We Love Prophet Muhammad SAW

We Love Prophet Muhammad SAW Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from We Love Prophet Muhammad SAW, Digital creator, Dhaka.

আসছে ঈদুল আযহা ও কুরবানি। যারা আমরা কুরবানি দিব তাদের নখ-চুল ইত্যাদি কাটা বিষয়ক একটি মাসনূন আমল আজকে জেনে নিব ইনশাআল্লাহ...
25/05/2025

আসছে ঈদুল আযহা ও কুরবানি। যারা আমরা কুরবানি দিব তাদের নখ-চুল ইত্যাদি কাটা বিষয়ক একটি মাসনূন আমল আজকে জেনে নিব ইনশাআল্লাহ।

কুরবানি দাতার জন্য একটি বিশেষ আমল হচ্ছে:

জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে কুরবানি আদায় করার আগ পর্যন্ত নখ, চুল, গোফ ও শরীরের কোনো পশম না কাটা। পশু কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর এগুলো কাটা যাবে। তাই জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার আগেই নখ, চুল, গোফ বা এরকম অন্যান্য কাজগুলো সেরে ফেলা। ঈদের দিন কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর আবার এগুলো কেটে পরিচ্ছন্ন হওয়া। হাদীসের আলোকে জানা যায় উক্ত মুস্তাহাব আমলটি যারা কুরবানি দিবেন না তারাও চাইলে করতে পারেন। এতে ইনশাআল্লাহ তারাও সওয়াবের অংশীদার হবেন।

নখ-চুল কবের মধ্যে কাটতে হবে?
২৮ মে বুধবার সূর্যাস্তের আগেই নখ-চুল ইত্যাদি কেটে পরিচ্ছন্ন হতে হবে।

এ বছর জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৮ মে ২০২৫ ইং তারিখ রোজ বুধবার। অর্থাৎ উক্ত দিন জিলক্বদ মাসের ২৯ তারিখ। যদি ২৮ মে বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়, তাহলে এরপর থেকে আমরা আর চুল-নখ ইত্যাদি কাটবো না। যদি চাঁদ দেখা না যায় সেক্ষেত্রে পরের দিন বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত নখ-চুল ইত্যাদি কাটার সময় পাওয়া যাবে। যেহেতু চাঁদ কবে উঠবে সেটা আমরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তাই আমাদের উচিত হবে যারা কুরবানি দিব, তারা যেন সকলেই ২৮ মে বুধবার সূর্যাস্তের আগেই উক্ত কাজগুলো সেরে ফেলি।

মনে থাকার সুবিধার্থে আমরা নিজ নিজ ফোনে চুল-নখ কাটার জন্য রিমাইন্ডার অ্যালার্ম সেট করে রাখতে পারি।

হাদীস ১
হযরত উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সা) বলেছেন:

যখন তোমরা যিলহাজ্জ মাসের (নতুন চাঁদ দেখতে পাও) আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল না ছাটে ও নখ না কাটে।

মুসলিম ৫০১৩; ই. ফা. ৪৯৫৭, ই. সে. ৪৯৬৩

হাদীস ২
আরেকটি হাদীসে আছে, একজন সাহাবী একবার হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জানতে চেয়েছেন:

আমার একটি মাত্র দুধের বকরি আছে। আমি কি তা কুরবানি করে দেব?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘না, তুমি বরং তোমার নখ-চুল কাটো, গোফ ছোট করো আর লজ্জাস্থানের লোম পরিস্কার করো। আল্লাহ পাকের নিকট এটাই তোমার কুরবানির পূর্ণতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’

আবু দাউদ, হাদীস : ২৭৯১

আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরবানি দেয়ার তাওফিক দান করুন। যারা কুরবানি দিবেন তাদেরকে উপরের আমলটি করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

20/04/2025

অনেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই।এই মুহূর্তে তাদের পুনর্বাসনে আর্থিক সাহায্য জরুরি। অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থ কালেকশন করছে।দয়া করে নিশ্চিত না হয়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিবেন না।আপনার দানকৃত অর্থ কোথায় যাচ্ছে এটা জানার অবশ্যই অধিকার আপনার আছে।ইতোমধ্যে কিছু ভন্ড ধান্ধাবাজের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

22/03/2025

কেন প্রতি রমাদানে ইসরায়েল হামলা করে?

মুসলিমদের পবিত্রভূমি শাম,ফিলিস্তিন, আল আকসা বারবার আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। কিভাবে পবিত্রভূমি বা পবিত্রস্হান মসজিদসমূহে মুসলিমরা আবার পূর্বের মত ইবাদত করতে পারবে তা বুঝতে হলে কুরআন, হাদীস, ইতিহাস, বিশ্বপরিস্হিতির সঠিক জ্ঞান প্রয়োজন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যান্ত—যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।”

সুরা বনি ইসরাইল, ১৭: ১
● আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদুল আকসায় এক ওয়াক্ত সালাত ৫০ হাজার সালাতের সমান।’

মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। যেটি জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত। মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। এটি নির্মাণ করেছিলেন নবি ইসহাক (আ.)। আর পুনরায় র্নির্মাণ ও পরিপূর্ণ করেছিলেন নবি সুলাইমান আলাইহিস সালাম। এটি মুসলিমদের প্রথম কিবলা।

খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের আমলে জেরুসালেম বিজয় হলে বর্তমান মসজিদের স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে উমাইয়া শাসক আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনরায় র্নির্মাণ ও সম্প্রসারিত হয়। ৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর এটি আবার নির্মাণ করেন। পরে খলিফা আল-মাহদি এর পূনর্নির্মাণ করেন। ১০৩৩ খৃস্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফাতিমি খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন, যা অদ্যবধি টিকে আছে। মুসলমানদের কাছে জেরুজালেম শহরটি ‘আল কুদস’ নামেও পরিচিত।

● রসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- “আল কুদসের (জেরুজালেম) এমন কোনো জায়গা খালি নেই যেখানে একজন নবি সালাত আদায় করেননি বা কোনো ফেরেশতা দাঁড়াননি।” (জামে তিরমিজি)।

● আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, একবার তিনি নবিজিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! প্রথম নির্মিত মসজিদ কোনটি?’ উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘মসজিদুল হারাম।’ তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘এরপর কোনটি?’ নবিজি (সা.) বললেন, ‘মসজিদুল আকসা।’ আবু যার (রা.) এবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘উভয়টি নির্মাণের মাঝে ব্যবধান ছিল কত বছর?’ তিনি বললেন, ‘চল্লিশ (বছর)।’ এরপর তিনি আরও বললেন, ‘যেখানেই সালাতের সময় হবে, সেখানেই তুমি সালাত আদায় করে নেবে। সেটাই তোমার জন্য মসজিদ।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)।

মোটকথা পৃথিবীর প্রথম মসজিদ হচ্ছে মসজিদুল হারাম বা বাইতুল্লাহ। কিন্তু মসজিদুল হারাম ও মসজিদুল আকসা নির্মাণের মাঝের ব্যবধানের ব্যাপারে যে বলা হলো, তা ছিল চল্লিশ বছর। অথচ আমরা জানি যে, মসজিদুল হারাম নির্মাণ করেছিলেন ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) আর মসজিদুল আকসা নির্মাণ করেছিলেন সুলাইমান (আ.)। ইতিহাস বলে, তাদের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল এক হাজার বছরেরও বেশি সময়। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন,

“এ হাদিসটি তাদের জন্য বোঝা কষ্টকর যারা এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানে না। কেউ হয়তো বলতে পারে—‘এ তো সবাই জানে যে, নবি সুলাইমান (আ.) মসজিদুল আকসা নির্মাণ করেন। আর ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল প্রায় হাজার বছর।’ আসলে এ কথার দ্বারা ব্যক্তির অজ্ঞতাই স্পষ্ট হয়। কেননা সুলাইমান (আ.) তো শুধুমাত্র আল-আকসাকে পূনরায় নির্মাণ ও নতুন রূপ দান করেছিলেন।
তিনি মোটেও সর্বপ্রথম এটি প্রতিষ্ঠা করেননি বা নির্মাণ করেননি। বরং যিনি প্রকৃতপক্ষে এটি (সর্বপ্রথম) নির্মাণ করেন তিনি হচ্ছেন ইয়াকুব বিন ইসহাক (আ.)। এবং এটি ছিল মক্কায় ইবরাহিম (আ.) কাবা বিনির্মাণের পরবর্তী কালে।”

অর্থাৎ নবি ইয়াকুব (আ.) হচ্ছেন বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদের সর্বপ্রথম গোড়াপত্তনকারী। তিনি ছিলেন নবি ইবরাহিম (আ.) এর নাতি। দাদা ও নাতির কাজের মাঝে ৪০ বছরের ব্যবধান থাকা খুবই সম্ভব। কাজেই হাদিসে কাবা ও আকসার মাঝে ৪০ বছরের ব্যবধানের তথ্যের সঙ্গে এই তথ্য পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ।

তার মানে এটা নিশ্চিত এই মসজিদ প্রথম সোলেমান (আঃ) তৈরি করেছেন এই ধারনাই ভুল বরং তিনি পূনরায় নির্মাণ করেছেন শুধু। তাই থার্ড টেম্পল বানানোর পরিকল্পনা ইসলামের শত্রুদের অযৌক্তিক যুক্তি।

মূলত ইয়াকুব (আঃ)-এর নাম বা উপাধি ছিল ইসরাঈল যার অর্থ আল্লাহর বান্দা। আর তার বংশধরকে বনী ইসরায়েল বলা হতো। তার একপুত্রের নাম ধারণামতে ইয়াহুদ ছিল। তার নামে বনী ইসরায়েলরা কিছু নিয়মনীতি চালু করে ও নিজেদের মুসলিম নাম বাদ দিয়ে ইয়াহুদী নামে পরিচিত করে। ইয়াহুদী বা ইহুদী মূলত বংশীয় পরিচয় এবং পরে ধর্মীয় পরিচয় লাভ করে। বর্তমান সিরিয়া, ইরাকের কিছু অংশ,ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবাননকে বলা হতো শাম যা নূহ (আঃ)-এর ছেলের নাম।

ইয়াকুব (আঃ)-এর বংশধরগণ বা বনী ইসরায়েলীরা ইউসুফ (আঃ)-এর সময় শাম হতে মিশরে এসে বসবাস শুরু করে।
পরবর্তীতে দ্বীন হতে দূরে সরে গেলে আল্লাহ মুসাকে (আঃ) পাঠান। তাই মুসার (আঃ) সাথে যারা হিজরত করেছিল তারাও ছিল বনী ইসরায়েল।

তাই কুরআনে মুসার (আঃ) জাতির ক্ষেত্রে বনী ইসরায়েল যেমন বলা হয়েছে তেমনি পরবর্তীতেও বলা হয়েছে। যাদের অনেকে মুসলিম হয়েছিলেন। অর্থাৎ বিশ্বের যে প্রান্তে ইয়াহুদী থাক তার পরিচয় ইয়াহুদী বা ইহুদী তা কোন নির্দিষ্ট দেশ বা ভূখন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ না।

মুসার (আঃ) জাতি জেরুজালেমে ফিরে যেতে পারেনি কারণ তারা জেহাদ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তারা খোলা প্রান্তরে শরণার্থীর মত ঘুরে বেড়ায়। পরবর্তীতে মুসার (আঃ) দাওয়াতের বদৌলতে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠে। তার মৃত্যুর পর ইউশা ইবনে নুন নবী হন। তার নেতৃত্বে আল্লাহ মুসলিমদের পবিত্রভূমিতে ফিরিয়ে আনেন এবং জেহাদের সময় আল্লাহ সূর্যের গতি থামিয়ে অলৌকিকভাবে সাহায্য করেন।

● আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘… তারা অভিযান পরিচালনা করল, তারা আসরের সময় বা তার নিকটবর্তী সময়ে জনপদের নিকটবর্তী হলো। তিনি (ইউশা ইবনে নুন) সূর্যের উদ্দেশ্যে বললেন, নিশ্চয়ই তুমি আদিষ্ট এবং আমি আদিষ্ট। হে আল্লাহ! আপনি একে (সূর্য) আমাদের ওপর স্থির রাখুন। তাকে স্থির রাখা হলো যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছিলেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১২৪)।

কিন্তু বনী ইসরায়েল জাতি আবার দ্বীন হতে দূরে সরে যায় অথচ আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইব্রাহিম (আঃ) এর বংশধরকে নেতৃত্ব দিবেন। তাই ইব্রাহিম (আঃ) এর অপর সন্তান ইসমাঈল (আঃ) এর বংশধরের কাছে নেতৃত্ব চলে আসে ও কেবলাহ মক্কায় ফিরে আসে।

রসুল (সাঃ) ও কোরাইশগণ ঈসমাইল (আঃ) এর বংশধর। রসুল (সাঃ) এর দাওয়াত ও জেহাদের বদৌলতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সুবাদেই উমর (রাঃ) এর যুগে মুসলিমরা তা বিজয় করে। পরবর্তীতে নূরউদ্দিন জঙ্গি (রহঃ) এর দাওয়াত ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বদৌলতে সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রহঃ) জেহাদের মাধ্যমে তা উদ্ধার করে।

যতবারই মুসলিমরা ইসলাম, ইসলামি শাসন ও জেহাদের সুন্নাহ হতে দূরে সরে গেছে ততবারই জেরুজালেম, আল কুদস তাদের হাতছাড়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও জেহাদের মাধ্যমেই জেরুজালেম বিজয় হবে।

● আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে।” (সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)

● হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী করীম (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেন, “ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়।” (আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ শাফেয়ী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)।

কিন্তু একটা আশ্চর্য ব্যাপার হল কেন প্রতি রমাদ্বানে বিশ্বের অনেক স্হানে মসজিদ ও মুসলিমদের উপর নির্যাতন শুরু হয়? কারণ জানতে হলে ওদের ষড়যন্ত্র বুঝতে হবে-
হিজরী দ্বিতীয় সনের রজব মাসে রাসূল (সা) আটজন সাহাবীর একটি দলকে নির্বাচন করলেন। এই আট জনের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রাঃ) ও সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসও ছিলেন।
রাসূল (সা) সকলকে সম্বোধন করে বললেন, তোমাদের মধ্যে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় যে সর্বাধিক সহনশীল তাঁকেই তোমাদের আমীর বানাবো। অতঃপর আবদুল্লাহকে (রাঃ) তিনি আমীর মনোনীত করলেন। রাসূল (সা) তাঁকে যাত্রাপথ নির্দেশ করে তাঁর হাতে একটি সীল মোহর অঙ্কিত চিঠি দিয়ে বললেন, ‘দুই দিনের আগে এই চিঠিটি খুলবে না। দুইদিন পথ চলার পর খুলে পড়বে এবং এই চিঠির নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবে।’

হযরত আবদুল্লাহ তাঁর সাথীদের নিয়ে মদীনা থেকে রওয়ানা হলেন। দুইদিন পথ চলার পর নির্দেশ মত চিঠিটি খুলে পড়লেন। চিঠিতে নির্দেশ ছিল, মক্কা ও তায়েফের মাঝখানে নাখলা নামক স্থানে পৌছে কুরাইশদের গতিবিধি ও অন্যান্য অবস্থা অবগত হবে। তিনি অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে এ হুকুম মাথা পেতে নিলেন।
সঙ্গীদের সম্বোধন করে তিনি বললেন, ‘বন্ধুগণ, আমি রাসূলুল্লাহর (সা) এ আদেশ কার্যকরী করে ছাড়বো। তোমাদের মধ্যে যে শাহাদাতের অভিলাষী সে আমার সাথে যেতে পারে, এবং যে তা পছন্দ না কর ফিরে যেতে পার। আমি কাউকে বাধ্য করবো না।’ এ ভাষণ শুনে সকলে তাঁর সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। নাখলা পৌঁছে তাঁরা কুরাইশদের গতিবিধির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে লাগলেন। একদিন কুরাইশদের একটি বাণিজ্য কাফিলা এই পথ দিয়ে অতিক্রম করছিল। এই কাফিলায় ছিল চার ব্যক্তি। ‘আমর ইবনুল হাদরামী, হাকাম ইবন কায়সান, উসমান ইবন আবদিল্লাহ এবং উসমানের ভাই মুগীরা। যারা ইসলামের বড় শত্রু ছিল।

কাফিলাটি আক্রমণ করা না করা বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ তাঁর সঙ্গীদের সাথে পরামর্শ করলেন। সেই দিনটি ছিল হারাম মাসসমূহের সর্বশেষ দিন। উল্লেখ্য যে, জুল কা’দা, জুল হিজ্জা, মুহাররম ও রজব- এ চারটি মাস হচ্ছে হারাম মাস।

প্রচীন কাল থেকে আরবরা এ মাসগুলিতে যুদ্ধবিগ্রহ ও খুন-খারাবী নিষিদ্ধ বলে মনে করতো। তাঁরা ভেবে দেখলেন, একদিকে আজ কাফিলাটি আক্রমণ করলে হারাম মাসে তা করা হবে। অন্যদিকে আজ আক্রমণ না করে আগামীকাল করলে কাফিলাটি মক্কার হারামের আওতায় পৌঁছে যাবে।
মক্কার হারাম সকলের জন্য নিরাপদ স্থান। সেখানে তাদের আক্রমণ করলে হারাম কাজ করা হবে। পরামর্শের পর তারা আক্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। তাঁরা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে কাফিলার নেতা ‘আমর ইবনুল হাদরামীকে হত্যা, উসমান ইবন আবদিল্লাহ ও হাকাম ইবন কায়সানকে বন্দী করেন এবং অন্যজন পালিয়ে যায়।
তাঁরা প্রচুর পণ্যসামগ্রী গনীমাত হিসাবে লাভ করেন। আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ অর্জিত গনীমাতের এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য রেখে দিয়ে অবশিষ্ট চার ভাগ তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করে দেন। তখনও গনীমাত বন্টনের কোন নিয়ম-নীতি নির্ধারণ হয়নি। তবে আবদুল্লাহর এই ইজতিহাদ সঠিক হয়েছিল। পরে তাঁর এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে কুরআনে ‘খুমুস’ (পঞ্চমাংশ) –এর আয়াত নাযিল হয়।

হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ গনীমাতের এক পঞ্চমাংশ নিয়ে মদীনায় রাসূলুল্লাহর (সা) খিদমতে হাজির হলেন। রাসূল (সা) তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, আমি তো তোমাকে ‘হারাম’ বা নিষিদ্ধ মাসে রক্তপাতের নির্দেশ দিইনি।

আবদুল্লাহ (রাঃ) এর এই দুঃসাহসের জন্য অন্য মুসলিমরাও তাঁর নিন্দা করলেন। কুরাইশরাও এই ঘটনাকে খুব ফলাও করে প্রচার করতে লাগলো। তারা বলে বেড়াতে লাগলো, মুহাম্মাদের (সা) এর সাহাবীরা হারাম মাসগুলিকে হালাল বানিয়ে নিয়েছে।
হত্যা ও রক্ত ঝরিয়ে তারা এই মাসগুলির অবমাননা করেছে। হযরত আবদুল্লাহ ও তাঁর সাথীরা ভীষণ বিপদে পড়লেন। রাসূল্লাহর (সা) অবাধ্যতা হয়েছে এই ভয়ে তাঁরা ভীত হয়ে পড়লেন। তাঁরা অনুশোচনায় জর্জরিত হতে লাগলেন।
অবশেষে আল্লাহ তা’আলা তাদের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কুরআনের এই আয়াতটি নাযিল করলেনঃ

‘হারাম (নিষিদ্ধ) মাস সম্পর্কে তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, সে মাসে যুদ্ধ করা কি জায়েয? আপনি বলে দিন, এই মাসে যুদ্ধ করা বড় ধরনের অপরাধ। আর আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেওয়া, তাঁকে অস্বীকার করা, মসজিদে হারাম (কা’বা) থেকে বিরত রাখা এবং তার অধিবাসীদের সেখান থেকে বিতাড়িত করা আল্লাহর কাছে তার থেকেও বড় অপরাধ। আর ফিতনা বা বিপর্যয় সৃষ্টি করা হত্যা অপেক্ষাও খারাপ কাজ।’

আল বাকারাহ-২১৭
কুরআনের এ আয়াত নাযিলের পর তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। মুসলমানরা দলে দলে তাঁদের অভিনন্দন জানালেন এবং তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। রাসূল (সা) তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, তাদের নিকট থেকে গনীমাতের অংশ গ্রহণ করলেন এবং মুক্তিপণ গ্রহণ করে বন্দী দু’জনকে মুক্তি দিলেন।

সবাই জানে রমাদান পবিত্র মাস। ওরা চায় এই মাসে মসজিদ ও মুসলিমদের আঘাত করতে এজন্যই যে মুসলিমরা কেউ যদি পাল্টা আঘাত হানে তারা ও মডারেট মুসলিমরা প্রচার করবে ওরা উগ্রবাদী, বিশ্বশান্তির পথে বাধা। যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই এসব মুসলিমদের বয়কট ও কঠোর ব্যবস্হা নিতে পারে। এজন্য তাদের দোসররা বহু হাদীসের ভুল ব্যাখা করে।

● মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না, যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদিদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। অতঃপর মুসলমানগণ ইহুদিরকে হত্যা করবে। ইহুদিরা গাছ ও পাথরের আড়ালে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু কেউ তাদেরকে আশ্রয় দিবে না। গাছ বা পাথর বলবে, হে মুসলমান! হে আল্লাহর বান্দা! আমার পেছনে একজন ইহুদি লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ নামক গাছের পেছনে লুকালে গারকাদ গাছ কোন কথা বলবে না। এটি ইহুদিদের গাছ বলে পরিচিত। (কেয়ামতের ফেতনা অধ্যায়)।

ওরা এভাবে প্রচার করে মুসলিমদের দ্বীন কত ভয়ানক যে আমাদের সমূলে হত্যা করতে বলে তাই ভবিষ্যতে মুসলিমরা এই পরিকল্পনা করবে!! ওরা শান্তির পথে বড় শত্রু। কিন্তু হাদীসের পটভূমি বুঝতে হবে- ইসলাম কখনও বলে না সমূলে কোন জাতিকে ধ্বংস করতে। এই হাদীসটা প্রযোজ্য হবে যা ঈসা (আঃ) এর পরবর্তীতে দাজ্জালের অনুসারী ইহুদিদের ক্ষেত্রে। কারণ তখন প্রকৃত মাসীহ ঈসা (আঃ) চলে আসবেন তাই সত্য-মিথ্যা সুস্পষ্ট। তাই তখন মিথ্যা মাসীহ বা রব দাবীদার দাজ্জালের সাথে যুদ্ধ করা স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে ইরানের ইহুদিদের সাথে মুসলিমদের কোন সংঘাতই চলছে না। মূলত ইসরায়েলের ইহুদিরা বিশ্বাস করে – জেরুজালেম দখল করলে ওদের মাসীহ এসে রাজত্ব করবে।

অপরদিকে ইরানের ইহুদিরা বিশ্বাস করে মাসীহ বা দাজ্জাল এসে ওদের জেরুজালেমে ফিরিয়ে নিবে। তাই যখন খোরাসান বাহিনী ওদের পরিকল্পনা শেষ করে দিবে বা জেরুজালেম বিজয় করবে তখন তারা মাসীহ বা দাজ্জালের অপেক্ষায় থাকবে। দাজ্জাল এলে জেরুজালেমমুখী হবে তখন আল্লাহ ঈসাকে (আঃ) পাঠিয়ে রক্ষা করবেন।

● আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘দাজ্জালের অনুসরণ করবে ইস্পাহানের ৭০ হাজার ইয়াহুদি; যাদের উপর লম্বা চাদর থাকবে।’ (মুসলিম)।

● হাদীসে বর্নিত হয়েছে – একদা ঈসা আলাইহিস সালাম বলবেনঃ (বাইতুল মাক্বদিসের) দরজা খোলো। তখন দরজা খোলা হবে। তার পেছনে থাকবে দাজ্জাল এবং দাজ্জালের সাথে থাকবে সত্তর হাজার ইহুদি। তাদের প্রত্যেকেই থাকবে তলোয়ারধারী এবং মোটা চাদর পরিহিত। দাজ্জাল যখন ইসা আলাইহিস সালাম কে দেখবে তখনই সে চুপসে বা গলে যাবে যেমনভাবে গলে যায় পানিতে লবণ এবং সে ভাগতে শুরু করবে। তখন তিনি বলবেনঃ তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে একটি কঠিন মার রয়েছে যা তুমি কখনো এড়াতে পারবে না। অতঃপর ইসা আলাইহিস সালাম তাকে পূর্ব দিকের লুদ্দ নামক গেইটের পাশেই হত্যা করবেন। আর তখনই ইয়াহুদিরা পরাজিত হবে। এ দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার যে কোন সৃষ্টির পিছনে কোন ইয়াহুদি লুকিয়ে থাকলে আল্লাহ তাআলা সে বস্তুকে কথা বলার শক্তি দিবেন এবং বস্তটি তার সম্পর্কে মুসলমানদেরকে বলে দিবে। চাই তা পাথর, গাছ, দেয়াল কিংবা যে কোন পশুই হোক না কেন। কিন্তু গারক্বদ নামক গাছটি। সে তো তাদেরই গাছ। তাই সে তাদের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে কিছুই বলবে না”। (ইবনু মাজাহ হাদীস নং-৪০৭৭)।

পবিত্রভূমি রক্ষা আল্লাহই করবেন – যারা ইসলামের পথে থাকবে তাদের হাতে বিজয় দিবেন।

17/03/2025

নবীজির (ﷺ) ইফতার যেমন ছিল
রমজানে আমরা নানা ধরনের খাবার খাই, কিন্তু রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কেমন ইফতার করতেন? আসুন, হাদিসের আলোকে জানি।
🔹 খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাগরিবের নামায আদায়ের পূর্বে পাকা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি পাকা খেজুর না পেতেন, তখন তিনি শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি তাও না হতো, তখন তিনি কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন। (আবু দাউদ: ২৩৪৮)
🔹 তাড়াতাড়ি ইফতার করা
নবীজি (ﷺ) দেরি না করে সূর্যাস্তের পরই ইফতার করতেন এবং উম্মতকে দ্রুত ইফতার করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'লোকেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। (বুখারি: ১৯৫৭)
🔹 ইফতার এর পর দোয়া করা
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইফতারের সময় একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন—

ذَهَبَ الظَّمَأُ، وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
"তৃষ্ণা নিবারিত হলো, শিরা-উপশিরা সতেজ হলো, ইনশাআল্লাহ সাওয়াব স্থির হলো।" (আবু দাউদ: ২৩৫৭)
🔹 সংযমী খাবার খাওয়া
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কখনোই অতিরিক্ত বা ভারী খাবার খেতেন না। বরং হালকা খাবার খেয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি বলতেন, "আদম সন্তানদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর পাত্র হলো তাদের পেট।" (তিরমিজি: ২৩৮০)
আল্লাহ তাআলা আমাদের রোজা ও ইফতার দুটোই কবুল করুক।

13/03/2025

ব্যক্তির আধ্যাত্মিক চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন ও তাকওয়ার প্রশিক্ষন গ্রহনের নিমিত্তে ইসলামে সাওমের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনে সওম বা রোজার ভূমিকা অপরিসীম।
রাসুল (স:) বলেন আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ১০গুন থেকে ৭০গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, রোজার সওয়াবের ব্যাপারে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। কেননা বান্দা আমার সন্তুষ্টির জন্যই রোজা রাখে। তাই আমি বিশেষ ভাবে স্বীয় তত্ত¡াবধানে তার প্রতিদান প্রদান করব।(সুবহানাল্লাহ) রাসুল (স:) বলেন রোজাদারদের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহুর্ত রয়েছে। একটি হলো দিনভর রোজা রাখার পর ইফতার গ্রহনের সময় এবং দ্বিতীয়টি হলো পরকালে তার প্রভুর সাক্ষাৎ লাভের সময়। নবীজি (স:) বলেন হে আমার সাহাবারা তোমরা জেনে রাখ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালার কাছে মিশকে আম্বরের চেয়ে অতীব উৎকৃষ্ট।(সুবহানাল্লাহ)

13/03/2025

রমজানের মুস্তাহাব, মুস্তাহসান ও নফল আমলসমূহ

রমজান মাসের বিশেষ নফল আমলসমূহ হলো পবিত্র কোরআন একাধিকবার খতম বা পূর্ণ পাঠ করা; কালিমা তৈয়্যেব অধিক পাঠ করা; দরুদ শরিফ সর্বাধিক পরিমাণে পাঠ করা; তওবা ও ইস্তিগফার করতে থাকা; সর্বদা তাসবিহ তাহলিল ও জিকির আজকার করতে থাকা; দ্বীনি শিক্ষা ও দ্বীনি দাওয়াতি কাজে মশগুল থাকা; ধর্মীয় বই-পুস্তক, কোরআন তাফসির, হাদিস, ফিকহ ও ইসলামি সাহিত্য নিজে পড়া ও অন্যকে পড়তে সাহায্য করা; দ্বীনি মজলিশ আয়োজন করা; অধীনস্থ কর্মচারী ও শ্রমিকদের কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়া এবং তাঁদের পূর্ণ মজুরি ও অতিরিক্ত সম্মানী প্রদান করা; বেশি বেশি দান–খয়রাত করা ইত্যাদি (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৩৭, হাদিস: ৪৮, পৃষ্ঠা: ৩৮)।

12/10/2024

আউফ বিন মালিক (রা.) বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি তখন একটি চামড়ার তৈরি তাঁবুতে ছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, কিয়ামতের আগের ছয়টি নিদর্শন গণনা করে রাখো—১. আমার মৃত্যু, ২. বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়, ৩. তোমাদের মধ্যে ঘটবে মহামারি, বকরির পালের মতো মহামারি, ৪. সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে ১০০ দিনার দেওয়ার পরও সে অসন্তুষ্ট থাকবে, ৫. এমন এক ফিতনা আসবে, যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে, ৬. যুদ্ধবিরতির চুক্তি, যা তোমাদের ও বনি আসফার বা রোমকদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং ৮০টি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রত্যেক পতাকার নিচে থাকবে ১২ হাজার সৈন্য। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১৭৬)

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, তাদের মুক্তি দিতে এবং একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে একজন মসিহ আসবেন।
আর ইসলাম অনুযায়ী, ইহুদিদের এই মসিহই দাজ্জাল, যে কিনা গোটা বিশ্ব শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেবে।

তালমুদের ব্যাখ্যানুযায়ী, মাসিহের আবির্ভাবের তিনটি প্রধান শর্ত আছে।

১. সারা পৃথিবীতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিদের ইসরায়েলে সমবেত হতে হবে।
২. একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩. সোলাইমানি মন্দির আগে যেখানে ছিল, ঠিক সেখানেই তা পুননির্মাণ করতে হবে।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই প্রথম দুটি শর্ত পূরণ হয়েছে। ইহুদিরা ইসরায়েলে জড়ো হয়েছে এবং রাস্ট্র গঠন করেছে। এখন শুধু তৃতীয় শর্ত বাকি। সেজন্য আল-আকসা মসজিদ ভাঙতে হবে আর সেখানেই থার্ড টেম্পল বানাতে হবে।

তাওরাতের নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্দিরের জন্য তামার জলপাত্র (কপার লিভার), ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে বানানো ৪৫ কেজি ওজনের আলোকদানিসহ (গোল্ডেন ম্যানোরাহ) সব জিনিসপত্র তৈরি করেছে। টেম্পল ইনস্টিটিউটের প্রকাশ করা ভিডিও'র তথ্য অনুযায়ী, জেরুজালেমের ওল্ড সিটির ইহুদি মহল্লার সেন্ট্রাল প্লাজায় এসব সংরক্ষিত আছে।
এমনকি মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় পুরোহিতেরা যেসব পোশাক পরবেন, তা-ও বানিয়ে রেখেছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, শীঘ্রই ইহুদিরা থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি সেরকম ঈঙ্গিত দেয়। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আচমকা হামলার পেছনে এটা কারণ হিসেবে কাজ করেছে বলে হামাসের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে।

থার্ড টেম্পল গড়তে চাওয়া ইহুদিরা মনে করে, আল-আকসা ভেঙে মন্দির বানানোর সব রকম ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি এখন তাদের আছে কিন্তু ধর্মীয় গ্রন্থে বলা হয়েছে, মন্দির বানানোর আগে তাদের আগে পবিত্র হতে হবে। আর পবিত্র হতে অবশ্যই তাদের একটি ‘লাল গরু’ দরকার। এই গরু বলি দিয়ে, পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে, ছাই পানিতে মিশিয়ে সেই পানি সবার শরীরে ছিটিয়ে পবিত্র হতে হবে।

তাদের লাল গরুর বর্ননা কোরআনে সূরায় বাকারাহ'র বর্নিত মুসা নবীর সেই লাল/হলুদ গরুর মত। এই গরুর অনুসন্ধান চলেছে বছরে পর বছর।কোথাও লাল গরুর সন্ধান পেলে টেম্পল ইনস্টিটিউট সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চায় এটাই সেই কাঙ্ক্ষিত গরু কিনা।

এতদিন না পেলেও তারা এখন বলছে, গরু পাওয়া গেছে। এএফপি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোনেহ্ ইসরায়েল নামের সংগঠনটি গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঁচটি লাল গরু আমদানি করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র হাইম বারকোভিতস জানিয়েছেন, আল-আকসা'র কাছেই জাবাল উজ জয়তুন বা মাউন্ট অলিভ এলাকার একটি খামারে গরুগুলোকে রাখা হয়েছে।

তো, লাল গরু এসে গেছে। ইতিমধ্যে ইরান ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এখন কি হবে? বাইবেল, কোরআন, হাদিস অনুযায়ী ব্যাখ্যায় যা পাওয়া যায় –

হামাস হেরেছে, হিজবুল্লাও হারবে। ইহুদীরা জিতবে। আল আকসা ভেঙে ফেলবে এবং সিনাগগ আদলে মন্দির বানানো হবে। ডোম অফ রকও ভেঙে ফেলা হবে। হাদিসে আছে,
A big group of christians will join with Muslim and defet another group of christian
এর ব্যাখ্যা বা সদৃশ্য পাওয়া যায় বাইবেলে। North country (Russia) will join Medes(syria, Iraq, Turkey etc.) and defeat Mystery Babylon (Usa)
Mystery babylon Will face a devastating defet and will never rise Again.
বাইবেল নর্থ কান্ট্রি মিডিলইস্ট রাশিয়া এবং ইরান তার্কি মিলে হারাবে আমেরিকাকে। অর্থাৎ, লেবানন যুদ্ধে রাশিয়া এবং ইরান মিলে আমেরিকা আক্রমণ করবে। আমেরিকা সব জায়গা থেকে নিজেদের ঘাটি তুলে নেবে।

হাদিস থেকে – আমেরিকা বিভিন্ন ঘাটিতে থাকা বা আটকে পড়া তাদের সৈন্যদের ফেরত চাইবে। মুসলিমরা ফেরত দিবেনা। খ্রিস্টানরা মিলে (রাশিয়া আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন) মুসলিমদের আক্রমণ করবে।

বিশ্বের ৮০ টা দেশ এই যুদ্ধে অংশ নিবে। এটাই বিখ্যাত 'মালহামা'। খ্রিস্টানদের ৭০ ফ্লাগ সৈন্য থাকবে। প্রতি ফ্লাগে ১২ হাজার সৈনিক। প্রতেক দেশ এক ডিভিশন সমান বারো হাজার সৈন্য দেবে। তারা প্রথমে দখল করবে কনস্টান্টিনোপল। এবং তারা সমস্ত মুসলিম দেশ দখল করবে শুধু মক্কা-মদিনা স্বাধীন থাকবে

মুসলিমরা সর্বক্ষেত্রে পরাজিত হবে। হতাশ হবে। কার্যত তাদের আর কিছুই করার থাকবেনা। তারা ইমাম মাহাদীর আগমনের অপেক্ষা করবে।

The building of Baitul maksis will be when Madina will be ruined
The ruin Madina Will be occur the outbreak of Malhama will be conquest of Constantinople
The conquest of Constantinople will be when Dajjal will come forth
– (sunan ibne Daud 4294)

খ্রিস্টানরা সব দখল করবে যখন বিল্ডিং বানাবে তখন মদিনা ধ্বংস হবে। মন্দির নির্মানের সময় ইয়েমেনের হুতিরা রওয়ানা দিবে মক্কার উদ্দেশ্যে। মদিনা দখল করতে যাবে তখন সৌদি বাদশা মদিনায় বিষ ছড়িয়ে দিবে যাতে কেউ মদিনা দখল করতে না পারে। মাহাদীও মদিনায় ঢুকতে পারবে না। মালহামা চলবে এবং তিন বার আক্রমনের পর মাহাদী বিজয়ী হবে।

মালহামা প্রসঙ্গে রাসুল জিজ্ঞেস করেছিলেন, এমন শহর কি তোমরা জানো যার এক দিকে সমুদ্র আরেকদিকে মরুভূমি?
এই শহর সম্ভবত তেলআবীব।
তো ইমাম মাহাদী এরপর তেল আবীব আক্রমণ করলে মুজেজা প্রকাশিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ মানুষ যা চাইবে তাই পাবে। ভালোরা ভালো থাকবে। মানুষ সাথে সাথেই সৎ কাজের পুরুস্কার পাবে। এসব দেখে মাহাদীর সন্দেহ হবে। উনি খবর নিতে পাঠাবেন দাজ্জাল প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানতে।

জানা যাবে, দজ্জাল প্রকাশিত হয়েছে ইজরায়েলে এবং সে নিজেকে ইশা দাবী করেছে। তার সাথে থাকবে দাব্বাতুল আরদ। কোরআনের বলা হয়েছে, দাব্বাতুল আরদ হচ্ছে মাটির প্রানী। আর সায়েন্টিফিক তাফসীরকারী জাকারিয়া কামালের ভাষ্যে, দাব্বাতুল আরদ হচ্ছে এআই বা সোফিয়া আদলে রোবট। কারন মাটির অন্যতম উপকরণ সিলিকন। ততদিনে কাগজের নোট উঠে যাবে, ইলেকট্রনিক মানি চলবে। এআই/দাব্বাতুল আরদ দিয়ে সব চালাবে। খুব বুদ্ধিমান প্রানী। সব প্রশ্নের উত্তর দিবে।

এ খবরে মাহাদী গা ঢাকা দিবে। দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাবে। আর তখন ঈশা আসবে।
ঈশা প্রথমে জেরুজালেম দখল করবে। দাজ্জাল মারা যাবে। বাইবেলে বলা হয়েছে, তখন ইহুদিদের দুই-তৃতীয়াংশ মারা যাবে। ঈশা ইউরোপ দখল করবে। দাব্বাতুল আর্থের হেড কোয়ার্টার হবে ইতালি। তিনি সেটা ধ্বংস করবে। এরপর ঈশা আক্রমন করবে গ্রীস। এভাবেই সমস্ত পৃথিবীতে ঈশা শাসন করবে।

ঈশা ৪০ বছর জীবিত থাকবেন। এরপর এক হাজার বছর পৃথিবী টিকে থাকবে। ঈশা মারা যাবার প্রায় ৯০০ বছর পর পৃথিবী ধ্বংস হবে৷

05/10/2024

প্রশ্ন: চিংড়ি মাছ খাওয়া জায়েজ নাকি নাজায়েজ?

এক্ষেত্রে মূলনীতি হল, জলজ প্রাণীর মধ্য থেকে মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী খাওয়া জায়েয নেই। কেননা জলজ প্রাণীর মধ্য থেকে মাছই একমাত্র উৎকৃষ্ট হালাল বস্তু, আর বাকিগুলো নিকৃষ্ট ও হীন বস্তু। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম, ৩/৫১১)

চিংড়ি মাছ কিনা–এ নিয়ে ফকিহদের মাঝে ব্যাপক মতপার্থক্য আছে। তাই অনেকে এটিকে হালাল বলেন, আবার অনেকে এটিকে মাকরূহে তাহরীমি বলেন। আবার অনেকে এটাকে মাকরূহে তানযীহী তথা না খাওয়া উত্তম বলেছেন। (কিতাবুন নাওয়াযিল ১৪/৪১৩)

বস্তুত প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে চিংড়ি হলো আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভূক্ত, কিন্তু মাছ কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভূক্ত। চিংড়ির দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান, যা কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায় না। এ কারণে তাদের মতে চিংড়িকে মাছ বলা হলেও মাছ নয়।

তবে চিংড়ি কোনো মাছ না হলেও যারা এটা খায় তারা একে কোনো পোকা হিসেবে খায় না; বরং মাছ হিসেবেই খায়, সারা পৃথিবীতে চিংড়ি আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে মাছ হিসেবেই, তাই ফকিহদের এক বিশাল অংশ "উমুমে বালওয়া" তথা মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে মাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করার কারণে একে মাছ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটা হারাম হতে পারে না; বরং এটি হালাল।
আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন।

~ মাওলানা যুবায়ের হাসান বিন কবির হাফিজাহুল্লাহ

একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেছিল "ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৫টি কাজ প্রতিরাতে করবে"১..৪ হাজার দিনার সদকা করবে।...
05/07/2024

একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেছিল "ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৫টি কাজ প্রতিরাতে করবে"

১..৪ হাজার দিনার সদকা করবে।
২..একটি কুরআন খতম করবে।
৩..জান্নাতের মূল্য পরিশোধ করবে।
৪..দুজন ব্যক্তি যদি দুজনের উপর রাগ করে থাকে তাইলে সেই রাগ ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে খুশি করে তুলবে।
৫..একবার হজ্জ করবে, তারপর ঘুমাতে যাবে।
---হযরত আলী (রাঃ) তখন বললেন "হে রাসূলুল্লাহ! এটা তো মনে হচ্ছে অসম্ভব,আমি এই পাঁচটি কাজ কিভাবে করতে পারবো?

--তখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন:

১.. "সূরা ফাতিহা ৪বার পড়লেই চার হাজার দিনার সদকা করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে"

২.. "সূরা ইখলাস ৩বার পড়লে একটি কুরআন খতমের সাওয়াব পাবে"

৩.. "তিনবার যেকোনো একটি দরুদ শরীফ পড়বে, তাহলে জান্নাতের মুল্য পরিশোধ করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে। যেমন সবচেয়ে ছোট দরুদ শরীফ হচ্ছে "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম"

৪.."যেকোনো ইস্তাগফার বা আস্তাগফিরুল্লাহ ১০বার পাঠ করলে দুজন অখুশি মানুষকে খুশি করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে"

৫.."সর্বশেষ কালেমা শাহাদত চারবার পাঠ করলে একটি হজ্জ সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে"

সুবাহানাল্লাহ ❤️

05/05/2024

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন-

‘তোমরা লক্ষ্য অর্জনের পথে গোপনীয়তা রক্ষা করো, কেননা প্রত্যেক নিয়ামতপ্রাপ্তেরই হিংসুক রয়েছে’। -তাবরানি

08/04/2024

প্রশ্নঃ মেয়েদের জন্য ঈদের দিনে করণীয় কী? কোন কোন আমল করতে পারে? তারা কি বাসায় ঈদের সালাত পড়তে পারবে?

উত্তরঃ ঈদের নামায শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য ওয়াজিব।
নারী পুরুষ কারো জন্যই মুসলমানদের সম্মিলিত জামাত
ছাড়া আলাদাভাবে একাকী ঈদের নামায পড়ার অবকাশ নেই। ঈদের নামাযের জন্য মেয়েরা ঈদগাহে আসা নিষিদ্ধ।

মেয়েরা ঈদের দিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, সুগন্ধি মেখে অন্যান্য নারী ও মাহরাম পুরুষদের সাথে ঘরোয়াভাবে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করবে। পরিবারের সবাই মিলে অতিথিদের আপ্যায়ন করবে। পাড়া প্রতিবেশির খোঁজখবর নিবে ও অসহায় মুসলমানদের সাধ্যানুযায়ী সহায়তা করবে। সবকিছুর মাঝে নিজের দৈনন্দিন নফল ইবাদতগুলো ঠিক রাখার ব্যাপারে যত্নবান হবে। পুরুষদের যেমন ঈদের নামায পড়ার আবশ্যকীয়তা আছে সেভাবে আলাদা করে এই দিনে মেয়েদের জন্য কোন আমল নেই।

”وشرط وجوبہا الإقامة والذکورة“ آگے عیدین کی نمازوں کی بحث میں ہے: ”وتجب صلاة العید علی من تجب علیہ الجمعة (کنز الدقائق علی ہامش البحر الرائق: ۲/۲۶۴-۲۷۶ مکتبہ زکریا) اور در مختار میں ہے: ”ویکرہ حضورہن الجماعة ولو لجمعة وعید ووعظ مطلقا ولو عجوزًا لیلاً علی المذہب المفتی بہ لفساد الزمان“ (الدر المختار: ۱/۸۳، دار الکتاب)

মুফতি Affan Bin Sharfuddin হাফি.

21/03/2024

৩০ দিন রোজা রাখার পর যদি জানতে পারেন আপনার একটা রোজাও কবুল হয়নি!
প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টার বেশি না খেয়ে রোজা রাখলেন। লুকিয়েও কিছু খাননি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কষ্ট করেছেন, তবুও রোজা ভাঙ্গেননি।
কিন্তু, মাস শেষে যদি জানার সুযোগ থাকতো, আর আপনি জানতে পারলেন আপনার একটা রোজাও হয়নি, তখন কেমন লাগবে? রোজা রেখেছেন, সওয়াব পাননি। বিনিময়ে শুধু ক্ষুধার্তই থেকেছেন! আমাদের সমাজের অনেকেরই এমন হয়!
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “কত রোজাদার আছে যাদের রোজার বিনিময়ে ক্ষুধা ছাড়া আর কিছুই জোটে না!” [সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬৯০]
তারা কারা? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।” [সহিহ বুখারী: ১৯০৩]
অর্থাৎ, রমাদান মাস শুধুমাত্র উপোষ থাকার মাস না। কেবল না খেয়ে থাকলেই রোজা হবে না। রোজার সওয়াব পেতে হলে আপনাকে চরিত্রবান হতে হবে। মিথ্যা বলা ত্যাগ করতে হবে, আমানত রক্ষা করতে হবে, কাউকে গালি দেয়া যাবে না, গীবত করা যাবে না।
অথচ আমরা অহরহই এমন করি।
বাইরে কাজকর্ম করে বাসায় এসে কোনো কিছু এলোমেলো দেখলে স্বামী রাগারাগি করে, স্ত্রীকে বকা দেয়, গালি দেয়। রিক্সা ভাড়া ঠিক না করে রিক্সায় চড়ে নামার সময় ঝগড়া করে। সময় কাটানোর জন্য বন্ধুদের সাথে বসে বসে গীবত করে। রোজা রেখে মিথ্যা বলে, ঘুষ খায়।
আপনি হয়তো ভাবছেন রোজা রাখছেন। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলছেন- এগুলো রোজা না, এমন রোজার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। আল্লাহ এমন রোজা কবুল করেন না। তাহলে কীভাবে পরিপূর্ণভাবে রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে? নিজের চরিত্রকে উন্নত করা। সচ্চরিত্রবান হওয়া।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে, আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে একটি ঘরের জিম্মাদার।” [সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০০]

Address

Dhaka

Telephone

+8801722277563

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when We Love Prophet Muhammad SAW posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to We Love Prophet Muhammad SAW:

Share