23/07/2025
🍼 ৬–১২ মাস বয়সী শিশুর ওজন বাড়ানোর খাবারের টিপস
✅ ১. বুকের দুধ
এখনও প্রধান পুষ্টির উৎস, দিনে অন্তত ৩–৫ বার দিন।
যত বেশি সম্ভব সময় দিন, কারণ এতে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে।
🍚 ২. পুষ্টিকর ও ক্যালোরি-সমৃদ্ধ খাবার
খাবার উপকারিতা
🥣 সুজি/সেমাই/ওটস দুধ দিয়ে রান্না করে ক্যালরি বাড়ান
🥔 আলু ও মিষ্টি আলু সহজে হজম হয়, ওজন বাড়াতে সহায়তা করে
🍌 কলা (পাকা) শক্তি ও ক্যালরি সরবরাহ করে
🥚 ডিমের কুসুম প্রোটিন, আয়রন ও ফ্যাট
🐟 মাছ ও মুরগি (চটানো) চর্বি ও প্রোটিন
🍚 খিচুড়ি চাল, ডাল, সবজি, মাঝে মাঝে ঘি দিয়ে পুষ্টিকর করে তুলুন
🧈 ঘি/মাখন (সল্পমাত্রায়) ক্যালরি বাড়ায়, খাবারে ১/২ চা চামচ মেশানো যায়
🍠 সবজি + ডাল + চাল মিশিয়ে স্যুপ/পেস্ট প্রচুর পুষ্টি ও ফাইবার
🍓 ৩. ফল ও দই:
পাকা আম, পেঁপে, কলা, আপেল (চটকে)
টক দই (ঘরে বানানো): হজমে সহায়তা করে ও ওজন বাড়ায়
✅ ৪. নিয়মিত রুটিনে খাওয়ান:
🕐 উদাহরণ রুটিন (৮–১২ মাস):
সময় খাবার
সকাল ৮টা বুকের দুধ
সকাল ৯টা সুজি/সেমাই + কলা
দুপুর ১২টা খিচুড়ি + সবজি + মাছ
বিকেল ৩টা দই + পাকা আম
বিকেল ৫টা বুকের দুধ
রাত ৭টা নরম ভাত + ডিম কুসুম
রাত ৯টা বুকের দুধ
⚠️ যা থেকে সতর্ক থাকবেন:
অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়
গরুর দুধ, মধু, বাদাম — ১ বছরের আগে না দেওয়া ভালো
খাবার জোর করে নয়, ধীরে ধীরে পরিচিত করুন
---
🌟 টিপস:
সপ্তাহে ১–২ বার ওজন মাপুন
প্রতিটি নতুন খাবার ৩ দিন পর্যবেক্ষণ করুন
বাচ্চা যদি সক্রিয় থাকে, ঠিকমতো খায় ও নিয়মিত মলত্যাগ করে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই
---
আপনার যদি বাচ্চার সঠিক ওজন, বয়স বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা থাকে (যেমন খেতে না চাওয়া, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি), জানালে তার ভিত্তিতে আরও নির্দিষ্ট পরামর্শ দিতে পারি। 👶💬