23/08/2024
আলহামদুলিল্লাহ, বন্যার পানি ধীরে ধীরে কিছু কিছু জায়গা থেকে নামতে শুরু করেছে, তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে আরও সময় লাগবে, কিন্তু আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতি বা আফটারম্যাথ। পানি নেমে যাওয়ার পরপরই দেখা দেবে নতুন সংকট—পরিস্কার পানি, খাদ্য, চিকিৎসা, এবং পুনর্বাসনের মতো জরুরি প্রয়োজনীয়তা।
আজকে একটি জিনিস দেখে বুঝতে পারলাম যে এমন স্বাধীনতাই আমরা চেয়েছিলাম, ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্যোগে সংগৃহীত ত্রাণ নিয়ে টিএসসিতে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের এক দিনের বেতন বন্যার্তদের দান করেছে, যা দেশের মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ ও মানবতার উদাহরণ। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কর্মচারীদের সাহায্য করতে উৎসাহিত করছে, এবং ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের সব স্তরের মানুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসছেন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, যাকে আমরা আমাদের দান করার জন্য এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য মনে করি, সেখানে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এই ফাউন্ডেশনের প্রতি মানুষের এবং মানুষদের প্রতি তাদের এতটা আস্থা এবং ভালোবাসা সত্যিই অকল্পনীয়! সবাই জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে যার যা কিছু আছে তা নিয়েই বন্যায় আক্রান্ত অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে ছুটে চলেছে।
ধর্ম, জাতি, বা বর্ণের পার্থক্য ভুলে দেশের মানুষ তাদের সঞ্চিত অর্থ অকাতরে দান করছেন। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সফলতা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরা এক হয়ে কাজ করলে দেশের জন্য অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি। আজ আমরা দেখছি, মানুষের এই ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
এইভাবে একতাবদ্ধ থাকলে, আমরা যে কোনো অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। আসুন, এক হয়ে কাজ করি এবং আমাদের এই ঐক্য ও সহানুভূতির ধারাকে অব্যাহত রাখি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে তাদের নতুন জীবন শুরু করার পথ প্রশস্ত করি এবং যে যেভাবে পারি ওই অসহায় বন্যার্ত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসি।