08/08/2025
পল্লবীতে মাদকসহ ২জন আটকের পর পরিকল্পিতভাবে ৪জনকে আসামী করায় স্থানীয়দের তীব্র ক্ষোভ!
স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর পল্লবী থানাধীন এলাকা থেকে ৩০ পিছ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। গ্রেফতাকৃতরা হলেন- মোঃ সাব্বির হোসেন (২৪) ও মোঃ রাকিব হোসেন(২৯)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (গত ৭ আগস্ট) রাত অনুমান সোয়া ১২টার সময় পল্লবী থানার ১১ নাম্বার সেকশনের বি ব্লকের ২২ নাম্বার রোডে তালাব ক্যাম্প সংলগ্ন গণ সৌচাগারের সামনে পাকা রাস্তার উপরে থেকে মাদক দ্রব্য সহ ২ জনকে আটকের পর ৪ জনের নামে মামলা করে পুলিশ।
পল্লবী থানার ১১ নাম্বার সেকশনের ০৩ নাম্বার এভিনিউ ২২ নাম্বার লাইনের ১০ নাম্বার বাড়ির শাহজাহান আলীর ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন এবং মিল্লাত ক্যাম্পের বি ব্লকের ২২ নাম্বার রোডে ১০ নাম্বার বাড়ির আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব হোসেনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য ইয়াবার ট্যাবলেট সহ আটক করে। উক্ত ঘটনায় পল্লবী থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা করা হয় (যাহার নং ১৯, তাং-০৭/০৮/২৫ইং)। মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ে গ্রেফতার হওয়া আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে। অভিযান চলাকালে পল্লবী থানাধীন মিল্লাত ক্যাম্পের ১১ নাম্বার সেকশনের খলিল সরদারের মেয়ে জলি রাজিয়া (৫২) এবং খলিল সরদারের ছেলের রুস্তম (৩৫) কে আটককৃত আসামিদের কে সহায়তায় বিভিন্ন স্থান হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে, বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে বলে তারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়ার মর্মে উক্ত মামলায় আসামী করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ই আগস্ট সন্ধ্যা সময় মিল্লাত ক্যাম্পের ১১ নাম্বার সেকশনের খলিল সরদারের মেয়ে জলি রাজিয়া রুমে প্রবেশ করে- মিল্লাত ক্যাম্পের ২২ নাম্বার লাইনে ১০ নাম্বার বাড়ির শাহজাহানের ছেলে সাব্বির হোসেন একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। ওইদিন রাত প্রায় ৯টার সময় মোবাইল চুরির অপরাধে খলিল সরদারের ছেলে রুস্তম তাৎক্ষণিক সাব্বির হোসেনকে মারধর শুরু করলে, এক পর্যায়ে সাব্বির হোসেনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি হওয়া উক্ত মোবাইলটি রাকিব হোসেনের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই শত্রুতার জের ধরে ইয়াবা নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হওয়া সাব্বির হোসেন এবং রাকিব হোসেম উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং পরিকল্পিতভাবে জলি রাজিয়া এবং রুস্তম জেল খাটানোর জন্য, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের নাম প্রকাশ করে, তাদেরকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে মামলা আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে খলিল সরদারের পারিবারিক সূত্র জানায়, সাব্বির হোসেন এবং রাকিব হোসেন এলাকা চিহ্নিত নেশাগ্রস্ত চোর প্রকৃতির লোক। তারা দিনরাত চুরি চিনতাই করে নেশার টাকা সংগ্রহ করে। নিজেদের অপরাধে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর, এখন তারা পরিকল্পিতভাবে রুস্তম এবং জলি রাজিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পুলিশের কাছে প্রকাশ মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে। এ বিষয় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিরাপরাধ লোককে আসামী করা মামলাটি তদন্তকালে উক্ত বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয়রা স্থানীয়দের তীব্র ক্ষোভ পরকাশ করেছেন।