22/05/2025
ছেলেরা সাধারণত ১৫-১৭ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে পূর্ণতা পায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে তা আরও আগেই ঘটে। কিন্তু আমরা কি তখনই তাদের স্বাভাবিক জীবন, সম্পর্ক বা বিয়ের স্বাধীনতা দেই? আমি আব্দুল্লাহ শেখ সিরাজী , তো চলো আজ একটু ভিন্ন টপিকে কথা বলি।
না ভাই, বরং আমরা বলি—
“এখন পড়ো, তারপর ভালো জব করো, তারপর বিয়ে করো।”
আর এই ‘তারপর’-এর যাত্রায় একজন ছেলের বয়স হয়ে যায় ৩২–৩৫।
এই সময় পর্যন্ত সে কি করবে?
নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?
নিজের ভেতরের আগুন দাঁতে কামড়ে নেভাবে?
এটা কি বাস্তবতা অনুযায়ী সম্ভব?
★ সমাজ যা বলছে, আর বাস্তবতা যা ঘটছে—দুটো এক নয়
আমরা বলি, মদ হারাম—কিন্তু খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন ভরপুর।
আমরা বলি, প্রেম-ভালোবাসা ঠিক না, অথচ সারাদেশের রেস্টুরেন্টগুলোর ছোট ছোট রুম, পার্কের ভেতর সব দর্শনীয় স্থান গুলো আমাদের অন্য কথা মনে করিয়ে দেয়—“সমাজ জানে কী হচ্ছে, তবুও চুপচাপ মেনে নেয়।”
কারণ সমাজ জানে—“মানুষ পাথর না, তাদের শরীরেরও ক্ষুধা আছে।”
★ তাহলে প্রশ্ন হলো—বিয়ে দেরিতে কেন?
ইসলাম বলে—“সাবালক হলেই বিয়ে করো।”
কিন্তু আমাদের সমাজ বলে—
“পাত্র যদি ভালো চাকরি না করে, তাহলে বিয়ে দিতে পারব না।”
এই দ্বিচারিতা কোথা থেকে আসে?
একদিকে ইসলাম মানি, হালাল খাবার খাই, রোজা রাখি…
কিন্তু যখন বিয়ের কথা আসে, তখন বলি—
“বউকে খাওয়াবি কী?”
ভাই, বউ তো হাতি না—যে ১০ কেজি বিচুলি খাবে প্রতিদিন।
তাকে লাগে মানসিক সাপোর্ট, ভালোবাসা, সম্মান—যা টাকায় হয় না, হয় বিশ্বাস আর দায়িত্ববোধে।
★ বিয়ের বয়স ও ক্যারিয়ারের বাস্তব ফাঁদ
একজন ছেলে যদি ১৭ বছর বয়সে যৌনভাবে পূর্ণতা পায়, আর ৩২ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করে, তাহলে মাঝের ১৫ বছর সে কোথায় যাবে?
প্রেম করবে,
রেস্টুরেন্টের প্রাইভেট রুম খুঁজবে,
পার্কে গিয়ে প্রেমিকার শরীরে হাত রাখবে,
কিংবা চুপচাপ ঘরে বসে মনোবেদনায় জ্বলবে…
তার মানে কি সে নীতিহীন?
না!
সে স্বাভাবিক মানুষ, যার মধ্যে চাহিদা আছে।
সমস্যা সেই চাহিদায় নয়—সমস্যা সমাজের ভণ্ড মানসিকতায়।
★মেয়ে পক্ষের 'প্রতিষ্ঠা' মানেই ছেলের বিসিএস!
তুমি যদি আজকের কোনো সফল ব্যবসায়ীর জীবনী পড়ো—দেখবে, তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছেন ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে।
তাহলে কি ততদিন কেউ অপেক্ষা করবে?
বাস্তবতা হলো—জীবনের অনেক দরজাই বন্ধ হয়ে যায়, যতক্ষণ আমরা “ঠিক সময়ে বিয়ে” কথাটা বুঝতে না শিখি।
★ ইসলাম যা বলেছে, তা কি আমরা মানি?