Bhoot Fm.Fan Page

Bhoot Fm.Fan Page Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Bhoot Fm.Fan Page, Radio Station, Dhaka Badda, Dhaka.

10/02/2020

#ভয়ংকর_দিঘির_মৃত্যু_রহস্য

২য় পর্ব......

চাচা সব কিছু বুঝতে পেরেছি। কিন্তু তখন কি এমন ঘটেছিলো এই দিঘিতে,যার ফলে এত বছর পর রাকিব ফিরে এসেছে...

"বৃদ্ধ চাচা -- হ্যাঁ....মা, তা'হলে শুনো সেই দিন ঘটে যাওয়া দিঘির ঘটনার কথা--

-"দিঘিটি প্রথমে ততটা ভয়ানক ছিলো না।
পরবর্তীতে যতটা ভয়ানকে রুপান্তরিত হয়।

-প্রায় রাতেই দিঘির অপর পাশে লাল গোলাকার দমকা আলো দেখা যেতো। কিসের আলো এটা কেউ বলতে পারতো না। যেই আলোটির রহস্য জানতে রাতে দিঘির ঐ পাড়ে যেতো, সেই এসে বলতো-ঐপাড়ে যাওয়ার পর তার দিকে প্রচন্ড দমকা হাওয়া বয়ে আসতো এবং দূর থেকে দেখা যেতো আলোটি ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকতো এবং তার দিকে এগাতো।
ভয়ে সেখান থেকে চলে আসতো হতো।

"একদিন দেখা গেলো দিঘির মাঝখানে পানিতে বুদবুদ ফোঁটা নিচ থেকে উঠছে এবং পুরো দিঘির পানি ঘোলা হয়ে যায়!"

___সবাই ভয় ও আতঙ্কে হয়ে পরে।

-বহু যুগের পুরনো এই দিঘিটি, কখনো এমন কিছু দেখা যায় নি, এবং ঘটে নি,এখন কেনো এমন হচ্ছে!
-ভয়ে কেউ দিঘিতে নামতে রাজি হয় নি।
দিঘির মাঝখানে পানিতে বুদবুদ ফোটা নিচ থেকে উঠা ও পুরো দিঘির ঘোলা পানি আজ তিন দিনেও ঠিক হয় নি।

এলাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

-"প্রতিদিন হাজারো মানুষ দিঘিটির এইরূপ দেখতে আসে।
-বাড়িওয়ালা ও এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তে,
কিছু হুজুর এনে দোয়া পড়ানো হয়।

-"পরদিন সকালে উঠেই দেখতে পাওয়া যায়,
দিঘির মাঝখানে পানির নিচ থেকে বুববুদ ফোটা উঠা বন্ধ এবং দিঘির ঘোলা পানি সেই আগের মতো স্বাভাবিক পরিস্কার।

______সব কিছুই ভালো যাচ্ছিলো।

- সবাই ভেবেছিলো সব ঠিক হয়ে গিয়েছে,আর কোনো সমস্যাই হবে না। সবাই আগের মতো দিঘিতে গোসল করা শুরু করেছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ স্বাভাবিক ভাবেই করা শুরু করেছে।

-"কিছুদিন পর, একজন বৃদ্ধলোক গোসল করতে দিঘিতে নামে, উনার 'পা' ধরে কিসে যেনো টানা হিঁচড়া করে!
বৃদ্ধ লোকটি চিল্লাচিল্লি করলে সবাই আসে।
-উনি সবাইকে বললো উনার পা কে যেন টানা হিঁচড়া করছে। উনি অনেক কষ্টে উপরে উঠে আসছে।

-"কেউ বৃদ্ধ লোকটির কথার কোনো মূল্য দিলো না।সবাই বলছে,আপনি বৃদ্ধ লোক হয়তো কাঁদায় 'পা' ডেবে গিয়ে আটকিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ছাড়া আর কিছুই না।
দিঘিতে এমন কোনো ঘটনাই আজ অব্দি ঘটে নি।

______বৃদ্ধ লোকটির কথা কেউ দাম দিলো না!

-"পরদিন দিঘিতে পরে একটি চার বছরের
বাচ্চা মারা যায়!

--তখনও কেউ কিছু বুঝতে পারি নি,কেনো বাচ্চাটি মারা গিয়েছিলো।
সবাই ভাবলো- বাচ্চাটা ছোট, সাঁতার জানে না,দিঘির পাড়ে আসছে পরে গিয়ে মারা গিয়েছে।

এক সাপ্তাহ পর--

-"প্রতিদিনের মতো আজ ও পাঁচ জন ১০/১২ বছরের ছেলে দিঘিতে নেমে ডুবাডুবি করছে।"

সারাদিন চলে গেলো কোনো ছেলেই ঘরে আসে নি এখনও। ছেলে গুলোর বাবা-মা সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। খোঁজ ও নেয় নি ছেলেগুলোর। কোথায় রয়েছে তারা।

-সন্ধ্যা গড়ালো। তাও কেউ ঘরে ফিরছে না।
এলাকায় খোঁজ নিলো,কেউ বলতে পারবে না ছেলেগুলো কোথায়।
এইদিকে রাত যতো গড়াচ্ছে ছেলেগুলোর বাবা-মা ততটা চিন্তার মুখে পড়ছে।

"পাশের ঘরের একটি মেয়ে বললো,দুপুরে ওদেরকে দেখলাম,দিঘিতে ডুবাডুবি করছে। তার পর আর কিছুই বলতে পারবে না।"

-"দিঘিতে তো থাকার কথা না, কারণ তারা সবাই সাঁতার জানে। আবার মনে মনে ভাবছে গঞ্জে কোনো চলে গেলো নাকি যাত্রা দেখার জন্য।।
-এই যাত্রা দেখার জন্য তাদেরকে কত যে মারছে তাদের বাবা-মা, তারপরও যাওয়া বন্ধ করে নি।
যে দিন যাত্রা দেখতে যায়, সে রাত্রে আর বাড়ি ফিরে নি। সেই ভোরে বাড়ি ফিরে।

-ছেলে গুলোর বাবা-মা ভাবলো হয়তো তারা একসাথে গঞ্জে যাত্রা দেখতে গিয়েছে। এমন তো প্রায় সময়ই করতো। কিন্তু তখন যাওয়ার সময় বাড়ির অন্য ছেলেগুলোকে বলে যেতো,
কিন্তু আজ বলে যায় নি।

____রাত্রে সবাই ঘুমিয়ে পরলো।

-"সকাল প্রায় ৯ টা বেজে গেলো কেউ ফিরে আসে নি এখনও। এতক্ষণ দেড়ি তো তারা কখনো করে নি।
আবার সেই চিন্তায় সবাই। কোথায়ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। বিকেল তিনটার সময় একজন চিৎকার করে বলতে লাগলো, কে কোথায় আছো তারাতাড়ি আসো- ফাহিম,শুভ ও সাগর কে পাওয়া গিয়েছে,
মরে দিঘিতে ভেসে উঠেছে!

___তাদের তিন জনের লাশ উঠানো হলো।

-"পুরো বাড়িতে চিৎকারের বর্ণা বয়ে গেলো।
-এলাকা জুড়ে হা হা কার শুরু হলো। দিঘিতে লাশ ভেসে উঠেছে।

-একজন বললো-- কেউ তাদের মেরে পানিতে পেলে দিয়েছে।
কেউ বলছে- দিঘিতে নিশ্চয়ই কিছু রয়েছে,তাড়াই হয়তো ছেলে গুলোকে মেরে পেলেছে। কিন্তু তারা তো ৫ জন ছিলো, রাকিব ও হৃদয় কোথায়.?
এটা নিয়ে নানান জন নানা রকম কথাবার্তা বলাবলি শুরু করছে।

ফাহিম, শুভ ও সাগর-- তাদের তিন জনের গলায় ফাঁস দেওয়ার মতো দাগ ও পুরো শরীরে কেউ কাউকে কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করলে যে ভাবে দাগ স্পষ্ট থাকে, ঠিক তেমন দেখা যাচ্ছে।

-এখন সবাই ভাবছে নিশ্চয়ই দিঘিতে কোনো একটা জীব রয়েছে। সেই এইভাবে মেরে তাদের তিন জনকে রেখেছে। রাকিব ও হৃদয়কে মনে হয় খেয়ে ফেলছে।

"ফাহিম,শুভ ও সাগরকে গোসল করিয়ে মাটি দেওয়া হয়!"

চারদিন চলে যায় কেউ আর ভয়ে দিঘিতে গোসল করে নি।
___৪র্থ দিন হৃদয়ের লাশ দিঘিতে ভেসে উঠে!

--"সবাই ধরাধরি করে হৃদয়কে পাড়ে উঠায়।
-কিন্তু না এ ক্ষেত্রে বিপরীত কিছু দেখা গেলো।
হৃদয় জীবিত ছিলো!

-"জ্ঞান ফিরে শুধু ফাহিম, শুভ ও সাগরের কথা জিজ্ঞেস করছে,ওরা কি বেঁচে ফিরছে নাকি তাদেরকে ওরা মেরে ফেলছে.?
সবাই হৃদয়ের মুখ থেকে এমন শব্দ ব্যবহার হওয়ার পর ভেবে নিয়েছে,ফাহিম,শুভ ও সাগরকে কেউ হত্যা করেছিলো নাকি.?এই ছেলেগুলোর কি এমন শত্রু রয়েছে যে তাদেরকে হত্যা করতে হলো!

- পাশ থেকে একজন বললো,ফাহিম,শুভ ও সাগরকে দিঘিতে মৃত পাওয়া যায়।
হৃদয় বললো--তাহলে তাদের কথাই সত্যি ছিলো!
তারা ফাহিম, শুভ ও সাগরকে হত্যা করিয়েই ছাড়লো।

-"তাদের কি কথা- একটু খুলে বলবে.?
সেই দিন তোমাদের সাথে কে এমন করলো,আর কারাই বা কিসের লোভে ফাহিম, শুভ ও সাগরকে হত্যা করেছিলো?

_____হৃদয়- সে এক বিশাল ঘটনা...

"-আমরা ৫ জন প্রতিদিনের মতো ঐদিনও দিঘিতে ডুবাডুবি করতেছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম আমাদের চারপাশে পানিতে বুদবুদ ফোটা নিচ থেকে উঠছে।পুরো দিঘিতে প্রচুর ঢেউ। আমাদের 'পা' ধরে রেখেছে কারা জানি। অনেক চেষ্টা করেও উপরে উঠতে পারি নি। আমরা অনেক চিৎকার করি। আমাদের চিৎকারের আওয়াজ কেউ শুনে নি। আমাদের চিৎকার উল্টো আমাদের কানে এসেই বাড়ি খাচ্ছে।

- কিছুক্ষণের মধ্যেই দিঘির ঐপাশ থেকে বিশাল একটা ঢেউ আসে। আমাদেরকে ডুবিয়ে দিয়ে যায়। চোখ মেলে দেখি আমাদেরকে হাওয়ার উপর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিশাল কিছু দানব।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জানি না।

-"আমরা অনেক চিৎকার করি,
- আমাদেরকে একটি প্রাসাদে নিয়ে যায়।
অসংখ্য দানব সেখানে। দানবগুলোর দিকে আমরা তাকাতে পারছি না। খুবই ভয়ানক চেহারা।
চোখ দিয়ে দানব গুলোর রক্ত বেয়ে বেয়ে পড়ছে। বুক থেকে মাথা যতটুকু লম্বা, সেই হারে বুক থেকে পা খুবই ছোট। তাদের মধ্যে পুরুষরা কালো পোশাক পড়া এবং মেয়েরা নীল পোশাক পড়া।

- ওরা আমাদেরকে অনেক আঘাত করে। আমরা চিৎকার করতে থাকি, আমাদের চিৎকারে তাদের আঘাত আরো বেড়ে যায়। আর সবাই উচ্চস্বরে হাসতে থাকে।
-"একটি দানব বলে মানব জাতির কারণে আমরা এই দিঘিতে বসবাস করে পারছি না, তাদের ব্যবহারে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই তারা মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য, আমাদেরকে এইখানে ধরে নিয়ে আসছে।
তাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে বড় একটি দানব বললো-
এই পাপী মানবগুলোকে ফাঁসি দিয়ে মেরে পেলো,
এবং তাদের লাশ গুলো পুরো মানবজাতিদের উপহার দাও।

-"তাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ ছিলো, উনি আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে কি যেন সকল দানবগুলোর সাথে বললো। একটু পর সকল দানব এক সাথে হাসতে থাকলো। আমি কিছুই বুঝতে পারি নি, কি বলেছিলো বৃদ্ধ দানবটি।
-- আমাকে সেই বৃদ্ধ দানবটি একটি ঘরে বন্দী করে রাখে।
কিন্তু কেনো আমাকে আলাদা ঘরে বন্দী করে রাখা হয়, আমি কিছুই বলতে পারি না।
আমি কিছুই জিজ্ঞেস করার সাহস পাই নি। আমি গত চারদিন প্রতিটা মুহুর্ত কান্না করি।
চারদিন পর- বৃদ্ধ দানবটি আমাকে কিছু একটা পড়ে 'ফু' দিয়েছিলো, আমি অজ্ঞান হয়ে পরে যাই, তারপর আর কিছুই আমি বলতে পারবো না।

-"সবাই অবাক হয়ে গেলো হৃদয়ের কথা গুলো শুনে।
ফাহিম,শুভ ও সাগরকে মেরে ফেললো,অথচ তাকে জীবিত ফিরে দিয়েছে! কি ছিলো এইসব, আর কেনোই বা হলো এইসব।।

- সবাই জিজ্ঞেস করলো..?
আচ্ছা তোমরা সবাই ফিরে আসলে তাহলে রাকিব কোথায়?
- হৃদয় --রাকিবকে কি ঐ দিন পুকুরে পাওয়া যায় নি?
-- না, রাকিব তো আজও আসে নি।
- হৃদয় --আমরা তো চারজন সেই দানব গুলোর কাছে ছিলাম, রাকিব তো আমাদের সাথে ছিলো না।

______তাহলে রাকিব কোথায় যাবে?

সবাই অস্থির, রাকিবের কি হলো তাহলে..?

-- এইদিকে রাতে হৃদয়ের প্রচন্ড জ্বর আসে। ঘুমের মধ্যে হৃদয় একা একা আবোলতাবোল কথা বলে, তাকে নাকি ওরা মেরে ফেলবে,তার রুহ নাকি চারদিন আগে মারা গিয়েছে। সে আজই মারা যাবে!
কি সব অজন্তা কথাবার্তা।
- হৃদয় ঘুমের মাঝে এই সব বলে চিৎকার দিয়ে উঠে।আর বলে মা আমায় বাঁচাও,আমি বাঁচতে চাই।
ওরা আমায় মেরে ফেলবে।

_____হৃদয় রাতেই মারা যায়!

-" এইদিকে রাকিবের লাশ কখন ভেসে উঠবে, রাকিবের নানা সারা দিন-রাত্র দিঘির পাড়ে এসে বসে থাকতো।

_____কিন্তু রাকিব আর ফিরে আসে নি।

-- কিছুদিন পর দেখা গেলো- দিঘির পানি প্রতি রাতেই শুকিয়ে যায়,আবার ভোর হলে ভরে যায়!

- কেউ কিছুই বলতে পারছে না কেনো এমন হচ্ছে।

______৩য় পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হয়েছে।

[আমি অনেক গল্প লেখককেই দেখেছি গল্প লেখা বন্ধ করে দিতে। একমাত্র কপি পোস্ট করে লেখকের নাম ব্যবহার না করে নিজেদের নাম লিখার কারনে।
(আমি লেখক নই,কিন্তু গল্প লিখতে ভালোবাসি।এই গল্পের পর আর গল্প লিখবো না।)একটি গল্প লিখতে কতটা কষ্ট আরেকজন গল্প লেখা ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না। (আজ একটি গ্রুপে আমার গল্পের ১ম পর্ব একজনের নাম দিয়ে পোস্ট করতে দেখলাম,
এই নিয়ে অনেকবার,সত্যি খুবই কষ্ট পেলাম।)

**ইনশাআল্লাহ ৩য় পর্ব আগামীকাল পোস্ট করা হবে এবং ৩য় পর্বের লিংক ২৪ ঘন্টা পর কমেন্টে দেওয়া হবে।
- যারা গল্পের ১ম পর্ব এখনও পড়েন নি, কমেন্টে লিংক দেওয়া হবে।
-- এই পর্যন্ত গল্পটা কেমন লেগেছে সবার মন্তব্য জানাবেন।
_______ভালো লাগলে শেয়ার করুন।]
........চলবেই.......

07/02/2020

ভয়ংকর_দিঘির_মৃত্যু_রহস্য

মা মা দিঘিতে একটি মানুষ ভেসে উঠেছে! তারাতাড়ি এসে দেখে যাও।
-"কি সব পালতু কথা বলছস রাসেল। দিঘিতে মানুষ আসবে কোথায় থেকে?
হ্যাঁ মা তুমি বিশ্বাস না হলে দেখে যাও।
কাজের সময় যাচ্ছে এখন আসছস দুষ্টুমি করতে..
যা গিয়ে দেখ তো তোর আপু গোসল করে উঠছে কি না?
-"আপু তো অনেক আগেই গোসল করে চলে আসছে।

-"মা মা দেখো অনেক মানুষ চিল্লাচিল্লি করছে দিঘিতে একটি মানুষ ভেসে উঠেছে। এখন বিশ্বাস যাবে তো?
রেহেনা বিবি এইবার একটু আক্রোশ হলো,
গিয়ে দেখলো ১০/১২ বয়স হবে একটি ছেলে দিঘির মাঝখানে ভেসে রয়েছে!

সবাই উপরে দাঁড়িয়েই চিল্লাচিল্লি করছে,
কেউ ছেলেটিকে তুলতে পানিতে নামছে না।
আর বাড়িতে কোনো পুরুষ ও নেই যে ছেলেটিতে তুলবে। দুপুর বেলা সব পুরুষরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত।

আহারে কোন মা'র জাদুটা জানি।
-"রেহেনা বিবি পানিতে নেমে ছেলেটিকে বহু কষ্টের পর পাড়ে আনলো।
সবাই ধরাধরি করে ছেলেটিকে উপরে এনে শোয়ালো।
সবাই ভাবলো মরে ছেলেটি ভেসে উঠেছে।

আশেপাশের অনেক মানুষই চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে ছেলেটিকে দেখতে আসে।

-"কেউ বলছে এমন ছেলে তো আমাদের এই এলাকায় নেই। কোথায় থেকে আসলো ছেলেটি?
আরেকজন বললো---মনে হয় রাতে ছেলেটিকে মেরে দিঘিতে ফেলে দিয়েছিলো এবং এখন লাশটি ভেসে উঠেছে।

"পাশে দাঁড়ানো একজন বললো-- মনে হয় 'মা' বকা দিয়েছিলো, অল্প বয়সের ছেলো তো মা'র সাথে রাগ করে হয়তো রাতে এসে দিঘিতে ঝাপ দিয়েছে।

নানানজন নানা রকম কথাবার্তা বলতে শুরু করলো।

ছেলেটির বুকের দিকে রেহেনা বিবির নজর যায়।
দেখে বুক নাড়ছে,তার মানে নিশ্বাস ফেলছে,এবং ছেলেটি বেঁচে আছে।

ছেলেটির পেটে অনেক পানি রয়েছে,
পানি গুলো বাহির করার জন্য পেটে চাপ দিলো এবং শুকনো স্থানে নিয়ে ছেলেটিকে শোয়ালো।
কিছুক্ষণ পর ছেলেটির জ্ঞান ফিরলো।

ছেলেটির জ্ঞান ফিরা দেখে সবাই অনেক খুশি।
সব চেয়ে বেশি খুশি রেহেনা বিবি। সময় মতো পানিতে নামার কারণে কোনো একটি ছেলের জীবন বাঁচলো।

ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলো-- বাবা তোমার বাড়ি কোথায়? আর দিঘিতেই বা ঝাপ দিলে কেনো,
যদি একটা কিছু হয়ে যেত..?

ছেলেটি কিছুই বলে নি। ছেলেটি সবার দিকে তাকিয়ে রইলো এক পলকে। কিছুই বলছে না।
"কাউকেই চিনতে পারছে না ছেলেটি। সবাইকে অচেনা অচেনা লাগছে।"
রেহেনা বিবি বললো সবাই সড়ে যাও, ছেলেটি অনেক ভয় পেয়েছে সবাইকে দেখে, তাই হয়তো কারো কোনো কথার উত্তর দিতে চাচ্ছে না।
আমি তাকে নিয়ে খাবার খাবাই, দেখি পরে কোনো কিছু বলে কি না।

"এই দিক দিয়ে তো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে,
তালুকদার বাড়ির দিঘিতে একটি ছেলে পাওয়া গিয়েছে। সে কারো সাথেই কথা বলছে না, আর
কেউ তাকে চিনতে ও পারছে না।

দুইদিন পর এই সংবাদ শুনে পাশের বাড়ির অসুস্থ ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ ছেলেটিকে দেখার জন্য তালুকদার বাড়িতে চলে আসলো।

"খবরটা শুনে উনার ভিতরে কেনো জানি একটা সন্দেহ সৃষ্টি হলো, দিঘিতে তো আজ ৭৫ বছর ধরে কোনো এমন ঘটনা ঘটে নি, তাহলে এই বাচ্চা টা কি করে ভেসে উঠলো! নিশ্চয়ই এটার কোনো রহস্য রয়েছে।"

-- রেহেনা বিবি কি ঘরে আছো?
-"শুনলাম দিঘিতে একটি ছেলে পাওয়া গিয়েছে?
কোথায় সেই ছেলেটি?
দেখতে চলে আসলাম তোমার বাড়ি, হাঁটতে খুবই কষ্ট হয়েছে, তবুও বৃদ্ধ বয়সে এমন ঘটনা শুনলে কি আর বাড়িতে মন বসে থাকে।

-"রেহেনা বিবি-- আসেন চাচা ঘরে আসেন,বসেন।
ছেলেটি তো এখন ঘুমাচ্ছে, আজ দুইদিন- ঘুম থেকে উঠে খেয়ে দেয়ে আবার ঘুমায়।
কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি কোনো উত্তরই দিচ্ছে না। শুধু তাকিয়ে থাকে, মনে হচ্ছে অনেক ক্লান্ত।
কিছু একটা বলতে চায়,কিন্তু বলে নি।

-- বৃদ্ধ চাচা ঘুমন্ত ছেলেটির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।
যেন চোখ কোথায়ও ফিরাচ্ছে না। ছেলেটির গলায় একটি লকেট দেখতে পেলো। প্রায় ১০ মিনিট তাকিয়ে থাকার পর বললো।
-"রেহেনা বিবি আমি ছেলেটিকে চিনতে পেরেছি!

-- রেহেনা বিবি পাশের রুম থেকে এসে বললো,
কি বলছেন চাচা! কিভাবে চিনেন আপনি..?
হ্যাঁ... আমি চিনি, ওর নাম রাকিব।

সে ফিরে এসেছে,এটা ভেবে নিতে পারছি না!

রেহেনা বিবি--ফিরে আসছে মানে? চাচা কিছুই বুঝলাম না আপনার কথা!

হ্যাঁ....মা, ও ফিরে এসেছে।

"ওর নানার বাড়ি পাঠান বাড়ি। সে আহসান পাঠানের নাতি। সে ছোট থেকেই নানার বাড়িতেই থাকতো।"

________এটা ১৭৪৫ সালের ঘটনা।

"তখন খুবই ভয়াবহ ছিলো এই দিঘিটি।
আর রাকিব দিঘিতে গোসল করার সময় তারা রাকিবকে নিয়ে যায়।"

ঐ দিন রাকিব সহ ওরা ৫ জন দীঘিতে ডুবডুবি করছিলো। ৩ জনকে মৃত পাওয়া গিয়েছিলো।
একজন জীবিত ফিরে আসছিলো। দুই দিন পর সে ও মারা গিয়েছিলো।
আজ এত বছর পর রাকিব ফিরে এসেছে, সত্যি খুবই অবাক হওয়ার বিষয়।

-'রেহেনা বিবি--- চাচা কি সব অজান্তা কথা বলছেন?

এত বছর পর কেউ জীবিত ফিরে আসবে কি করে?

"রাকিব রাতে দিঘিতে ঝাপ দিয়েছে, সে না মরে ভেসে উঠে।"

বৃদ্ধ চাচা--- না রে মা বয়স হয়েছে ঠিকই কিন্তু
এতটা স্মৃতিভুলার মানুষ নয়।
-- মা তুমি কি রাকিবের গলার লকেটির দিকে
নজর দিয়েছো?
-রেহেনা বিবি- হ্যাঁ....চাচা। কিন্তু এটা দ্বারা কি বুঝাতে চাচ্ছেন?

"-বৃদ্ধ চাচা---শুনো মা, এটা রাকিবের ছোট থাকা অবস্থায় ওর নানা একজন হাকিমের কাছ থেকে পড়া লকেট এনে রাকিবের গলায় দিয়েছিলো।

রাকিবদের বাড়িতে এক ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছিলো। পুরো বাড়িটার অনেক মানুষই সেই ডায়রিয়া মরেই ছাপ।
সেই রোগে রাকিবের বাবা কে ও ধরেছিলো।
রাকিবের বাবাও মারা যায়।
রাকিবের মা রাকিব কে নিয়ে রাকিবের নানার বাড়ি চলে আসে। সেই যাত্রায় রাকিবকে ঐরোগে ধরতে পারে নি।

রাকিবের নানার বাড়ি ছিলো গাছগাছালি ও জঙ্গলে ভরা। রাকিবের মা'র শ্বাসের রোগ ছিলো। এবং রাকিবের মা'র জন্মের পর থেকেই আলগা'র আঁচড় ছিলো। একদিন রাকিবের মা'র প্রচুর শ্বাস উঠে,
চোখ মুখ অনেক লাল হয়ে যায়। এবং

____রাতেই রাকিবের মা মারা যায়।

রাকিবের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সে করণে রাকিবের নানা এক হাকিমের কাছ থেকে গলার এই লকেট টি এনে রাকিবকে পড়িয়ে দিয়েছিলো।

রাকিব যখন আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলো। আমরা সবাই রাকিবকে মেয়েদের লকেট পরে হাঁটে বলে দুষ্টুমি করে রাকিবকে খেপাতাম।
আমাদের কারনে, একদিন রাকিব লকেটটি খুলে রাখে ঘরে, সেইদিনই রাকিবের সাথে একটি ঘটনা ঘটে।

রাকিবের পুরো শরীর লালচে বর্নের হয়ে পড়ে,
সবাই ভয় পেয়ে যায়। রাকিবের নানা রাকিবকে সেই
হাকিমের কাছে নিয়ে গেলে উনি বলে রাকিবকে দেওয়া ছোটকালের সেই লকেটটি খোলার কারনে তার এমন হয়েছে। রাকিবকে তার মা'র সাথে থাকা সেই আলগাটি আঁচড় করতে চেয়েছিলো।

তারপর থেকে আমরা আর রাকিব কে মেয়েদের লকেট পরে ঘুরছে বলে খেপাই নি।

-"রেহেনা বিবি-- কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো,

চাচা সব কিছু বুঝতে পেরেছি। কিন্তু তখন কি এমন ঘটেছিলো এই দিঘিতে,যার ফলে এত বছর পর রাকিব ফিরে এসেছে...

"বৃদ্ধ চাচা -- হ্যাঁ....মা, তা'হলে শুনো সেই দিন ঘটে যাওয়া দিঘির ঘটনা.....

_____

[অনেকেই বলেন পর্ব গল্পগুলোর ১ম পর্বের পর বাকি পর্ব গুলো খুঁজে পান নি। তাই পরবর্তীতে গল্প পড়ার ইচ্ছে থাকে না।
***এই গল্পটি ৩য় পর্বের একটি গল্প। তিন দিনে তিনটি পর্ব পোস্ট করা হবে। ]
...........চলবেই..........

05/02/2020

ভূতের সম্মূখীন

(ইমেইল করেছে -লিংকন ভদ্র।)

৮ই জানুয়ারি ২০১৫,
ঘড়িতে বাজে ভোর ৩:৩০,
আমার গন্তব্য মাইল খানেক দূরের একটি যাত্রাপালার অনুষ্ঠান।এত রাতে বাড়ি থেকে যেতে দেয় না। তাই বাড়ির সবার অজান্তেই লুকিয়ে প্রতিরাতে যাত্রাপালার অনুষ্ঠান দেখতে যেতাম। আমার শোবার ঘর আলাদা হওয়ার ফলে, আমি সহজেই সবার নজর এড়িয়ে চুপিসারে চলে যেতে পারতাম।
আমি অনেক সাহসী যুবক হওয়া সত্ত্বেও আজ আমার একটি বিশেষ কারণে ক্ষাণিকটা ভয় করছে।
এই ভয়ের কারণ হচ্ছে, আমার গ্রামের ১৪ বছর বয়সের একটি মেয়ে।সে গতকাল নিজের শরীরে নিজেই আগুন জ্বালিয়ে অাত্মহত্যা করেছে।
সে কেন অাত্মহত্যা করেছে সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানিনা।তবে এটা অন্ততপক্ষে বুঝতে পেরেছিলাম যে, প্রেম সংক্রান্ত কিছু একটা কারণ হবে হয়ত।
সে যাই হোক। আমি এসব নিয়ে ভেবে ভয় পেতে চাই না।

আমার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছানোর জন্য আমার নিকট দুইটি বিকল্প পথ রয়েছে।
একটি হল আমাকে শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় একটি ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আমি লোকমুখে শুনেছিলাম শ্মশান নাকি অত্যন্ত পবিত্র জায়গা।তাই আজ আমি শ্মশানের পাশ দিয়েই যাব বলে ঠিক করলাম।
মুখে রাম-কৃষ্ণের নাম নিয়ে এগিয়ে চললাম।

অমাবস্যার তিমিরের ঘন কুয়াশা আবৃত রাস্থা দিয়ে মোবাইলের ক্ষীণ আলোর সাহায্যে চলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।তবুও আনন্দ লাভের নিমিত্তে এগিয়ে চললাম।
নির্জন রাত এবং ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দের সহিত অজানা পাখির আকস্মিক ডাকে মাঝে-মাঝে হৃদয়ে ভয়ের শিহরন জাগ্রত হচ্ছিল।
তবুও এগিয়ে চললাম,কারণ যাত্রাপালার বাদ্যের ব্যাঞ্জনা যেন আমাকে চুম্বকের ন্যায় টানছে।
খাল পেরিয়েই শ্মশানঘাট, সেটা পার হতে পারলেই, সব ভয়ের অবসান।
ঘড়িতে বাজে ৩:৪০।
শ্মশানঘাটের পাশেই কয়েকটি ছোট-ছোট গাছের সমাহার, যেখানটায় মাত্র পৌঁছালাম।
হঠাৎ কেন জানি অনুভব করলাম আমার আশেপাশে যেন কেউ আছে। আমি চারিদিকে তাকাতে লাগলাম, কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছিলাম না।
কারণ অতি ঘন কুয়াশার দরুন হাত দশেক দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
আমি একটু দ্রুত এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলাম,কিন্তু হঠাৎ থেমে গেলাম এবং লক্ষ্য করলাম সামনে কেউ আছে বা কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।
কিন্ত তার চেহারা অস্পষ্ট।তবে মোবাইলের আলোর দ্বারা এটা বোঝা যাচ্ছে যে, শ্বেতবস্ত্রে আবৃত কোনো রমনী।
আমি ভয়ার্ত কষ্ঠে অস্পষ্ট স্বরে প্রশ্ন করলাম: কে তুমি?
মেয়েটি বলল:-আমি রুপা।
আমি:কি?রুপা!যে গতকাল আত্মহত্যা করেছে।
রুপা:হ্যা।
একথা শোনে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম আর ভয়ার্ত কন্ঠে চিৎকার করে বলতে লাগলাম, আমাকে বাঁচান, কেউ আমাকে বাঁচান,আশেপাশে কেউ আছেন কি?
কিন্তু আমার কন্ঠ থেকে খুবই কম আওয়াজ বের হচ্ছে।তাই কেউই আমার কথা শুনতে পাবে না এটা মোটামোটি নিশ্চিত। এমনকি শ্মশানঘাটের আশে-পাশে কোনো বসতি নেই।কেউ আমাকে সাহায্য করতে আসবে না সেটাও নিশ্চিত। ফলে আমার হাত-পা ভয় এবং ঠান্ডায় যেন প্রায় জমে যাচ্ছে।এর ফলে পা চালানোর শক্তি যেন নিমিষেই হ্রাস পেয়েছে।
রুপা :দয়া করে আমাকে ভয় পাবেন না।
আমি:সম্মুখে ভূত, আর আমাকে বলতেছ, ভয় না পেতে।
রুপা :আমি ভূত সেটা যেমন সত্য, আমি আপনার কোনো ধরনের ক্ষতি করব না সেটাও অসত্য নয়।
আমি অভয় পেয়ে একটু স্বাভাবিক হয়ে প্রশ্ন করলাম:তুমি এখানে কেন?
রুপা:আমি এক অতৃপ্ত আত্মা, আত্মহত্যা করার কারণে যার ইহকাল এবং পরকাল দুইই অভিশপ্ত হয়ে গেছে।অাত্মহত্যা করার কারণে আমার আত্মার মুক্তি হয়নি। তাই এখন ভূত হয়ে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আমি:এত কম বয়সে নিজেকে শেষ করার কি এমন কারণ?
রুপা:ভালবাসা।
আমি: ভালবাসা!সেটা কিভাবে?
রুপা:আমি ভালবেসেছিলাম পাশের গ্রামের অনিরুদ্ধকর অনিক দা কে। যে মিথ্যে ভালবাসার দ্বারা ভূলুণ্ঠিত করেছে তার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাসকে এবং কেড়ে নিয়েছে আমার পবিত্রতা এমনকি বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম সম্মান।
আমি:কারো সম্মান নেওয়ার সামর্থ্য কারোর নেই,মানুষ নিজের সম্মান কেবল নিজের দ্বারাই বিনষ্ট করতে পারে।সেটা তোমার বোঝা উচিত ছিল।
রুপা:সামাজিক চাপ এবং পরিবারের মানুষের অবহেলায় নিজেকে আমি নিকৃষ্ট পাপী হিসেবে গণ্য করেছি।তাই মন অশান্ত থাকা অবস্থায় যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,এখন তো আর বদলানো যাবে না।
আমি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলাম:এখন কেমন আছ?
রুপা:অাত্মহত্যা যেখানে মহাপাপ,নরক যেখানে সুনিশ্চিত, অসহ্য যন্ত্রনা যেখানে ক্রমাগত চলতে থাকে, স্বর্গ যার জন্যে চিরতরে নিষিদ্ধ, সে ভাল থাকবে কেমন করে?
আমি: বুঝলাম, সত্যিই ব্যাপারটা বেদনাদায়ক,তবে তোমার চূড়ান্ত বিচারে তুমি তোমার ঈশ্বরকে এই প্রশ্ন অবশ্যই করবে যে, তোমার বিশ্বাস করা কি ভুল ছিল?
সব হারিয়ে যখন তুমি নিঃস্ব, হতাশা আর অসম্মান যখন তোমাকে গ্রাস করছিল, তখন কি তিনি আশার বাণী কিংবা সুমতি দিতে পারতেন না?
আর ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই যদি সব হয়, তাহলে তোমার পাপ হবে কেন?
তুমি তো কেবল ঈশ্বরের পরিকল্পনার অংশ মাত্র।
তুমি তো একটা বাচ্চা মেয়ে।সামাজিক চাপে ভুল করে আত্মহত্যা করেছে।সেজন্য কেন তোমাকে এত কঠিন শাস্তি পেতে হচ্ছে?
তোমার স্থান তো হওয়া উচিত স্বর্গে। ইহলোক এবং পরলোক দুই জায়গাতেই কেন তোমার উপর অত্যাচার করা হবে?
রূপা:আচ্ছা ঠিক অাছে,আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করব।
আমি আবারও বলতে লাগলাম,
পৃথীবীতে যেখানে নাবালকদের কে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়, সেখানে ঈশ্বর অনেক দয়ালু হয়েও কেন তোমাকে এত বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে?
রুপা:হয়ত কম বয়সেই বেশী পেকে গেছিলাম, তাই।

হঠাৎ দূর থেকে ভেসে আসা মোয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি শুনতে পেলাম।
রুপা:এখন যাই, আমার সময় শেষ, অন্য একদিন কথা হবে।
আমি:আমার যে আরও কিছু প্রশ্ন আছে?
,রুপা:অন্য একদিন উত্তর দিব।

রুপার কথা ভেবে মনটা খারাপ হয়ে গেল এবং কিছু প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে-ভাবতে নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
(পড়ার জন্য ধন্যবাদ♥♥)

04/02/2020

।। #অমাবস্যায়_কবরস্থানে ।।

সেদিন রাজশাহীর এক মেডিকেলে
পরীক্ষার জন্য কিছু student দের লাশের
প্রয়োজন পড়ল। অন্য গ্রুপদের লাশ জোগাড়
হয়ে গেছে । শুধু একটা গ্রুপের জন্য লাশ
শর্ট
পড়ে গেল । তখন তারা একটা কষাই বা
ডোমকে খবর দিল। একটা লাশের জন্য ৫০০০
টাকা । ডোম লোভে পড়ে খুশিতে পুরা
পাগল
। ওইসময় তার হাতে কোনো লাশ ছিলো
না।
রাত তখন ১০টা। এত অল্প সময় লাশ কোথায়
পাবে ভাবতেই তার মাথায় আসল,আজ
সকালেই পাশে একটা কবরস্থানে একজনকে
দাফন করা হয়েছে ,লাশটা এখনও তাজা
আছে ,তাই ওটাই কবর থেকে চুরি করে
নিয়ে
আসা যাক।
রাত তখন ১২টা। সে ইচ্ছামত নেশা করল,
(কারণ ডোমরা লাশ ধরা বা কাটার সময়
নেশা করে যাতে সে যা করছে তা অনুভব
করতে পারে ,একটা সাধারণ মানুষের জন্য
সজ্ঞানে এসব করা কষ্টকর) যাই হোক ,সে
তার সাথে একটা এসিস্ট্যান্ট কে নিল।
তাকেও মদ সাধল,কিন্তু সে খেল না। সে
বারবার ডোমকে মানা করতে লাগল
- "ভাইজান,ওহানে যাইয়েন না। এইডা
আমাগো জইন্যা ঠিক হইতাছে না। একে
তো
ইলিগেল কাম,তার উপরে অমাবইস্যার
রাতরে এই ভূতুরে কবরস্থানে !!! ভাইগো!!
মোর ডর লাইগতাসে। মুই ভাগি!!"
ডোম- "আরে রাখ তোর ডর,ছাগল কোই
যাস?? মোর লগে যাবি,আর হেইডাই
ফাইনাল!! তোরে ১০০০টাগা দিমু।"....কোনোমতে ওকে ধরে নিয়ে
কবরস্থানে
পৌছালো ডোম। ঘুটঘুটে অন্ধকার ।
শেয়াল,কুকুর চিৎকার করছে । কবরস্থান
জঙ্গলে ভরা। তারা কবর খোঁরা শুরু করল।
ভয়ে এসিস্ট্যানট এর হাত পা ঠান্ডা
হচ্ছে
আর ডোম তাকে বকা দিয়ে ঘোরের
মধ্যে
মনের আনন্দে গান গাচ্ছে আর কুড়াল
চালাচ্ছে।
হঠাৎ করে ছেলেটি লক্ষ্য করল ডোম যতটুকু
কবর খুড়ছে,আশেপাশের সব কবর থেকে একই
পরিমাণে মাটি সরছে , ডোম পুরা
মাটি
সরিয়ে ফেলল, আর সাথে সাথে সব কবরের
মাটি সরে গেল। আর সব কবরের লাশ
দেখা
যাচ্ছে ,নতুন,অনেক বছর পুরান সব রকমের
বীভৎস লাশ, ছিন্নবিছিন্ন কঙ্কাল।।
এটা দেখে তার চোখ বড় হয়ে গেল আর
ভয়ে
হৃৎপিন্ড থেমে যেতে লাগল। সে ঠেলে
চিৎকার করে ডোমকে ডাকতে লাগল-
"ভাইজান!!! ওরে বাবাগো,মুই কী
দেইখতাছি!! ওইহানে দেহেন!!
ক..কব্..কবর থেইকা........."
ডোম- "আরে থাম শালা....কী যে
মজা...এই
লাইশডা বাইর কইরলে এত্তগুৃন টাগা!!!
হাহাহাহাহাহৈহৈ"
ছেলেটি -"আল্লাহগো।। মুই ভাগি। "
এই বলে assistant দৌড় দিয়ে পালিয়ে
যায় ।
আর ডোমের কোন হুঁশ নেই । তারপর সে
কবর
থেকে লাশটাকে উঠে বসালো আর
বাকি সব
কবর থেকে উঠে বসল আর তার দিকে ঘুরল।
সে লাশটাকে উঠিয়ে দাঁড় করালো আর
হল
কী, সব লাশগুলো উঠে দাঁড়ালো ও তার
দিকে হেঁটে বা হেছরিয়ে তার দিকে
আসতে লাগল। এতক্ষণে ডোমের হুঁশ ফিরল।
সে এই দৃশ্য দেখে পড়ি মরি করে লাশ
ফেলে দৌড় দিল। আত্মারাও তার
পেছনে
ছুটল। ডোমের assistant দূর থেকে এসব
দেখল
আর বাড়িতে চলে গেল।
এদিকে সকালে শোনা গেল ,সেই
কবরস্থান
থেকে ডোমের রক্তাক্ত কাটা লাশ
পাওয়া
গেছে ।।।

24/01/2020

Stay Tune

17/01/2020

Friday Night Spechial
- গোরস্থানের বধু -

- তখন আমি স্কুলে পড়ি।।
পড়ালেখারজন্য নানুবাড়িতে
থাকতাম।। একবার আমরা বাসা বদল
করে একটা নতুনবাসাতে উঠলাম।। নতুন
পরিবেশ।। আসে পাশের কাউকেই চিনি
নাহ।।বাসাটা তিনতলা ছিল।। তবে,
তিনতলার নির্মাণ কাজতখনো
চলছিলো বলে সেটা ছিলফাঁকা।।
আমরা দ্বিতীয় তলায় থাকতাম।।নিচ
তলায় অন্য এক ভাড়াটিয়া থাকতো।।
যাই হোক, আমাদের নতুন বাসার
ঠিকসামনেই ছিল এক গোরস্থান।।
জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে
গোরস্থানেরকবর আর গাছপালা স্পষ্ট
দেখা যেত।।সেই বাড়িতে উঠার পর
প্রথম রাত।।রাত ১১ টার দিকে
হটাৎপুরো বাড়িতে কড়া আগর বাতির
গন্ধছড়িয়ে পড়লো।। আসে পাশে
কোনউৎসখুঁজে পেলাম না।। ছোট
ছিলাম।।ঘাবড়ে গেলাম।। ভয়ে ভয়ে
নিজেররুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।।
গভীররাতে হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো।।
মনে হলে ছাদ থেকে একটা
আওয়াজআসছে।। কে যেনও
স্যান্ডেলটেনে টেনে হাঁটছে ছাদে।।
প্রচণ্ডভয়পেলাম।। পাশে শোওয়া
আম্মুকে শক্তকরে জড়িয়ে ধরে
রাখলাম।।এমনিতে কখন যেনও ঘুমিয়ে
গেছি।।সকালে ঘুম থেকে উঠার পর
ছোটমামা বললেন, উনি নাকি রাতে
ঘুমভেঙ্গে যাওয়ারজানালা দিয়ে
বাইরে তাকিয়েছিলেন।।তখন তার চোখ
যায় গোরস্থানেরদিকে।। সেখানে
নাকি তিনি দেখেন, একনব বধূর মত কেউ
লাল শাড়ি পড়ে বসে আছে।।
বাতাসেরআসা যাওয়ার তা কিছুটা
দুলছিল।।এছারা আকৃতিটা সাধারন
মানুষেরমতন ছিল নাহ।। তার চেয়ে
অনেক বড়সাইজের ছিল।। এভাবে
অনেকদিন কেটে গেলো।।মামা প্রায়
রাতেই সেই অদ্ভুত নতুনবউয়ের সাজের
আকৃতিটা দেখতে পেতেন।।
একদিনআমরা সবাই মিলে অনুরোধ
করলাম,মামা যেহেতু প্রায় রাতেই
সেইআকৃতিটা দেখতে পান তাইপরে
কোনবার দেখলে যেনও অবশ্যইআমাদের
ডাক দেন।।একদিন রাতে মামা
আমাদের রাত ২টার দিকে ডাক দেন।।
ঘুমথেকে উঠে দেখি চাঁদের আলোয়
সবঝলমল করছে।। খুব সম্ভবত
সেদিনপূর্ণিমা ছিল।। দুরের
জিনিশগুলো স্পষ্টদেখতে পাচ্ছিলাম
চাঁদের আলোয়।।আমরা মামার রুমে
গেলাম।।চারদিকে শুনশান নিরবতা
আরচারপাশে কড়া আগরবাতির গন্ধ।।
মাঝে মাঝে কোথায় যেনওএকটা
কুকুরডেকে উঠছিল।। সবাইজানালা
দিয়ে বাইরে তাকালাম।।যা দেখলাম
তাতে সবার চোখ প্রায়কপালে উঠে
গেলো।।গোরস্থানের ভেতরেরদিকে
একটা ঘরের মত ছিল।। ঠিক ঘরনাহ,বাস
টিকেট বিক্রি করার জন্য যেমনছোট ঘর
থাকে তেমন।।তবে তা চারদিকদিয়েই
খোলা ছিল।।সেখানে যেনওনতুন বউয়ের
মতন সেজে কে একজনবসে আছে।।
মাথাটা কিঞ্চিৎদুলাচ্ছে।। অনেকটা
আমরা গুনগুনকরে পড়ার সময় যেমনমাথা
দুলিয়ে পড়ি,সেরকম।। ভয়ে আমার এক
কাজিনচিৎকারদিয়ে উঠলো।। সাথে
সাথে সেইমূর্তিটা আমাদেরদিসাথে সেইমূর্তিটা আমাদেরদিকে ঘুরে
গেলো।।আশ্চর্য, এতো দূর থেকেও
স্পষ্টদেখতে পাচ্ছিলাম তারচোখগুলো
যেনও জ্বলজ্বলকরে জ্বলছে।।আমরা ভয়ে
চিৎকারদিয়ে সরে যাই।।মামা
তাড়াতাড়ি জানালাটা বন্ধকরে দেন।।
পড়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
একবারএইগ্রামে নদীতে একটা
লাশভাসতে ভাসতে আসে।।
লাশটারগায়ে নতুন বউয়ের শাড়ি ছিল।।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও
সেইলাশের পরিচয় পাওয়া সম্ভব
হয়নি।।সেইগোরস্থানে দাফন করা হয়
লাশটা।।এরপরনাকি প্রায়ইঅনেকে
উল্টাপাল্টা অনেক কিছুদেখে।।মাঝে
মাঝে নাকি কড়া গন্ধপাওয়া যায়
আগরবাতির।। আর সেইগোরস্থানটি
আসলে প্রচলিতঅর্থে শুধুমোসলমানদের
কবরখানাই নয়,সেখানে বাকি সব
ধর্মের মানুষেরওশেষ কীর্তি সম্পাদন
করা হয়।।যাই হোক, এরপর থেকে আমরা
আরজানলা দিয়ে বাইরে
তাকাতামনাহ।।যতদিন সেই বাড়িতে
ছিলাম ততদিনইসন্ধার পর সব জানালা
বন্ধ করে দেয়া হতো।।আর, ছাদের সেই
শব্দটার কোন ব্যাখ্যা পাইনি।।
By Bhoot fm

29/12/2019



নারীবেশী ভূতটি দু দাঁত বের করে শুধুমাত্র একবার হাসলো

email by rajon

আমি তখন কলেজে পড়ি। প্রতিদিন প্রায় অনেক রাত পর্যন্ত পড়তাম। আমি থাকতাম মা'র ঘরটার ঠিক পাশের ঘরটায়। খুপি বাতি জ্বালিয়ে পড়তাম। তাই সবসময় সাথে ম্যাচ থাকতো। সেদিনও পড়তে পড়তে বেশ রাত হয়ে গেলো। জানালা ফাঁক দিয়ে জোছনা দেখা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ডাকে জন্য বের হলাম। পশ্চিমের আকাশের দিকে হেলে পড়েছে চাঁদটি। চাদেঁর আলোতে মায়াবী আলোয় ঝিকমিক করছে সামনের পুকুর ঘাটটি। পুকুরটি হলো আমার বাল্যবন্ধু সুবলের। সুবল মারা গেছে পুকুরটিতে পড়ে। কেউ কেউ বলে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলেছে সুবলকে। সুবলের কথা বড্ড মনে পড়ছে।

পুকুরের মাঝখানটায় চাঁদটার দিকে স্থির হয়ে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ..... তাকিয়ে দেখি পুকুরের মাঝখানটায় যেখানে চাঁদটা হাসছে সেখানে কালো আধাঁরের মতো কি যেনো চাদঁটাকে জড়িয়ে ধরলো, গিলে ফেলতে চাইছে চাঁদটাকে। ভয়ে শরীর জমে গেলো মনে হচ্ছে। আকাশের ঠিক পশ্চিমের পাশটায় তাকিয়ে দেখি চাদঁ এবং মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছে। মনে মনে হাসলাম নিজের বোকামী দেখে। না কালকে বেশ বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে। বড় করে মেঘ জমেছে আকাশে। চারদিকে কিছুটা অন্ধকার ছেয়ে গেছে। ঘরে চলে আসলাম।

বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম। আমি যে বিছানায় থাকি সেটা কোনভাবেই বিছানা বলা চলে না। দুইটা তক্তা কোনভাবে বাশেঁর সাথে বেঁধে থাকি। খুব সাবধানে থাকি যাতে করে পড়ে না যায়। কখনযে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি।

হঠাৎ করে গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো কারো গাঁয়ে গাঁ লেগে। আমি বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমার সাথে শুয়ে আছে। আশ্চর্য হয়ে গেলাম। যেখানে আমি একা শুতেই কষ্ট হয় সেখানে আরেকজন কিভাবে শুইলো? তাছাড়া এতো রাতে কে আমার সাথে শুইবে আমাকে না বলে? পাগলীটার কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদের এলাকায় একটা পাগলী ছিলো যে গভীর রাতে ঘরে উঠে পড়তো। সেই পাগলীনাতো। ভাবতে ভাবতে ভয়ে ঘাম এসে পড়লো। আমি ধীরে ধীরে বালিশের নিচে হাত নিয়ে ম্যাচটি বের করে আনলাম। চোখের পলকে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে নেমে বাতিটি ধরিয়ে ফেললাম। যা দেখলাম তা অবিশ্বাস্য! দরজার বাইরে থেকে একগুচ্ছ চুল মেয়েটির মাথা পর্যন্ত। ভয়ে মুখ দিয়ে কোন কথায় বের হচ্ছেনা। তবুও ক্ষীণ কন্ঠে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বললাম কে? মেয়েটি মাথাটাকে ঝাকিয়ে উঠে বসলো। দেখলাম চুলো গুলো ঝাকিতে মেয়েটির কোলের উপরে এসে পড়লো। আমি মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটি দু দাঁত বের করে হাসছে। সাথে সাথেই আমি বাতির উপর ঢলে পড়লাম।

যখন হুশ হলো দেখি আমার মা এবং আমার ভগ্নিপতি আমার পাশে বসে আছে। আমি আমার ভগ্নিপতিকে দেখে হবাক হলাম। উনি আমাকে দেখে বললো, উনি নাকি বেতন আনতে নেত্রকোনার ধোবাউড়া গেছিলো। সেখানে রাত ১ টার দিকে শুনেছে অমুক গ্রামের অমুকের বিছানায় নাকি ভূত শুয়ে ছিলো। তারপর সে সাইকেলে আসতে আসতে সাড়ে তিনটা বেজে গেছে। মাকে ডেকে তুলে আমার ঘরে গিয়ে দেখে সত্যি সত্যি আমি মাটিতে পড়ে আছি। আমি অবাক হলাম এইভেবে যে আমি যখন শুয়েছি তখনতো দুইটা বাজে তাহলে উনি একটায় শুনলেন কিভাবে?

Developed by
fm

02/12/2019

শিকার –
রাতের প্রায় আড়াইটা বাজছে। দোতালার শোবার ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম।





অবশ্যি এই সময়টাতে টিভিতে কিছুই দেখায়না। তারপরেও ইজিচেয়ারে বসে দুলতে দুলতে চ্যানেল পাল্টাচ্ছি কারণ লোকাল চ্যানেলগুলোতে বারবার দেখাচ্ছে যে শহরের জেলখানা থেকে এক ভয়ঙ্কর খুনী পালিয়েছে। টিভিতে খুনির ছবিও দেখাচ্ছে। ফোন করে কেউ পুলিশে খবর দিয়েছে যে তাকে দেখা গেছে এই আবাসিক এলাকায়। গা শিউরে ওঠার মতো খবর।

ক্যঁরররররচচচ!

চমকে উঠলাম আমি! নিচতলার সদর দরজাটা খুলে ফেলেছে কেউ। মরচে ধরেছে কলকব্জায়, যতই আস্তেই খোলা হোক না কেন, আওয়াজ পাওয়া যাবেই।

টিভিটা বন্ধ করে দিলাম। ঘরটাতে খোলা জানালা দিয়ে চাঁদের আলো আসছে। আবছা আলোয় পথ দেখে এগিয়ে গেলাম দরজার সামনে। নিচ তলায় পায়ের আওয়াজ পাচ্ছি। কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছে বাড়িটা। ভয় পেলে মানুষের শিরদাঁড়া বেয়ে কি যেন নেমে যায় জানেনই তো, আমিও তাই অনুভব করলাম।

নাহ, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ওপরে আসার আগেই আমার পালাতে হবে। নিজের জীবন বাঁচাতে হবে আমাকে।

খোলা জানালার কাছে এগিয়ে গেলাম। শাদা মোটা একটা পাইপ নেমে গেছে ওপর থেকে নিচে। জানালা দিয়ে বের হয়ে হাত বাড়িয়ে আঁকড়ে ধরলাম পাইপটা। নামতে শুরু করলাম। পাইপটার চারদিনে কি সুন্দর আইভিলতা প্যাঁচানো ছিলো। দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে বোধহয়। ধুর ছাই! জাহান্নামে যাক আইভিলতা।

পাইপ বেয়ে পিছলে পিছলে আধ মিনিটেই নিচে নেমে এলাম। যাক বাবা! বাঁচা গেলো। মহাকর্ষ না অভিকর্ষ, কি যেন একটা আছে না? সেটাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না।

দৌড়োতে শুরু করলাম। পেছন থেকে গুম গুম আওয়াজ আসছে। এত সহজ না বাছাধন। ওক কাঠের পেল্লায় দরজা ভাঙ্গার আগেই আমি নিরাপদ জায়গায় চলে যাবো!

বেশ খানিকটা পথ দৌড়ে এসেছি। দূর থেকে দেখছি শোবার ঘরে আলো জ্বলছে। ঘরে ঢুকেছে অবশেষে!

খিক খিক করে হাসছি আমি। কি মজাটাই না হচ্ছে এখন সেখানে!

ঘরে এখন পুলিশ ঢুকেছে। আমিই ওদের ফোন করেছিলাম!

শোবার ঘরে ঢুকে যখন পুলিশ ব্যাটারা দেখবে বিছানায় গলাকাটা দুটো লাশ, লালচেকালচে রক্ত থইথই করছে ঘরময়, কি মজাটাই না হবে!

সামনে আমার এখন আরেকটা বাড়ি। রক্তাক্ত ধারালো ছুড়িটা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি সেদিকে। হাসিমুখে, নতুন শিকারের খোঁজে।

(বিদেশী গল্প অবলম্বনে)

শুরু হয়ে গিয়েছে Rj Russell-Bhoot FMভয়ের জগতে প্রবেশ করতে প্রস্তুত তো?For full length Bhoot FM episodes, subscribe to our...
15/11/2019

শুরু হয়ে গিয়েছে Rj Russell-Bhoot FM
ভয়ের জগতে প্রবেশ করতে প্রস্তুত তো?
For full length Bhoot FM episodes, subscribe to our official YouTube channel.
http://bit.ly/Subscribe2BhootFM

After a successful month of testing, Radio Foorti hit the airwaves on the 22nd of September in 2006, introducing the FM culture back to Bangladesh. Now Broad...

Address

Dhaka Badda
Dhaka

Telephone

+8801993743131

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhoot Fm.Fan Page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhoot Fm.Fan Page:

Share

Category