Maisura Mehreen Ayra

Maisura Mehreen Ayra ভালো থাকতে হলে প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

15/11/2024

আমার স্ত্রী দেখতে অসুন্দর নয়। তবু কেনো জানি তাকে এখন আর ভালো লাগে না। আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। তিন বছর বয়সী একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।

অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যাই। ফিরি রাত করে। কারণ বাসায় যেতে ইচ্ছে করে না। অথচ বিয়ের শুরুর দিকে শুধুমাত্র স্ত্রীর টানে অফিস থেকে বেরিয়ে ছুটতাম বাসার দিকে। অফিস না থাকলে সারাদিন বাসায় থাকতাম। ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম। কী যে ভালো লাগতো স্ত্রীকে তখন!

আর এখন ওর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না। কথা বলতে ইচ্ছে করে না। ও আশেপাশে থাকলে বিরক্ত লাগে।

বাইরে থাকা অবস্থায় ওর ফোন এলে ধরি না। মেসেজ পাঠালে দেখি না। আর বাসায় থাকা অবস্থায় ও কিছু বললে অনাগ্রহের সাথে হু হা করে চুপ করে থাকি।

আর রাতে যদি ও কাছে আসতে চায় আমি রূঢ় ভাষায় বলি, "জ্বালাতন করো না। সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে আছি। ঘুমাতে দাও।"

আসলে ক্লান্তি ট্লান্তি কিছু না। স্ত্রীকে ভালো লাগে না এটাই মূল কথা।

কেনো এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এই সমস্যা যে একা আমার হচ্ছে তা নয়। আমি আরো অনেক পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখেছি। তাদের কেউ কেউ স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে পরকীয়া করছে। আমি নিজে এখনো পরকীয়া করি নি। তবে করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

কেনো পুরুষেরা একটা সময় স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এটা জানার জন্য আমি যতো পুরুষের সাথে কথা বলেছি তাদের সবার উত্তর ছিলো এরকম, "এটাই তো স্বাভাবিক। এক জিনিস কী আর বেশিদিন ভালো লাগে?"

তাদের উত্তরটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় নি। কারণ এক জিনিস বেশিদিন ভালো না লাগা যদি স্বাভাবিক হতো তাহলে স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও সেটা হতো। কিন্তু তা তো হচ্ছে না।

স্ত্রীরা বিয়ের যতো বছর পরই হোক তারা ঠিকই আগ্রহ নিয়ে স্বামীর সাথে কথা বলতে চায়। ঘুরতে যেতে চায়। মিলিত হতে চায়।

একটা সময় আমার মনে হলো এটা কি পুরুষের কোনো মানসিক সমস্যা? ডাক্তার দেখালে কি ভালো হয়ে যাবে?

আমি দ্বিধান্বিত মনে একদিন গোপনে এক মানসিক ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার আমার সমস্যার কথা শোনার পর বললেন, "আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন?"

বললাম, "জী করি।"

"আল্লাহর একটা নির্দেশের কথা আপনাকে বলবো। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো ওষুধপত্র লাগবে না। গ্যারান্টি দিচ্ছি।"

"কী সেটা?"

"সুরা আন নূরে আল্লাহ বলেছেন, 'হে নবী, পুরুষদের বলে দাও, তারা যেনো নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য বেশি পবিত্র পদ্ধতি'।"

এরপর ডাক্তার দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, "আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি এক মাস পালন করুন। তারপর নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।"

সন্দেহ নিয়ে বললাম, "এটাতেই কাজ হয়ে যাবে?"

ডাক্তার হেসে বললেন, "অবশ্যই হবে। তবে আমাকে কথা দিতে হবে আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি নিখুঁত ভাবে পালন করবেন। কোনো ফাঁকি দেবেন না।"

"কথা দিলাম। ফাঁকি দেবো না। নিখুঁত ভাবে পালন করবো।"

শেষে ডাক্তার বললেন, "এক মাস পর আমার কাছে আসবেন।"

আসবো কথা দিয়ে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরুলাম। চেম্বার থেকে বেরুনোর সময় দেখলাম একটা যুবতী রূপবতী মেয়ে একজন বৃদ্ধাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকছে।

মেয়েটার দেহ দুর্দান্ত আকর্ষণীয়। আমি লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েটার পুরো অঙ্গের দিকে তাকাতে গেলে আচমকা মনে পড়ে গেলো আল্লাহর নির্দেশের কথা। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলাম। এবং মাথা নিচু করে হেঁটে চলে গেলাম।

এরপর পথে ঘাটে যদি কোনো মেয়ের দিকে চোখ পড়তো তবে চোখ সরিয়ে নিতাম। দৃষ্টি নত করে হাঁটতাম।

এভাবে দুদিন যাওয়ার পর অনুভব করলাম নারী শরীর দেখার জন্য ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তখনো স্ত্রীর প্রতি টান বোধ করি নি। অস্থিরতা দূর করার জন্য মোবাইল হাতে নিলাম। এবং পর্ণ দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর হস্তমৈথুন করে নিজেকে শীতল করবো।

গুগলে পর্ণ ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করার মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশের কথা মনে পড়ে গেলো। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। এবং মোবাইল রেখে দিলাম।

এর পরদিনের কথা বলি। আপনাদের বলেছিলাম, আমি পরকীয়া না করলেও পরকীয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ঘটনা হলো, আমার এক বন্ধুর পরিচিত এক মেয়ের সাথে গোপন এক সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করেছে।

মেয়েটি প্রবল যৌন আকর্ষণীয়। ঠিক করেছিলাম মেয়েটিকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবো। আমি যে বিবাহিত এটা মেয়েটিকে বলি নি।

সেই মেয়েটি ঐদিন সন্ধ্যায় ফোন দিলো। আমি তখন অফিস থেকে বেরিয়েছি। ওর ফোন দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। কিন্তু ফোনটা ধরার সময় মনে পড়লো আল্লাহর নির্দেশের কথা।

তৎক্ষণাৎ মনকে শক্ত করলাম। এবং ফোনটা ধরলাম না। মেয়েটা যতোবারই ফোন দিলো ধরলাম না।

এভাবে দৃষ্টি সংযত রেখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে পনেরো দিন কাটানোর পর লক্ষ্য করলাম আমার মাথায় স্ত্রীর ভাবনা ছাড়া আর কিছু কাজ করছে না।

সেদিন অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের আড্ডায় না গিয়ে উন্মাদের মতো ছুটলাম বাসার দিকে।

বাসায় ঢুকেই ব্যাকুল হয়ে ডাকলাম, "এষা, কোথায় তুমি?"

স্ত্রী তখন রান্নাঘরে ছিলো। আমার চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো। কারণ স্ত্রীর নাম ধরে বহুদিন ডাকি নি।

ও আশ্চর্য হয়ে বললো, "কী হয়েছে তোমার? ডাকছো কেনো?"

সে কথার জবাব না দিয়ে কাঁধ থেকে অফিসের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে ঝট করে পাঁজা কোলে তুলে নিলাম। বিয়ের শুরুর দিকে যেমন করতাম।

সে ততোক্ষণে আমার উদ্দেশ্য বুঝে গেছে।

সে লজ্জায় লাল হয়ে বললো, "ছেলেটা ঘুমাচ্ছে। ও জেগে যাবে। কী করো, কী করো?"

স্ত্রীকে পাঁজা কোলে করে রুমে যেতে যেতে আচ্ছন্ন স্বরে বলতে লাগলাম, "ভালোবাসি এষা। ভালোবাসি।"

পরদিন ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার বললেন, "এখনো তো এক মাস পার হয় নি।"

হেসে বললাম, "সমস্যা দূর হয়ে গেছে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি কেনো পুরুষেরা স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে? অতীতের ভুল আর কখনো করবো না।"

ডাক্তার বললেন, "স্বাগতম আপনাকে। আপনার সংসারের জন্য আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।"

ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে খুশিয়াল গলায় বললাম, "ধন্যবাদ আল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।"

14/11/2024

যে তোমাকে সময় দিলো, সে তোমাকে তার জীবনের একটি অংশ দিয়ে দিলো'। গাছের চারার মাঝে যেমন ঠিক মত জল না দিলে গাছ মরে যায়, তেমন করে সময় না দিলে যে-কোন সম্পর্কেরই রঙ হারিয়ে যায়।

মানুষ টাকা দিয়ে কিনে দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারে, কিন্তু সময় দেয় না। অথচ মানুষ জানে না সময়ের চেয়ে মূল্যবান উপহার আর কিছু হতে পারে না।

তোমাকে আমি সময় দিচ্ছি মানে তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, সবার আগে তুমি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাস্ততা তো থাকেই, তবুও ব্যাস্ততার মাঝেও তোমাকে একটা টেক্সট অথবা কল দিয়ে দুপুরে খেয়েছো কী না জিজ্ঞেস করার মানে, আমি আছি। অহেতুক যে কোন ব্যাপার নিয়ে তোমার সাথে অনেক সময় ধরে গল্প করার মানে হলো, তুমি আশে-পাশে থাকলে আমার ভালো লাগে।

সময়ের চেয়ে সেরা উপহার আর কিছু নেই। যে মানুষটা আমাদের কাছে সেরা, তাকে দিতেও হয় সেরা উপহার। সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ, এই সময়ের অভাবে কত সম্পর্ক ভেঙে টুকরো টুকরো হতে দেখেছি হিসাব নেই। কত বিশ্বাসের ঘরে তৃতীয় ব্যাক্তি সুঁই হয়ে ঢুকে কুড়োল হয়ে সম্পর্কের বুক ছিড়েখুঁড়ে বেরিয়ে গেছে বলে শেষ করা যাবে না।

সময় হলো সিমেন্ট বালুর মতো, প্রয়োজনের
চেয়ে কম দিলে ' সম্পর্ক' ভেঙেচুরে ধসে যায়।

21/10/2024

সস্তা জিনিসের খরিদ্দার বেশি,
ব্যক্তিত্বহীন মানুষের বন্ধু বেশি,
প্রতিবাদী মানুষের শত্রু বেশি, মিথ্যাবাদী মানুষের মুখে মধু বেশি।

20/10/2024

বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে দূর করে দিন,
তাহলে আপনি সতেজতা অনুভব করবেন।❤️

পৃথিবীতে দুই জাতীয় লোক আছে….যারা নিজেদের কাজের বিবরণ এই ভাবে দেন…..১ম শ্রেনীঃ মাছ ভেজেছি..২য় শ্রেনীঃ ফ্রিজ থেকে মাছ বের ...
06/10/2024

পৃথিবীতে দুই জাতীয় লোক আছে….যারা নিজেদের কাজের বিবরণ এই ভাবে দেন…..

১ম শ্রেনীঃ মাছ ভেজেছি..

২য় শ্রেনীঃ ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে দেখি জমে বরফ হয়ে আছে…! প্যাকেট শুদ্ধ কলের তলায় রেখে আল্লাহকে বললাম, আল্লাহ দেখো যেনো সবাইকে ঠিক সময় মতো মাছ ভাজা পাতে দিতে পারি…!!
অনেক কষ্টে প্যাকেট থেকে মাছ ছাড়িয়ে বড় বাটিতে জল দিয়ে রাখলাম… তারপর লবন দিয়ে চটকে চটকে ঘষে ঘষে ধুলাম…. তারপর হলুদ দিয়ে মেখে পাশে রেখে তেল গরম বসালাম… অল্প আঁচে আস্তে আস্তে সববব গুলো মাছ কড়া করে ভেজে সুন্দর করে প্লেটে তুললাম… তোমারা খুশি মনে গরম গরম ভাজা খাবা…. তোমাদের জন্য তো আমি আমার কলিজাও ভেজে ফেলত পারি, মাছ তো কোনো ব্যাপারই না.. 😬

উপরের লেখা দুটো বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে দুজনেই সমান কাজ করেছেন… 🤔
কিন্তু….
বেশি বকবক করতে না পারার কারনে প্রথম শ্রেনীর লোকেদের কাজ সব সময় আন্ডার রেটেড থাকে 🫤
আর দ্বিতীয় শ্রেনীর লোকেরা “কম্মা” লোকের খেতাব পায়….

কাউকে ক্ষমা করে মহৎ হয়ে যাও,কিন্তু দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করে বোকা হইও না।
29/09/2024

কাউকে ক্ষমা করে মহৎ হয়ে যাও,
কিন্তু দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করে বোকা হইও না।

26/09/2024

সৈরাচার এখন উপজাতি হিসাবে ফিরে আসতে চাইছে, ঘাবড়ানোর কিছুই যাই।
শুধু শকহাতে দমন করতে হবে

আমার ঘরের সব ঘন-কালোযেন আঁধারী ভুবনঘরের ভেতর ঘর তুলে রেখেআজ বন্ধ এই মনশুধু অপেক্ষায়কবে জোছনা আসবে?
17/09/2024

আমার ঘরের সব ঘন-কালো
যেন আঁধারী ভুবন
ঘরের ভেতর ঘর তুলে রেখে
আজ বন্ধ এই মন
শুধু অপেক্ষায়
কবে জোছনা আসবে?

11/09/2024

ডিভোর্স এখন মানুষ ডালভাত/পান্তাভাতের মত বানিয়ে ফেলেছে।
নারী কথা বোঝেনা!লাগাও ডিভোর্স।
পুরুষ কেয়ার করেনা!!লাগাও ডিভোর্স।

অথচ এই নারী-পুরুষেরাই দ্বিতীয় বিয়ের পর পার্টনারের প্রতি ১০গুন বেশি সচেতন হয়ে যায়।
সবসময় সতর্ক থাকে--"এডজাস্টমেন্টে যেনো কোনো ঘাটতি না হয় 🙃।"

প্রথম বিয়েতে কত কত চাহিদা!!
ছেলে টাকাওয়ালা হওয়া চাই,মেয়ে রূপবতী হওয়া চাই,,
আর পরেরবার--"জাস্ট একটা মানবশরীর পেলেই হলো।বাকিটা এডজাস্ট করে নিবো 🙂।"
কি??তাইতো??
অতএব এক্সপেক্টশন কমান,,
আজকে এক সম্পর্কে যত এক্সপেক্ট করবেন,কাল আরেকটা সম্পর্কে গিয়ে তত এডজাস্ট করতে হতে পারে।
মানুষ তো বলবেই,এ ভালোনা,বাদ দেন,ও ভালোনা বাদ দেন,,মাঝ সমুদ্রে যে পরে সে-ই বুঝতে পারে ভেসে থাকার মত খড়কুটোর মূল্য কত।

Address

Road 2
Dhaka
DHAKA

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Maisura Mehreen Ayra posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category