18/02/2023
ইরানের একটা ছোট গ্রাম। ওখানে চলে সুরাইয়ার সংসার। স্বামী দুই কন্যা আর দুই পুত্র সন্তান। স্বামীর হঠাৎ নজর পড়ে ১৪ বছর বয়সে কিশোরীর ওপর, তাকে বিয়ে করার আকাঙ্ক্ষা মাথায় চাপে। একটি থাকতে আরেকটা বিয়ে করা ঝামেলা, খরচপাতি বেশি। তখন স্বামী ফন্দি আটে গ্রামের সর্দারের সাথে বোঝাপড়া করে। এবং নিজের স্ত্রীর নামে রটিয়ে দেয় গুজব। গুজবটি হল স্ত্রীর একটা অবৈধ সম্পর্ক আছে। গুজব শক্তিশালী করার জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে সাক্ষী যোগাড় করে। প্রমাণিত হয় নিয়ম অনুযায়ী সুরাইয়া কে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুটা ভয়ানক সুরাইয়ার হাত পা বাধা হয়, গর্ত করে কোমর পর্যন্ত পোতা হয় তাকে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে চারপাশ। তারপর দূর থেকে পাথর ছোড়া হয় শরীরের উদ্দেশ্য করে। নিয়ম অনুযায়ী সর্বপ্রথম পাথর নিক্ষেপ করতে হবে বাবাকে। বাবার অনিচ্ছায় সত্য সকলের সামনে পাথর মারতে হয়। তারপর এক এক করে সবাই পাথর মারে। এমন কি তার সন্তানদেরকে পাথর মারতে হয়।সন্তানরা পাথর মারতে চাইনি, পুত্রকেও জোর করে পাথর ছুটতে বাধ্য করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে অনর্গল পাথর ছোড়ার পর সুরাইয়ার চারপাশের মাঠ লাল হয়ে আসে। ছিটে ছিটে রক্ত পড়ে শরীরের। নাড়াচাড়া বন্ধ হয়, তখন স্বামী উপর হয়ে পড়ে থাকা সুরিয়া রক্তাক্ত মুখের দিকে তাকিয়ে পরীক্ষা করে সে বেঁচে আছে কিনা। সুরাইয়া চোখ খুলা ছিল তখনও মরেনি বুঝতে পেরে স্বামী সহ গ্রামের সবাই মিলে আশপাশে পড়ে থাকা রক্তাক্ত পাথর কুড়িয়ে নিয়ে পুনরায় ছুটতে শুরু করে। বলছি ইরানের এক মধ্য বয়সে নারীকে পুরো গ্রাম পাথর ছুড়ে মেরে ফেলেছিল শুধুমাত্র একটা অপবাদ শুনে, যে অপবাদের এক ছটাক সত্যতা ও ছিল না। সেই ঘটনার বাস্তবিক একটা বই লেখা হয়। সেই বই ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার হয় ২০০৮ সালে এই বইটি স্কিনে আনা হয় প্রথমবার একটা সিনেমা বানানো হয়। নাম দ্য স্টোনিং অফ সুরাইয়া এম
আজ আমার ওদের জানাতে ইচ্ছে করল সারা গা আবৃত করে চলাফেরা করা একটা দেশে এক মত হয়ে নারীকে পুরো গ্রাম পাথর ছুড়ে ছুড়ে মেরে ফেলেছ। এই মিথ্যা অপবাদের এক টুকরো সত্যতা নে।
বিঃদ্রঃ আল্লাহতালা হচ্ছে সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। আল্লাহতালা আপনার জীবনের জন্য যাকে দিয়েছেন তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। যেটা আপনার ভাগ্যে ছিল না সেটা কখনোই আপনার না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে নিশ্চয়ই আল্লাহ এর প্রতিফলন দিবেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ভরসা করো সেই জীবিত সত্ত্বার (আল্লাহর) ওপর, যিনি কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না। ’ -সূরা ফুরকান: ৫৮