18/09/2025
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে ধূর্ততম দেশদ্রো*হী লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ (অব:) এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
হাসিনা আর "র"এর পা-চা*টা এই জেনারেল বহাল তবিয়তে গল্ফ খেলছে আর অ*বৈধ উৎসের টাকায় প্রতিষ্ঠিত সাবলাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসাবে ভদ্রলোক সেজে বিএনপির নোমিনেশন পাওয়ার পাঁয়তারা করছে?
১। এই ধূর্ত ঠান্ডা মাথার খু*নী ২০০৯ সালে বিডিআর হ*ত্যাকাণ্ডের সময় ডিজিএফআই সদরে পরিচালক,সিআইবি এবং এফএসআইবি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
পিলখানা বিডিআর হ*ত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে তার হাতে বিডিআর বিদ্রো*হের লিফলেট পৌঁছায়। এই তথ্য তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে গোপন করেন।
হ*ত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পরেই তিনি এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, নানক এবং মির্জা আজমের সাথে পিলখানার ভিতরে একত্রিত হয়ে হ*ত্যাকাণ্ডের আলামত ধ্বং*স করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন, এবং সেখানে প্রবেশ করা সেনা অফিসারদের আবেগকে পাত্তা না দিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর নির্দেশনা দিতে থাকেন,যার জন্য এক পর্যায়ে।
একজন অফিসার অ*স্ত্র হাতে মামুন খালেদকে তাড়া করেছিল সে এবং তার কোর্সমেট কর্ণেল (পরবর্তীতে মেজর জেনারেল) রেজা নুর (র্যাব) বিডিআর হ*ত্যাকাণ্ডের সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িত।
এবং এ সংক্রান্ত অনেক গোপন তথ্য জানেন।
পরবর্তীতে মামুন খালেদ ডিজিএফআই এর ডিজি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরে।
বিডিআর বি*দ্রোহের আলামত মুছতে,ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। এবং বি*দ্রোহের পরে ক্ষোভ প্রদর্শনকারী অফিসারদেরকে শা*য়েস্তা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
২। ডিজিএফআই তে থাকার সুবাদে তার নজর পড়ে সেনাবাহিনীর অফিসারদের ব্যক্তিগত টাকার প্রজেক্ট এ এইচ এস (পরবর্তীতে জলসিঁড়ি) এর দিকে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল তারেক সিদ্দিকের সাথে তার সমঝোতা হয় এবং তারা ঠিক করেন ঐ প্রজেক্ট থেকে তারা দুইজন আশিয়ান গ্রুপের নজরুল ইসলাম এর মাধ্যমে অফিসারদের টাকা কৌশলে আ*ত্মসাৎ করবেন এবং প্রজেক্টের বিরাট একটা অংশ নিজেদের দখলে নিবেন।
এই লক্ষ্যে "প্রচ্ছায়া" (মেজর জেনারেল তারিক সিদ্দিকীর স্ত্রী যার চেয়ারম্যান ছিলেন) এবং "সাবলাইম" (মেজর জেনারেল মামুন খালেদ এর শশুর যার চেয়ারম্যান ছিলেন) নামে দুটি কোম্পানির আড়ালে না*শকতা মূলক কাজ শুরু করে।
অত্যন্ত চতুরতার সাথে মামুন খালেদ প্রজেক্টের আশপাশের লোকজনকে সেনাবাহিনীর বিরু*দ্ধে উ*সকে দেয়।
যার ফলশ্রুতিতে ঐ প্রজেক্টের অফিসে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে হা*মলা চালানো হলে সেনাবাহিনী আ*ত্মরক্ষার্থে গু*লি চালাতে বাধ্য হয়। সেখানে ৩ জন স্থানীয় লোকের মৃ'ত্যু হয়। অত্যন্ত সন্দেহজনক ভাবে সেই সময় সেখানে হাজির ছিলেন তদানীন্তন ডাইরেক্টর সিআইবি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, অথচ তার থাকার কথা ক্যান্টনমেন্টে। ঘটনাস্থলে তিনি পৌঁছান র্যাব-পুলিশ-আর্মির অনেক পূর্বে।
তিনি সং*ঘর্ষে নিহত এক বা একাধিক বেসামরিক ব্যক্তির মৃতদেহ হেলিকপ্টার করে সরিয়ে গু*ম করে ফেলেন। সেসময় র্যাবে কর্মরত কর্ণেল মতিউর তাকে সাহায্য করে (পরে লে: জেনারেল)।
ইটিভির রিপোর্টার সালাম এই পুরো ঘটনার সাক্ষী। আওয়ামী আমলে মামুন খালেদের হাত ধরে মৃ*তদেহ গু*ম করা শুরু হয় এএইচএস এর ঐ ঘটনার মাধ্যমে, ঐ এলাকায় খোঁজ নিলে জানা যাবে এখনো দুইজন নিখোঁজ, মৃ*তদেহও পাওয়া যায়নি।
এর পরপরই মামুন খালেদ মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ঢাকায় লজিস্টিক এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। একই সাথে, ব্লুপ্রিন্ট চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তাকেই এ এইচ এস এর চেয়ারম্যান বানানো হয়। চেয়ারম্যান হয়েই তিনি তার কৃতকর্ম ধা*মাচা*পা দেন। অথচ এই মামুন খালেদের নাম এখনো আইসিটির মা*মলায় আলোচিত হয়নি।
৩। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মামুন খালেদ লন্ডনে অর্থ পাচার করেছেন মর্মে বহুল জনশ্রুতি রয়েছে। সেখানে তাঁর মেয়ের নামে তিনি বাড়ি কিনেছেন বলেও জানা যায়।
৪। বাংলাদেশে বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যক্তির সাথে তার সুসম্পর্ক ও ওঠাবসা সর্বজন বিদীত। ডিজি-ডিজিএফআই থাকাকালীন সময়ে প্রটোকলের নামে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে যেতেন। সে সময় অনেকে তাঁকে স্ক্রীনিং ছাড়াই ব্রিফকেস হাতে করে বিমানে উঠাতে দেখেছে।
৫। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মামুন খালেদ অত্যন্ত খোলামেলা ভাবেই নিজেকে, "র" agent হিসেবে জাহির করতেন। এমনকি কোন কোন অফিসারের পদোন্নতি না হলে "র" এর ক্লিয়ারেন্স হয় নাই বলে ভয় দেখাতেন। বিভিন্ন সময় তিনি তার সরকারি বাড়িতে অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত "র" প্রধান ও তাদের কর্মকর্তাদের দাওয়াত করে খাওয়াতেন। এতে তিনি কোন রাখঢাক করতেন না।
৬। ইলিয়াস আলীকে RAB কর্তৃক গু*ম করার সময় তিনি তার নিয়ন্ত্রণাধীন ন্যাশনাল মনিটরিং সেলের (NTMC তখন DGFI এর ৭ তলায় ছিল) পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রদান করেন এবং সেখান থেকে সকল সাক্ষ্য মুছে ফেলতে কাজ করেন।
৭। তার কোর্স মেট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ হিল আজমী কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য তিনি তাঁর নামে বানোয়াট তথ্যসম্বলিত লিফলেট লিখে সবখানে ছড়িয়ে দেন।
৮। সেনাবাহিনীতে দেশপ্রেমী ও ধর্মীয় অনুশাসন মান্যকারী অফিসারদেরকে সুপরিকল্পিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান কারিগর। এমনকি পরিবারের নারী সদস্যগণ মাথায় কাপড় দেয়ার কারণে তিনি ওই সব অফিসারদের নাম জংগী তালিকাভুক্ত করতেন।
৯। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সাথে হাত মিলিয়ে গু*ম, খু*ন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল, সরকারি এবং খাস জমি দখল, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁ*সানো থেকে শুরু করে হেন কোন অ*পকর্ম নাই যার সাথে মামুন খালেদ জড়িত নন।
১০। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তি প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন।
১১। কমান্ড্যান্ট এনডিসি হিসাবে জেনারেল মামুন খালেদ এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে জেনারেল তারেক সিদ্দিক এনডিসি'তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নতুন চিন্তাধারা এবং স্ট্র্যাটেজি "Regional Cooperative Security Arrangement" প্রবর্তন করেন, যার একটি স্ট্র্যাটেজি ছিল "কোআপারেটিভ সিকিউরিটি", যা পাঠ্যক্রমে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই স্ট্র্যাটেজির মূলধারা হল "ভারত বৃহৎ রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ শুধুমাত্র নিজস্ব আভ্যন্তরীণ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে, যার ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে দ্রুত এবং বহুমাত্রিক" এ ধরণের স্ট্র্যাটেজি বা চিন্তাধারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কতটা প্রা*ণঘা*তী তা সহজেই অনুমেয়।
অধিকন্তু, এই স্ট্যাটেজির মাধ্যমে জয়েন্ট ফোর্স অপারেশনের বিধান রাখা হয়, যার ফলে সহজেই ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের ভুখন্ডে অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত "জয়েন্ট অপারেশন" এর দোহাই দিয়ে।
জেনারেল মামুন খালেদের এসকল জাতীয় নিরাপত্তা বি*ধ্বং*সী কর্মকান্ড নি:সন্দেহে দেশদ্রো*হিতার ও রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘা*তকতার সামিল।
যার জন্য তাকে অবিলম্বে গ্রে*ফতার ও দ্রুত বিচার করে মৃ*ত্যুদন্ডে*র মতো সাজা দেওয়া উচিৎ বলে অনেকেই মনে করেন।
দৃষ্টান্তমূলক শা*স্তির ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও অনেক মামুন খালেদ এর উত্থান হবে এবং তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে নিজস্বার্থে নিলাম করে দেয়ার উদ্যোগ নিবে। CC
#ভারত