
15/06/2025
উত্তরার এপাড় ওপাড় মোটামুটি নদীর দুই পাড়ের মতোই, মাঝখানে বিশাল হাইওয়ে। একজন মানুষ, যাকে কর্মসূত্রে প্রায় প্রতিদিন সেই হাইওয়ে পার হয়ে এপার ওপার করতে হয়। মাঝখানে আইল্যান্ড রোড ডিভাইডার আছে, খটখটে রুক্ষ। তিনি শুরু করলেন সেখানে গাছ লাগানো। নিজের বাড়ির ছাদ ইতোমধ্যে বৃক্ষরাজিপরিপূর্ণ করে ফেলা বাবাকেও সঙ্গে নিলেন... পিতাপুত্র মিলে দশ মাসে উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনের রাজপথ রাঙিয়ে দিলেন সবুজে- সম্পূর্ণ নিজেদের শ্রম, সময় আর খরচে।
রাজপথ পারাপারে প্রতিদিন পেরিয়ে যেতে হয় ওভারব্রিজও... আর নগরবাসী মাত্রই জানেন ওভারব্রিজ মানেই নোংরামির চূড়ান্ত। প্রতিদিন এই নোংরা পার হতে হতে তিনি ক্রমাগত ফরিয়াদ করে গেছেন সিটি করপোরেশন, কল্যাণ সমিতি ইত্যাদির কাছে, ফায়দা হয়নি। আজ মাস-চুক্তিতে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছেন নিজের পয়সায়। যে প্রতিদিন ভোর ৭টায় এই ফুটওভার ব্রিজ পরিষ্কার করবেন। হয়তো ভাবা যেতে পারে এই উদ্যোগ বেশিদিন টিকবে না। কিন্তু লোকটিকে যারা চেনেন, তার পাগলামি সম্পর্কে যাদের সামান্য ধারণা আছে তারা নিশ্চিত জানেন যে এই কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন।
পেশায় তিনি চিকিৎসক। আর নেশার কোনো শেষ নেই। এখনো এই বয়সেও নিয়মিত ফুটবল খেলেন, ধুমায়ে গান করেন আর প্রচুর বই পড়েন। হসপিটালে তার ছোট্ট অফিসরুম বেশিরভাগ সময় ভীড় করে থাকে বন্ধু, স্বজন আর ছোট ভাই বেরাদরে... স্রেফ আড্ডার লোভে। আর হসপিটালের সামনে ভীড় লেগে থাকে কুকুরদের, তারা জানে খাবারটা সবসময় জুটবে।
Zakir Hossain Shobuj আমার বন্ধু, স্বজন, ভাই... বহু বছরের এই সখ্যতায় এখনো তাকে দেখে বিস্মিত হই... মানুষ এমনও হতে পারে!
লেখা ও ছবি : নজরুল সৈয়দ এর ফেসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহীত।
DAB news24
" #ভালো_খবর, #সুন্দর_ভবিষ্যত"
" , "