কেবল ইসলামই।
আলে ইমরান - ১৯

وَمَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡہُ ۚ وَہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
যে ব্যক্তিই ইসলাম ছাড়া অন্য কোনও দীন অবলম্বন করতে চাবে, তার থেকে সে দীন কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে মহা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আলে ইমরান - ৮৫

অতএব
সকলের উচিত যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করা ঈমানী দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছে কেউ-ই আপদমুক্ত নয়। ছোট-বড় বিপদাপদে সবাই আক্রান্ত হয়েছে। এ দুনিয়া বিপদের জায়গা। তাই এমন ধারণা পোষ...
07/05/2025

পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছে কেউ-ই আপদমুক্ত নয়। ছোট-বড় বিপদাপদে সবাই আক্রান্ত হয়েছে। এ দুনিয়া বিপদের জায়গা। তাই এমন ধারণা পোষণ করা যে আমার কোনো ধরনের বিপদাপদ আসবে না, তা চরম ভুল; বরং এর মধ্যে বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা কখনো কখনো পরীক্ষার জন্য বিপদ দিয়ে থাকেন, আবার গুনাহ মাফ করার জন্য বিপদ দিয়ে থাকেন, বান্দাকে আরো আল্লাহর নৈকট্য করে তোলার জন্য বিপদ দিয়ে থাকেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
اَحَسِبَ النَّاسُ اَنْ يُّتْرَكُوْۤا اَنْ يَّقُوْلُوْۤا اٰمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُوْنَ

মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?

অর্থাৎ, মৌখিকভাবে ঈমান আনার পর তাদের কোন পরীক্ষা না নিয়েই এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে --এই ধারণা পোষণ করা ঠিক নয়। বরং তাদের জান-মালে বিপদ-আপদ দিয়ে এবং অন্যান্য সমস্যা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, যাতে আসল-নকল, সত্য-মিথ্যা এবং মু'মিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য সূচিত হয়।
(সুরা আনকাবুত, আয়াত : ২)।

আলহামদুলিল্লাহ। অসাধারণ একটি ছবি। কলা পাকা শুরু হয়েছে হয়তো কয়েক দিনের ভেতর পাখির বাসাটি থাকবে না। ডিমগুলো ফুটে হয়তো ...
07/05/2025

আলহামদুলিল্লাহ।
অসাধারণ একটি ছবি।
কলা পাকা শুরু হয়েছে হয়তো কয়েক দিনের ভেতর পাখির বাসাটি থাকবে না। ডিমগুলো ফুটে হয়তো বাচ্চা বের হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে ছোট্ট পাখিদের সংসার।
আমরাও যেন আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনের কথা ভুলে না যায়।

আলহামদুলিল্লাহ, ছোট্ট বইটি ভালো লেগেছে....
07/05/2025

আলহামদুলিল্লাহ, ছোট্ট বইটি ভালো লেগেছে....

Address

Banglamotor
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Way of Allah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Way of Allah:

Share

Category