05/04/2024
কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের শাহনাজ আক্তার শিমু হত্যার রহস্য উদঘাটন।
সূত্রঃ-কাপসিয়া থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-০২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
ভাই কর্তৃক বোনকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ
বাদী মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী (৭৩) কাপাসিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার মেয়ে শাহনাজ বেগম শিমু (৩৯)কে বিগত ১৬ বৎসর পূর্বে মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫)এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ দেন। বাদীর মেয়ের জামাতা দক্ষিণ কোরিয়াতে বসবাস করে। ভিকটিম শাহনাজ বেগম শিমু তার স্বামীর বাড়ীতে ১তলা বিল্ডিংয়ের উত্তর পশ্চিম শয়ন কক্ষে একাই ঘুমাত। রান্না ঘরের সাথে বিল্ডিয়ের দরজা সংযুক্ত আছে। প্রতিবেশী তাইজ উদ্দিন (৫০) মাঝে মধ্যে বাদীর মেয়ের বাজার করে দিত। ইং ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের গেইটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর উত্তর পাশের জানালা দিয়ে দেখতে পায় যে, বাদীর মেয়ের হাত,পা বাধাঁ অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে। তখন তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের জ্যাঁ শাহনাজ পারভীনকে ডাক দিলে তারা দুইজনে বাড়ীর দক্ষিণ পাশে^র খোলা দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত, পা, রশি ও ওড়না এবং গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাদী ও তার স্ত্রীকে জানায়। সংবাদ পেয়ে থানা হতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীর মেয়ের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃত দেহ ময়না তদন্ত করার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী বা দুস্কৃতিকারীরা গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকা হতে ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় বাদীর মেয়ের বসত ঘরের রান্না ঘরের চালের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগ সাজসে হাত,পা, মুখ রশি ও গামছা দিয়ে বেধেঁ শাস রোধ করে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বর্ণনাঃ কাপাসিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তকালীন সময় থানা পলিশের পাশাপাশি পিবিআই গাজীপুর মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী ১। মোঃ কামরুজ্জামান রুবেলকে পিবিআই গাজীপুর এর পুলিশ সদস্যরা জিএমপি গাছা থানা এলাকা হইতে গত ০৪/০৪/০২০২৪ খ্রিঃ বিকাল ১৫.২০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে। আসামী রুবেল মিয়ার স্বীকারোক্তি মতে সহযোগী অপর আসামী ২। মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১), পিতা- আস্কর আলী,মাতা- মিনা বেগম, সাং- মামদা বাড়ী,থানা- শ্রীবরদী, জেলা- শেরপুর, বর্তমানে- উত্তরা হেলাল মার্কেট কামালের বাড়ীর ভাড়াটে, থানা- উত্তরা, ঢাকাকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে । মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত হওয়ায় পিবিআই গাজীপুর জেলা মামলাটি অধিগ্রহন করেন।
আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়ঃ
আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) পিতা- মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী, মাতা- মৃত কোহিনুর বেগম, সাং- কুলগঙ্গা, থানা- কাপাসিয়া, জেলা- গাজীপুর একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করত। ঘটনার পাঁচ মাস পূর্বে আসামী রুবেল হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার কারনে সে অর্থনৈতিক সংকটে পরে। আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋন করে। আসামী রুবেল ঋনের টাকা কোন ভাবেই পরিশোধ করতে না পারায় তার বোন শাহনাজ আক্তার সিমুর বাসা হতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করার চিন্তা করে। ঘটনার দুই দিন আগে আসামী রুবেল তার পূর্বে আসামী মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকাল বেলা মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে আসামী রুবেল ও মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার একটি ব্যাগের মধ্যে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে করে শ্রীপুর যায়। তারা শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় সিংহশ্রী ব্রীজে পৌঁছায়। সিংহশ্রী ব্রীজ হতে তারা পায়ে হেটে আসামী রুবেল এর বোন ভিকটিম শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ীর সামনে গেন্ডারী ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। রাত অনুমান ১২.০০ ঘটিকার পর আসামীরা ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রান্না ঘর হতে দরজা খুলে বাহিরে এসে বাড়ীর পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিতরের সিটকারী খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। শিমুল আসামীদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রথমে আসামী মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবা চিৎকার বন্ধ কর। এর পরও শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে গামছা দিয়ে মিশুলের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে ঘরের ভিতরে ভিকটিমের রুমে যায়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু আসামীদের দেখে চিৎকার দিলে আসামী মিষ্টার গামছা দিয়ে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। হাত বাধার সময় ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আচড় লেগে আসামী রুবেল এর বাম ও ডান হাতে জখম হয়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু যাতে আসামী রুবেলকে চিনতে না পারে সেজন্য ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। আসামী মিষ্টারের সাথে ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি শুরু করলে আসামী মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর বুকের উপর বসে গলায় চেপে ধরে। আসামী রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ ৩,০০০/-টাকা এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। আসামী রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেধে বাড়ীর পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। পরের দিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে ঝাজর ব্রীজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ন ১,৫০,০০০/-টাকা বিক্রি করে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫৭,০০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি প্লাস, সুইজ গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত মোবাইল সেটের খন্ডিত অংশ জাজর কবরস্থান ব্রীজের নীচে খাল হতে উদ্ধারসহ তার সহযোগী আসামী মিষ্টারকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। স্বর্ন বিক্রির অবশিষ্ট টাকা ও স্বর্ন উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে। অদ্য ০৫/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আসামীদ্বয় স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ঃ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ সালেহ ইমরান. বিপিএম, পিবিআই গাজীপুর জেলা, মোবাইল নং-০১৭১৩২৬২৬২৮
তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ, পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম।-অবশেষে খুনী গ্রেফতার..। ধন্যবাদ প্রশাসন কে।
সূত্রঃ-কাপসিয়া থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-০২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
ভাই কর্তৃক বোনকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ
বাদী মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী (৭৩) কাপাসিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার মেয়ে শাহনাজ বেগম শিমু (৩৯)কে বিগত ১৬ বৎসর পূর্বে মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫)এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ দেন। বাদীর মেয়ের জামাতা দক্ষিণ কোরিয়াতে বসবাস করে। ভিকটিম শাহনাজ বেগম শিমু তার স্বামীর বাড়ীতে ১তলা বিল্ডিংয়ের উত্তর পশ্চিম শয়ন কক্ষে একাই ঘুমাত। রান্না ঘরের সাথে বিল্ডিয়ের দরজা সংযুক্ত আছে। প্রতিবেশী তাইজ উদ্দিন (৫০) মাঝে মধ্যে বাদীর মেয়ের বাজার করে দিত। ইং ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের গেইটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর উত্তর পাশের জানালা দিয়ে দেখতে পায় যে, বাদীর মেয়ের হাত,পা বাধাঁ অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে। তখন তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের জ্যাঁ শাহনাজ পারভীনকে ডাক দিলে তারা দুইজনে বাড়ীর দক্ষিণ পাশে^র খোলা দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত, পা, রশি ও ওড়না এবং গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাদী ও তার স্ত্রীকে জানায়। সংবাদ পেয়ে থানা হতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীর মেয়ের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃত দেহ ময়না তদন্ত করার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী বা দুস্কৃতিকারীরা গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকা হতে ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় বাদীর মেয়ের বসত ঘরের রান্না ঘরের চালের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগ সাজসে হাত,পা, মুখ রশি ও গামছা দিয়ে বেধেঁ শাস রোধ করে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বর্ণনাঃ কাপাসিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তকালীন সময় থানা পলিশের পাশাপাশি পিবিআই গাজীপুর মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী ১। মোঃ কামরুজ্জামান রুবেলকে পিবিআই গাজীপুর এর পুলিশ সদস্যরা জিএমপি গাছা থানা এলাকা হইতে গত ০৪/০৪/০২০২৪ খ্রিঃ বিকাল ১৫.২০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে। আসামী রুবেল মিয়ার স্বীকারোক্তি মতে সহযোগী অপর আসামী ২। মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১), পিতা- আস্কর আলী,মাতা- মিনা বেগম, সাং- মামদা বাড়ী,থানা- শ্রীবরদী, জেলা- শেরপুর, বর্তমানে- উত্তরা হেলাল মার্কেট কামালের বাড়ীর ভাড়াটে, থানা- উত্তরা, ঢাকাকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে । মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত হওয়ায় পিবিআই গাজীপুর জেলা মামলাটি অধিগ্রহন করেন।
আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়ঃ
আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) পিতা- মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী, মাতা- মৃত কোহিনুর বেগম, সাং- কুলগঙ্গা, থানা- কাপাসিয়া, জেলা- গাজীপুর একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করত। ঘটনার পাঁচ মাস পূর্বে আসামী রুবেল হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার কারনে সে অর্থনৈতিক সংকটে পরে। আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋন করে। আসামী রুবেল ঋনের টাকা কোন ভাবেই পরিশোধ করতে না পারায় তার বোন শাহনাজ আক্তার সিমুর বাসা হতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করার চিন্তা করে। ঘটনার দুই দিন আগে আসামী রুবেল তার পূর্বে আসামী মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকাল বেলা মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে আসামী রুবেল ও মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার একটি ব্যাগের মধ্যে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে করে শ্রীপুর যায়। তারা শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় সিংহশ্রী ব্রীজে পৌঁছায়। সিংহশ্রী ব্রীজ হতে তারা পায়ে হেটে আসামী রুবেল এর বোন ভিকটিম শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ীর সামনে গেন্ডারী ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। রাত অনুমান ১২.০০ ঘটিকার পর আসামীরা ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রান্না ঘর হতে দরজা খুলে বাহিরে এসে বাড়ীর পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিতরের সিটকারী খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। শিমুল আসামীদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রথমে আসামী মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবা চিৎকার বন্ধ কর। এর পরও শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে গামছা দিয়ে মিশুলের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে ঘরের ভিতরে ভিকটিমের রুমে যায়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু আসামীদের দেখে চিৎকার দিলে আসামী মিষ্টার গামছা দিয়ে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। হাত বাধার সময় ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আচড় লেগে আসামী রুবেল এর বাম ও ডান হাতে জখম হয়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু যাতে আসামী রুবেলকে চিনতে না পারে সেজন্য ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। আসামী মিষ্টারের সাথে ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি শুরু করলে আসামী মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর বুকের উপর বসে গলায় চেপে ধরে। আসামী রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ ৩,০০০/-টাকা এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। আসামী রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেধে বাড়ীর পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। পরের দিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে ঝাজর ব্রীজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ন ১,৫০,০০০/-টাকা বিক্রি করে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫৭,০০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি প্লাস, সুইজ গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত মোবাইল সেটের খন্ডিত অংশ জাজর কবরস্থান ব্রীজের নীচে খাল হতে উদ্ধারসহ তার সহযোগী আসামী মিষ্টারকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। স্বর্ন বিক্রির অবশিষ্ট টাকা ও স্বর্ন উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে। অদ্য ০৫/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আসামীদ্বয় স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ঃ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ সালেহ ইমরান. বিপিএম, পিবিআই গাজীপুর জেলা, মোবাইল নং-০১৭১৩২৬২৬২৮
তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ, পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম।