শাইখ আলী হাসান উসামা সমর্থক/ali Hasan Osama fan's

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • শাইখ আলী হাসান উসামা সমর্থক/ali Hasan Osama fan's

শাইখ আলী হাসান উসামা সমর্থক/ali Hasan Osama fan's ধর্মচর্চা

06/04/2025

আগামীকাল বাদ যোহর একযোগে
বৈশ্বিক হরতাল পালনে শামিল হোন।
ইসরাইলের গণহত্যা থামাতে
বৈশ্বিক জিহাদ অনিবার্য
----হেফাজতে ইসলাম

ফিলিস্তিন দখলকারী ও গণহত্যাকারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে থামাতে বৈশ্বিক জিহাদ অনিবার্য হয়ে পড়েছে জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা পৃথিবীর সমস্ত নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়েছে। কথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী আমেরিকার বিবেক গণহত্যাকারী জায়োনিস্ট ইসরাইলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের ওপর বছরের পর বছর দখলবাজি ও বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সারখ্যাত দেশটি। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বিকারচিত্তে শুধু দেখেই যাচ্ছে, কারণ ফিলিস্তিনিরা মুসলমান। মুসলমানের মানবাধিকার ‘নাই’ করে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ইতিহাসের চরম ভুল পথে হাঁটছে, যা তাদের জন্য আত্মঘাতী।

তারা বলেন, আমেরিকার জনগণকে আমরা সর্বোচ্চ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান করছি। এতে তাদের দায় রয়েছে। কারণ তাদের ভ্যাট ও ট্যাক্সের টাকায় ইসরাইলকে অবিরত সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের দাসত্ব গ্রহণ করা আমেরিকার ক্ষমতালোভী শাসকগোষ্ঠী। মার্কিন শাসকগোষ্ঠীকে এই রাষ্ট্রীয় দাসত্বনীতি থেকে বের করে আনার রাজনৈতিক উদ্যোগ আমেরিকার জনগণকেই নিতে হবে। জবাবদিহিতার মধ্যে তাদের শাসকগোষ্ঠীকে আনতে না পারলে পৃথিবীতে মানবতার কোনো মূল্যই আর থাকবে না।

নেতারা আরো বলেন, পৃথিবীর পরিশুদ্ধতা ও মানবতার অগ্রগতির জন্য অবৈধ জালিম রাষ্ট্র ইসরাইলের পতন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিন দখলকারী ও গণহত্যাকারী জায়োনিস্ট ইসরাইলকে থামাতে বৈশ্বিক জিহাদ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এর অংশ হিসেবে মুসিলম বিশ্বের সামরিক প্রতিরোধ, ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক তৎপরতা, প্রতিবাদী গণ-আন্দোলন ও ইসরাইলি পণ্য বয়কটের কর্মসূচি একযোগে বিশ্বব্যাপী পালন করতে হবে, যতক্ষণ না অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের সমূলে বিনাশ ঘটে। এক্ষেত্রে ধর্ম ও দল-মত নির্বিশেষে দুনিয়ার সমগ্র মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষের অংশগ্রহণ কাম্য।

আগামীকাল ৭ এপ্রিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেন, গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল বাদ যোহর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম এবং সমস্ত মাদরাসা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতাকে একযোগে বৈশ্বিক হরতাল পালনে শামিল হতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

বার্তাপ্রেরক
মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী
যুগ্মমহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
মোবাইল: +880 1715-216

05/04/2025
29/03/2025

সৌদি আরবের চাঁদের খবর দেখে তাড়াহুড়ো করিয়েন না বাংলাদেশের ঈদ কিন্তু ১ তারিখেই হবে।
কারণ: কমেন্টে দেখুন।

18/09/2023

কলরব পরিচালকের সূক্ষ্ম নিন্দাসংবলিত লেখার জবাব (১ম পর্ব)


মাওলানা সাঈদ আহমদ। একজন চুক্তিবাদী চমৎকার আলোচক। এমন চুক্তিবাদী আলোচকেরও প্রয়োজন আছে। টাকার বিনিময়ে কণ্ঠ বিক্রি করে হলেও সমাজে কিছু পরিবর্তন তো আসে। তার দাবি অনুসারে, ১৫-১৭ সালে তিনি আলোচনা করতেন সমকালীন প্রেক্ষাপট নিয়ে। এখন হয়তো করেন আসমানের উপরের আর মাটির নিচের বিষয়াবলি নিয়ে। সঙ্গে চোখে অশ্রু আসে এমন ইমোশনাল টপিক থাকলে থাকতেও পারে। তবে ওয়াজ-মাহফিলে আলোচনা যা-ই করুক, সংগীতে সমকালীন বিভিন্ন প্রেক্ষাপট অবশ্য টানে। এটা ভালো। প্রত্যেকের রুচি আলাদা। শরিয়াহর সীমা লঙ্ঘন না করলে কারও রুচি নিয়ে নেগেটিভ কমেন্ট করা সমীচীন নয়।

মাজহারি, আশরাফি, আফসারিসহ আপনারা যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ, স্পষ্ট ও সূক্ষ্ম বিভিন্ন উপায়ে চুক্তি করে ওয়াজ-মাহফিল করেন, আল্লামা ওলিপুরি বা মুশতাকুন্নবি হাফি.-দের বক্তব্য অনুসারে কাজটা নাজায়েয হলেও, আবার অনেকের মতে অশোভনীয় মুবাহ হলেও আপনাদের দ্বারা অনেক বেনামাজি তো নামাজি হচ্ছে, দীনের কমবেশি ফায়দা তো হচ্ছে। খাজা আবু তালিব নিজে শিরকে জড়িয়ে থেকেও দীনের অনেক খেদমত করেছেন, এ যুগেও কেউ নাজায়েয বা অশোভনীয় কাজে জড়িয়ে থেকেও দীনের যদি কিছু উপকার করে, এতে মন্দ কী! উল্লেখ্য, আপনি আমাকে আবরার আসিফের সঙ্গে তুলনা দিতে পারলে আমিও নিশ্চয়ই আপনাকে মাজহারিদের সঙ্গে তুলনা দিতে পারি। জানেনই তো, সাদৃশ্য ও উপমা আপেক্ষিক বিবেচনায় হয়, সামগ্রিক বিবেচনায় নয়। সুতরাং যে অধিকার আপনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটা অন্যরাও ভোগ করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এতটুকু ইনসাফ করা যায়, আপনাকে বড়লোকের মাজহারি বলা যায়। এতে জিনিসটা আরও শিষ্টাচারসম্মত হয়।

আপনি আমার সিনিয়র, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আপনি যে সময়ে ফরিদ মাসউদ সাহেবের সঙ্গে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে না*স্তি*কদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন, সে সময় আমি গণজাগরণ মঞ্চ চিনিই না। আপনার বক্তব্য অনুসারে আপনি ফারেগ হয়েছেন দশ বছর আগে, সে হিসেবেও আমার আকাবির। কারণ, আমি অদ্যাবধি ফারেগ হইনি। নিজেকে আজীবন তালিবুল ইলমের কাতারে রাখার প্রত্যয় নিয়েছি বহু আগেই। দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার কথা যদি আসে, তবে তা দিয়েছি ৯ বছর হয়েছে। ৯ আর ১০ এর দূরত্ব যেহেতু কম না, সে হিসেবে আপনাকে মহান আকাবির মানতেও আমার দ্বিধা থাকার কথা না। আপনার সহকারী মাহফিল নিতেও যে পোস্টারে আপনার নাম আমার নামের ওপরে লেখার শর্তারোপ করে এবং এর কারণ হিসেবেও আপনি আকাবির হওয়ার কথা যে উল্লেখ করে, সে বিষয়ক ডকুমেন্টও আমার কাছে মওজুদ আছে। তবে এ নিয়ে আমি কখনো উষ্মা দেখাইনি। দেখানোর কথাও নয়। কারণ, আমি আমার নাম পোস্টারে নিচে দেখতে ভালোবাসি। এ নিয়ে ইতিপূর্বেও অনলাইনে বহুবার সতর্ক করেছি। বাস্তবেই আমি অধম, নিতান্ত অযোগ্য। মানুষ ভালোবেসে দাওয়াত দেয়, সেটা তাদের বিষয়। তবে নিজের নাম উপরে দেখলে আমার আলাদা ভালোলাগা কাজ করে না, বরং বিব্রত ও লজ্জা লাগে। নিজের নাম ফুটানোর যদি লক্ষ্যই থাকত, অন্তত নিজের বইগুলোতে নামের আগে কয়েকটা ডিগ্রি লাগাতে পারতাম খুব সহজেই। কিন্তু প্রকাশকের বহু চাপাচাপির পরও আজও পর্যন্ত আমার নাম সর্বপ্রকার ডিগ্রিমুক্তই আছে আলহামদুলিল্লাহ। সুতরাং আপনি যে অনেক বড় আর আমি যে নিতান্ত ক্ষুদ্র, এটা কষ্ট করে স্মরণ না করিয়ে দিলেও চলবে। কারণ, বাস্তবতার অনুভূতি সর্বদাই আমার মধ্যে জাগ্রত আছে আলহামদুলিল্লাহ।

কোনো এক মঞ্চে আপনি আমার ওপর বিশাল অনুগ্রহ করেছিলেন। চাইলে আমাকে বসিয়ে রেখে সংগীত গাইতে পারতেন। কিন্তু আপনি তা করেননি। করলেও সমস্যার কিছু ছিল না। আমাকে ৫/১০ মিনিট কেন, আধঘন্টা বসিয়ে রাখলেও আমি মাইন্ড করি না। সুতরাং কবে এই এক মহা অনুগ্রহ করেছেন, এতকাল পর এসে তা স্মরণও করেছেন, আবার স্মরণ করতে গিয়ে আমার তুচ্ছতা আর আপনার বড়ত্ব ও মহানভুবতাও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। যে অনুগ্রহ চায় না, তাকে অনুগ্রহ করে খোটা দিয়ে কী লাভ বলেন! তবে একটা বিষয় বুঝে আসছে না, দীর্ঘ বয়ান শেষে জাস্ট একটা ফরমায়েশি গজল গাননি বলেই তারা আর আপনাকে সম্মানীর টাকা দেয়নি? আর গজল না গাওয়ার একমাত্র কারণও কিন্তু এটা নয় যে, কর্তৃপক্ষ আমাকে স্টেইজে নিয়ে গেছে। আপনার লেখা পড়লে সকলের ধারণা এমনই হবে। কিন্তু সেদিন আপনি স্পষ্টই বলেছিলেন, গজল শুনতে চাইলে ভালো সাউন্ড আনবেন। এরকম নিম্নমানের সাউন্ড আনলে শুধু বয়ানই পাবেন; গজল না। আর গজলের জন্য আলাদা করে কলরবকে দাওয়াত দেবেন। মাহফিলের মঞ্চে এসব বাজে সাউন্ডে গজল গাইতে বলবেন না। আপনার লেখা থেকে মনে হচ্ছে, আমাকে সেক্রিফাইজ করতে গিয়ে আপনি হাদিয়া হারিয়েছেন। কিন্তু আসলেই বিষয়টি কি এমন? সেই কর্তৃপক্ষও কিন্তু মরেনি। তাদের বক্তব্য মিডিয়ায় আপলোড হলে কি আপনার ভালো লাগবে? মূল কারণ যাই হোক, স্রেফ আমাকে জড়িয়ে পোস্টে যেভাবে রসালো বয়ান হাজির করেছেন, সেটা কি প্রতারণা ছিল না, হে মহান আকাবির?

আপনি অনেক বছর ধরে ওয়াজ করেন, এটা সত্য। যদিও মোট ওয়াজের সংখ্যা কত, তা আমার জানা নেই। আমার যেহেতু হাজারের কোঠায়, আপনারটা লাখের কোঠায় হলেও হতে পারে। তবে আপনার কোনো বয়ান শোনার সৌভাগ্যই আমার হয়নি। তাই এ নিয়ে মূল্যায়ন করার সুযোগও আমার নেই। তবে আপনার লেখা থেকে বুঝলাম, আপনি আমার বয়ান শোনেন। পূর্ণ বয়ান শোনেন নাকি কাটপিছ, তা অবশ্য ক্লিয়ার করেননি। তবে আমার কাছে দ্বিতীয় সম্ভাবনাই প্রবল মনে হয়েছে। ইস্যু নিয়েই যেহেতু আপনাদের সংগীতাঙ্গনের অনেক কাজ, তাই সেদিকে আপনার নজর থাকা অস্বাভাবিকও না। তবে কার বয়ান বিষয়ভিত্তিক আর কার বয়ান ইস্যুভিত্তিক, তা ফায়সালা করতে চাইলে পূর্ণাঙ্গ বয়ান নিয়মিত শোনা জরুরি। আমাকে নিয়ে এত সময় আপনি দেন! তবে একটা বিষয় অনুগ্রহ করে ক্লিয়ার করবেন, ইস্যুভিত্তিক বয়ান মানে কী? অর্থাৎ, যে বয়ানের সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচ্য বিষয় থাকে না। শুরু থেকে শেষ বক্তা একের পর এক ইস্যু বলতে থাকে। এমন কিছু? সংজ্ঞা ক্লিয়ার করলে না উদাহরণ বোঝা যায়। সংজ্ঞাই অস্পষ্ট হলে প্রয়োগক্ষেত্র বোঝাও তো দুষ্কর হয়ে যায়। যদি দাবিই করেন, আমার পূর্ণাঙ্গ আলোচনাগুলো অগোছালো ও সুনির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক নয়, তবে আসুন, দুটো পদক্ষেপের যেকোনো একটা গ্রহণ করি : (ক) আমার হাজারের কোঠায় থাকা বয়ান সমগ্র আর আপনার লাখের কোঠায় পৌঁছা বয়ান সমগ্রের অডিটের ব্যবস্থা করি। সবগুলো এনালাইসিস করে একটা স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হই। এতে করে ক্যাটাগরির ভিন্নতা বোঝাও সহজ হবে। আর আপনি যেহেতু একজন শাহবাগ আলোকিত করা আকাবির, আপনার জ্ঞান থেকেও উপকৃত হওয়া যাবে। (খ) দুজনেই পরীক্ষা দিই। নতুন ধাঁচে নয়, পূর্বের ধাঁচের আলোকেই। যে ধাঁচ সাধারণত অনুসরণ করা হয় বয়ানে, তার আঙ্গিকেই পরীক্ষা দিলে মন্দ হবে না আশা করি। এতে করেও আমাদের গ্যাপগুলো আমরা জানতে পারব। আপনারা যারা আকাবির আছেন, তাদের রঙে নিজেদের রাঙাতে পারব।

আবু রায়হানকে নিয়ে আমার বলা কথাগুলো নাকি আপনাকে কষ্ট দিয়েছে! ভেরি স্যাড। আসলে আবু রায়হানকে নিয়ে আমি কী বলেছিলাম? সুনির্দিষ্ট কিছু বলেছি বলে মনে পড়ে না। একদিকে আপনি স্পেসিফিক কথার কারণে কষ্ট পেয়ে আছেন, আরেকদিকে আমি কিছু বলেছি বলেই আমার স্মরণ আসছে না। হাউ ফানি! নাকি ব্যাপক কথাগুলোর প্রয়োগক্ষেত্র নিজের থেকেই নির্ধারণ করে নিয়েছেন? এটা কি অনেকটা 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না' এর মতো হয়ে গেল? আর এটাও কিন্তু আপনি স্পষ্ট করেননি, কষ্ট কি শুধু আমার কথায় পেয়েছেন, নাকি আবু রায়হানের কাজেও পেয়েছেন? আমাকে নিয়ে আপনাদের লোকেরা যতটা সরব, তাকে নিয়ে ঠিক ততটাই নীরব। অবশ্য আপনাদের কেউ কেউ হাদিস শুনিয়েছে, যে চুপ থাকে, সে মুক্তি পায়। এটাও সম্ভবত শুধু তার ক্ষেত্রে, না হলে আমাদের ক্ষেত্রে সরব না হয়ে কীইবা উপায়! রুটিরুজি বা সুদৃষ্টির বিষয়ও থাকতে পারে। উপরন্তু আপনাদের সংগঠনের কেউ কেউ যে আমাকে চরম বাজে ভাষায় গালাগাল দিয়েছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী, তাও জানাননি। আমি অতীত ইতিহাস টানছি না। পুরোনো কাসুন্দিও ঘাটছি না। কয়েক বছর আগের অফলাইনের মন্তব্যসমূহের সাক্ষ্যপ্রমাণও আনছি না। যা অতীত, তা তো অতীতই। বলতে পারেন, নিজেদের বিষয়গুলো ঘরোয়াভাবে সমাধান করেছেন। ভালো কথা। চোখে ধুলো দেওয়া তদন্ত কমিটিও তৈরি করেছেন। কৌশলী বিবেচনা। কিছু বিষয় সময়ের উপরই ছেড়ে দেওয়া ভালো। এই যুগে মানুষের চোখ ফাঁকি দেওয়া আর সবাইকে বোকা বানানো এত সহজ না। এমনই যদি হতো, পাবলিক টয়লেট টুয়েন্টি ফোরের গুজব সে*লের এক্টিভিস্টরা অনেক আগেই সফলতা পেয়ে যেত। কিন্তু এসব হলুদ হাইওয়ানে নাতেক নিজেদের ধ্বংসকেই কেবল ত্বরান্বিত করছে।

আপাতত এতটুকুই। না হলে মাত্রাতিরিক্ত বড় হয়ে যাবে। কলমের জবাব কলম দিয়ে দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। এগুলো আপনাদের মুরিদ ভাগানোর জন্য নয়। কেবল নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রাখার জন্য। না হলে কেবলই ফেবুর লেখা পড়ে কেউ মাসলাক পাল্টায় না, এটাই বাস্তবতা। পরিশেষে আবারও মার্জনা কামনা করছি। আপনার মতো আকাবিরের শান রক্ষা করা আমার সাধ্যের কথা না। আবার কোনো প্রকার আর্থিক চুক্তি ছাড়া অধমের লেখা পড়বেন এবং ফরীদ মাসউদ সাহেবের এজেন্ডায় সময় না দিয়ে আমার আলোচনা থেকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা কোনো সমকালীন প্রেক্ষাপটনির্ভর কাটপিছ ভিডিও দেখে নিজের মূল্যবান সময় অতিবাহিত করবেন, এটাও তো কম কথা না। সতত শুভকামনা হাতপাখার মর্দে আকাবিরের প্রতি।

12/05/2023

চরের পির ইসলামপন্থিদের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চান। এটা ভালো। এখন মুরিদরা জানতে চান, তাদের সাথে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সমস্যা কোথায়?

এটা বোঝার আগে কয়েকটা প্রশ্নোত্তর বুঝুন।

চরের পিরকে যদি জিজ্ঞেস করেন, এত যে ঐক্যের কথা বলছ, তো জামাআতের সাথে ঐক্য করবা? তারা বলবে, না, প্রশ্নই আসে না। কারণ, তাদের আকিদায় গলদ। তাইতো কুয়াকাটা হুজুর বলেন, কাদিয়ানি আর মওদুদি দুই ভাই।

- তো আহলে হাদিসের সাথে ঐক্য করবা?
- না, কারণ তারা কুরআন-হাদিসের যাচ্ছেতাই ব্যাখ্যা করে এবং তাসাওউফের বিরোধিতা করে। তাই তাদের সাথেও ঐক্য করা যাবে না।

- মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীদের সাথে ঐক্য করবা?
- না, কারণ তাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ও গোঁড়ামি রয়েছে।

- বেরেলবিদের সাথে ঐক্য করবা?
- না, তারা বিদআত করে।

- যাদেরকে মানহাজি নাম দিয়েছ, তাদের সাথে ঐক্য করবা?
- না, তাদের মধ্যে উগ্রতা ও বেয়াদবি রয়েছে। উপরন্তু তারা সংখ্যালঘু।

- তো ঐক্য করবা কাদের সাথে?
- এই যেমন আগে করেছি জাতীয় পার্টির সাথে। পুরুষ নেতৃত্ব থাকলে এখন হয়তো করতাম আওয়ামীলীগের সাথে। আর করব আমাদের যারা জি হুজুর জি হুজুর বলে মেনে নেবে, সেসব তোষামোদকারী জ্ঞানীদের সাথে।

আচ্ছা, তাহলে অন্যরা চরের পির ও তার মুরিদদের সাথে কেন ঐক্যবদ্ধ হবে? তাদের কি আকিদায় গলদ নেই? শরিয়াহর যাচ্ছেতাই ব্যাখ্যা করে না? বিচ্ছিন্নতা ও গোঁড়ামির মূর্ত প্রতীক তো তাদের মতো কমই আছে। আর উগ্রতা ও বেয়াদবির নমুনা তো তাদের কর্মী-সমর্থকদের অনলাইন-অনলাইন-অফলাইন এক্টিভিটির ছত্রে ছত্রে বিদ্যমান। আকিদার বিদআত ও আমলের বিদআত কোনটাই বা তাদের মধ্যে অবিদ্যমান? আর অজ্ঞতা ও মূর্খতার কথা না হয় না-ই বললাম। জাস্ট একটা নতুন নমুনা দেখাই। তাদের সেকেন্ড পির আকিদার বই লিখেছে। সেখানে ইমাম তহাবির ভাষ্য 'খালিকুন বিলা হাজাতিন'র অনুবাদ করেছেন, 'কোনো উপকরণ ছাড়া সৃষ্টিকর্তা'। আল্লাহ কোনো উপকরণ দিয়ে সৃষ্টি করেননি? তাহলে মানুষকে মাটি দিয়ে বানিয়েছেন, কুরআনের এই আকিদা গলদ? এজাতীয় ক্ষেত্রে 'হাজাতুন' শব্দ মুখাপেক্ষিতা অর্থ না দিয়ে উপকরণ অর্থ কবে থেকে দেয়? এই হলো স্বয়ং পিরের লিখিত আকিদার অবস্থা।

মোদ্দাকথা, ইসলামপন্থি শব্দ ব্যবহার করলেও যে যুক্তিতে চরের লোকেরা কোটি কোটি ইসলামপন্থির সাথে একতাবদ্ধ হতে রাজি না, একই যুক্তিতে তাদের সাথেও মূলধারার কওমিরা ঐক্যবদ্ধ হতে চায় না। ঐক্যের ডাক শুনলেই যদি লাফিয়ে পড়তে হয়, তো এমন ডাক তো আগেও বহুত দেওয়া হয়েছে। এরাই তো তারা, যারা ২০০১ সালে ঐক্যের ডাক দেওয়া শাইখুল হাদিস ও মুফতি আমিনি রাহ. প্রমুখকে নিয়ে বাজে বাজে মন্তব্য করেছে। খতিব সাহেব থেকে শুরু করে শাইখুল হাদিস, মুফতি আমিনি থেকে শুরু করে আল্লামা বাবুনগরি, ওলামায়ে মেখল ও হাটহাজারি থেকে শুরু করে আল্লামা কাসেমি রাহ. প্রমুখের সন্তানরা আদর্শের প্রশ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হবে? আর আদর্শহীন ঐক্যে উম্মাহর কী ফায়দাই আসবে? আল্লাহ তো ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন তাঁর রজ্জু (শরিয়াহ) আঁকড়ে ধরে; সবকিছু বিসর্জন দিয়ে নয়।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শাইখ আলী হাসান উসামা সমর্থক/ali Hasan Osama fan's posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category