আলোকিত প্রকাশনী

আলোকিত প্রকাশনী আলোকিত প্রকাশনী।
সহীহ আক্বীদা মানহাজ ভিত্তিক বই প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

'সুতরা' সামনে রেখে সালাত আদায় করা:الصلاة إلى سترة : عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ...
23/11/2025

'সুতরা' সামনে রেখে সালাত আদায় করা:
الصلاة إلى سترة :
عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِذَا وَضَعَ أَحَدُكُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ مِثْلَ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ فَلْيُصَلِّ، وَلَا يُبَالِ مَنْ مَرَّ وَرَاءَ ذَلِكَ).
মুসা ইবনে ত্বালহা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ নিজের সামনে “বাহনের জিনের পিছনের কাঠের ন্যায়” কিছু রেখে নিয়ে সালাত আদায় করে তখন তার সম্মুখ দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে তার কোনো পরোয়া করার দরকার নেই। [মুসলিম: ৪৯৯]
* السترة هي: ما يجعله المصلي أمامه حين الصلاة، مثل: الجدار ، أو العمود، أو غيره.
* সুতরা হলো, যাকে সামনে করে বা সামনে রেখে মুসল্লী সালাত আদায় করে। যেমন, দেওয়াল অথবা কোনো কাঠ কিংবা অন্য কোনো জিনিস।

বইঃ ১০০ সুসাব্যস্ত সুন্নাত
অনুবাদ-সম্পাদনাঃ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

নারীদের চুল রঙিন করা এবং স্বর্ণ ও খেজাব ব্যবহার করার বিধান:ক. খেযাব বা মেহেদীর ব্যবহারইমাম নাওয়াওয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ...
22/11/2025

নারীদের চুল রঙিন করা এবং স্বর্ণ ও খেজাব ব্যবহার করার বিধান:

ক. খেযাব বা মেহেদীর ব্যবহার
ইমাম নাওয়াওয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “বিবাহিত নারীর দুই হাত ও দুই পা মেহেদী দ্বারা খেযাব করা মুস্তাহাব। কারণ, এ মর্মে অনেক প্রসিদ্ধ হাদীস রয়েছে”। প্রসিদ্ধ হাদীস দ্বারা তিনি আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসের দিকে ইঙ্গিত করেছেন:
أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، فَسَأَلَتْهَا عَنْ خِضَابِ الْحِنَّاءِ، فَقَالَتْ: «لَا بَأْسَ بِهِ، وَلَكِنْ أَكْرَهُهُ، كَانَ حَبِيبِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْرَهُ رِيحَهُ.
“জনৈকা নারী আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে এসে তাকে মেহেদীর খেযাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এতে সমস্যা নেই, তবে আমি তা পছন্দ করি না। কারণ, আমার হাবীব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পছন্দ করতেন না।”
আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَوْمَتْ امْرَأَةٌ مِنْ وَرَاءِ سِتْرٍ بِيَدِهَا، كِتَابٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَبَضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ، فَقَالَ: «مَا أَدْرِي أَيَدُ رَجُلٍ، أَمْ يَدُ امْرَأَةٍ؟» قَالَتْ: بَلِ امْرَأَةٌ، قَالَ: «لَوْ كُنْتِ امْرَأَةً لَغَيَّرْتِ أَظْفَارَكِ» يَعْنِي بِالْحِنَّاءِ.
“এক মহিলা পর্দার আড়াল থেকে একটি কিতাব হাতে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে বাড়িয়ে দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত গুটিয়ে নিয়ে বললেন: আমি বুঝতে পারছি না এটা কোনো পুরুষের হাত না কি নারীর হাত? সে বললো, বরং নারীর হাত। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন: তুমি নারী হলে অবশ্যই তোমার নখগুলো মেহেদীর রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে।” তবে এমন বস্তু দিয়ে রঙ করবে না, যা জমে যায় ও পবিত্রতা অর্জনে বাঁধা হয়।

খ. নারীর চুল রঙ্গিন করার বিধান
নারী যদি বৃদ্ধা হয়, তাহলে কালো ব্যতীত যেকোনো রঙ্গ দ্বারা তার চুল রঙ্গিন করা বৈধ। কারণ, কালো রঙ ব্যবহার করা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইমাম নাওয়াওয়ী রাহিমাহুল্লাহ ‘রিয়াদুস সালিহীন’ গ্রন্থে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন, যার শিরোনাম: “নারী ও পুরুষের চুলে কালো খেযাব ব্যবহার করা নিষেধ”। তিনি আল-মাজমু‘ গ্রন্থে বলেন, “নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য কালো খেযাব ব্যবহার করা নিষেধ, এতে কোনো পার্থক্য নেই। এটিই আমাদের মাযহাব”।
যুবতী নারীর কালো চুল অন্য রঙ দ্বারা রঙ্গিন করা আমার দৃষ্টিতে বৈধ নয়, তার কোনো প্রয়োজনও নেই। কারণ, চুলের ক্ষেত্রে কালোই সৌন্দর্য। চুলের কালো রঙ বিকৃতি নয় যে, পরিবর্তন করতে হবে। দ্বিতীয়ত এতে কাফির নারীদের সাথে সামঞ্জস্য হয়।

বই: মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান
মূল: ড. সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনায়: প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

দু’আর বিভিন্ন আদবদু’আ করার কিছু আদব বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা পালন করা আবশ্যক। যেমন-১. ওযু করে দু’আ করা: আবূ মূসা [রাদ্বিয়া...
20/11/2025

দু’আর বিভিন্ন আদব

দু’আ করার কিছু আদব বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা পালন করা আবশ্যক। যেমন-
১. ওযু করে দু’আ করা: আবূ মূসা [রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদা পানি নিয়ে ওযু করলেন এবং হাত তুলে দু’আ করলেন।

২. ক্বিবলামুখী হয়ে দু’আ করা: রাসূলুল্লাহ ﷺ দু’আ করার ইচ্ছা করলে ক্বিবলামুখী হয়ে দু’আ করতেন।

৩. হাত তুলে দু’আ করা এবং হাত কাঁধ ও চেহারা বরাবর উঠানো: ইবনু আব্বাস [রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] বলেন,
اَلْمَسْاَلَةُ اَنْ تَرْفَعَ، يَدَيْكَ حَذْوَ مَنْكِبَيْكَ اَوْ نَحْوَهُمَا وَالاِسْتِغْفَارُ اَنْ تُشِيرَ بِاُصْبُعٍ وَاحِدَةٍ وَالاِبْتِهَالُ اَنْ تَمُدَّ يَدَيْكَ جَمِيعًا ‏
“তুমি উভয় হাত তোমার কাঁধ বরাবর বা অনুরূপ উঁচু করে দু’আ করবে এবং ইস্তিগফারের সময় এক আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে এবং দু’আতে কাকুতি-মিনতির সময় দু’হাত প্রসারিত করবে”।
আনাস [রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর দু’হাত স্বীয় চেহারা বরাবর উঠিয়ে দু’আ করলেন,
اَللّٰهُمَّ اسْقِنَا، اَللّٰهُمَّ اسْقِنَا، اَللّٰهُمَّ اسْقِنَا
‘হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন! হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন! হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন!’

৪. নেক আমল তুলে ধরে দু’আ করা: তিনজন লোক এক গুহায় আটকা পড়লে তারা তাদের নিজ নিজ সৎ আমল আল্লাহর নিকট পেশ করে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

৫. খালেছ নিয়তে অন্তরে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে একনিষ্ঠভাবে দু’আ করা: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
اِنَّمَا الْاَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ
‘নিশ্চয়ই কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল’

বইঃ কুরআনে বর্ণিত সকল দু’আ ও তার তাফসির
সংকলনেঃ মো: হাসিবুর রহমান
সম্পাদনায়ঃ শাইখ আবদুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী

আলহামদুলিল্লাহ!‘ঈমান বিষয়ে ১০০ প্রশ্নোত্তর’ বইটি কিছুদিন স্টক আউট ছিল, কিন্তু এখন আবার স্টকে পাওয়া যাচ্ছে।যারা আগে নিতে ...
17/11/2025

আলহামদুলিল্লাহ!
‘ঈমান বিষয়ে ১০০ প্রশ্নোত্তর’ বইটি কিছুদিন স্টক আউট ছিল, কিন্তু এখন আবার স্টকে পাওয়া যাচ্ছে।
যারা আগে নিতে পারেননি, তারা চাইলে এখনই সংগ্রহ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

স্বামী বা নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে মহিলাদের শোক পালন করা:কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে তার জন্য শোকপালন‌ করা আবশ্যক। এর ইদ্দত...
16/11/2025

স্বামী বা নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে মহিলাদের শোক পালন করা:
কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে তার জন্য শোকপালন‌ করা আবশ্যক। এর ইদ্দত (মেয়াদ) হল, চার মাস দশ দিন যদি সে গর্ভবতী না হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرً
"আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। "
আর গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ
“গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।”
অনুরূপভাবে পিতা, মাতা, ভাই, বোন, সন্তান ইত্যাদি নিকটাত্মীয় মারা গেলে তার জন্য সবোর্চ্চ তিন দিন শোক পালন জায়েজ আছে কিন্তু ওয়াজিব বা আবশ্যক নয়।
আবু সালামার মেয়ে যয়নব বলেন, শাম থেকে আবু সুফিয়ান রা. এর মৃত্যু সংবাদ আসার পর তৃতীয় দিন (তাঁর মেয়ে উম্মুল মুমিনিন) উম্মে হাবীবা রা. কিছু হলুদ বা যাফরান (অন্য বর্ণনায় সুগন্ধি) আনতে বললেন। অত:পর তা আনা হলে তিনি তা তার চেহারার দুপাশে ও দুগালে এবং দুবাহুতে মাখলেন। অত:পর বলেন, এটা করার আমার কোন দরকার ছিল না। কিন্তু আমি এমনটি এজন্যই করলাম যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
« لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا »
"যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে তার জন্য স্বামী ছাড়া কারও মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ নয়। স্বামীর মৃত্যুতে সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। "
তবে স্বামীকে খুশি রাখতে যদি অন্য কোন মানুষের মৃত্যুতে স্ত্রী শোক পালন না করে তবে সেটাই উত্তম। কারণ, স্বামীর সুখ কামনাতেই নারীর জন্য অজস্র কল্যাণ নিহিত রয়েছে।

বই: মৃত্যু বিষয়ক করণীয় ও বর্জনীয়
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
সম্পাদনায়: শায়খ আবদুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল

আলহামদুলিল্লাহ! গতকাল, আমরা আমাদের প্রকাশনীর উন্নতির লক্ষ্যে একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফরে আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গ...
08/11/2025

আলহামদুলিল্লাহ! গতকাল, আমরা আমাদের প্রকাশনীর উন্নতির লক্ষ্যে একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফরে আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, নওদাপাড়া, রাজশাহীর স্থানীয় বই বিক্রেতাদের সাথে মিলিত হয়েছিলাম।

এই সফরে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল:

📘 মানোন্নয়নের পরামর্শ: আমাদের সম্মানিত বিক্রেতা বন্ধুদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ নেওয়া— কীভাবে আমাদের প্রকাশনী আরও উন্নত পরিষেবা দিতে পারে এবং পাঠকদের কাছে আমাদের বইগুলো আরও সহজে পৌঁছে দিতে পারে।

🗣️ উন্মুক্ত আলোচনা: প্রকাশনী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের অভিযোগ, আমাদের বইয়ের মান, বিষয়বস্তু এবং সামগ্রিক পরিবেশনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়।

💡 নতুন পথের সন্ধান: তাঁদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আমাদের ভবিষ্যতের পথচলাকে আরও দৃঢ় ও সঠিক পথে চালিত করতে সাহায্য করবে।

আমরা বিশ্বাস করি, পাঠক এবং বিক্রেতা— সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই একটি প্রকাশনী তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। আপনাদের গঠনমূলক সমালোচনাই আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা।

আপনারা যারা আমাদের সাথে সময় দিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন, আপনাদের সকলের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা। ইনশাআল্লাহ, আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা শীঘ্রই নতুন ও উন্নত পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তাকফীর করার কিছু মূলনীতিঃ১. কাউকে কাফের বলা একমাত্র আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূলের অধিকার। আল্লাহ ও রাসূলের থেকে আগ বাড়িয়ে ক...
06/11/2025

তাকফীর করার কিছু মূলনীতিঃ
১. কাউকে কাফের বলা একমাত্র আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূলের অধিকার। আল্লাহ ও রাসূলের থেকে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা জায়েয নয়।
২. কুফরী দুই প্রকার:
ক. ছোট কুফরী, যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।
খ. বড় কুফরী, যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এই ধরনের ব্যক্তি দ্বীন বর্জনকারী, জামা’আতকে বিচ্ছিন্নকারী। সে মুরতাদ।
৩. ইয়াকীন তথা নিশ্চিতভাবে যার ইসলাম প্রমাণিত, অনুরূপ নিশ্চিত বিষয় ছাড়া তাকে কাফের বলা যাবে না।
৪. কোনো ধরনকে কুফরী বলা আর ব্যক্তিকে কাফের বলার মাঝে পার্থক্য করতে হবে।
৫. নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কাফের বলতে চাইলে তার আগে অবশ্যই হুজ্জত কায়েম করতে হবে।
৬. কোনো কথা বা কাজকে কুফরী বললেই তার কথক বা সম্পাদনকারীকে কাফের বলা যায় না। কারণ ব্যক্তিকে কাফের বলতে গিয়ে দেখা গেল যে, কোনো একটা প্রতিবন্ধক আছে! ফলে আর কাফের বলা যায় না।
৭. শুধু কথার মাধ্যমেও কুফরী হতে পারে; যেমন: আল্লাহ বা রাসূলকে গালি দেওয়া, অথবা আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে বা দ্বীন নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা।
৮. মানুষের উপর হুকুম লাগানোর ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো: বাহ্যিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হুকুম লাগাতে হবে। আর গোপন বিষয় একমাত্র আল্লাহই জানেন।
৯. উদ্দিষ্ট কুফরী বিষয়টি যদি কুফরী ও অন্য কিছুর সম্ভাবনা রাখে, তাহলে একদম সুস্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কুফরী বলে রায় দেওয়া যাবে না। আর যদি বিষয়টি কুফরী ছাড়া অন্য কিছুর সম্ভাবনা না রাখে, তবে প্রতিবন্ধকতা দূর এবং শর্ত পূরণ হওয়ার পরেই কেবল ব্যক্তিকে কাফের বলা যাবে।
১০. মুসলিমদের কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্টভাবে কাফের বলতে গেলে অবশ্যই হুজ্জত কায়েম করতে হবে, শর্ত পূরণ হতে হবে এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
১১. কাবীরা গুনাহ হলেও কোনো ধরনের পাপের কারণে কাউকে তাকফীর করা যাবে না, যতক্ষণ না সে এই পাপকে হালাল মনে করে।
১২. হালাল মনে করার বিষয়টি মানুষের বিশ্বাস ও অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত।
এর মূলনীতি হলো: ব্যক্তি জানবে যে, আল্লাহ এই বিষয়কে হারাম করেছেন; কিন্তু এরপরও সে এটাকে হালাল বলে বিশ্বাস করে।
তবে আমলগত হালাল থেকে কোনো মুমিনই মুক্ত নয়। (কারণ কোনো পাপের কাজ করলেই তো সেটা আমলগতভাবে হালাল করা হলো!!)
✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।
বিস্তারিত দলীল সহ জানতে শায়খের “তাকফীর ওয়া যওয়াবিতুহু” গ্রন্থটি দেখুন।

বইঃ আল-ওয়ালা ওয়াল বারা
মুলঃ শায়খ ড. সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
মুদাররিস, মসজিদে নববী; দায়িত্বশীল মুফতী, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
ভাষান্তরঃ ইয়াকুব বিন আবুল কালাম
সম্পাদকঃ শায়খ ড. কাওছার এরশাদ মাদানী (পিএইচডি, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

রোগী দেখার নিয়মাবলীরোগী দেখার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের যেসব শারঈ নির্দেশনা একান্ত মেনে চলা উচিত, নিম্নে সেগুলো পয়েন্টভিত...
05/11/2025

রোগী দেখার নিয়মাবলী
রোগী দেখার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের যেসব শারঈ নির্দেশনা একান্ত মেনে চলা উচিত, নিম্নে সেগুলো পয়েন্টভিত্তিক সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো :
১. ক্লিনিকে সালাতের জন্য বিশেষ কিছু জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে। যেখানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু সালাত প্রত্যেক মুমিনের উপর একটি ফর‍জ ইবাদত এবং এটি দ্বীনের ভিত্তিমূল, তাই এর মর্যাদা ও মহত্ত্বের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ত্রুটি বা অবহেলা গ্রহনযোগ্য নয়।
২. ক্লিনিক বা হাসপাতালে এমন কোন পরিবেশ থাকা বৈধ নয়, যেখানে পুরুষ ও মহিলাদের বাধাহীন মিশ্রনের সুযোগ থাকে। অন্যথায় এতে ভয়াবহ ফিতনার আশংকা রয়েছে।
তাই চেম্বার, ওয়েটিং রুম এবং ওয়ার্ড ও কেবিনগুলোতে মহিলা-পুরুষের আলাদা করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি আমার পরে পুরুষের জন্য নারীর চাইতে ক্ষতিকর আর কোন কিছু রেখে যাইনি।”
এবং তিনি আরও বলেনঃ “অবশ্যই দুনিয়াটা চাকচিক্যময় মিষ্টি ফলের মতো আকর্ষণীয়। আল্লাহ তা’আলা সেখানে তোমাদেরকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন। তিনি লক্ষ্য করছেন যে, তোমরা কিভাবে আমল করো। অতএব তোমরা দুনিয়া ও নারী জাতি থেকে সতর্ক থেকো। কেননা বানী ইসরাঈলদের মাঝে প্রথম ফিতনাহ নারীকেন্দ্রিক ছিল”।
৩. হাসপাতালের কোন জায়গাতে এশট্রে বা ছাইদানি রাখা যাবে না (যদিও সেটা পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে হোক)। কারণ এতে সিগারেট বা ধুমপানের প্রতি উস্কে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি ওয়েটিং রুমে কোন ধরনের বিনোদন মূলক ম্যাগাজিন বা পত্রিকাও রাখা যাবে না যেখানে চরিত্রহানি ঘটার জন্য নানা উপাদান বিদ্যমান থাকে। বিভিন্ন প্রকার শরীরবৃত্তীয় সচিত্র দেয়ালিকা বা ওয়ালমেট রাখাও জায়েয নেই; কারণ, এসব চিত্র বা দৃশ্য মানুষকে কুপ্রবৃত্ত করার ক্ষমতা রাখে এবং ডাক্তার ও সংশ্লিষ্টদের সম্পর্কে মন্দ ধারণা তৈরি করে। বরং এমন কিছু ওয়ালমেট বা সচিত্র দেয়ালিকা রাখবে যা সৎ কাজের দিকে দাওয়াতের কাজ করবে, যদিও সেটা ওয়েটিং রুমের কম সময়ের মধ্যে হয়।

বইঃ রোগী দেখার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের জন্য শরয়ী নীতিমালা
লেখকবৃন্দঃ
শায়খ মুহাম্মাদ বনি সালহে আল-উসায়মীন রহমিাহুল্লাহ,
শায়খ মুহাম্মাদ বনি উমার বাযমূল ও
শায়খ মুহাম্মাদ আলী ফারকূস হাফযিাহুমাল্লাহ

ঈমান বৃদ্ধি হওয়ার কারণসমূহপ্রথম কারণ : আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় অর্জন করা। আল্লাহ তা‘আলা এবং ত...
05/11/2025

ঈমান বৃদ্ধি হওয়ার কারণসমূহ
প্রথম কারণ : আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় অর্জন করা। আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতই বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও তত বৃদ্ধি পাবে। এজন্যই যে সমস্ত ‘আলিমগণ আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন ‘আলিমগণের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿هُوَ الَّذِىْ أَنْزَلَ السَّكِينَةَ فِىْ قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوا إِيمَانًا مَعَ إِيمَانِهِمْ...﴾
“তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তারা নিজেদের ঈমানের সাথে ঈমান আরও বাড়িয়ে নেয়...।”
দ্বিতীয় কারণ : সৃষ্টির ভিতরে আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং আল্লাহ মানবজাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন তার ভিতরে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতই চিন্তা করবে ততই তাঁর ঈমান বৃদ্ধি পাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَفِى الْأَرْضِ اٰيَاتٌ لِّلْمُوقِنِينَ ২০ وَفِىْ أَنْفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ ২১﴾
“বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও তোমরা কি অনুধাবন করবে না।”
আল্লাহর সৃষ্টিরাজির মধ্যে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করলে যে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এই মর্মে অনেক দলীল প্রমাণ রয়েছে।
তৃতীয় কারণ : বেশি বেশি সৎকাজ করা। সৎ ‘আমল যতই বৃদ্ধি পাবে ঈমান ততই বৃদ্ধি পাবে। এই সৎ ‘আমল মুখের কথার মাধ্যমে হোক কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক, যেমন যিক্র-আযকার, সলাত, সওম এবং হাজ্জ। এসব কিছুই ঈমান বৃদ্ধির কারণ।

বইঃ আমি কি মুমিন
রচনায়ঃ আবূ আবদুল্লাহ আবদুল হালীম বিন মহিউদ্দীন নাজিরপুরী
(দা‘ঈ ও মুতারজিম- মাসজিদুল হারম, আল মাক্কাতুল মুর্কারমাহ্)
সম্পাদনায়ঃ শায়খ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
(লিসান্স- মাদীনাহ্ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, এম. এম. র্ফাস্ট ক্লাস
মুহাদ্দিস- মাদরাসাহ্ মুহাম্মাদিয়্যাহ্ ‘আরাবিয়্যাহ্, ঢাকা

যে সব কাজ থেকে ইমামকে বিরত থাকা উচিৎ:যেহেতু ইমামতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী পদ,সেহেতু ইমামকে যেমন এই কাজের যোগ্য হতে হবে...
04/11/2025

যে সব কাজ থেকে ইমামকে বিরত থাকা উচিৎ:

যেহেতু ইমামতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী পদ,সেহেতু ইমামকে যেমন এই কাজের যোগ্য হতে হবে,তেমন তাকে আরো কিছু মহৎ গুণের অধিকারী হওয়া উচিৎ যেমন,সততা,সত্যবাদিতা,চরিত্রবান এবং এই ধরনের অন্যান্য ভাল গুণে গুণান্বিত হওয়া। এই সব আনুষঙ্গিক গুণ থাকলে তার কথার ও আদেশ-উপদেশের সমাজে সহজে প্রভাব পড়বে এবং তা গ্রহণীয় হবে। কিন্তু কারো মধ্যে উপরে বর্ণিত ইমামতির হকদারের গুণগুলি থাকলেও যদি এই আনুষঙ্গিক গুণগুলি না থাকে,তাহলে সেই ইমাম সাধারণত: তার সমাজে কামিয়াব ইমাম বিবেচিত হয় না। তাই প্রত্যেক ইমামকে তার সমাজে প্রচলিত কিছু এমন কাজ-কর্ম ও অভ্যাস থেকে বিরত থাকা উচিৎ, যা করলে স্বয়ং সে দ্বীনের দিক থেকে লাভবান হতে পারবে, তার কথা ও কাজ অধিক গৃহীত হবে এবং সে আত্মমর্যাদার জীবন-যাপন করবে। ইনশাআল্লাহ।
১- গণতান্ত্রিক দেশে সাধারণত: কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না থাকা। কারণ তিক্ত হলেও সত্য যে,আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোক কোন না কোন ভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত কিংবা প্রভাবিত। যার ফলে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে নয়;বরং রাজনীতির নীতিতে একে অপরকে ভাল-মন্দ বিবেচনা করে থাকে। তাই ইমাম কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত হলে প্রথমেই সে মুসাল্লীদের একটি বড় অংশের অন্তর থেকে বাদ পড়ে যাবে এবং তার মূল উদ্দেশ্য বিফল হয়ে যাবে। অতঃপর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হবে। পরিশেষে হয়ত: ইমামতি হারাতে হবে, বেইজ্জত হতে হবে,সমাজ ভেঙ্গে যাবে আর অনেক সময় মসজিদ ভেঙ্গে আরো একটি মসজিদ নির্মাণ হবে,যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
২- আত্মমর্যাদার সবসময় খেয়াল রাখা। নিজের অভাব-অনটন ও মুখাপেক্ষিতা সবার কাছে পেশ না করা তার হাবভাবে প্রকাশ না করা। কারণ এর ফলে ইমাম তার মুসাল্লীদের ও গ্রামবাসীদের নজরে ছোট হয়ে যায়,মর্যাদা হারিয়ে ফেলে। ফলস্বরূপ তার আদেশ-উপদেশও তাদের কাছে হাল্কা হয়ে যায়। অনেক সময় লোক তাকে মর্যাদা দেয়া তো দূরের কথা তাকে দেখলেই উপহাসের ছলে কথা বলে।
৩- কুরআন ও দ্বীনী শিক্ষার দায়িত্ব থাকলে ছেলে ও মেয়েদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পড়ার ব্যবস্থা করা। সম্ভব না হলে ছেলেদের সাথে শুধু নাবালিকা মেয়েদের পড়ার দায়িত্ব ভার নেওয়া। কারণ এটা যেমন দ্বীনী বিধান তেমন অনেক শয়তানী চক্রান্ত ও বদনাম থেকে বাঁচার উপায়।
৪- কেবল প্রয়োজনে বৈধ ঝাড়-ফুঁক করা। কিন্তু এটাকে নিজের পেশা বা স্বভাবে পরিণত না করা। কারণ একাজ সাধারণত: বৈধ দিয়ে শুরু হয় এবং পরে বিভিন্ন কারণে হারামে পরিণত হয়। (যেমন, তাবিজ কবচ ব্যবসা)
৫- মহল্লা বা গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাওয়া ছাড়া অংশ না নেওয়া এবং এ বিষয়ে ধনী ও দরিদ্রের পার্থক্য না করা। এসব অনুষ্ঠানের ফলে কিছু পাওয়ার লোভ না করা আর না কিছু চুক্তি করা। তবে না চাইতে কেউ কিছু দান করলে তা গ্রহণ করা অবৈধ নয়।
৬- বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্বন্ধে শারিয়ার বিধান স্পষ্ট করে বলে দেওয়া এবং নিজের জন্য এ সম্পর্কে সেই বিধান অনুযায়ী একটি সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা, যেন আপনার কোথাও অংশ নেওয়া বা না নেওয়া সেই শারঈ কারণে হয়, যার ফলে আপনি বলতে সক্ষম হবেন যে,আপনি কোনো অনুষ্ঠানে কেন যান আর অন্য অনুষ্ঠানে কেন উপস্থিত হন না।

ভুল তথ্যে প্রভাবিত না হওয়া:হে মুসলিম চিকিৎসক! আপনি রাতের অন্ধকারে কাঠ আহরণকারীর মতো যেন না হন, অর্থাৎ যাচাই-বাছাই না করে...
02/11/2025

ভুল তথ্যে প্রভাবিত না হওয়া:
হে মুসলিম চিকিৎসক! আপনি রাতের অন্ধকারে কাঠ আহরণকারীর মতো যেন না হন, অর্থাৎ যাচাই-বাছাই না করেই যে সব তথ্য প্রচার করে, আর এর মাধ্যমে শুধু বিজ্ঞান বা আধুনিকতার নাম করে শত্রুদের মতবাদকে প্রমোট করে বসে। অথচ বিজ্ঞানে এসবের কোনো ভিত্তিই নাই।
বিশেষ করে ফ্রয়েডের ভ্রান্ত তত্ত্ব, ডারউইনের মিথ্যা বিবর্তনবাদ এবং যৌন বিকৃতিকে (যেমন সমকামিতা) মনগড়া বৈজ্ঞানিক রিসার্চের নামে ‘স্বাভাবিক মানবিক আচরণ’ বলে যারা প্রচার করে— তাদের প্রচারণায় প্রভাবিত হওয়া থেকে সাবধান!
রাসূল g বলেন:“একজন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কথা বলে ফেলে—যা সে তেমন গুরুত্বও দেয় না— কিন্তু এর মাধ্যমে আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেন।
আবার কেউ আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে—যার প্রতিও তার গুরুত্ব নেই—ফলে সে এর মাধ্যমে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়

বইঃ রোগী দেখার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের জন্য
শরয়ী নীতিমালা
লেখকবৃন্দঃ
শায়খ মুহাম্মাদ বনি সালহে আল-উসায়মীন রহমিাহুল্লাহ,
শায়খ মুহাম্মাদ বনি উমার বাযমূল ও
শায়খ মুহাম্মাদ আলী ফারকূস হাফযিাহুমাল্লাহ

একটু ভেবে দেখুন তো — আমি কি সত্যিই মু’মিন?আমার ঈমান কতটা বিশুদ্ধ? আমার চরিত্র কি ইসলামের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ?এই প্রশ্নগুলো...
29/10/2025

একটু ভেবে দেখুন তো — আমি কি সত্যিই মু’মিন?
আমার ঈমান কতটা বিশুদ্ধ? আমার চরিত্র কি ইসলামের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ?
এই প্রশ্নগুলো হয়তো অনেক সময়ই আমাদের মনে জাগে, কিন্তু উত্তর খুঁজে পাই না।

“আমি কি মু’মিন?” — এমন একটি বই, যা আপনার হৃদয়ের এই প্রশ্নগুলোর গভীরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
লেখক আবূ আবদুল্লাহ আবদুল হালীম বিন মহিউদ্দীন নাজিরপুরী বিশ্লেষণ করেছেন, কীভাবে একজন মানুষের আকীদাহ ও ঈমান ঠিক হলে তার আমল ও আখলাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুন্দর হয়ে ওঠে।
তিনি দেখিয়েছেন, সত্যিকারের মু’মিন সমাজে কীভাবে নৈতিকতার আলো ছড়ায়, আর ঈমান দুর্বল হলে কীভাবে মানুষ মানবিকতা হারিয়ে ফেলে।

এই বইয়ে আপনি জানবেন—
- ঈমানের বৃদ্ধি ও হ্রাসের প্রকৃতি
- মু’মিন ও মুনাফিকের আলামত
- শক্তিশালী মু’মিনের ১৪টি বিশেষ গুণ
- ঈমান দুর্বল হওয়ার ১৫টি কারণ
- তাওহীদের মর্যাদা ও পাপ মোচনের দৃষ্টান্ত

সংক্ষিপ্ত অথচ হৃদয়স্পর্শী ব্যাখ্যা, প্রামাণ্য দলিল ও বাস্তব জীবনের অনুপ্রেরণামূলক দিকনির্দেশনায় সমৃদ্ধ এই বইটি আপনার আত্মসমালোচনা ও আধ্যাত্মিক জাগরণের সহচর হবে ইন শা আল্লাহ।

নিজের ঈমানকে যাচাই করতে, চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করতে,
আর সত্যিকারের মু’মিন হয়ে উঠতে — এই বইটি আপনার পাশে রাখুন আজই।

বইঃ আমি কি মুমিন?
লেখকঃ আবূ আবদুল্লাহ আবদুল হালীম বিন মহিউদ্দীন নাজিরপুরী
সম্পাদকঃ শায়খ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
প্রকাশনীঃ আলোকিত প্রকাশনী
বিষয়ঃ ঈমান, আকীদাহ, তাওহীদ, আখলাক
পৃষ্ঠা: ১০৪ | কভার: পেপার ব্যাক

📞 বইটি সংগ্রহ করতে ইনবক্স করুন অথবা কল করুন: 01747-370727

Address

34, North Brook Holl Road, Madrasha Market (3rd Floor), Banglabazar
Dhaka
1100

Opening Hours

Monday 10:00 - 19:00
Tuesday 10:00 - 19:00
Wednesday 10:00 - 19:00
Thursday 10:00 - 19:00
Friday 00:00 - 00:00
Saturday 10:00 - 19:00
Sunday 10:00 - 19:00

Telephone

+8801747370727

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোকিত প্রকাশনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category

আমাদের পথ চলা

জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করতেই ইসলামের আবির্ভাব, ইসলামের আলো যখন ছড়িয়ে পড়েছে, জাহেলিয়াতের অন্ধকার তখন আলোকিত হয়ে গেছে। সেই আলোকেই সাধ্যমত বিকশিত করতে আলোকিত প্রকাশনীর পথ চলা।

আলোকিত প্রকাশনী। সহীহ আক্বীদা মানহাজ ভিত্তিক বই প্রকাশে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।