11/11/2025
এই লোক নাকি বিয়ে করেছেন এক মাস আগে। এটি তাঁর বেডরুম। থাকেন ১৮ হাজার টাকা ভাড়ার সুবিশাল একটি ফ্ল্যাটে। এই বিছানায় সুস্থ কোন মহিলা বিয়ের পর স্বামীর সাথে থাকতে পারে? আমার তো মনে হয় না।
যাইহোক, টাকার জন্য থাকলে থাকতেও পারে। আবার হতে পারে এই ফ্ল্যাটের বাইরেও ভিন্ন ফ্ল্যাটে রয়েছে তার সাজানো গোছানো সংসার। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যাপার যেটি নয়।
অর্থাৎ সমস্যা হচ্ছে - উনার ফ্ল্যাট একটি বিড়ালের শেল্টার।
প্রায় ৫০টি বিড়াল উনার এই শেল্টারে বাস করে।
উনি নাকি গত ১০-১২ বছর ধরে এই শেল্টার চালাচ্ছেন। অথচ উনি ছাড়া এই শেল্টারে আর কোন কর্মী নেই। যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে সহায়তা করবে।
উনি দাবী করেছেন নিজের টাকায় এত বছর চালাচ্ছেন। উনার নানান ব্যবসা ছিলো। সেসব ক্ষতির কারণে আর চালাতে পারছেন না।
তাই গত ১ বছর ধরে ফেসবুকে টাকা তুলেন। তাও বড়জোর ৩০% খরচ মানুষের সাহায্যে এবং ৭০% নিজের পকেটের টাকায় ব্যয় করেন।
আপনাদের বিশ্বাস হচ্ছে এই কথা? আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। গতকাল উনার নারায়নগঞ্জের শেল্টারে অভিযান চালিয়ে বিড়ালগুলোকে উদ্ধার করে 'এনিম্যাল রাইটস বিডি'।
যার বেডরুম এত নোংরা! বিড়ালের রুমগুলো কেমন হতে পারে?
চারিদিকে বিড়ালের পায়খানা আর পায়খানা। পরিষ্কার করে না। বিড়ালের লিটারগুলোতে ম্যাগোট পোকায় ভরে আছে। যেই ম্যাগোট মানুষ মরে পচে গেলে বের হয়। কিলবিল করছে।
ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখলেই গা গুলিয়ে আসছে। আর এই লোক কীনা নির্বিগ্নে এই রুমে থাকছেন, খাইছেন, ঘুমাচ্ছেন। ইয়াক!!
গত মাসে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে আপনাদের সাথে আমার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলাম। যেখানে ঐ ফ্ল্যাটে ঢুকতেই শ্বাসকষ্ট আর বমি হওয়ার উপক্রম হচ্ছিলো। ফ্ল্যাট ভর্তি বিড়াল। নোংরা, অপরিষ্কার। বিড়াল নিয়ে ভাই বোনের শেল্টার।
দূর্গন্ধের জন্য বাড়িওয়ালা তাদেরকে তাড়িয়ে দিচ্ছে।
ইয়েস! কুকুর বিড়ালের প্রতি মানুষের অনেক মায়া। এই কুকুর বিড়াল অসুস্থ বা কষ্টে আছে দেখলে প্রাণী প্রেমীদের মনেও কষ্ট দেখা দেয়। তাঁরা সশরীরে না পাড়ুক, এদেরকে রক্ষার জন্য। সাধ্য অনুযায়ী দান করে।
আর এই দানের টাকার প্রতি লোভ থেকেই গড়ে উঠেছে 'কুকুর বিড়াল রেস্কিউ/আশ্রয়ের' নামে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।'
জ্বী। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।
আর এসব কাজ করে বেড়াচ্ছে 'একদম ভদ্র শিক্ষিত কিংবা অকর্মা কিছু মানুষ। যাদের ব্যক্তি জীবনে কিছু করার কিংবা পরিচয় দেওয়ার মতো কিছুই নেই। ঘরে শুয়ে বসে কুকুর বিড়ালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে।
স্বেচ্ছায় বা আগ বাড়িয়ে কুকুর বিড়ালকে রেস্কিউ করে আনছে। কারণ যত বেশী অসুস্থ, অসহায় প্রাণী দেখানো যাবে। তত বেশী আয়। বলে না? মুখ দিয়েছেন যিনি, আহারও দিবেন তিনি। তেমনই আর কী।
আহার জোগানোর জন্য কোন না কোন ডোনার ম্যানেজ হয়েই যাবে।
করুক ব্যবসা! কিন্তু তারপরেও যদি অন্তত এদেরকে সুস্থ এবং ভালো পরিবেশে রাখতো। তাও মানা যেত। কিন্তু তাও করে না। সিংহভাগ টাকা নিজের পেটে ঢুকায়! আর সামান্য কিছু এদের জন্য খরচ করে যাতে অন্তত মরে না যায়। বেঁচে থাকে। কারণ মরে গেলে লস!
এই যে, এর আগে খিলগাঁওয়ের রবীনহুডের কথা তো শুনেছিলেন? ক্রাইম রিপোর্ট হয়েছিলো। পুলিশ কেস হয়েছিলো। তারপর থেকে কার্যক্রম বন্ধকরে দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। আহা! সে কী দাপট ছিলো। গাড়ীতে করে, ওয়ারলেস হাতে, ডজন ডজন ভলান্টিয়ার নিয়ে প্রাণী উদ্ধার অভিযানে যেত! অথচ এই মানবিক কর্মকান্ডের আড়ালে ছিলো কত নোংরামি, নারী ভলান্টিয়ার, প্রাণী এবিউজ, টাকা কামানোর ব্যবসা।
ঠিক এমন নামি বেনামি নানান শেল্টার হাউজ রয়েছে, রয়েছে নামকরা রেস্কিউ সেলিব্রেটি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর। যারা আপনাদেরকে ধোঁকা দিয়ে এই অবলা অসহায় প্রাণীদের চেহারা দেখিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছে।
এরজন্য বারবার বলি,
কাউকে এক পয়সা দান করার আগে তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করুন। সরাসরি, সশরীরে উপস্থিত হোন। যাচাই করুন। হিসেব নিন।
কমেন্টে ঐ শেল্টারের কিছু ছবি দিচ্ছি। আর সময় থাকলে সমকালের অভিযানের প্রতিবেদনটি দেখবেন।