13/02/2024
১১/০২/২০২৪। জানো এই তারিখে আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম তাও কি কারনে কান্না করলাম?
এই তারিখে সেই প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা যে প্রতিষ্ঠানে আমি ফ্রিলেন্সিং শিখেছি। তাই সকালেই বেরিয়ে পড়লাম প্রথমে আশুলিয়া থেকে মিরপুর যেতে BGMEA University (BUFT) হয়ে পঞ্চবটি এসে হানিফ স্যারের সাথে ফোনে কথা বলি, স্যার বলল আজ অফিস বন্ধ থাকার কথা তাও যদি খোলা থাকে তাহলে তোমাকে ফোন করবো। পরে চলে গেলাম ডিয়াবাড়ী উত্তরা উত্তর ১ নং মেট্রোরেল স্টেশনে।
পরে চারদিক ঘোরাঘুরি করছিলাম। দুইটা ছবিও তুললাম। অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো স্যার আর ফোন দিচ্ছে না। স্যার আসছে না, চোখ থেকে পানি বের হয়ে গেলো, সেই প্রতিষ্ঠানে আজ আমার যাওয়ার দরকার ছিলো, এক সময় চোখের পানিটা শুকিয়ে যায়।
একটু পর কল বেজে উঠলো, ফোনটা ধরলাম, বিল্লাল আমি আসছি অফিস খোলা আছে। তুমি বল তুমি কোথায় আছ? স্যার আমি ডিয়াবাড়ী উত্তরা উত্তর ১ নং মেট্রোরেল স্টেশনে। খুশিতে চোখের কোনায় আবারও একটু পানি অনুভব করলাম। এর কিছুক্ষণ পর স্যার এলো। স্যার আর আমি মেট্রোরেল দিয়ে কারওয়ান বাজার চলে গেলাম। দুজনের ভাড়া নিল ১৬০ টাকা। এর এক স্টেশন পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন। সেখানে নেমে অল্প হেঁটেই বাংলা মোটর সেখানেই এর অফিস।
যাইহোক আমরা অফিসের ভিতরে ঢুকলাম সেখানের অফিসারদের সাথে কথা বললাম। তারা আমার ইন্টারভিউ নিলো, আলহামদুলিল্লাহ জব পেয়ে গেলাম। এরপর এমডি স্যার একটা মিটিং এর আয়োজন করল আমাকেও রাখল, হানিফ স্যার সহকারে। কিছুক্ষণ পর মিটিং শেষ হলো । আমি যেহেতু হানিফ স্যারের সাথে গিয়েছি তাই এমডি স্যার আমাদের নিয়ে একসাথে খাবার খেতে বসলো। হানিফ স্যার তাদের প্রতিষ্ঠানেরি একজন সদস্য । খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বের হয়ে আসলাম। তখন প্রায় বিকাল চারটা বাজে। আবারো উত্তরা উত্তর স্টেশনে চলে আসলাম তখন প্রায় পাঁচটা বাজে । স্যার সেখানে নেমে উত্তরার উদ্দেশ্যে চলে গেল। আর আমি চলা শুরু করলাম আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে । কিন্তু পঞ্চবটি আসার পর দেখলাম অনেক জ্যাম, কারণ দ্বিতীয় ইজতেমা ছিল সেদিন।
পায়ে হাঁটা শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর পা ব্যথা শুরু হল। যাই হোক এভাবে চলে আসলাম আশুলিয়া, তখন প্রায় সাতটা বাজে।
এই কথাগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম কারণ ফ্রিল্যান্সারদের শুরুটা খুব কষ্টের হয়। আগে বিশ্বাস হতো না, তবে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম।