Manzel-মানজিল

  • Home
  • Manzel-মানজিল

Manzel-মানজিল Best Islamic Product Shop

09/08/2025

সময়কে কাজে লাগান..

ইবনুল জাওযী রহ. বলেন, “ কখনো মানুষ সুস্থ থাকে, কিন্তু অবসর থাকে না; জীবিকা নির্বাহে থাকে ব্যস্ত। আবার কখনো সে অবসর থাকে, কিন্তু সুস্থ থাকে না; অসুস্থতায় হয়ে পড়ে শয্যাশ্রিত। যদি কখনো তার মাঝে উভয়টি একত্র হয়, কিন্তু আল্লাহর আনুগত্যের ব্যাপারে অলসতা তার উপর প্রবল হয় তাহলে তাকে প্রতারিত ও প্রবঞ্চিত ছাড়া আর কী-ই-বা বলা হবে। ”

দুনিয়া হল আখেরাতের শস্যক্ষেত্র ও ব্যবসাকেন্দ্র। এখানে যা আবাদ করা হবে তার ফসল আখেরাতে পাওয়া যাবে। এখানে যে ব্যবসা করা হবে তার লাভ অবশ্যই পরকালে ভোগ করা যাবে। সুতরাং যে সুস্থতা ও অবসরকে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদত-বন্দেগীতে ব্যবহার করবে সে বড়ই ঈর্ষার পাত্র। আর যে ব্যক্তি তা ব্যবহার করবে আল্লাহর নাফরমানিতে, সে তো প্রতারিত। কেননা অবসরের পর ব্যস্ততা এবং সুস্থতার পর অসুস্থতা আসে। আর যদি অন্য কোন অসুস্থতা নাও দেখা দেয়, তবুও অবশেষে মৃত্যুসংবাদবাহী বার্ধক্য নামক অসুস্থতা তো অবশ্যই দেখা দিবে। সুতরাং সময় থাকতেই সতর্ক হও- হে প্রিয়।

[ মূল : মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি. ]

06/08/2025

ইমাম ইবনুল জাওযী (৫৯৭ হি.) বলেন :
وإذا رأيت كتابًا لم أره، فكأني وقعت على كنز.
"আমি যখন এমন কোনো কিতাব দেখি যা আগে কখনো দেখিনি, মনে হয় আমি যেন এক গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে গেছি।"
— সাইদুল খাতির, ইবনুল জাওযী (পৃষ্ঠা ৪৫৪)

05/08/2025

“কতজন আছে যারা তাওহীদের দাবিদার, অথচ তারা তাদের রবের সাথেই শিরক করছে!
আর কতজন বলে, ‘আমি আল্লাহর বান্দা’, অথচ বাস্তবে সে নিজ উদরের দাস—
সে নিজের প্রবৃত্তিকে অনুসরণ করে তার প্রতিপালকের অবাধ্য হয়।
সে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে বিক্রি করে দেয় এমন কারো সন্তুষ্টির বিনিময়ে, যে নিজেও তার মতোই একজন সৃষ্টি!

কত পার্থক্য একজন ভোগ-লালসার অনুসারীর মধ্যে—যে নিজের প্রবৃত্তিকেই উপাস্য বানিয়েছে,
আর সেই ব্যক্তির মধ্যে—যে তার রবের আদেশ পালন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়!”

📘 – ইমাম ইবনুল জওযী (রহি
আত-তাজকিরাহ ফিল ওয়াঈ'জ : পৃষ্ঠা ২৩

01/08/2025

মিক্বদাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, “কিয়ামতের দিন সূর্যকে সৃষ্টজীবের এত কাছে করে দেওয়া হবে যে, তার মধ্যে এবং সৃষ্টজীবের মধ্যে মাত্র এক মাইলের ব্যবধান থাকবে।” মিক্বদাদ থেকে বর্ণনাকার সুলাইম বিন আমের বলেন, আল্লাহর কসম! আমি জানিনা যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘মীল’ শব্দের কী অর্থ নিয়েছেন, যমীনের দূরত্ব (মাইল), নাকি (সুরমাদানীর) শলাকা যার দ্বারা চোখে সুরমা লাগানো হয়? “সুতরাং মানুষ নিজ নিজ আমল অনুযায়ী ঘামে ডুবতে থাকবে। তাদের মধ্যে কারো তার পায়ের গাঁট পর্যন্ত, কারো হাঁটু পর্যন্ত (ঘাম হবে) এবং তাদের মধ্যে কিছু এমন লোকও হবে যাদেরকে ঘাম লাগাম লাগিয়ে দেবে।” (অর্থাৎ, নাক পর্যন্ত ঘামে ডুববে।) এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মুখের দিকে ইশারা করলেন।

(মুসলিম ৭৩৮৫নং) (হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ২১৪,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

31/07/2025

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন:
"যখন কিয়ামতের দিন মানুষের সামনে তাদের আমলের প্রতিদান উন্মোচিত হবে, তখন তারা জিকির (আল্লাহর স্মরণ) থেকে উত্তম প্রতিদানসম্পন্ন কোনো আমল দেখবে না। তখন কিছু লোক আফসোস করে বলবে: 'আমাদের জন্য জিকিরের চেয়ে সহজ আর কিছুই ছিল না!'"
• ইবনুল কাইয়্যিম | আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যিব (১১১)

28/07/2025

আমি দুনিয়াবী কোনো বিষয়ে কাউকে কখনো হিংসা করিনি।
কারণ সে মানুষটা যদি জান্নাতবাসী হয়ে যায়, তাহলে দুনিয়াবী বিষয়ে কীভাবে তাকে আমি হিংসা করতে পারি যেখানে জান্নাতের তুলনায় দুনিয়া তুচ্ছ?!
আর যদি সে জাহান্নামবাসী হয়ে যায়, তাহলে দুনিয়াবী বিষয়ে কীভাবে তাকে হিংসা করতে পারি, যেহেতু সে জাহান্নামেই যাবে?!
= ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ)
[ইহয়া: ৩/১৮৯]

28/07/2025

আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ বান্দাহর প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাবার খায়, অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে অথবা পানি পান করে, অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে।” সহীহ মুসলিম ২৭৪৩

26/07/2025

যদি তোমরা সুদ থেকে বিরত না থাকো, তবে জেনে রাখো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যু.দ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
(সূরা আল-বাকারা ২:২৭৯)

26/07/2025

একটি সুস্থ ও পরিশুদ্ধ হৃদয় (القلب الصحيح) হলো সেই হৃদয়—

যার সমগ্র মনোযোগ আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ,
তার ভালোবাসা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য,
তার উদ্দেশ্য শুধুই আল্লাহর দিকে,
তার দেহ আল্লাহর জন্য,
তার কর্ম আল্লাহর জন্য,
তার ঘুম আল্লাহর জন্য,
তার জাগরণ আল্লাহর জন্য।

আল্লাহর আলোচনা তার কাছে সব ধরনের কথাবার্তার চেয়ে বেশি প্রিয়।
তার চিন্তাগুলো ঘুরে বেড়ায়—আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার ও তাঁর প্রিয় কাজগুলোর চারপাশে।
নির্জন অবস্থায় আল্লাহর সঙ্গে থাকাই তার কাছে মানুষের সঙ্গে মেলামেশার চেয়ে বেশি প্রিয়—
তবে একমাত্র সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, যেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি মেলে মানুষের সঙ্গে মেলামেশার মাধ্যমে।

আল্লাহর সান্নিধ্যই তার চোখের প্রশান্তি, তার আত্মার শান্তি এবং স্থিরতার উৎস।

তাই যখনই সে নিজের মধ্যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর দিকে ঝোঁক দেখতে পায়—
সে তখন নিজের মনে আল্লাহর এই বাণী উচ্চারণ করে:

يَا أَيَّتُهَا النّفْسُ المُطْمَئِنَّةُ
"হে প্রশান্ত আত্মা!"
ارْجِعِى إلى رَبِّكِ رَاضِيَة مَرْضِيَّةً
"তোমার প্রভুর দিকে ফিরে যাও—তুমি সন্তুষ্ট, এবং তিনিও তোমাতে সন্তুষ্ট।" [সূরা আল-ফজর: ২৭-২৮]

সে বারবার নিজেকে এই আহ্বান শোনায়, যেন এই শব্দগুলো কিয়ামতের দিন আল্লাহর পক্ষ থেকে শুনতে পায়—যেদিন তার সঙ্গে আল্লাহর সাক্ষাৎ হবে।

📘 উৎস:
إغاثة اللهفان في مصايد الشيطان
লেখক: ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ)

26/07/2025

“আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন তখন তাকে নিজের জন্য তৈরি করে নেন, তাকে নিজের মুহাব্বাতের জন্য বাছাই করেন, তাকে নিজের ইবাদাতের জন্য মুখলিস করে দেন, ফলে সে আল্লাহর জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়, তার জবান আল্লাহর যিকরে ব্যস্ত থাকে আর অঙ্গসমূহ আল্লাহর দ্বীনের খিদমতে ব্যস্ত থাকে।”

~ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম [রাহ.]
[আল ফাওয়াইদ, পৃ: ১৪৩]

11/07/2025
10/07/2025

শাইখ উসাইমিন (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
"যদি কোনো নারী থেকে লজ্জা দূর হয়ে যায়, তাহলে তার খারাপ পরিণতি সম্পর্কে আর জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই।"
'আস-সালফা' নারী কারা?
'আস-সালফা' নারী বলতে তাদের বোঝানো হয়, যারা পুরুষের সাথে সাহসিকতার সাথে কথা বলেন এবং তাদের সাথে এমনভাবে আচরণ করেন যেন তারা পুরুষদেরই একজন। তারা পুরুষের সাথে কথা বলার সময় কণ্ঠস্বর উঁচু করেন এবং তাদের সমকক্ষ একজন পুরুষের মতো আচরণ করেন।
'আল-খাররাজাহ আল-ওয়াল্লাজাহ' কে?
উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন: "সে (নারী) সালফা নয়, যে খুব বেশি বাইরে যায় না এবং ঘরেই থাকে।"
এর মানে হলো, যে নারী সামান্য প্রয়োজন বা তুচ্ছ কারণেও ঘন ঘন ঘরের বাইরে যান। এমন নারীর মধ্যে সাধারণত লজ্জার অভাব দেখা যায়।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর স্ত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন: "وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ" (আর তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থান করো)।
একটি বিশুদ্ধ কিরাত (পাঠ) অনুযায়ী: "وَقِرْنَ فِي بَيُوتِكُنَّ" (এবং তোমরা তোমাদের ঘরে স্থির থাকো)।
এই দুটি কিরাত থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ পাওয়া যায়:
১. নারীর মর্যাদা তার ঘরে থাকার মধ্যে নিহিত।
২. মর্যাদাপূর্ণ নারী তিনিই, যিনি বেশি সময় ঘরে থাকেন।
অন্যদিকে, 'আল-খাররাজাহ আল-ওয়াল্লাجاه' অর্থাৎ যে নারী সবসময় ঘরের বাইরে যান এবং ঘরে ফেরেন, তার থেকে সম্মান ও মর্যাদা কমে যায়। সে পুরুষদের সামনে আসে, তাদের উপর কণ্ঠস্বর উঁচু করে, তাদের সাথে কথা বলে, এমনকি হাতে ইঙ্গিত করে কাউকে বসতে বা যেতে বলে! যেন সে তাদেরই একজন পুরুষ সহকর্মী! এটা এক ধরনের অবক্ষয়।
সুতরাং, যে নারী বেশি বাইরে যান, তার থেকে সম্মান চলে যায়। আর যে নারী তার ঘরে অবস্থান করেন, তিনিই সম্মান ও মর্যাদার পূর্ণ অধিকারী হন।
এই বিষয়টি দুটি কিরাতে স্পষ্ট: "وَقَرْنَ" (অবস্থান করো) এবং "وَقِرْنَ فِي بَيُوتِكُنَّ" (তোমরা তোমাদের ঘরে স্থির থাকো)।
"قَرْنَ" শব্দটি 'আল-কারার' (স্থির থাকা বা অবস্থান করা) থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো, নারী ঘরে থাকবেন এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না।
সূত্র: মাজাল্লাত আদ-দা'ওয়াহ, সংখ্যা ১৭৬৫/ ৫৪

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Manzel-মানজিল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Manzel-মানজিল:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share