All world news-middle east

All world news-middle east time delivered

মার্কিন চাপ এবং স্যাংশনের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে ৫০০ টি T-90 ট্যাংক ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে মিশর। এছাড়া তারা...
08/05/2022

মার্কিন চাপ এবং স্যাংশনের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে ৫০০ টি T-90 ট্যাংক ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে মিশর। এছাড়া তারা রাশিয়ার থেকে ২৪ টি Su-35 ফাইটার কেনার ডিলটিও চালিয়ে যাবে।

কয়েক বছর আগে রাশিয়ার থেকে ২৪ টি Su-35 কেনার চুক্তি করেছিলো মিশর। চুক্তি অনুযায়ী গতবছর রাশিয়া ১৭ টি ফাইটার বানিয়েও ফেলেছিলো। কিন্তু আমেরিকা প্রচন্ড চাপ দেয়া শুরু করলে মিশর সেই চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে বুঝা যাচ্ছে আমেরিকার সেসব চাপ উপেক্ষা করে চুক্তিটি পুনরায় চালু করেছে মিশর। কিছুদিন আগে রুশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্ট দেখা যায় মিশরের জন্য Su-35 গুলো বানানোর কাজ পুনরায় চালু করা হয়েছে এবং ২১ টি Su-35 নির্মানের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া মিশর ৫০০ টি এডভান্স ভার্ষনের T-90 ট্যাংক লাইসেন্স প্রোডাকশনের চুক্তি করতে যাচ্ছে।

গত কয়েক বছর ধরে মিশরকে বিভিন্ন ভাবে চাপের ভেতর রাখার চেষ্টা করছে আমেরিকা। বাহির থেকে অস্ত্র ক্রয়ে বাধা তো দিচ্ছেই, সেই সাথে আমেরিকার থেকে অস্ত্র কিনলেও তাদেরকে ডাউনগ্রেডেড ওয়েপন সাপ্লাই করা হচ্ছে। যেমনঃ মিশর এফ-১৬ ফাইটার কিনলেও তাদেরকে AIM-120 মিসাইল দেয়নি আমেরিকা। এই যুগে কোন দেশ BVR মিসাইল ছাড়া চলে? তাও আবার মিসরের মত বড়লোক ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ হলে তো কথাই নেই।

আসলে এসবের মুল কারন হলো ইসরায়েলকে প্রোটেক্ট করা। যুদ্ধ শুরুর আগেই ইসরায়েলকে এগিয়ে রাখার জন্য আমেরিকা ইসরায়েলের আসেপাশের দেশ গুলোকে ইসরায়েলের সমকক্ষ বা থ্রেট হতে দেয়না। মিশরের ক্ষমতায় রয়েছে আমেরিকা পন্থি সিসি সরকার, কিন্তু তবুও আমেরিকা রিস্ক নিতে চায়না। কখনো অভ্যুথ্যান ঘটে সরকার পাল্টে গেলে বিপত্তি ঘটবে। একই কারনে অত্যন্ত মিত্রদেশ আরব আমিরাতকেও F-35 দেয়নি আমেরিকা।

এদিকে আমেরিকা অফার করেছিলো, মিশর Su-35 এর ডিল বাতিল করলে তারা মিশরকে F-15 ফাইটার দেবে। মজার বিষয় হলো ইসরায়লও এর পক্ষে সমর্থন করেছিলো। কারন তারা জানতো আমেরিকা মিশরকে ডাউনগ্রেডেড F-15 দেবে, বিমানের সব ফিচার ইসরায়েলের জানা থাকবে, চাইলেই আমেরিকার থেকে বিমানটির সোর্স কোড নিয়ে নেয়া যাবে, অথবা প্রয়োজনে পার্টস সাপ্লাই বন্ধ করে মিশরকে চাপে ফেলা যাবে। কিন্তু Su-35 কিনলে এই সুজোগ নাই।

তবে মিশর আমেরিকার এসব পরিকল্পনা বুঝতে পেরেও সম্ভবত Su-35 ডিল বাতিল করেনি। তারা F-16 কেনার মত বোকামি দুবার করতে আগ্রহী নয়।

ছবিতে মিশরের জন্য তৈরি করা Su-35.

গ্রিনব্যাক ইন ডেড কফিন, রাশিয়ার রুবলে চীনের উত্থানঐতিহাসিকভাবে রুবল অনেক পুরাতন মুদ্রা যার প্রচলন ১৩'শ শতক থেকেই চলে আসছ...
06/04/2022

গ্রিনব্যাক ইন ডেড কফিন, রাশিয়ার রুবলে চীনের উত্থান

ঐতিহাসিকভাবে রুবল অনেক পুরাতন মুদ্রা যার প্রচলন ১৩'শ শতক থেকেই চলে আসছে। কিন্তু তেল বাণিজ্যের উপর গড়ে উঠা মার্কিন ডলার বিশ্বের নতুন কারেন্সিগুলির একটি। ১৮৬১ সালে আমেরিকান সিভিল ওয়ার এর অর্থ যোগাতে নোট হিসাবে মার্কিন ডলারের সূচনা। শুরুতে নোট গুলি সবুজ রং এর ছিল বিধায় একে গ্রিনব্যাক ও ডাকা হয়।

মার্কিন আধিপত্য সূচনা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবথেকে লাভবান পক্ষ হল আমেরিকা। অন্য সব দেশ যখন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যাস্ত, তখন যুক্তরাষ্ট্রকে এর কিছুই করতে হয়নি। তাদের অর্থনীতি তখন দ্রুত বড় হচ্ছিল। এরপর ব্রেটন উড চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ভীত রচনা হয়। বিশ্বের সব দেশের মুদ্রাকে ডলারের প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন শুরু হয়। তবে নিক্সন শকের আগ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে গোল্ড সংরক্ষন করার নীতি বহাল ছিল। অর্থাৎ ডলারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হলেও যেকোন মুহুর্তে ডলারের বিপরীতে সমমূল্যের গোল্ডে রুপান্তর করার সুযোগ ছিল। এরপর এল ১৯৭১। বিখ্যাত নিক্সন শক। হুট করেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সময় Fiat Currency এর সূচনা হয়। ডলারের বিপরীতে সমমূল্যের গোল্ড রাখার বাধ্যবাধকতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে আসে। সেই থেকে ডলারকে লিগাল টেন্ডার হিসাবে বিবেচনার বিপরীতে শুধুমাত্র সরকারি প্রমিজ/ঘোষনা ব্যাতিত কোন কমোডিটি রাখা হয়নি। শুরু হল ফিয়াট কারেন্সির যাত্রা। সেই সাথে ফ্লোটিং মার্কেট রেট।

আর এই ব্যাবস্থার মাধ্যমে আমেরিকা বিশ্বের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবাইকে ডলারে লেনদেন করতে হয়। শুধুমাত্র আমেরিকা এখানে বিশেষ সুবিধা পায়। কেমন সেটা? ধরুন বাংলাদেশের টাকা দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে কোন পণ্য কেনা হবে। সেক্ষেত্রে টাকাকে ডলারে রুপান্তর করতে হয়। এক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ গেইন/ কনভারসন চার্জ এর মত বাড়তি খরচ হয়। কিন্তু আমেরিকার কারেন্সি যেহেতু ডলার তাই ব্যাবসায়ে তাদের এরকম চার্জ দেয়া লাগে না।

আরেকটি ভয়ঙ্কর তথ্য দেয়া যেতে পারে। অনেকেই দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি থেকেও ঋন বেশি। কিন্তু তাদের এর জন্য তেমন ক্ষতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়না। ফেব্রুয়ারি, ২০২২ এ প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের ঋন $৩০ ট্রিলিয়ন (৩০,০০০ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২১ সালে দেশটির জিডিপির ১৩৭.২০% ছিল তাদের ঋন। অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে দেশের জিডিপি থেকে ঋন এত বেশি হল কিভাবে? যেখানে ৮০%-৯০% ঋন নিয়েই পাকিস্তান শ্রীলংকার মত দেশকে চরমভাবে ভুগতে হচ্ছে?

উত্তরটা খুব সহজে দেয়ার চেষ্টা করি। বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রায় $৪৬ বিলিয়ন ডলার। এর ভেতর অতি অল্প পরিমানে গোল্ড, কিছু ইউরো আর বাকি প্রায় সবটুকুই মার্কিন ডলারে রয়েছে। এই রিজার্ভের খুব নগণ্য অংশ বাংলাদেশে রয়েছে। পুরটায় আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে জমা। আর ডলারের সবটুকু অংশ ফেলে না রেখে সল্প সুদে ইউএস ট্রেজারি বন্ড এবং অন্যান্য সল্প মেয়াদি স্কিমে রাখা হয়। এতে জমাকৃত ডলারের বিপরীতে কিছু লাভ ও পাওয়া যায়। শুধু বাংলাদেশ না। বিশ্বের প্রায় সব দেশ এভাবেই রাখে। এতে আমেরিকার ডলারের সংকট হয়না। বিভিন্ন বন্ড ইস্যু করে খুব সল্প সুদেই এখান থেকে ঋন নিতে পারে তারা। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ আমেরিকার ঋনের প্রায় ৩৭% ছিল বিদেশিদের। এটা একটা ভয়াবহ ক্ষমতা।

ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফিয়াট কারেন্সির ডলারের আধিপত্য কে আখ্যা দিয়েছিলেন সত্যিকারের ওয়েপন অব ম্যাস ডেসট্রাকশন।

এর বাস্তব প্রমাণ হিসাবে হাজির হয়েছে রাশিয়ার উপর রিজার্ভের নিষেধাজ্ঞা যার কারনে মুহুর্তেই রাশিয়ার $৬৩০ বিলিয়ন ডলার 'নাই' হয়ে গেছে। তবে মজার বিষয় হল ডলারের এরকম পলিটিকাল হাতিয়ার হিসাবে (ওয়েপন হিসাবে) এভাবে ব্যাবহার করার নজির বিরল। রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সারাবিশ্বের কাছে একটা ভয়ঙ্কর বার্তা গেছে সেটি হল 'রিজার্ভ কারেন্সি হিসাবে ডলার আর নিরাপদ নয়'। একি সাথে সুইফট এর নিষেধাজ্ঞাও সারাবিশ্বে সুইফট এর প্রতিযোগীতাহীন আধিপত্য কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আর এই দুইটি স্পর্শকাতর ইস্যু হতে পারে ডলারের আধিপত্যের সমাপনী ঘন্টা।

এবার কিছু লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা যাক। ডলারের আধিপত্যের অন্যতম কারনগুলির একটি হল ডলারে তেল কেনা বেচা। এর থেকেই পেট্রোডলারের উৎপত্তি। তেলের লেনদেন ডলারে হবার ফলে সারা বিশ্বেই ডলারের অপরিহার্যতা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে ডলারের উপর আস্থার ঘাটতি তৈরি হওয়ায় একটা বড় পরিবর্তন এসেছে যখন সৌদি আরব চীনের ইউয়ানে তেল বিক্রির লেনদেনের জন্য আলোচনা করে।

অন্যদিকে রাশিয়ার রুবলে গ্যাস বিক্রির সিদ্ধান্ত রাশিয়ার উপর জ্বালানির ক্ষেত্রে নির্ভরশীল ইউরোপকে হয়ত বাধ্য করবে রুবলে পেমেন্ট করতে। আর এটা হলে ডলারের আধিপত্যের উপর চরম আঘাত আসবে। তবে যদি বিষয়টি এমন হয় যে রাশিয়া ইউয়ান এ পেমেন্ট গ্রহন করে তবে বিশ্ব একটি নতুন মাইন্ড গেম দেখতে যাচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বের মোট $১২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার রিজার্ভের ৬০% ডলারে সংরক্ষিত। বিগত দুই দশক যাবত ডলারের এই হার ক্রমহ্রাসমান। গোল্ডম্যান স্যাকস এর মত অনেক প্রতিষ্ঠান মনে করছে ডলারের উপর আস্থা হারানো ডলারকে ব্রিটিশ পাউন্ডের মত দুর্বল কারেন্সিতে রুপান্তর করতে পারে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে ডলারের রিজার্ভ সংরক্ষনের হার আরো দ্রুত কমবে।
ইতোমধ্যে ডলারের তুলনায় ইউরোতে রিজার্ভ রাখার পরিমান বাড়তেছে। বৈশ্বিক লেনদেনেও ইউরো এখন ডলারকে প্রায় ছুয়ে ফেলার পর্যায়ে। অন্যদিকে অতি সম্প্রতি নিরবে উত্থান হয়েছে চাইনিজ ইউয়ান এর (রেমিনবি)।

দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ অর্থনীতি ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফরেন রিজার্ভ হিসাবে ইউয়ানের পরিমান চার গুন বাড়িয়েছে।

২০১৮ সালেও সেদেশে ইউয়ানের কোন রিজার্ভ ছিলনা। ২০২০ সালে ব্রাজিলের রিজার্ভ কারেন্সি হিসাবে ইউয়ান ছিল মাত্র ১.২১% যা বর্তমানে ৪.৯৯% এ ঠেকেছে। একি সময়ে দেশটিতে ডলারের রিজার্ভ ৮৬.০৩% থেকে কমে ৮০.৩৪% এ দাঁড়ায়।

বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও ডলারের ব্যাবহার ক্রমহ্রাসমান। মাত্র অল্প কয়েক বছরেই বিশ্বের মোট বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউয়ান এর ব্যাবহার ৩% এ গিয়ে ঠেকেছে যেখানে ডলারের ব্যাবহার কমতে কমতে ৪০% এ দাড়িয়েছে। ইউরো কারেন্সিতে লেনদেন ৩৭% এর কাছাকাছি যা ডলারের ঘাড়ে ইতোমধ্যে শ্বাস ফেলছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে একটি বিষয় ভুললে চলবে না যে, চীন এখন প্রায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রধান ট্রেড পার্টনার। এমনকি আমেরিকার ও। আর চীন ২০১৮ এর পর থেকে ধীরে ধীরে ইউয়ান কে সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য ও আস্থার কারেন্সিতে রুপান্তরের কাজ করছে।

বাংলাদেশ ২০১৮ তেই ইউয়ান এ লেনদেনের অনুমোদন করলেও, এতদিন বাংলাদেশি ব্যাংকগুলির চীনের ব্যাংকে হিসাব খোলার ব্যাপারে আগ্রহ ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। এখন চীনের ব্যাংগুলিও বাংলাদেশের ব্যাংক গুলির হিসাব খুলতে আগ্রহী। হয়ত খুব বেশি সময় লাগবে না যখন বাংলাদেশের রিজার্ভ কারেন্সির একটি অংশ ইউয়ান এ রাখবে। ইতোমধ্যে স্টিল ট্রেডে ইউয়ান এর শক্ত অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বৃহৎ বাণিজ্যিক পার্টনার ও চীন। সেক্ষেত্রে ঝুকি কমাতে এবং রিজার্ভ মিক্স বাড়াতে ইউয়ান ভাল সুযোগ হতে পারে।

মোটকথা, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা ও সুইফট এর নিউট্রাল অবস্থান থেকে সরে আসা ডলার ও সুইফট এর আধিপত্যে আঘাত হেনেছে। আর এই পরিস্থিতির সবথেকে লাভবান পক্ষ রাশিয়া বা আমেরিকা নয়। দেশটি চীন। তারা সুইফট এর চাইনিজ বিকল্পকে দাড় করানোর দুর্দান্ত সুযোগ পেল, আবার একি সাথে রিজার্ভ কারেন্সি হিসাবে ইউয়ানকে আরো যৌক্তিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবার সুযোগ পেল।

বেশি নয়, মাত্র দুই চার বছরের ভেতরেই বিশ্ব অর্থব্যবস্থা হয়ত বড় পরিবর্তন দেখবে।



Find my writings here--
https://www.facebook.com/Agnostic.wasimahin/

ডাচ ডিজিসের ভীতি বাংলাদেশের জন্য নয়। ডাচ ডিজিসের ধারনাটা ১৯৫৯ সালে নেদারল্যান্ডস এ বিশাল গ্যাসক্ষেত্রে আবিস্কারের পর সেদ...
25/06/2021

ডাচ ডিজিসের ভীতি বাংলাদেশের জন্য নয়।

ডাচ ডিজিসের ধারনাটা ১৯৫৯ সালে নেদারল্যান্ডস এ বিশাল গ্যাসক্ষেত্রে আবিস্কারের পর সেদেশের অন্য উৎপাদনশীল খাতের নিম্নমুখী প্রবণতা বোঝাতে ১৯৭৭ সালে প্রথম ব্যাবহার হয়।

সারকথা হল, কোন দেশে যদি নির্দিষ্ট সেক্টরের দ্রুত উন্নতি সেদেশের অন্য সেক্টরের উন্নতির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই মেকানিজম কেই ডাচ ডিজিস বলে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচূর্য অনেক দেশে সহজ কাঁচা টাকার উৎসে পরিনত হলে, মানুষ কষ্ট করে কৃষি, বা শিল্প খাতে কষ্ট করে আয় করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এক প্রকার নির্ভরশীলতা সৃষ্টি হয় নির্দিষ্ট সম্পদের উপর। এই ধরুন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ তেল সম্পদে পরিপূর্ণ। তেল উঠাচ্ছে, বিক্রি করছে, নগদ বৈদেশিক মুদ্রা কামাচ্ছে। নিজেদের অন্য সব সেক্টরে সক্ষমতা সৃষ্টির দিকে নজর বা প্রয়োজনীতা অনুভব কম করছে।

বেশ কিছুদিন ধরে ভার্চুয়াল জগৎ ছেয়ে গেছে একটি লেখায়। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে ভেনিজুয়েলা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। তাদের জিডিপির ৮০% আসে তেল থেকে। জিডিপির অত্যাধিক তেলের উপর নির্ভরশীলতা তাদের কাল হয়েছে। একি অবস্থা হতে চলেছে বাংলাদেশের ও। আসলেই কি তাই? সত্যি কি বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে?

প্রথমে ভেনিজুয়েলার ক্রাইসিস কিভাবে শুরু হল সেটা নিয়ে অল্প আলোচনা করা যাক। ভেনিজুয়েলা ওপেকের সদস্য একটি দেশ। বিশ্বের সব থেকে বেশি তেলের রিজার্ভ আছে এমন দেশের ভেতর ভেনিজুয়েলা অন্যতম। ভেনিজুয়েলার মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫% আসে তেল রপ্তানি করে। তেলের টাকা কাচা টাকা। তেলের মত প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানিতে কোন শ্রম দেয়া লাগে না। সহজ টাকার উৎস থাকার কারনে ভেনিজুয়েলা তাদের অন্য ইন্ডাস্ট্রি দাড় করানোর চেষ্টাও করেনি। অনেকটা আরবদের মত অলস প্রকৃতির হয়ে গেছে তারা।

ভেনিজুয়েলা তাদের তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে খাদ্য সহ বিভিন্ন দ্রব্য আমদানি করে নিশ্চিন্তে চলত। সমস্যা বাধে ২০১৪ সালে। তেলের দাম $১০০ ডলারের উপর ছিল কিন্তু হঠাৎ দর পড়তে পড়তে তলানিতে ভলে যায়। $১০০ এর বেশি ব্যারেল প্রতি তেল $৩০ এর কাছাকাছি নেমে আসে। এতেই বাধে বিপত্তি। তাদের রপ্তানি কমে যায়। রপ্তানি আয় দিয়ে আমদানির চাহিদা মেটাতে ব্যার্থ হয়। দেখা দেয় তিব্র ডলার সঙ্কট। ফলে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করার মত অর্থ তাদের কাছে ছিল না। এর প্রভাব পড়ে ভেনিজুয়েলার মুদ্রা বলিভারের উপর। মানুষের হাতে অর্থ আছে কিন্তু পণ্য নেই। এর ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। দাম বৃদ্ধি পাবার পর সরকার একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। অনেকটা জিম্বাবুয়ের মত টাকা ছাপাতে থাকে। আর শ্রমিকের মজুরি ৩৪ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। কিন্তু যেহেতু পণ্য নেই তাই বাজারে অতিরিক্ত টাকার প্রবাহ মূল্যস্ফীতির বিস্ফোরণ ঘটায়। শেষ পর্যন্ত তাদের মুদ্রাস্ফীতি ১০,০০,০০০% এ গিয়ে দাঁড়ায়।

অনেকেই এই পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের সাথে মেলাচ্ছেন যেটা একে বারেই ঠিক নয়। বাংলাদেশের মানুষ পায়ের উপর পা তুলে খাই না। যথেষ্ট পরিশ্রম করে খেটে খাওয়া মানুষ এই বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালে সব কিছু শূন্য থেকেই শুরু করেছিল। আমাদের তেলের মত কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই যে আমরা বসে বসে আলসেমি করব আর তেল বেচা টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে পণ্য কিনে ক্ষুধা নিবারণ করব। আমাদের কৃষক মাঠেই খাটেন। বিশ্বের ধান উৎপাদনে ৪র্থ এমনি এমনি নয়। বর্তমানে ৩য়। এদেশের মানুষ প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট নানান দূর্যোগ মোকাবেলায় অভ্যস্থ। দেশের মানুষ বাড়ির উঠানে অল্প জায়গা পেলে সেখানেও লাউ বা সিম অথবা অন্য কোন গাছ লাগিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে। এদেশের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য আমদানির উপর নির্ভর করা লাগে না।

গার্মেন্টস এর উপর অতিনির্ভরতা কথাটা সঠিক নয়। এটা একটা শিল্প। এর বিকাশ হয়েছে। বর্তমানে রপ্তানির বেশিরভাগ আসে গার্মেন্টস থেকে। তবে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের জন্য আমাদের প্রায় মোট রপ্তানির সমান রেমিট্যান্স ও বিনিয়োগ আসে।

গার্মেন্টস শিল্পে বিকাশের কারনে অন্য শিল্প থেমে আছে এমন ও নয়। গার্মেন্টস শিল্প শ্রমের শিল্প। এটা বিলাসিতা নয়। তেল বা গ্যাস বিক্রি করলাম আর টাকা পেলাম এমন নয়ম এখানে প্রতিযোগীতা করেই টিকতে হয়। বাংলাদেশে গার্মেন্টস বাদেও অনেক শিল্প দাঁড়িয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। আগে অনেক পণ্য আমদানি করে চলা লাগত। সেই সকল পণ্য এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। ফলে এটা রপ্তানির অংকে প্রদর্শিত না হলেও আমদানি নির্ভরতা কমানোতে অবদান রাখছে। সিমেন্ট, বলপেন, সিরামিক, কিচেনওয়ার, স্টিল, গ্লাস, টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, গাড়ি, মোবাইল, ফুড প্রসেসিং, প্লাস্টিক, থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট এখন দেশে তৈরি হচ্ছে। জাহাজ নির্মিত হচ্ছে। এজন্য যারা ডাচ ডিজিচ নিয়ে আর এদেশের গার্মেন্টস নিয়ে বার বার ভয় দেখান তাদের চিন্তার পরিসর আরেকটু বড় করা উচিত।

অপরিশোধিত তেল কোন ইন্ডাস্ট্রির ভেতর পড়েনা যেটার উপর নির্ভর করা যায়। এটা হল জুয়া খেলা। সম্পদ বেচা। তেলের দাম কখন কেমন থাকবে এর কোন গ্যারান্টি নেই। $১১০ ডলার ব্যারেলের তেল $৩০ ডলারে নামা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাই তেলের উপর যদি অর্থনীতির ৮০% এর অধিক নির্ভর করে তাহলে বুঝতে হবে সেই দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আসলেই দূর্বল।

গার্মেন্টস সেক্টর তেলের মত না। যদি কখনো তেলের বিকল্প জ্বালানি আবিষ্কার হয় তাহলে মধ্য প্রাচ্য সহ বহু দেশ নিঃস্ব হয়ে পড়লে সেটা অসম্ভব হবে না। কিন্ত গার্মেন্টস এর কি বিকল্প আবিস্কার হবে বা আছে? না। মানুষকে কাপড় পরতেই হবে। আর বাংলাদেশ এর বেশিরভাগ গার্মেন্টস নিত্যপ্রয়োজনীয় শার্ট গেঞ্জি। দামি বা বিলাসবহুল প্রোডাক্ট নয়। এই কাপড় সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা চললেও চাহিদা থাকে। কারন গোল গলা গেঞ্জি যার দাম মাত্র ১০০ টাকা সেটা মানুষ কিনবেই।

গার্মেন্টস শিল্পের ধরনের সাথে তেলের কোন মিল নেই। এটা খেটে খাওয়া শিল্প। আলসেমির শিল্প নয়। আর গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে বৈশ্বিক মন্দা চলছে তখন বিলাসবহুল গার্মেন্টস আইটেমের বাজার মন্দা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের কম মূল্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় পোষাকের বাজারে খুব সীমিত প্রভাব পড়বে। এর বড় উদাহরণ ২০০৮-০৯ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে যখন মন্দা চলেছিল তখন এর প্রভাবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের সব থেকে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও আমাদের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। বরং আমাদের রপ্তানিতে ওই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

আর বাংলাদেশ শুধু গার্মেন্টস এর উপর নির্ভর করছে না। আইটি সেক্টর দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। চামড়া শিল্প আছে, জাহাজ নির্মাণ আছে, ঔষধ আছে, আর হার্ডওয়্যার এর প্রোডাকশন ধীরে ধীরে বাংলাদেশে শিফট করতেছে। আমরা গার্মেন্টস থেকে টাকা আসে বলে বসে নেই। আমাদের অনেক খাত বর্তমানে ভাল করছে।

এসব খাত থেকে রপ্তানি করা লাগবে এমন নয়। যদি আমদানির বিকল্প হিসাবে এই খাত গুলা কাজে লাগে তবেও সেটা অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুদ করবে। তাই তেল আর গার্মেন্টস এক জিনিস না।

রেমিটেন্সের হিসাব করলে দেখা যাবে আমাদের রপ্তানির অর্ধেক পরিমাণ আমরা রেমিটেন্স পাই যেটা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম শক্ত ভিত্তি। কোন কারনে রপ্তানি নেতিবাচক হলেও আমাদের উপর এর প্রভাব কম পড়ে এই রেমিটেন্সের কারনেই৷ এজন্য আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট এবং ভেনিজুয়েলার প্রেক্ষাপট এক নয়।

  Palestinians are getting a lot of support.  Because they have bricks, batons, water bottles in their hands.  They prot...
21/05/2021

Palestinians are getting a lot of support. Because they have bricks, batons, water bottles in their hands. They protested by throwing these. Everyone in the world knows that Israel-Yel will not be affected by all this. So there are Palestinian lovers in all quarters.

But what if they picked up an AK-47 instead of a brick-and-mortar? What would be their identity then? J-nggi? Yes. That would be it. This has happened in Khorasan, Africa, the Balkans, Kashmir and Syria. That means you can oppose the oppressor. You can ask for freedom. But in such a way that the oppressor is not harmed. If the oppressor is harmed, you will be defeated. And the right will be established without harming the oppressor? You deserve to be in a museum.

You will get sympathy until you are beaten. You will become a villain only after eating two and giving back a blow.

(Collected writing)

I don't know who wrote it, but we know how true it is in the case of Muslims! I smiled sadly :)
Allready in protest of these barbarisms of Israel
Hamas fired rockets at Israel
Westerners have condemned it!
Seeing the level of humanity makes me smile with anger ....
Huh!

If you can copy this writing and spread it a little.
There is no shortage of cheap Muslim masked Muslims in this country too .....


# BangladeshStandWithPalestine🇧🇩❣️








 #ফিলিস্তিন ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি। ফিলিস্তিনের জেরুজালেম ও গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জর...
15/05/2021

#ফিলিস্তিন ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি।

ফিলিস্তিনের জেরুজালেম ও গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি। বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিদের ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের উদ্যোগে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। খবর আরব নিউজের।

খবরে বলা হয়, ওআইসিভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।

এদিকে ইসরাইলের হাতে নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে বলে সরাসরি ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বৈরী আচরণ থেকে রক্ষার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
শনিবার (১৫ মে) এক বিশেষ বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এ কথা জানিয়েছেন।

মুহিউদ্দিন জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন এবং তার দেশের জনগণের আন্দোলনকে রাজনীতি, অর্থনীতি ও নৈতিকতার দিক দিয়ে সর্বদা সমর্থন দিয়ে আসছে।

তিনি জানান, পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য হিউম্যানিস্টিস্ট ট্রাস্ট ফান্ডের (একেএআরপি) মাধ্যমে মালয়েশিয়া গত বছর আল-আকসা মসজিদে ১০ হাজার মার্কিন ডলার (৪১,২৫০ রিঙ্গিত) সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও গত বছরের ১০ মে জর্ডানে একটি বিশেষ চার্টার্ড বিমানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সরকার এক মিলিয়ন ফেস মাস্ক, ৫০০ ফেস শিল্ড এবং ৫ লাখ রাবার গ্লাভসসহ চিকিৎসা পণ্য ফিলিস্তিনিদের কোভিড -১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে।

সুত্র যুগান্তর

 #মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। যেটি জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত। এটা মুসলমানদের কা...
10/05/2021

#মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। যেটি জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত। এটা মুসলমানদের কাছে ‘বায়তুল মোকাদ্দাস বা ‘আল আকসা’ মসজিদ নামে পরিচিত। ইসলামি স্থাপনার প্রাচীন এই নমুনাটি মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদি তিন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। ঈসা (আ.) এবং মরিয়ম (আ.) এর সাথে প্রাচীনতম ইবাদত গৃহ বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকসার সম্পর্ক সুনিবিড়ভাবে জড়িত।

মুসলিমদের কাছে আল আকসা মসজিদ নামে পরিচিত স্থাপনাটি ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত। আল আকসা হচ্ছে- ইসলামের প্রথম কেবলা এবং মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। মসজিদুল আকসায় এক রাকাত নামাজ আদায় করলে ২৫০ অন্য বর্ণনায় ৫০০ রাকাতের সাওয়াব পাওয়া যায়। শেষ জামানার ঘটনাবলির কারণেও এ এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলেই দাজ্জাল ও ঈসা (আ.) এর আগমন ঘটবে।

বিশ্বনবী (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকেই তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। বিশ্বনবী (সা.) মিরাজ গমনের প্রাক্কালে এই মসজিদে সব নবি–রাসুলের ইমামতি করে নামাজ আদায় করেন। এতে তিনি ‘ইমামুল আম্বিয়া’ অর্থাৎ সকল নবির ইমাম ও ‘সায়্যিদুল মুরসালিন’ তথা সব রাসুলের নেতা হিসেবে স্বীকৃত হন। এ এলাকাটি অসংখ্য নবি–রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত, এর আশপাশে অনেক নবি–রাসুলের কবর রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চলটি ওহি অবতরণের স্থল, ইসলামের কেন্দ্র, ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি ও ইসলাম প্রচারের লালনক্ষেত্র হিসেবে প্রসিদ্ধ। আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের আরও একটি বড় কারণ হলো, রাসুল (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির পর থেকে টানা ১৪ বছর পর্যন্ত আকসা মসজিদই ছিল মুসলিমদের কিবলা। মক্কায় যখন রাসুল (সা.) নামাজ পড়তেন তখন বায়তুল মোকাদ্দাস অভিমুখী হয়ে দাঁড়ালেও ক্বাবাকে তিনি সামনে রাখতেন। হিজরতের ১৬/১৭ মাস পর মহান আল্লাহর নির্দেশে মুসলমানদের কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে মক্কার দিকে স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হয়।

বিশুদ্ধ মতানুসারে সর্ব প্রথম আদম (আ.) মসজিদুল আকসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ইমাম কুরতুবির মতে এই মসজিদটি প্রথম নির্মাণ করেন আদম (আ.) এর কোন এক সন্তান। ইবনে হাজার আল-আস্কালানি নূহ (আ.) এর সন্তান সাম এর কথাও উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে এই মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেছিলেন ইব্রাহিম (আ.) এর সন্তান নবি ইসহাক (আ.) ও পরিপূর্ণ করেছিলেন নবি সুলাইমান (আ.)। বনি ইসরাইলের ধার্মিক লোকজন এই বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় আল্লাহ তা’আলার উপাসনায় মগ্ন থাকতো।

ইতিহাসের সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমা শেষে খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের আমলে জেরুসালেম বিজয় হলে বর্তমান মসজিদের স্থানে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারিত হয়। ৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর এটি পুনর্নির্মাণ করেন। পরে খলিফা আল-মাহদি এর পূনর্নির্মাণ করেন। ১০৩৩ খৃস্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফাতিমি খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন, যা অদ্যবধি টিকে আছে।

১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে ক্রুসেডাররা জেরুজালেম দখল করার পর তারা মসজিদটিকে একটি প্রাসাদ এবং মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত কুব্বাতুস সাখরাকে গির্জা হিসেবে ব্যবহার করত। মুসলিম বীর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি জেরুসালেম পুনরায় জয় করার পর মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার পুনরায় শুরু হয়। আইয়ুবি, মামলুক, উসমানি, সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল ও জর্ডানের তত্ত্বাবধানে এর নানাবিধ সংস্কার করা হয়। বর্তমানে পুরনো শহরটি ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসলামের তৃতীয় বৃহত্তম ঐতিহাসিক এ মসজিদটির ওপর চলছে যায়োনিস্ট ইহুদিদের আগ্রাসন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে ‘মসজিদুল আকসা’ জবরদখল করে নেয়। এরপর থেকে সেখানকার মুসলিম জনগণ মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জায়ানবাদী ইসরায়েল একের পর এক মুসলিম–অধ্যুষিত এলাকা জবরদখল করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখে।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। ইসরাইলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারে। আবার অনেক সময় তাদের বাঁধাও দেওয়া হয়। এই বিধিনিষেধের মাত্রা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। কখনও শুধু জুমার নামাজের সময় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর। আমরা মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদ জানাই, তিনি যেন আবারো আমাদেরকে কুদস বিজয়ের তাওফিক দেন এবং মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধার করার হিম্মত নসিব করেন।

‘ম্যাসেজ’ বই থেকে
পৃষ্ঠা: ২৪৪-২৪৬
দ্বিতীয় সংস্করণ

 #ভয়ঙ্কর বিপদে পরতে যাচ্ছে সৌদি..!!পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ক, সৌদি রাজপরিবারে ভাঙ্গন, ইরান-চীনের নতুন তেল বানিজ্য এই সব জটি...
20/07/2020

#ভয়ঙ্কর বিপদে পরতে যাচ্ছে সৌদি..!!

পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ক, সৌদি রাজপরিবারে ভাঙ্গন, ইরান-চীনের নতুন তেল বানিজ্য এই সব জটিল বিষয়ে নিখুত ভাবে বিশ্লেশন করা হয়েছে এই লেখায়..

এশিয়ার মিডিয়া সমুহে বর্তমানে হট আলোচনা এমনকি সম্পাদকীয় কলাম হচ্ছে চীন ইরানের নতুন মধুচন্দ্রীমা নিয়ে..

হুট করে কেন চীন ইরান নিয়ে এত আলোচনা এটা বুঝতে হলে আপনাকে অনেক গভীরে যেতে হবে। ২০১৫-১৬ তে সৌদি-তুর্কি শক্তিশালী মিত্র ছিল কিন্তু আমিরাত ও মিশরের উস্কানিতে এবং আমেরিকার খাসোগী গেইমে চরম মিত্র থেকে চরম শত্রুতে পরিনত হয় সৌদি তুর্কি। কিন্তু সৌদির আরেক শক্তিশালী মিত্র পাকিস্তানকে নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় কারন এই রাষ্ট্র টি সৌদি ও তুর্কি উভয় দেশের সাথে সুসম্পর্ক ঠিকিয়ে রাখছিল।

পরিশেষ সৌদি পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার কে হাঠাতে সেনাদের অনুরোধ করে কিন্তু সেনারাই যে ইমরান খানকে পুতুলের মত বসিয়ে গোটা ভারত উপমহাদেশ দখলের চক কষে রেখেছে সেই খবর সৌদির নেই।
অপরদিকে সৌদি পাকিস্তানের চরম শ্রত্রু ভারতে মোটা অংকের বিনিয়োগ করা এবং মুশরিকের সাথে ভাই সম্পর্ক ঘোষনা করা এবং সৌদির আরেক বন্ধু রাষ্ট্র আমিরাত-ভারত গলায় গলায় ভাব এগুলো পাকিস্তানকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর এই ভারতের গড় ফাদার হচ্ছে পাকিস্তানকে পথে বসানো আমেরিকা।

এদিকে চীনের সাথে পাকিস্তানের চরম দোস্তি। এই চীনের সাথে আবার আমেরিকার সম্পর্ক বাঘে-মহিসে। আবার ভারতের সাথে চীনের সম্পর্ক পাঠা আর সিংহের মত।

আবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র ছিল ইরান-ভারত। ইরানকে আমেরিকা অবরোধ দিয়ে পথে বসিয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু সাম্প্রতিক আমেরিকা তার দাশ ভারত কে বলে দিয়েছে ইরানের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলতে। কারন বিশ্বে ইরানের সবচাইতে বড় তেলের মক্কেল হচ্ছে ভারত।

মুলত ইরানের সাথে চীনের সম্পর্ক তৈরী করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান এই কাজের মাধ্যামে সৌদিকে কঠোর বার্তা দিচ্ছে যে পাকিস্তান নিয়ে খেলা করার চেষ্টা করলে আম চালা দুটোই হারাতে হবে সৌদিকে।

সৌদি ১৬০ বিলিয়ন ডলারের যে তেল রপ্তানী করে তার সবচাইতে বড় ক্রেতা হচ্ছে চীন। চীন শুধুমাত্র সৌদি থেকে তেল ক্রয় করে বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে ইরানের মোট তেল রপ্তানী হচ্ছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। চীন পরিস্কার বলেছে যে তারা ইরানে ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এবং তা তেল ক্রয়ের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করবে।

এবার আপনি চিন্তা করে দেখুন সৌদি থেকে যদি বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার মাইনাস হয় আর তা যদি ইরানে যোগ হয় তাহলে সৌদির জন্য কত ভয়ঙ্কর ব্যাপার হযে দাড়ায় ।

৪০ বিলিয়ন ডলার মানে কত? ১৭ কোটি বাংলাদেশের মোট রপ্তানী হচ্ছে ৫৫ বিলিয়ন ডলার।যার মধ্যে গার্মেন্টস ৪০ বিলিয়ন ডলার আর রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন ডলার। আর ৮ কোটি ইরানের মোট রপ্তানী হচ্ছে ৫০ বিলিয়ন ডলার।

পাকিস্তান কেন সৌদির ভাতের থালা নিয়ে টানাটানি করতেছে? এটা বুঝতে চাইলে আপনাকে ১৪শত বছর পেছনে ফিরে যেতে হবে। কারন রাসুল (সাঃ)
এর ২ টি বানী বা হাদিস দ্বারা সব আলামত স্পষ্ট।

১ম বানী হচ্ছে রাজপরিবার ধ্বংস যা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং রাসুল (সাঃ) বাদশার মৃত্যুর পর বলতে যে বাদশাকে বুঝিয়েছেন সেটি যে বাদশা সালমান সেটি বুঝতে আর কারো বাকী নেই।

২য় বানী হচ্ছে, গজওয়ায়ে হিন্দ বা হিন্দুস্থানের যুদ্ধ এবং বিজয়ের কথা বলা হয়েছে। শুধু এই উপমহাদেশ নয় গোটা বিশ্বে মুসলমানদের পক্ষে শক্তিশালী একটি বাহিনী হচ্ছে পাক সেনাবাহিনী।

সুতরাং যে সেনাবাহিনী এই উপমহাদেশের ২০০ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বের সবচাইতে বড় শাসন কর্তা হবে সে কেন বিলুপ্তির ধারপ্রান্তে আসা সৌদ পরিবারের চামচামী করবে।আর এই কারনেই ৫০ বছরের পুরোনো মিত্র সৌদির ভাতের থালা কেড়ে নেওয়া মত কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান।

২০১৬ সাল থেকে সমস্যা শুরু, কই এতদিনেও তো সৌদি ইসলাম ও মুসলাম জাতির পক্ষে দাড়ালোনা বরং গাজাকে মিশরের হাতে তুলে দিয়ে জেরুজালেম কে ইসরাইলের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করেছে। মুসলাম জাতির জঘন্য দুশমন আমেরিকা-ইসরাইল-ভারত এই সব রাষ্ট্রের সাথে নতুন করে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

সুতরাং সৌদি পরিশোধন হওয়ার মত গত ৩ বছর সময় পেয়েছে, কিন্তু নিজেকে পরিশোধন না করে উল্টো ইসলাম পন্থী ও আমেরিকা বিরোধী মুসলমান শাসক গুলো উৎখাত করে যাচ্ছে একের পর এক।

তাই কিং সালমানের মৃত্যুর সাথে সাথে সৌদ পরিবারের এক ট্রিলিয়ন ডলার লুট করার জন্য গোটা বিশ্বের নেতারা মক্কা-মদিনা-জিদ্দা-রিয়াদ দৌড়াদৌড়ি শুরু করবে।

যেটাকে রাসুল (সাঃ) ১৪০০ বছর পুর্বে বলেছেন, "বাদশার মৃত্যুর পর তার ৩ সন্তান লড়াই করবে কিন্তু কেউ সম্পদ বা রাজত্ব পাবেনা" এখানে ৩ সন্তান বলতে ৩ রাজপুত্রকে বলা হয়েছে। আর এই ৩ রাজপুত্র হচ্ছে..

# মোহাম্মদ বিন সালমান যিনি রিয়াদ ভিত্তিক সৌদি সেনার একাংশের নেতৃত্ব দেবেন।
# মোহাম্মদ বিন নায়েফ (বরখাস্ত কৃত ক্রাউন প্রিন্স ও বর্তমান বন্দি) যিনি সরাসরি আমেরিকান সেনাদের নিয়ে রিয়াদ দখল করার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করবেন।
# প্রিন্স খালিদ বিন ফয়সাল যিনি বর্তমান মক্কার গর্ভরনর।যিনি হক্বপন্থী মুসলমান শাসক ও সেনাদের নিয়ে মক্কা ও মদিনার পরিপুর্ন নিয়ন্ত্রন নেবেন এবং কাফের সেনাদের পবিত্র ২ শহরে প্রবেশে বাধা দিবেন।

তথ্য সূত্রেঃ

এ্যানালাইসিস
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষন।

 #"জাতীয় ঐক্য এবং বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য"বার বার বলা হয়েছিল যে, যুদ্ধ শুরু করলে শেষ করতে পারবেন না তারা। তারা আমলে নিলেন না...
31/01/2020

#"জাতীয় ঐক্য এবং বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য"

বার বার বলা হয়েছিল যে, যুদ্ধ শুরু করলে শেষ করতে পারবেন না তারা। তারা আমলে নিলেন না। তাদের নেতা ভিডিও গেমস ট্রাম্প লোহা লক্কর আর ইউরিয়া অস্ত্রের হিসেবে ইরানকে গুড়িয়ে দেয়ার চিন্তা করেছিল। ওরা ভেবেছিল দুনিয়া ব্যাপী যেমন জ্বী হুজুর করে, ইচ্ছে মত চড় থাপ্পড় মেরেই চলবে। কিন্ত বলেছিলাম যে, একটি জাতি মাথা নোয়ায় না। ১৯৭৯ সালে রক্তস্নাত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একটি জাতি পূনর্গঠনের শুরুতে পোষা সাদ্দামকে দিয়ে একটি যুূ্দ্ধ চাপিয়ে দিল শয়তান রাষ্ট্রটি, দিল অবরোধ কিন্ত তারা মাথা নোয়ায় নি। শাতিল আরব কি সাদ্দামের পূর্ব পুরুষের ভিটা ছিল যে, তার দখল বুঝে পাওয়ার জন্য যুদ্ধটা বাধাল? পায়ে পাড়া দিয়ে যেমনটা বলে তেমন একটা সংঘাত শুরু করল ইরাক, নেপথ্যে আমেরিকা। কিন্ত তারা কেউ শেষ করতে পারে নি। শেষ হয়েছে ইরানিদের হাতে।

শেষ কথা বলার সময় আসে নি। তবে ইতোমধ্যে এটা প্রমাণিত যে, কোনো কিছু ইরানের কাছ থেকে বিনা জবাবে পার পায় নি। ২০১২ সালে ইরানের নৌবাহিনী আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজকে উত্যক্ত করার সংবাদ এখনো গুগলে ছবিসহ পাওয়া যায়। কী এমন শক্তি তাদের যে, তারা একমাত্র বৈশ্বিক সুপার পাওয়ার আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজকে উত্যক্ত করে। আরেকবার জলসীমা অতিক্রম করলে মার্কিন নৌসেনাদের ধরে নিয়ে আসে। যেখানে দুনিয়ার সর্বত্র যারে তারে চড় থাপ্পড় মেরে বেড়ায় বিশ্ব রংবাজ যুক্তরাষ্ট্র সেখানে অজানা শক্তির তুচ্ছ ইরান কিভাবে তাদের নৌ সেনাদের ধরে নিয়ে আসে, তাদের যুদ্ধ জাহাজকে পাকড়াও করে।

এই ত গ্লোবাল হক উড়িয়ে আরেক বার মার্কিনীদের কৌলিন্যে কালিমা লেপন হয়েছে ২০১৮ সালে। তাদের হক পাখি ৬০,০০০ ফুট উপর দিয়ে উড়ছিল। যে রঙের পাখিটা তাতে রাডার ফাকি দিয়ে গোয়েন্দাগিরি চালাতে পারবে ভাবা হয়েছিল। কিন্ত পাখিটা রাডারের নজর এড়াতে পারে নি। আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করার আগেই তাকে সিগন্যাল দেয়া হলো দুই বার, অগ্রাহ্য করল পাখিটা। সীমান্ত লঙ্ঘন করার সময় তৃতীয় বার সিগন্যাল দিয়ে তাদের তৃতীয় সারির শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে পাখিটার পাখনা ভেঙে দেয়া হলো। পাখিটা গুড়ো হয়ে পড়ে গেল। এরপর কুটনৈতিক চেষ্টায় আলোচনাসাপেক্ষে ইরান কর্তৃক নির্বাচিত ফাকা জায়গায় দুয়েকটা ক্ষেপনাস্ত্র মেরে মুখ রক্ষা করতে চাইলেন কুলীন মার্কিনদের রাজা টেরম। বেরসিক ইরান তাও অনুমোদন করল না। ততদিনে কুলীনদের এবং তাদের বানিজ্যও, সামরিক জাহাজগুলো ভয়ে ভয়ে সাগরে চলতে আরম্ভ করল।

একটি জাপানি তেলবাহী জাহাজ ফুটো করে তারা ইরানের ঘাড়ে দোষ দেয়ার চেষ্টা করল। কিন্ত জাপান সেটা নাকচ করে দেয়ায় আবারো হতাশ হলেন ভিডিও গেমস টেরম। ইরানের তেল বিক্রিসহ অন্যান্য বিষয়, ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো নতুন করে। তারাও কুলীনদের একটি জাহাজ আটকে দিল। ব্যাস খেলা জমে গেল আরেকটু। ইউরোপের দালালগুলো পরমানু সমঝোতা থেকে ইরানকে না বেরুনোর ছবক দিয়ে যাচ্ছে কিন্ত আমেরিকাকে সরি বলে সমঝোতায় ফিরে আসতে চাপ দিতে পারছে না। মুখ রক্ষার জন্য আলোচনায় বসার চেষ্টা চালাতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে লাগিয়ে রেখেছে টেরম প্রশাসন। তারা ইরান থেকে ফোন গেলে ধরবে বলে ফোনের সামনে অধীর আগ্রহে বসে থাকার খবর ছাপে। এক দিকে সমঝোতা, আলোচনার কথা অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি নজরদারিতে আনার শর্ত এক সাথে চলতে পারে না বলে ইরান সে সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ম্যাক্রন ইরানী প্রেসিডেন্টকে রুমে নিয়ে কৌশলে ট্রাম্পের সাথে কথা বলানোর চেষ্টা করেছেন জাতিসংঘের সভা চলাকালে। ইরানী নেতা সে প্রস্তাবেও সাড়া দেন নি।

মাত্রই অভিশংসনের ঝুকিতে টেরম, তার উপর সামনে ইলেকশন। ইয়েমেনে মার খেয়ে সৌদী আলোচনার টেবিলে আসছে। সংলাপও চলছিল যাতে মূল ভূমিকায় ইরানের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। এখানে উল্লেখ করা দরকার পাল্টা আঘাত করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারলে কেউ আলোচনার টেবিলে আসে না। দুনিয়াটা জোর যার মুল্লুক তার অবস্থা। এ কারণে ইয়েমেমের সাথে সৌদী আলোচনায় বসার তাগিদ অনুভব করল। একই কারণে আমেরিকাও গেল বছর ইরানের সাথে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছে। যেভাবেই হোক আলোচনা ইতিবাচক। কিন্ত সমস্যা হলো সৌদী ইরান আলোচনা হলে ইরানের ক্যারিশম্যাটিক কুটনীতি সেটাকে দীর্ঘস্থায়িত্ব দিয়ে ফেলবে। ইরাকের মধ্যস্থতায় ইরাকে দু দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সমস্যা হলো ইরান সৌদী সমঝোতার দিকে আগালে ইসরাইল আমেরিকার স্বার্থে অনেকাংশেই ভাটা পড়বে বলে এ সমঝোতা হতে দেয়া যাবে না। ইসরাইলে কাকুতি মিনতির প্রেক্ষিতে তা ভেস্তে দেয়ার জন্য আমেরিকার প্রয়াস বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

জেনারেলকে হত্না করে তারা সীমিত মাত্রায়, সমানুপাতিক হারে প্রতিশোধ নেয়ার আহ্বান জানায় মার্কিনীরা। মানে বিষয়টা নিয়ে আপোষরফায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্ত তাদের আহ্বান আমলে নেয় নি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নেতারা। সুলাইমানি দাফনের আগেই ক্ষোভের জানান দেয়া হলো কেনিয়াতে। দাফনের কয়েক ঘন্টা পর ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাটি গুড়িয়ে দেয় সিরিজ ক্ষেপনাস্ত্র হামলায়। টেরমরা একজনও মার্কিন সেনা নিহত হয় নি বলে যে দাবি করেছে দুটি হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা হত্নার ইরানী দাবি অধিক যৌক্তিক। নেতা বললেন, 'আমেরিকাকে একটা চড় মারা হয়েছে মাত্র, এটা প্রতিশোধ নয়। তার মানে এর চেয়ে বেশি কিছু আমেরিকার জন্য অপেক্ষা করছে। আমেরিকার ক্ষয়ক্ষতি অস্বীকার করার মানে হলো পরবর্তী আঘাতটা তারা এ মুহুর্তে নেয়ার কথা ভাবতে পারছে না বা ভাবছে না।

১৭ টি জানাজায় কাছাকাছি চার কোটি মানুষের সমাগম হয়েছে। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে দেখিয়েছে মাইলের পর মাইল মাইলের পর মাইল শহরের চারদিকের রাস্তাগুলোতে মানুষের স্রোত প্রিয় জেনারেলকে শ্রদ্ধা জানাতে। সপ্তাহব্যাপী শোক পালন চলেছে দেশব্যাপী। দেশবাসীর এমন সম্মানের সাথে বিদায় কেউ নিয়েছেন কিনা আপনারা দেখেছেন কি? আমি আমন্ত্রণ জানাই সে খবর জানানোর জন্য কে সেই ভাগ্যবান মহান ব্যক্তিত্ব। কোনো নেতিবাচক, সন্ত্রাসী, নির্মম ব্যক্তি তার জাতির ভালবাসা এভাবে পায় নি। আপনারা যারা দুর্ভাগা মুসলিম খুব সহজে রায় দিয়ে দিলেন উত্তরাধিকার রাজনীতির পথ পরিস্কার করার জন্য তাকে হত্না করা হতে পারে আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, ইরানিরা মেধা, সচেতনতায় আপনাদের চেয়ে অনেক উপরে। তারা নিশ্চয় এ ইঙ্গিত বুঝে নেয়ার কথা। যদি এমনটাই হতো তাহলে তারা দেশে বিদেশে সোচ্চার হতো তাদের নয়নের মনি উপড়ে ফেলার প্রতিবাদে। কাজেই আপনাদের অন্তরের ইয়াজিদপ্রীতির বিষ দিয়ে জ্বালা নিবারণ করা নিরর্থক। আপনাদের কালেমা এবং ধর্ম জ্ঞান এ কারণে হয়তো এমন যে, আপনাদের আদর্শ ব্যক্তিত্ব যারা তারা এমন নোংরা খেলায় অভ্যস্ত ছিলেন। নইলে শোকবিহ্বল একটি জাতির একজনও যেখানে এমন গন্ধ খুঁজে পান নি সেখানে আপনারা পেয়েছেন।

পরিস্থিতির বিবেচনায় সমগ্র ইরানি জাতি একাট্টা হয়েছে যা একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি। যা ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত। ইরাকে যে পরিস্থিতি তাতে আরেকটি ভিয়েতনাম হওয়া যৌক্তিক দাবি। লোহা লক্কড় আর ইউরিয়ার হাতিয়ার মুখ্য নয়। একজন এ অস্ত্রের সুইচ চাপতে গেলে আরেকজন টেনে ধরবে। এ শক্তি ইরানের আছে, আমেরিকার নেই। আমেরিকাতে টেরমের মাতলামি, ভ্রান্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে রাজ পথ থেকে সংসদ পর্যন্ত৷ একজন কাশেম সুলাইমানির মৃত্যুতে চার কোটির বেশি মানুষ বের হয়ে আসা, ভিড়ে ৫৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো হৈ চৈ, উচ্চবাচ্য না করা জাতিটাকে পিছে ঠেলে দেয়া ট্রাম্পের পক্ষে সম্ভব? খবরে এসেছে যারা অন্য দেশের নাগরিক বা সুলাইমানির প্রদেশের বাইরে থেকে সুলাইমানির শহরে জানাজায় অংশ নিতে গেছে তাদের চিনতে পারলে ট্যাক্সিওয়ালারা ভাড়া নেয় নি, বিক্রেতারা পণ্যের বিনিময় নেয় নি। তাদেরকে বলা হয়েছে যে, আপনারা শহীদ কাশেম সুলাইমানির মেহমান, আপনাদের খেদমত করা আমাদের দায়িত্ব। গরীব দেশের গরীব নাগরিকদের কাছ থেকে এমনটা বিস্ময়কর ভালবাসা, শ্রদ্ধার নিদর্শন।

আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না- বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ এর ঐতিহাসিক ভাষণে এ কথা বলেছিলেন। ঐক্য বড় শক্তি ছিল ১৯৭১ এ। ইরানিরা মরতে আপত্তি করবে না। কারণ তারা কাঁদতে ও মরতে শিখেছে। এ প্রসঙ্গে পরে বলছি। হাজার হাজার মানুষ মরে গেলেও তারা ইসরাইল কিংবা আমেরিকার সাথে পিছিয়ে পড়া পছন্দ করবে না। কিন্ত মহান আমেরিকার মহান নেতা কতজন সাধারণ নাগরিক বা সেনা হত্নার দায় নিয়ে সংসদ, জনগন, মিডিয়াকর্মীদের ঠেলা সামলাতে পারবেন? সংখ্যাটা কয়েকশ কি? এরই মধ্যে বলাবলি শুরু হয়ে গেছে যে, ভিডিও গেমস ট্রাম্প তার দেশের নাগরিক এবং স্বার্থকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।

পিছনে হুসাইন সামনে মাহদি যাদের তারা মরতে পারে, কাঁদতে পারে কিন্ত মাথা নোয়াতে পারে না। তেল আবিবে ইসরাইলিরা ইরানের অদম্য মানসিকতা, ভীত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য একটি গবেষণাকেন্দ্রকে দায়িত্ব দেয়। তারা একটি সিদ্ধান্তে আসে যে, ইরানীদের শক্তির বড় উতস হলো তারা পিছনে হুসাইনের জন্য কাঁদে আর সামনে ইমাম মেহেদির আগমনে বিজয়ের অপেক্ষা করে। যাদের অতীত এবং আগামী সব সময়ের প্রেরণা তারা বর্তমান প্রতিকূলতা ভেদ করে যাবে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকা অনুচিত।

প্রতিরোধ যোদ্ধা তারা তাদের সন্ত্রাসী বলা বিবেক বর্জিত মানুষের কাজ। খেয়াল করে দেখা দরকার যে, তারা অন্য দেশে, অন্য এলাকায় মারতে যায় নি, লুট করতে যায় নি। তারা তাদের দেশে হানা দেয়া খুনি, লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছে মাত্র। তাদেরকে দখলদার, লুটেরারা সন্ত্রাসী বলে আর আমাদের মগজওয়ালারা কোরাস করে। যখন বাশার আল আসাদের দেশে তুর্কী সীমান্ত হয়ে হাজার গাড়ির বহর নিয়ে সিরিয়া ইরাকে ঢুকল তখন আইএসকে কেউ সন্ত্রাসী বলে নি। যখন সেখানে শিয়া সুন্নী নির্বিশেষে গণহত্না শুরু করল তখন স্থানীয়দের টনক নড়ল। এরপর যখন শক্ত প্রতিরোধের মুখে পিছু হটার পর্যায়ে তখন তাদের সন্ত্রাসী বলা শুরু হয়ে গেল।

১৯৮০ সাল এপ্রিল মাস। আমেরিকার চুলকানি ছিল সোভিয়েতের নাস্তিকরা আফগানিস্তানে ঢুকে পড়েছে আগের বছর। নতুনভাবে দাঁড়ানো দেশটাতে ঢুকতে চাইল আমেরিকা। উদ্দ্যেশ মাতব্বরি, অস্ত্র বিক্রি, সোভিয়েত প্রভাব প্রতিরোধ। কিন্ত ইরান সব কিছুই প্রত্যাখ্যান করে। ফলে মোড়লদের সাথে বিপ্লবীদের টানাপোড়েন বাড়ে। এক পর্যায়ে ইরানে সর্বতো ঝটিকা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত আমেরিকা। পারস্য উপসাগরে উপস্থিতি সীমান্তের মরুভুমিতে এফ সিক্সটিনের বহর শেষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সংবাদ পেয়ে খোমেনির শুভাকাঙ্খীরা তাকে আত্নগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। খোমেনি রাগতস্বরে বললেন, 'আমাকে পালাতে বলছ কেন? আমি কি নিজের চাওয়ায় কিছু করেছি?' সঙ্গীরা চুপ হয়ে গেলেন। উড়তে গিয়ে ১২ টা এফ সিক্সটিন কোথায় হারালো সেটা আজও রহস্য।

তাদের কুটনীতিও অনেক ক্ষরধার যা তাদের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। নইলে এত অবরোধ, সম্পদ জব্দ করার পরও তারা টিকে থাকতে পারত না। যুদ্ধের কৌশলও ভালই রপ্ত করেছে। তাদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ যোদ্ধারা আধিপত্যবাদীদের বিভিন্ন ফ্রন্টে আটকে রেখেছে। যে কারণে যুদ্ধক্ষেত্রগুলো ইরানের ভুখন্ডের বাইরে। যদি আসাদের পতন হতো, নড়বড়ে ইরাকী শাসনব্যবস্থা ভেদ করে ইসরাইল ইরান সীমান্তে অবস্থান নিয়ে নিত। তাদের পোষা প্রাণী আইএসের হামলায় যখন বাশার দিশেহারা, বিভিন্ন মাধ্যমে আসাদের নির্বাসনের খবর চলে আসছে তখন সুলাইমানির সাথে দুই ঘন্টা বৈঠক শেষে বুক টানটান করে বেরিয়ে এসেছিলেন আসাদ। প্রায় অর্ধেক ভূখন্ড হারানো ইরাকও পতন থেকে রক্ষা পায় সুলাইমানির কৌশল, দূরদর্শিতায়। দায়েশের পরাজয় মানেই ইসরাইলের পরাজয়। তাই এতদিনের দোসর সৌদীকে পাশ কাটিয়ে তারা সুলাইমানিকে হত্নার পরিকল্পনা করে।

আজকের ইরান আমেরিকার ভুখন্ডে যুদ্ধ করতে যায় নি৷ তাদের দেশেও যুদ্ধক্ষেত্রটা আসছে না সম্ভবত। তাদের যত শক্তিই হোক, সব শক্তি নিয়ে তারা ইরান আক্রমণ করতে আসতে পারবে না। আক্রমণে আসলে যদি সেটা ঠেকিয়ে রাখা যায় কিছু ক্ষয়ক্ষতির মুখেও আমেরিকা দম বেশিদিন ধরে রাখতে পারবে না। আর বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে তাদের সেনারা দিশেহারা হয়ে পড়বে, ধৈর্য হারিয়ে ফেলবে। কাজেই আমেরিকা আলোচনাকেই বেছে নেবে সম্ভবত। ইরাকের সংসদ তাদের দেশে আমেরিকাকে দখলদার হিসেবে বিল পাশ করেছে। অবৈধ ভাড়াটেদের নৈতিক অবস্থান থাকে না, মনের জোরও থাকে না। কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির ভয়ে তারা আগের চেয়ে ভীত থাকবে। কারণ কোনো কিছুর ব্যাপারেই তারা কারো সমর্থন পাবে না, না জাতিসংঘ না আন্তর্জাতিক আইন। কারণ তারা সেখানে অবৈধ। শেষ পর্যন্ত তাদের ইরাক ছাড়াই লাগবে হয়তো। তাই তাদের এখন আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। শেষ পর্যন্ত যাই হোক টিকে থাকলে এ অঞ্চলে ইরান আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে আর আমেরিকা ইসরাইল হবে কোনঠাসা। এ কথা বলতে আমার খুব একটা কার্পণ্য নেই যে, সৌদী সমর্থন ঘুরিয়ে দিলে সাত দিনে ইসরাইল সাইজ হবে আর আমেরিকা লেজ গুটাবে।

Address

Dhaka

Telephone

+8801917275238

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when All world news-middle east posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to All world news-middle east:

Share