11/06/2025
ইয়ামাহা বা যেকোনো বাইক কোম্পানি বাইক কেনার পর প্রথম কিছু কিলোমিটারে মিনারেল, তারপর সেমি-সিনথেটিক, এবং পরে সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেয় — এর পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল কারণ রয়েছে। নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো:
🔧 ১. ব্রেক-ইন পিরিয়ড (Break-in period) ও মিনারেল অয়েল:
প্রথম ১০০০–২৫০০ কিলোমিটার বাইকের ইঞ্জিন ব্রেক-ইন বা রানিং ইন পিরিয়ড ধরা হয়। এই সময়ে ইঞ্জিনের নতুন যন্ত্রাংশ (পিস্টন, সিলিন্ডার, রিং, ভালভ ইত্যাদি) একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নেয়।
মিনারেল অয়েল হলো প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত তেল, যার স্লিপারিনেস বা lubricity কম।
এর ফলে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ভালোভাবে ঘষা খেয়ে বসে যায়, অর্থাৎ সঠিক সিজনিং হয়।
বেশি স্লিক (সিনথেটিক) অয়েল দিলে যন্ত্রাংশ ঠিকভাবে বসে না, এবং ভবিষ্যতে পারফরম্যান্স ও ফুয়েল ইকোনমিতে সমস্যা হতে পারে।
⚙️ ২. সেমি-সিনথেটিক অয়েল (২৫০০–৭০০০ কিমি পর্যন্ত):
যখন ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ব্রেক-ইনে চলে আসে, তখন সেমি-সিনথেটিক অয়েল ব্যবহার করা হয়।
এটি মিনারেল ও সিনথেটিক অয়েলের মিশ্রণ, যার ফলে মডারেট প্রটেকশন ও পরিষ্কার করার ক্ষমতা থাকে।
এটি ইঞ্জিনকে ধীরে ধীরে সিনথেটিক অয়েলের উপযোগী করে তোলে, পাশাপাশি কিছুটা দীর্ঘতর ড্রেন ইন্টারভাল দেয়।
🧪 ৩. সিনথেটিক অয়েল (৭০০০ কিমি বা তার পর থেকে):
ইঞ্জিন পুরোপুরি ব্রেক-ইন হয়ে গেলে, তখন পুরোদমে পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার জন্য সিনথেটিক অয়েল ব্যবহার করা যায়।
সিনথেটিক অয়েল কেমিক্যালি তৈরি, যার ফলে:
তাপমাত্রা ও ঘর্ষণ সহ্য করতে সক্ষম।
ইঞ্জিনকে ক্লিন রাখে।
দীর্ঘমেয়াদে অয়েল চেঞ্জ ইন্টারভাল দেয়।
উচ্চ আরপিএম, হাই স্পিড ও লং রাইডে ইঞ্জিনকে রক্ষা করে।
✅ সারাংশ (সংক্ষেপে):
পর্যায় কিলোমিটার অয়েলের ধরন কারণ
১ম ধাপ ০–২৫০০ কিমি মিনারেল অয়েল যন্ত্রাংশ ঘষে বসানোর জন্য।
২য় ধাপ ২৫০০–৭০০০ কিমি সেমি-সিনথেটিক ধীরে ধীরে উন্নত লুব্রিকেশনে অভ্যস্ত করার জন্য।
৩য় ধাপ ৭০০০ কিমি পর ফুল সিনথেটিক পারফরম্যান্স, সুরক্ষা ও লং লাইফের জন্য
🛠️ নোট:
ব্রেক-ইন পিরিয়ডে বেশি আরপিএম, হেভি লোড, বা লং রাইড এড়ানো উচিত।
নির্ধারিত কিলোমিটারে অয়েল পরিবর্তন করা জরুরি।
কোম্পানির নির্দিষ্ট গাইডলাইন ফলো করাই বেস্ট।
Credit: ChatGPT
,