
01/08/2025
দলবদলের নেশায় রায়হান,দিনশেষে শূন্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার !
সিলেটের স্থানীয় রাজনীতিতে এক সময় নিজেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা দাবি করতেন সাবেক কাউন্সিলর রায়হান। তবে চলমান সময়ের ঘটনাপ্রবাহে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন ব্যর্থ রাজনৈতিক ‘টাইমিং’-এর প্রতীক।
গত ৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার হয়। তার মধ্যে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দ্রুত বাদীকে ম্যানেজ করে মামলা থেকে রক্ষা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। একাধিক এফিডেভিট করেও বাদীর আপত্তি থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মামলার পর থেকেই রায়হান রাজনৈতিক আশ্রয় খোঁজার উদ্দেশ্যে দলবদলের দৌড়ে নামেন।
পরে বিএনপিতে যোগদানের জন্য তিনি দলের প্রভাবশালী নেতা মালেক সাহেবের শরণাপন্ন হন। কিন্তু মালেক সাহেব জানতে পারেন, রায়হান ইতিমধ্যে পরিবারসহ আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। অতএব, সেই পথও বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর রায়হান বিএনপির অন্যতম নারী নেত্রী বেগম ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। ঘোষণাপত্র নেওয়ার জন্য লিলু মিয়ার মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌঁছান রায়হান, কিন্তু এবারও ব্যর্থতার মুখে পড়তে হয় তাকে।
সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে রায়হান ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-তে ঢোকার কৌশল নেয়। তিনি খবর পান, এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা পানসি রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেন। সেখানে আগেভাগেই হাজির হয়ে রায়হান ছবি তোলেন তাসনিম জারার সঙ্গে। পরে এনসিপির পক্ষ থেকে সুরমার ডাক এর মাধ্যমে জানানো হয়, তাসনিম জারা রায়হানকে চিনেন না এবং শুধুমাত্র ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া মানেই রাজনৈতিক স্বীকৃতি নয়।
তাসনিম স্পষ্টভাবে জানান, “রাজনৈতিক কারণেই অনেকে ছবি তুলতে পারেন। কিন্তু কেউ যদি সেই ছবি ব্যবহার করে দলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক দেখাতে চায়, তা ডেভিলি চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। রায়হানের মতো ডেভিলদের এনসিপিতে কোনো স্থান হবে না — এটা সবাই নিশ্চিত থাকতে পারেন।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘন ঘন রঙ বদল করে সুযোগ খোঁজার এই প্রবণতা রায়হানকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্লেষকদের মতে, “রাজনীতি কেবল সুযোগ নেওয়ার জায়গা নয়, দায়বদ্ধতা ও আদর্শের প্রশ্নেও সৎ থাকা জরুরি।”
© Surmar Dak। সুরমার ডাক। Surmar Dak | সুরমার ডাক
#সুরমারডাক #দৈনিকসুরমারডাক #সিলেট #আওয়ামীলীগ
#এনসিপি