26/09/2025
ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে একটা আস্ত খাসির মাংস
সাথে অনেকগুলো মিষ্টি (প্রায় ১০ কেজি)
নদীর ঘাটে বা নির্জন স্থানে রাখা
এটা সাধারণত “ভোগ দেওয়া” নামে পরিচিত এক কথায় শয়তানের নামে কোরবানি দেওয়া। অনেক সময় মানুষ জ্বীন, ভূত, শয়তান, ভন্ড পীর-ফকির বা অদৃশ্য শক্তিকে খুশি করার জন্য এই ধরনের কোরবানি বা খাবার রেখে যায়।
ইসলামের দৃষ্টিতে এর অবস্থান কোরবানি কেবল আল্লাহর জন্য।কোরআনে আল্লাহ বলেছেন:
“তুমি নামাজ পড় আমার জন্য এবং কোরবানি কর কেবল আমার জন্য।” (সূরা আল-কাউসার: ২)
অর্থাৎ কোরবানি বা যবেহ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে দেওয়া যাবে না।
অন্য কারো নামে যবেহ করা শিরক
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“আল্লাহ তাঁর অভিশাপ বর্ষণ করেছেন সেই ব্যক্তির উপর, যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে যবেহ করে।”
(সহিহ মুসলিম ১৯৭৮)
তাই জ্বীন, শয়তান,ফকির, গাছ, নদী, বটতলা—যার জন্যই হোক না কেন, এটা শিরক।
মানত / ভোগ
যদি কেউ বলে: “আমি যদি বিপদ থেকে বাঁচি তাহলে খাসি কেটে নদীতে রাখব”—এটা বাতিল, কবুল হয় না।
মানত বা নযর কেবল আল্লাহর জন্য, এবং তা গরিব-মিসকিনকে খাওয়ানোর মাধ্যমে পূর্ণ করতে হবে।
🔹ফলাফল কী হয়:-
এতে জ্বীন বা শয়তান আরও শক্তি পায় এবং মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো যাদু-সিহরের পথ খুলে যায়।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি—মানুষের ঈমান নষ্ট হয়ে যাও।
🔹করণীয়:-
এ ধরনের ভোগ মানত বা নিবেদন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা ফরজ।
আন্তরিকভাবে তাওবা করা দরকার।
দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ ও বৈধ রুকইয়াহর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।
মনে রাখতে হবে, সুরক্ষা ও সমস্যা দূর করার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর কাছেই আছে।
মোট কথা আস্ত খাসি আর মিষ্টি নদীর ঘাটে রাখা আল্লাহর জন্য না হলে এটি শিরক। ইসলামে এই কাজ সম্পূর্ণ হারাম। এতে ঈমান চলে যায়। আমাদের এলাকায় গাজী কালুর নামে বিভিন্ন রকম খাবার প্রাণী কোরবানি দিয়ে থাকে। যেগুলো সম্পূর্ণ শিরিক এবং জ্বীন শয়তানের উদ্দেশ্যে করা হয়। যা মানুষ বোঝেনা জানেনা জানার চেষ্টাও করে না। কারণ মানুষ কোরআন হাদিসের বাস্তব জ্ঞান থেকে অনেক দূরে।