এসো আল্লাহর পথে

এসো আল্লাহর পথে ❤️❤️লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)❤️❤️

25/06/2024

সবচেয়ে সুন্দর ও ভাল চরিত্রের মানুষ ঐ ব্যাক্তি, যে প্রকৃত হিংসা বিদ্বেষ মুক্ত অন্তরের অধিকার এবং সত্য কথার অধিকারী।

— আল হাদিস

21/06/2024

( সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পটি লেখা )

আলম সাহেব একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে ভালো চাকরি করেন। বয়স পঁয়তাল্লিশ।

একদিন এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে আলম সাহেব দুপুরের খাবার খেতে বসেছেন। টেবিলে ভাত তরকারি সালাদ চমৎকার সাজিয়ে দেয়া হয়েছে। পোলাও বিরিয়ানি নয়, সাদা ভাতই তার পছন্দ। আর চামচ নয়, হাত দিয়ে খেতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তিনি খাওয়ার জন্য প্রথম লোকমা মুখে যখন তুলবেন তখন তার চোখ পড়লো রেস্টুরেন্টের কাঁচের দেয়ালের দিকে। তিনি দেখলেন কাঁচের দেয়ালের ওপাশে পাঁচ ছয় বছর বয়সী একটি হতদরিদ্র মেয়ে বিষণ্ণ চোখে রেস্টুরেন্টের কাস্টমারদের খাওয়া দেখছে। মেয়েটির শুকনো মুখ দেখে বোঝা যায় দুপুরে তার খাওয়া হয় নি। সকালেও বেশি কিছু খেয়েছে বলে মনে হয় না। আলম সাহেব খাবারের লোকমা মুখে না তুলে হাত ইশারা করে মেয়েটিকে ডাকলেন। মেয়েটি প্রথমে বুঝতে পারে নি তাকে যে ডাকছে। কারণ কোনো রেস্টুরেন্টের কোনো কাস্টমার কোনোদিন তাকে ভেতরে ডাকে নি। তাই শুরুতে ভাবলো তাকে নয়, বোধহয় অন্য কাউকে ডাকছে। কিন্তু খানিক পর যখন সে বুঝতে পারলো রেস্টুরেন্টের ভেতরকার ঐ মানুষটা তাকেই ডাকছেন, তখন জড়সড় হয়ে সে রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করলো।

মেয়েটির মাথায় তেলহীন এলোমেলো চুল, গায়ে ময়লা ছেঁড়া ফ্রক, ধুলো ভর্তি পা দুটো খালি, গা থেকে আসছে কটু গন্ধ। মেয়েটি ভয়ে ভয়ে আলম সাহেবের টেবিলের কাছে এগিয়ে এলো। রেস্টুরেন্টের অন্যান্য কাস্টমাররা কিছুটা অবাক হয়ে মেয়েটিকে দেখছেন। এমন একটা ঝকঝকে রেস্টুরেন্টে এরকম ময়লা ছেঁড়া জামা, ধুলো ভর্তি পা, গায়ে কটু গন্ধ কোনো বাচ্চা মেয়ে ঢুকে পড়বে এটা তারা আশা করেন নি। কোনো কোনো কাস্টমারের চোখে স্পষ্ট বিরক্তি। যেনো তাদের খাওয়াটা নষ্ট হলো।

তাদের একজন রেস্টুরেন্টের এক বেয়ারাকে ডেকে বললেন,‌"তোমাদের এখানে সিস্টেম বলে কিছু নেই নাকি? ভিখারী ভেতরে ঢোকে কী করে?"
বেয়ারাটি অপরাধী ভঙ্গিতে বললো,"স্যার আমরা খুবই দুঃখিত। আমরা নিজেরাও অবাক হয়েছি। কারণ এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটে নি। আমরা এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।"

বেয়ারাটি রাগী চোখে বাচ্চা মেয়েটার দিকে ছুটে এলে মেয়েটি ভয়ে নীল হয়ে গেলো। বেয়ারাটি মেয়েটির কাছে এসে কিছু বলার আগেই আলম সাহেব বেয়ারাটিকে থামালেন।
তারপর ভারী গলায় বললেন,"মেয়েটি এখানে ভিক্ষা করতে আসে নি। তাকে আমি ডেকেছি। তোমাদের কোনো আপত্তি আছে?"
বেয়ারাটি বিগলিত হেসে বললো,"স্যার মেয়েটিকে আপনি ডেকেছেন এটা বুঝতে পারি নি। আমরা ভেবেছিলাম ও বোধহয় হুট করে ঢুকে পড়েছে। ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমরা দুঃখিত।"

বেয়ারাটি চলে গেলে মেয়েটির মুখের ভীত ভাব অনেকখানি দূর হলো। তবে পুরোপুরি দূর হলো না। কারণ এমন কেতাদুরস্ত রেস্টুরেন্টে সে কখনো ঢোকে নি। অনেকেই যে তাকে দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছেন এটা সে বুঝতে পারছে।

আলম সাহেব মেয়েটির দিকে তাকিয়ে নরম কণ্ঠে বললেন,"দুপুরে খেয়েছো?"
জড়সড় মেয়েটি মাথা নেড়ে না বললো।
আলম সাহেব তার টেবিলের ওপাশে চেয়ার দেখিয়ে বললেন,"বসো এখানে।"
কিন্তু মেয়েটি চেয়ারে না বসে গুটিগুটি পায়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলো। মেয়েটির এ আচরণ তিনি একদমই বুঝতে পারলেন না। তিনি এটা মোটেই প্রত্যাশা করেন নি। তিনি আশ্চর্য হয়ে মেয়েটির চলে যাওয়া দেখলেন।

কিন্তু একটু পরই তিনি দেখলেন মেয়েটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলো। তবে সে একা নয়। তার সাথে রয়েছে বছর তিনেকের একটা ছেলে। খালি গা, খালি পা, পরনে জিপারহীন প্যান্ট।
আলম সাহেবের কাছে এসে মেয়েটি আলতো করে বললো,"আমার ছোটো ভাই।"

আলম সাহেব মুগ্ধ হয়ে গেলেন ছোট্ট মেয়েটির ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখে। ভাইকে রেখে সে একা খাবে না। তার চোখ ভিজে উঠতে চাইলো। তিনি নিজেকে সামলালেন।

দুই ভাইবোনের দিকে তাকিয়ে বললেন,"তোমরা বসো।"
আলম সাহেবের টেবিলের সামনের চেয়ার দুটোতে তারা বসলো। তারা শঙ্কিত চোখে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে।
আলম সাহেব বললেন,"কী খাবে তোমরা?"
মেয়েটি আড়ষ্ট হাতে আলম সাহেবের প্লেটের খাবারের দিকে ইঙ্গিত করলো। অর্থাৎ তিনি যা খাচ্ছেন তারাও তা খাবে।

আলম সাহেব বেয়ারাকে ডেকে দুই ভাইবোনকে একই খাবার দিতে বললেন।
খানিক পর ওদের খাবার এলে তিনজন এক সাথে খেতে শুরু করলো।
তিনি খাচ্ছেন আর আড় চোখে দুই ভাইবোনকে দেখছেন। ছোটো ভাই নিজ হাতে ঠিক ভাবে খেতে পারে না। মেয়েটি তাই নিজের হাতে ছোটো ভাইকে খাইয়ে দিচ্ছে। মেয়েটি নিজে এক লোকমা খাচ্ছে, আরেক লোকমা ভাইয়ের মুখে তুলে দিচ্ছে। দৃশ্যটি দেখে আলম সাহেবের চোখ আবারো ভিজে উঠতে চাইলো। এবারো তিনি নিজেকে সামলালেন।

খাওয়া শেষে তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলেন,"তোমাদের বাড়িতে কে কে আছে?"
মেয়েটি নিচু স্বরে বললো,"মা।"
"তোমাদের বাবা?"
মেয়েটি মাথা নেড়ে বললো নেই।

কেনো নেই তিনি এ প্রশ্ন করলেন না। তিনি ধারণা করতে পারেন, হয় ওদের বাবা মারা গেছে, নয়তো আরেকটা বিয়ে করে ওদের ফেলে চলে গেছে। এসব পথশিশুদের পরিবারে এমনই হয়। মা-ই কঠোর পরিশ্রম করে সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখে।

তিনি বেয়ারাকে ডেকে এক প্যাকেট খাবার বেঁধে দিতে বললেন।
তারপর প্যাকেটটি মেয়েটির হাতে তুলে দিয়ে বললেন,"এটা তোমাদের মায়ের জন্য।"
মেয়েটি ধীরে হাত বাড়িয়ে খাবারের প্যাকেটটি নিলো। এরপর দুই ভাইবোন আস্তে আস্তে হেঁটে রেস্টুরেন্ট থেকে চলে যেতে লাগলো।
মেয়েটির এক হাত খাবারের প্যাকেটে আর অন্য হাত ছোটো ভাইয়ের কাঁধে। কী যত্ন করেই না মেয়েটি ছোটো ভাইয়ের কাঁধ ধরে রেখেছে! যেনো আশেপাশে যারা তাদের দেখে অখুশি হয়েছিলেন, তাদের রাগ থেকে ছোটো ভাইকে বাঁচানোর জন্য ওভাবে ধরে রেখেছে। আলম সাহেবের চোখ আবারো ভিজে উঠতে চাইলো। এবারো তিনি নিজেকে সামলালেন।

কিন্তু একটু পর যখন তার কাছে বিল এলো, বিলের দিকে তাকিয়ে তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। এতোক্ষণ আটকে রাখা চোখের পানি এবার ঝরঝর করে পড়তে লাগলো।

বিলের কাগজে কোনো সংখ্যা নেই, শুধু লেখা আছে,"মানবতা অমূল্য। এর দাম নির্ধারণ করবো এমন ক্ষমতা আমাদের নেই। স্যার আপনাকে ধন্যবাদ।"

"উৎসর্গ"
- রুদ্র আজাদ

20/06/2024

ভয়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা!!
৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে। আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে৷
তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ,ভালোবাসা হারানোর ফলে। স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷ আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন সংসার টিকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ তার স্ত্রী ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও। সে মানসিকভাবে পুরুষ। স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ।এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে। মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকে।

••বোন তোমাদের কিছু বাস্তব কথা বলি••-'পুকুরের পানি সবাই ব্যবহার করে কিন্তু কেউ খায় না'!-'আলু সবার সাথে মিশে কিন্তু সবাই ...
24/08/2023

••বোন তোমাদের কিছু বাস্তব কথা বলি••

-'পুকুরের পানি সবাই ব্যবহার করে কিন্তু কেউ খায় না'!

-'আলু সবার সাথে মিশে কিন্তু সবাই খেতে পছন্দ করে না।

-' মিষ্টির দোকানে এমনি মাছি বেশি থাকে।ঐটা দোকানদারের এটিটিউট না।

-'খোশা সহ একটা কলার দাম ৫ টাকা....
ঠিক ঐ কলার যখন খোশা ফেলে দিবে তখন ফ্রি দিলেও কেউ নিবে না।

তখন এটা মশা মাছির খাবার হবে...

∆ তোমাকে এটাই বলতে চাই ∆

👉 তোমার দেহকে এমন করো না যে, সবাই পুকুরের পানির মতো ব্যবহার করবে।

👉 তোমার মন কে আলুর মতো করো না যে, সবাই মিশবে বাট কেউ-ই পছন্দ করবে না।

👉 তুমি তোমার মনকে মিষ্টির দোকান বানাইও না। যেখানে মশা মাছির মতো সবাই ঢুকবে।খুদা মিটিয়ে চলে যাবে।

তুমি তোমার শরীরকে কলার মতো খুলে দিও না। যেখানে মশা মাছির মতো সবাই খুদা মিটিয়ে চলে যাবে। অথচ কাউকে ফ্রি দিলেও নিবে না।😔

তুমি আজ যাদের সাথে কথা বলে মজা নিচ্ছো বা দিচ্ছো...
তারা তোমাকে ব্যবহার করে, ব্যবহার শেষে ফেলে দিবে।

যে তোমাকে আজ খারাপ বানাবে সে তোমাকে কাল বলবে " ও " ভালো না, চরিত্র খারাপ.. গালি তো আছেই,,,,,,,

"""বর্তমান পরিস্থিতি বড়ই ভয়ংকর
মোকাবেলা করতে পারবে না"".....

আমার কথায় খারাপ লাগলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🙏🙏

❤️❤️আলহামদুলিল্লাহ ❤️❤️
23/08/2023

❤️❤️আলহামদুলিল্লাহ ❤️❤️

হালাল ইনকাম..একটু জমিদারি তো থাকবোই  🤟💝
23/08/2023

হালাল ইনকাম..

একটু জমিদারি তো থাকবোই 🤟💝

বিড়াল হলো পবিত্র প্রাণী 🐈❤️আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) বিড়ালকে খুব ভালোবাসতেন 🥰
21/08/2023

বিড়াল হলো পবিত্র প্রাণী 🐈❤️
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) বিড়ালকে খুব ভালোবাসতেন 🥰

জীবনে সাফল্যের মাধ্যমে আসা সমস্যাগুলি সমাধান করতে ইমান ও মানবিকতা অত্যগত। আপনার পরিশ্রম, ত্যাগ, এবং আল্লাহর দিকে নিয়ে য...
21/08/2023

জীবনে সাফল্যের মাধ্যমে আসা সমস্যাগুলি সমাধান করতে ইমান ও মানবিকতা অত্যগত। আপনার পরিশ্রম, ত্যাগ, এবং আল্লাহর দিকে নিয়ে যান, কারণ তিনি সর্বশক্তিমান ও করুণাময়। "আল্লাহ আপনি যাকে সহায়ক করেন, তাকে কেউ পরাজিত করতে পারে না।" - আল-ইমরান ৩: ১৬৬

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when এসো আল্লাহর পথে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category