রেডলাইন

রেডলাইন ইতিহাস, রাজনীতি, যুদ্ধ— রেডলাইন এর কাজ

23/05/2025

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?

সিক্রেট হিস্ট্রি আবার ছাপলে কেমন হয়? কে কে নিবেন?

৪০% ছাড়ে সংগ্রহ করতে দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।‌স্টক একেবারেই সীমিত। বইটি আর ছাপা হবে না।
01/01/2022

৪০% ছাড়ে সংগ্রহ করতে দ্রুত ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।‌স্টক একেবারেই সীমিত। বইটি আর ছাপা হবে না।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সবাই কেমন আছেন? নিশ্চই প্রশ্ন করবেন, আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন। হ্যাঁ, আমরা আছি, কোথা...
25/12/2021

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সবাই কেমন আছেন? নিশ্চই প্রশ্ন করবেন, আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন। হ্যাঁ, আমরা আছি, কোথাও যাইনি। এবং আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ।

আমরা নিয়মিতই ইনবক্সে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হই যে, ‘আপনাদের ঘোষণা করা বইগুলো কবে আসবে।’ এ বিষয়ে জানাবার জন্যই আজকের পোস্ট। আমরা আজ আপনাদের দুটি বিষয় জানাব।

প্রথমেই দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, কিছু কারণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রেডলাইন এর প্রকাশনাকর্ম বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে হতাশ হবার কারণ নেই। আমাদের পেইজ থেকে ঘোষণা করা বইগুলো প্রকাশিত হবে শীঘ্রই, ভিন্ন কোনো প্রকাশনী থেকে। এ ব্যাপারে আমাদের একটি প্রকাশনীর সাথে কথা হচ্ছে, শীঘ্রই আশা করি সুসংবাদ দিতে পারব। ধারণা করতে পারছি, আগামী বইমেলা নাগাদ আমাদের ঘোষিত বইগুলো আপনারা অন্য কোনো প্রকাশনী থেকে পেয়ে যাবেন, শীঘ্রই এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

দ্বিতীয় ঘোষণাটি হচ্ছে, আমাদের প্রকাশিত বেস্ট সেলার বই ‘ইন সার্চ অফ অ্যা সিক্রেট হিস্ট্রি’ এর খুবই সীমিত কিছু কপি আমাদের হাতে আছে। বইটি এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য আর ছাপানো হবে না, অন্তত রেডলাইন পুনরায় সক্রিয় হবার আগ পর্যন্ত। তাই বিশেষ অফারে আমাদের হাতে যতগুলো আছে, আমরা বিক্রি করে দিচ্ছি। খুচরা নিতে চাইলে ৪০% ছাড়ে ৩৩০/- টাকার বইটা পাবেন মাত্র ২৮০/- টাকায়। আর পাইকারি যদি কেউ নিতে চান, ইনবক্সে যোগাযোগ করবেন। যেহেতু স্টক সীমিত, তাই আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিক্রি করা হবে। আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

15/09/2021

জেনারেল দোস্তাম...

উজবেক গুণ্ডা সর্দার আব্দুর রশিদ দোস্তাম ১৯৮০’র দশকে মুজাহিদিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের (রুশ) অনুগত পুতুল সেনাবাহিনীর জেনারেল ছিলো৷ এবারের যুদ্ধে সে দলবদল করলে CIA তাকে নিয়োগ দেয় এবং তাকে প্রচুর অর্থপ্রদান করে। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে দাশত-ই-লেইলিতে ধাতব শিপিং কন্টেইনারে আটক শতশত তা লে বা ন বন্দিদের হত্যার সময় দোস্তাম মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিল। দোস্তামের লোকেরা কন্টেইনারগুলোতে অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে বহু বন্দিকে হত্যা করে এবং বাকিদের তাদের রক্তে ডুবিয়ে মারে। এমনই ছিল আমেরিকা কর্তৃক আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট কসাইদের পুনর্বাসন।

দোস্তামকে ২০০১ সালের ডিসেম্বরে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ২০১০ সালে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং বর্তমানে সে আফগানিস্তানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW) দোস্তাম এবং তার গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বেসামরিক পশতুন উপজাতীয় লোকদের গনহত্যাসহ অসংখ্য যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে৷ HRW এর প্যাট্রিসিয়া গুসম্যান আফগান সরকার কর্তৃক ফৌজদারি মামলার দাবি জানায়। তাদের মতে— ‘দোস্তামের সৈন্যদের নৃশংসতার দীর্ঘ রেকর্ডে ফারইয়াব প্রদেশের গনহত্যা সর্বশেষ সংযোজন। কিন্তু উত্তর আফগানিস্তানে নিরাপত্তাহীনতার একমাত্র কারন এই গুন্ডাবাহিনী এবং উপরাষ্ট্রপতি দোস্তুামকে কখনোই জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতে হয়নি।’



টাইম টু এন্ড
দ্যা ওয়ার ইন আফগানিস্তান

২০১০ সালে রোলিং ষ্টোন ম্যাগাজিন বিন লা দে ন পুত্র ওমরের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে, যেখানে সে বলে যে—  ‘আমার বাবার স্বপ্...
06/09/2021

২০১০ সালে রোলিং ষ্টোন ম্যাগাজিন বিন লা দে ন পুত্র ওমরের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে, যেখানে সে বলে যে— ‘আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমেরিকাকে আফগানিস্থানে টেনে নিয়ে আসা। তাহলে তিনি সেই একই কাজ করতে পারবেন, যেটা তিনি রাশিয়ানদের ক্ষেত্রে করেছিলেন। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম এটা দেখে যে, আমেরিকানরা তার টোপ গিলেছে। আমি প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের মানসিকতাকে অনেক অনেক সমীহ করি। যখন আমার বাবা তার সময়কালে আক্রমণ করেছিলেন, তিনি আমার বাবার প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোতে মাত্র কয়েকটি ক্রুজ মিসাইল পাঠিয়েছিলেন। যদিও তিনি আমার বাবাকে পেতে পারেননি; কিন্তু সর্বপোরি আফগানিস্তানের যুদ্ধটি তখন পর্যন্ত আমার বাবার হাতেও ছিল না। অথচ তারা এখন শত শত বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। কিন্তু নিজ অর্থনীতির জন্য এসব ডলার নিজেদের কাজে ব্যায় করাই আমেরিকানদের জন্য উত্তম। ক্লিনটনের সময়কালে আমেরিকা অনেক অনেক স্মার্ট ছিল। সেই ষাঁড়ের মতো নয় যেটা কেবলমাত্র কোনো লাল কাপড়কে লক্ষ্য করে ছুটে আসে। বুশ যখন নির্বাচনে জয়লাভ করে আমি তখন আফগানিস্তানে ছিলাম এবং আমার বাবা এজন্য খুব খুশি হয়েছিলেন। এই ধরনের প্রেসিডেন্টই তার প্রয়োজন ছিল, যে আক্রমণ হানবে, টাকা ঢালতে থাকবে এবং তার দেশকে ধ্বংস করে ফেলবে। আমি নিশ্চিত যে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমার বাবা ওবামার চেয়ে ম্যাককেইনকেই বেশি চেয়েছিলেন, কারণ তার মেন্টালিটি ছিল বুশের মতোই।’

এটি হয়তো ওবামা এবং ক্লিনটন সম্পর্কিত একটি শিশুসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি, তবে মূল কথা এই যে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আমেরিকা তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যতই স্বল্পমেয়াদী লড়াই লড়তে চাইবে এটা ও সা মা বিন লা দে নে র দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণে ততই সহায়ক হবে।
উক্ত প্রতিবেদনে ওমর বিন লা দে ন কে আরও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, আপনি কি মনে করেন, আপনার বাবা আমেরিকার বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ পরিচালনা করবেন? সে উত্তরে বলে— ‘আমি এটা মনে করি না, কারণ তার এটা করার কোনো প্রয়োজনও নেই। আফগানিস্তানে আমেরিকার পদার্পণের সাথে সাথেই তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে এবং তিনি ইতোমধ্যেই জয়লাভ করেছেন।’

প্রকাশিতব্য বই টাইম টু এন্ড দ্যা ওয়ার ইন আফগানিস্তান থেকে... শীঘ্রই আসছে ইনশাল্লাহ!

আফগানিস্তানে ব্যর্থতা কি মার্কিন সাম্রাজ্যের পতনকে নির্দেশ করছে?-তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর আন্তর্জাতিক সব গনমাধ্যম...
03/09/2021

আফগানিস্তানে ব্যর্থতা কি মার্কিন সাম্রাজ্যের পতনকে নির্দেশ করছে?
-

তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর আন্তর্জাতিক সব গনমাধ্যমের নজর যখন আফগানিস্তানের উপর, তখন সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আফগানিস্তান তার ইতিহাস জুড়ে অন্যান্য অঞ্চলের মতো বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত ও শাসিত হয়নি এমনটা বোঝাতে বিশ্লেষণ ও ধারাবিবরণীগুলোতে ‘সাম্রাজ্যের গোরস্তান’ (Graveyard of empires) বিশেষনটি বারবার উল্লেখিত হয়েছে। এর মতো বহুল ব্যবহৃত ও অপব্যবহৃত শব্দ কমই আছে।

আফগানিস্তান যেন শুধুই পশ্চিমা দেশগুলোর কবর খুড়েছে কিংবা মহৎ উদ্দেশ্য সত্ত্বেও এই ‘উন্নত বর্বরেরা’ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার যুদ্ধ জয়ের জন্য অধিক দুর্বল বা বোকা ছিল— এমন ধারনা থেকেই প্রশ্ন ও সন্দেহ জাগে যে আফগানরা সভ্য সমাজগুলোকে চোরাগর্তে আটকানোর জন্য যথেষ্ট যোগ্য কিনা।

পশ্চিমা বয়ান নিজেদের কথিত ‘ব্যর্থতা’ ও আফগানদের উপর মনোনিবেশ করেছে। কিন্তু পিছুহটা পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক বিষয়াদি সমাধানে তার বর্ধনশীল ব্যর্থতা সম্পর্কে আফগানিস্তানের ঘটনাবলি ঠিক কি বার্তা দেয়, কয়েকজন এর উপরেও আলোকপাত করেছেন৷

তালেবানের হাতে কাবুলের পতন দেখার সময় সাবেক স্টেইট সেক্রেটারি হেনরি কিসিঞ্জারের একটি মন্তব্য আমার মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন— ‘যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হওয়া বিপজ্জনক হলেও তার বন্ধু হওয়াটা প্রানঘাতি।’

২০০১ এ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ও সর্বাধিক সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্রটি দুই ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পাশাপাশি ৭লক্ষ ৭৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং দুই দশক ধরে প্রশিক্ষন, অস্ত্র সরবরাহ ও রাষ্ট্রনির্মান কাজ করেছে। আর পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তার আফগান মিত্ররা এক সপ্তাহের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করে ফেলেছে।
আফগানিস্তান কি মার্কিন আধিপত্যবাদী শতাব্দীর সমাপ্তিকে নির্দেশ করছে, নাকি এটি শুধুই বৈশ্বিক আধিপত্যের সাময়িক বিচ্যুতি?

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একাধিকবার এরকম সঙ্কটের মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। ১৯৪১ এ পার্ল হার্বারে জাপানি হামলায় ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিটের ধ্বংস এবং পরবর্তীতে জাপানি হানাদারদের কাছে ফিলিপাইনের পতন ছিল এরকমই একটি মুহূর্ত। কিন্তু এরপর যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নৌবাহিনী পুনর্গঠন করেছিল এবং তিন বছরের মধ্যেই জাপানের কোমর ভেঙে দিয়েছিল।

১৯৭৩'র যুদ্ধও এর আরেকটি উদাহরণ। সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনপুষ্ট হয়ে মিশরীয় ও সিরীয় বাহিনী ইসরায়েল অধীকৃত অঞ্চলে অকস্মাৎ আক্রমন করে বসে। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রকে আকাশপথে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া শুরু করলে তেল উৎপাদনকারী আরব দেশগুলো তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যা দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক আঘাত হেনেছিল৷ কিন্তু দশ বছর পর তারা ঠিকই ঐ অঞ্চলে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব কমিয়ে ফেলে এবং মিশরকে আরব জাতিয়তাবাদী ব্লক থেকে সড়াতেও সমর্থ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষয়িষ্ণুতা ঘোষনা করার মত পরিস্থিতি এখনো তৈরি না হলেও বিগত দুই দশকে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক সমীকরনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক ফরিদ জাকারিয়া তার ২০০৮ সালে প্রকাশিত ‘দ্য পোস্ট-আমেরিকান ওয়ার্ল্ড’ এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তার ভাষ্যমতে, আমেরিকা পরবর্তী বিশ্ব-বাস্তবতায় নবাগত পরাশক্তিরা আরো কঠোরভাবে নিজেদের স্বার্থের কথা জানান দিচ্ছে। বিশ্বাসযোগ্য না হলেও একমাত্র তিনিই দেখিয়েছেন যে, মার্কিন কর্মপন্থার বর্তমান মূলনীতি ও ধারনাটি গ্রহন করার ফলেই অন্যান্য শক্তির উত্থান ঘটেছে।

পেছেনে তাকালে আমরা দেখবো যে, বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থান ছিল নাটকীয় এবং যুগান্তকারী। ১৯১৩ নাগাদ এটি প্রধান অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিনত হয়েছিল৷ যদিও তখন বৈশ্বিক রাজনীতিতে তার প্রভাব ছিল না বললেই চলে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে যোগ দিয়ে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে৷ যুক্তরাষ্ট্র যে গোটা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারে বৃটিশ সাম্রাজ্যের জায়গা দখল করতে যাচ্ছে, এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর এর ৫০ বছরেরও কম সময় পর ইস্টার্ন ব্লক ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকালে ওয়াশিংটন বিজয়ীবেশে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হয়।

‘ম্যানিফেস্ট ডেস্টিনি’ তে বিশ্বাসের মাধ্যমে নৈতিকভাবে এবং মার্কিন ডলারকে রিজার্ভ মুদ্রা বানানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন বিশ্বব্যবস্থা ও বৈশ্বিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে৷ রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীদের আর্থিক সক্ষমতার মাঝে ব্যাপক তফাৎ গড়ে দেয় এবং আকাশপথ ও তেল পরিবহন লাইনের নিয়ন্ত্রন এনে দেয়৷

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নিজের হাতেই নতুন বিশ্বব্যবস্থা উন্মোচিত হয়েছে। জাতিসংঘকে উপেক্ষার পাশাপাশি সাদ্দাম হোসেইনের কাছে ওয়েপন অব মাস ডেস্ট্রাকশন আছে— এমন মিথ্যাচার করার মাধ্যমে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায়। এই হামলার মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র তার নৈতিক আধিপত্য হারাতে শুরু করে৷ অন্যদিকে ২০০৮ সালের মহামন্দায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানতম অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পতনের মধ্য দিয়ে এর অর্থনৈতিক আধিপত্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এগুলোর পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার পুনরুত্থান ও চীনের নব উত্থানও ঘটে চলছিল৷

২০১০'র দশকে যুক্তরাষ্ট্র যে আভ্যন্তরীণ সামাজিক-রাজনৈতিক সংকটে ভুগছিল, সেটাও স্পষ্ট হয়ে উঠে। ট্রাম্পবাদের (trumpism) উত্থান, বাড়ন্ত বর্নবাদী অবিচারের প্রেক্ষিতে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (black lives matter) আন্দোলনের জন্ম এবং কোভিড-১৯ মহামারিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রায় পতন্মুখ অবস্থা এই সংকটেরই লক্ষন। আফগানিস্তান থেকে অপমানজনক প্রত্যাহারকে এই বিস্তৃত পটভূমিতে বিবেচনা করলে যে কেউ বলবে মার্কিন আধিপত্যের শতাব্দী খুব সম্ভবত শেষ হতে চলেছে।

অবশ্য তার অর্থ কখনোই এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে অটোমান সাম্রাজ্য এবং একই শতাব্দীর শেষদিকে ও বিংশ শতাব্দীর শুরুতে রুশ সাম্রাজ্যের ইতিহাস থেকে আমরা বলতে পারি যে, পতন্মুখ সাম্রাজ্যেরও সাম্রাজ্যবাদি শক্তি থাকে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তি। এর অর্থনীতির আকার ও প্রভাব এখনও সমীহ জাগানিয়া। তবে যে বিষয়টির পরিবর্তন হয়েছে তা হল ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংঘাতে জড়ানোর ইচ্ছা। আফগানিস্তান ও পুরো বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাই বৈশ্বিক আধিপত্যের প্রতি এর বাড়ন্ত বিতৃষ্ণাকে সর্বপ্রথম অনুভব করছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক আধিপত্য বজায় রাখতে সংঘাতে জড়ানোর মার্কিন ক্ষুধাও কমে আসছে।

-
আল-জাজিরা, ২৮ আগস্ট ২০২১

মূল: জালান খান,
সোশ্যাল মিডিয়া ফোরাম কিসসা খোয়ানির(Qissa Khwani) প্রতিষ্ঠাতা
অনুবাদ: ইয়াসিন আরাফাত

ইনশাল্লাহ আগামীকাল আসছে আল জাজিরার বিশেষ আর্টিকেলের বাংলা অনুবাদ...‘আফগানিস্তানে ব্যর্থতা কি মার্কিন সাম্রাজ্যের পতনকে ন...
02/09/2021

ইনশাল্লাহ আগামীকাল আসছে আল জাজিরার বিশেষ আর্টিকেলের বাংলা অনুবাদ...

‘আফগানিস্তানে ব্যর্থতা কি মার্কিন সাম্রাজ্যের পতনকে নির্দেশ করছে?’

01/09/2021

আড্ডা পোস্ট : ০২
রেডলাইনের কাজগুলোকে কতটা উপকারী মনে হয়? আর এগুলোর প্রসারে আপনাদের চিন্তা কি?

31/08/2021

বিশ্বরাজনীতি নিয়েই রেডলাইন এর কাজ। তো বলুন তো গতকাল মার্কিন বাহিনীর সর্বশেষ সৈন্যটিরও আফগান ভূমি থেকে চলে যাওয়া নিয়ে আপনাদের ভাবনা কি?

❝তা লে বা নের দখলে বিশ্বের অতীব প্রয়োজনীয় এক ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের খনিজ সম্পদ রয়েছে।❞- একেবারে চোখ কপালে উঠে আসার মত স...
28/08/2021

❝তা লে বা নের দখলে বিশ্বের অতীব প্রয়োজনীয় এক ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের খনিজ সম্পদ রয়েছে।❞- একেবারে চোখ কপালে উঠে আসার মত সংবাদ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিগত বিশ বছরে এই খনিজ সম্পদ বিষয়ে আমেরিকার নীতি ঠিক কী ছিল? এ বিষয়ে তারা কি অবগত ছিল না? তারা কতটুকু সম্পদ নিজেদের হস্তগত করতে পেরেছে? অথবা আদৌ কি তারা উল্লেখযোগ্য কিছু করতে সক্ষম হয়েছে? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, প্রকাশিতব্য Fool's Errand: Time to End The War on Afghanistan বই থেকে:

--------------------------------------------------------------------------

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালানোর পর তাদের তেল কেড়ে নেওয়া উচিত ছিল। এরকম অসংখ্য বক্তব্যে তার "জোর যার মুল্লুক তার" মনোভাব ফুটে উঠেছিল। তাই চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং এরূপ দৃষ্টিভঙ্গির কারনে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আফগানিস্তানের সম্ভাব্য খনিজ সম্পদের লোভ দেখান: ‘খনিজ উত্তোলনের জন্য একটি কোম্পানি এখনই প্রস্তুত এবং শোনা যাচ্ছে ফাইনবার্গের ডাইনকর্প তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চায়’। নিউইয়র্ক টাইমসের ভাষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন বাহিনীকে আফগানিস্তানে রাখার "অজুহাত" খুঁজছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য শুনে তিনি প্রচন্ড খুশি হন। তবে সমস্যা একটাই: অধিকাংশ খনিজই তা লে বা নের ঘাঁটি হেলমান্দ প্রদেশের দক্ষিনাঞ্চলে পাওয়া যায়!

রাজধানী দখলে রাখতে হিমশিম খাওয়া মেরিন এবং আফগান ন্যাশনাল আর্মি যেখানে তাদের কাছ থেকে ক্রয় কিংবা জব্দ করা আমেরিকান অস্ত্রে সজ্জিত বিদ্রোহীদের তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে, সেখানে এ অঞ্চল থেকে কোনো খনিজ সম্পদ আহরণ করা অকল্পনীয়ই বটে।

বইঃ Fool's Errand: Time to End The War in Afghanistan by Scott Horton.
ভাষান্তরঃ সিদ্দিক ইবনে মুসা
ইয়াসিন আরাফাত

আড্ডা পোস্ট-০১কমেন্ট করে ভাসিয়ে দিন!😶
27/08/2021

আড্ডা পোস্ট-০১
কমেন্ট করে ভাসিয়ে দিন!😶

অপরাজেয় ইসলামী বিশ্ব : খ্রিস্টীয় আদর্শ 'সার্বজনীন' মনে করার মূর্খতাকে আফগানিস্তান উন্মোচন করে দিয়েছে-আফগানিস্তানে মার্ক...
26/08/2021

অপরাজেয় ইসলামী বিশ্ব : খ্রিস্টীয় আদর্শ 'সার্বজনীন' মনে করার মূর্খতাকে আফগানিস্তান উন্মোচন করে দিয়েছে
-

আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পুরো সময়জুড়ে কী কী ভুল হয়েছে, সেটা নিয়ে দশকের পর দশক ধরে ইতিহাসবিদ, যুদ্ধবিশারদ এবং রাজনীতিবিদদের বিতর্ক চলমান থাকবে। কিন্তু বহু বছর ধরেই খুব সহজ যে বিষয়টি স্পষ্ট, তা হলো আমরা (পশ্চিমারা) প্রচেষ্টার অভাবে এই যুদ্ধে পরাজিত হইনি। বরং এই পরাজয়ের কারণ হচ্ছে, আমাদের সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তির একার পক্ষে ইসলামি দুনিয়াকে দীর্ঘমেয়াদে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

৯/১১ এর বিচার করতে গিয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ২০ বছর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় এসেছিল। কিন্তু দ্রুতই একটি সার্বজনীন সভ্যতা তথা রাজনৈতিক সম্প্রদায় নির্মান করতে গিয়ে সেখানে আমরা যেসব মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছিলাম, সমগ্র বিশ্বের মানুষ আমাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হবে বলেই আমরা ধারণা করেছিলাম। একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম যে, রাজনীতি সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল আর সংস্কৃতি গড়ে ওঠে ধর্মের আদলে। যুক্তরাষ্ট্র যে খ্রিস্টধর্মের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তান যে ইসলামের কারনেই আফগানিস্তান— এটা আমরা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি।

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্যামুয়েল হান্টিংটন যথার্থই বলেছিলেন যে, ইসলামি সমাজব্যবস্থা একটি স্বতন্ত্র সভ্যতার ভিত্তিতে দন্ডায়মান যা বলপূর্বক বিদেশি মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টাকেই তা প্রতিরোধ করে। আমরা এই যুক্তি স্বীকার করি কিংবা না-ই করি, আমাদের গচ্চা যাওয়া ট্রিলিয়ন ডলার, হারিয়ে যাওয়া হাজার হাজার জীবন এবং দুই দশকের যুদ্ধ কিন্তু এরচেয়ে ভিন্ন কিছু প্রমাণ করেনা।

তবুও, অনেকেই স্পষ্ট সত্যকে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, লিবিয়া এবং নাইজেরিয়ার সহিংসতাকে আপাতদৃষ্টিতে অসম্পর্কিত মনে হলেও আসলে এর সাধারন মতাদর্শ ও কর্মীদের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য একই। কিন্তু এগুলোর মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের কূটনীতিক ও কৌশলবিদরা এই দিকটিকে উপেক্ষা করে সকলক্ষেত্রে একই প্রতিক্রিয়া দেখাতে চান। সিরামিকের টিলায় পা পর্যন্ত ডুবে থাকা অদূরে দাঁড়ানো হাতিকে লক্ষ্য না করে ঘরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সিরামিকের টুকরোগুলোকে যেনো তারা সযত্নে আঠা দিয়ে যুক্ত করে চলছেন।

মূলত সকল মানুষকে সমান এবং পরিবর্তনীয় সত্তা হিসেবে (যাদের কাছে ধর্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতি হলো দ্বৈব দূর্ঘটনার ফল) দেখার মহৎ আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অন্ধত্বের উদ্ভব। কিন্তু এই কথিত দুর্ঘটনাই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে ধ্রুব সত্য, যার পক্ষে যুদ্ধ নেমে আত্নসমর্পণের বদলে তারা মৃত্যুকেই বেঁছে নিবে। এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হওয়া আমাদের আত্মিক শূন্যতার লক্ষণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার খ্রিস্টীয় গোড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে বুঝতে পারছে না যে, বিশ্বাস কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

‘বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য’ -এর মত আবেগী ধারনা একীভূত ইসলামী বিশ্বের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। মুসলমানদের নিজেদের এই ধরনের বক্তব্য কিংবা ইন্দোনেশিয়া ও মরক্কোর মধ্যকার স্থানীয় বৈচিত্র্য যে মুসলিম জাতীয়তাবাদের মৌলিক সংঘবদ্ধতাকে ক্ষুণ্ন করে না- সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম নামের ঘরটিতে অনেকগুলো কক্ষ থাকলেও এর খুঁটি সংখ্যা অল্পই। ‘আল্লাহর চূড়ান্ত বাণী কুরআন সমস্ত মানবজাতির জন্য অবতীর্ণ হয়েছে’, ‘ধর্মবিশ্বাস ব্যক্তিগত ইবাদতের পাশাপাশি সার্বজনীন আইনের সাথেও সম্পর্কিত’, ‘ইসলামি আইনে পরিচালিত রাস্ট্রে বসবাস করা উত্তম’, এবং ‘সম্ভব হলে মুসলমানদের উচিত অমুসলিমদের উপর বিজয়ী হওয়া যাতে আল্লাহর আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা যায়’— এসব মৌলিক চিন্তাই তা লে বা ন, আ ল-কা য়ে দা এবং হা মা স এর মতো দলগুলোকে ইসলামের ঐতিহাসিক ভূখন্ড দখলে রাখা ‘ইহুদি ও ক্রুসেডারদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্ধুদ্ধ করে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো মোটেই চরমপন্থা নয়৷ অধিকাংশ মুসলমানই সেগুলোকে আদর্শ হিসেবে দেখে, যদিও তদানুসারে তারা আমল করতে পারে না। নতুন প্রবণতা হয়তো পরিবর্তিত সময়ের সূচনা করতে পারে।

চারটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বন্ধুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি ছিল একটি ঝুকিপূর্ণ ও স্থুল পদক্ষেপ, যা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ধর্মপ্রান ও ধর্মনিরপেক্ষ নির্বিশেষে সকল মুসলমানই যেখানে ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মধ্যকার ইহুদীয় যোগসূত্রতার ব্যাপকভাবে বিরুদ্ধাচরণ করে, সেখানে এ ধরনের কাজ এখনও অসঙ্গতই। রক্ষনশীল মতবাদগুলোকে উদারতার সবক দিতে চাওয়া লোকেরা সাহসী হলেও তারা এখনো সংখ্যালঘু।

ইসলামী বিশ্বকে পরিবর্তন করতে না পারলেও বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে পাশ্চাত্যের পক্ষে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। পিছু হটা থেকে শুরু করে দমন, মূল্যবোধ ও আইন প্রতিষ্ঠা করার বদলে মার্কিন স্বার্থ ও তার মিত্রদের প্রতিরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়াই এক্ষেত্রে সেরা কৌশল। আমেরিকান মুসলমানরা স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য নাগরিকদের মতো একই অধিকার লাভ করে। যেসব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিত্রতা স্থাপন করতে চায়, বিশেষ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, তারা যখন কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়- তখন তাদেরকে সাদরে গ্রহন করে নেওয়াই উচিত। মার্কিন সরকার সহিংসতার মাঝে আটকে পড়া অমুসলিমদের জন্য বিশেষ উদ্বেগের পাশাপাশি আন্তঃ মুসলিম লড়াইয়ে হতাহতদের মানবিক সহায়তা প্রদানও চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বাগ্রে পিছু হটতে হবে। মার্কিন মূল্যবোধকে সম্মান করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে এই মূল্যবোধের প্রত্যাখ্যানকারীদের উপর একে জোর করে চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করা।

একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রই মুসলমানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। ওয়াশিংটনকে অবশ্যই তাদের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংগঠিত সমাজ তৈরির অধিকার মেনে নিতে হবে; কারন একটা সময়ে তারা এটা করেই ছাড়বে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত সীমাকে অতিক্রম করলেও আমরা চুপ থাকবো৷ তবে এ কাজ করার অধিকার যে তাদের রয়েছে, এটাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে।

ইসলামি দুনিয়ার পরিবর্তন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে৷ কিন্তু এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই আমাদের দায়িত্বের মধ্যে ছিল না। যে আত্মিক পীড়া আমাদেরকে অন্ধ করে রেখেছে, সেটা নিরাময়ের উপরেই আমাদের অধিক মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাহলেই আমরা আমাদের নিজস্ব সভ্যতার অনুভূতিকে পুনরুদ্ধার করতে পারবো এবং তদানুযায়ী আমাদের অগ্রাধিকারগুলিকে পুনর্বিন্যাস করতে সক্ষম হবো।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত
The Unconquerable Islamic World :
Afghanistan shows the folly of mistaking Christian ideals for ‘universal’ ones. অবলম্বনে
মূল: রবার্ট নিকলসন
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট
অনুবাদ : সিদ্দিক ইবনে মুসা

#সাপ্তাহিক_বিশেষ_আয়োজন

Address

BanglaBazar
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রেডলাইন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রেডলাইন:

Share

Category