09/05/2025
গল্পের নাম: “শেষ ট্রেনের যাত্রী”
🕵️ পর্ব ৩: অন্ধকারে এক গুলি
ট্রেন তখন তিতাস নদীর সেতু পেরোচ্ছে, সময় রাত ১২টা ১৫। হঠাৎ পুরো কামরায় অন্ধকার নেমে আসে — টানেলের ভিতর প্রবেশ করেছে ট্রেন।
কেবল একটা মুহূর্ত।
আর সেই মুহূর্তেই —
“ঠাস্!”
একটি গুলির শব্দ কানে আসে।
কেউ চিৎকার দেয় না। নীরবতা এত ঘন যে শ্বাসের শব্দ পর্যন্ত শোনা যায়। ট্রেনের আলো আবার জ্বলে উঠতেই দেখা যায়, সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোক — যিনি ছড়ির মাথায় মাইক্রোফোন লুকিয়ে রেখেছিলেন — মেঝেতে পড়ে আছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে।
তার কোটের পকেট থেকে একটা ছোট্ট নোট বেরিয়ে এসেছে —
লাল কালিতে লেখা:
"R, তুমি তাকে থামাতে পারলে না। এখন ও আমাদের সবাইকে শেষ করবে।"
মায়া সবার আগে ঝুঁকে পড়ে।
রাফি পেছনে সরে যায়, চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে — সেই দুইজন কালো পোশাকধারী কোথায়?
তারা নেই।
কেউ একজন ট্রেন থামিয়ে নামতে পেরেছে অন্ধকারে। কেউ একজন এই মুহূর্তটাকে পরিকল্পনা করেছিল।
মায়া বলে:
"এই লোকটা NSI-এর ইন্টারনাল ট্র্যাকিং ইউনিটে কাজ করত। ওর কোডনেম ছিল R."
রাফির মাথায় বাজ পড়ে।
"তাহলে তুমি কে?"
মায়া ঠাণ্ডা গলায় উত্তর দেয়:
"আমি R-এর বোন। আমি জানতাম ও মারা যাবে। তাই আজ আমি নিজে এসেছি, তোমাকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এখন সব বদলে গেছে। এখন তুমি আর আমি দু’জনেই লক্ষ্যে পরিণত হয়েছি।"
রাফি মায়ার দিকে চেয়ে থাকে —
তার চোখে এখন ভয় নয়, বরং একটা কঠিন প্রতিজ্ঞা।
"আমাদের নেমে যেতে হবে পরবর্তী স্টেশনে," রাফি বলে।
"তবে তার আগে হার্ডড্রাইভটা চাই।"
মায়া চুপ করে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে বলে,
"তুমি কীভাবে জানলে, হার্ডড্রাইভ তুমি যতটা নিরাপদ ভেবেছিলে, তা নয়?"
রাফির মুখ কঠিন হয়ে ওঠে।
"কারণ আমি দেখতে পেয়েছি — ওটা এখন আর ট্রেনের টয়লেটে নেই।"
🔥 পরবর্তী পর্বে: প্রতারকের চেহারা উন্মোচিত, ট্রেন থামার আগেই লাফ, এবং সত্য যা পাল্টে দিতে পারে দেশের ভবিষ্যৎ।