23/07/2025
বাংলাদেশে কারো জীবনের কি কোনো গ্যারান্টি আছে?বিশেষ করে আমরা যারা ঢাকায় থাকি আমাদের পরিবার আমাদেরকে নিয়ে সবসময় সংকিত থাকে ।কেউ চায়না আমরা ঢাকায় থাকি । সত্যি কথা বলতে আমরা নিজেরাও চাইনা।গত পরশু রাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখে সারা রাত ঘুম আসেনি ,এসেছে শুধু দুচোখে অশ্রু।সারা রাত বাচ্চাটাকে দেখেছি আর কান্না করেছি আমাদের বাচ্চাটাওতো একদিন স্কুলে যাবে।এই বাবা মায়েরা কিভাবে এই কষ্ট সইবে।এটা কি সম্ভব সহ্য করা। দেশ জোরে প্রতিটা মানুষের ভিতরে আতঙ্ক। আমরা কেউ সেইফ নয়। মায়ের কাছে সব সন্তান সুরক্ষিত থাকে কিন্তু আমরা আমাদের দেশ মাতার কাছে সেইফ নই। আমরা আমাদের সন্তানদের সেফটি দিতে পারছি না। আমরা কতটা অমানবিক ৫ মিনিটের রিকশা ভাড়া নেই ১০০ টাকা ১০ মিনিটের সিএনজি ভাড়া এক হাজার টাকা। আমরা জানি কিভাবে এরকম পুড়ে যাওয়া ঝলসানো মানুষদের সাথেও ব্যবসা করতে হয়, আমরা জানি কিভাবে খাবারে বিষ মিশিয়ে ব্যবসা করতে হয় । আমরা জানি কিভাবে রাস্তাঘাটে নিয়ম না মেনে সবার আগে চলে যেতে হয় প্রয়োজন হলে কাউকে চাপা মেরে চলে যেতে হয়। ঢাকা শহরে রাস্তাঘাটে বের হলে জীবন হাতে নিয়ে বের হতে হয়। পরিবারের একজন বাইরে গেলে অন্য জনকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। এটাকে কি কি বেঁচে থাকা বলে ? কোন জায়গায় কোন সিস্টেম নেই শুধু খামখেয়ালী আর খামখেয়ালি। আজ এই জায়গায় আগুন কাল ঐ জায়গায় আগুন। কিছুদিন পরপর একটা একটা দুর্ঘটনা। আজ যাকে ভুগতে হয়নি কাল তাকে ভুগতে হবে। মোটকথা এদেশে জন্ম নিলে ভুগতে হবেই। আর কিছু ভাবতে পারছি না আর কিছু বলতে পারছিনা শুধু ওই বাবা মায়েদের কথায় মনে পড়ছে বারবার , শুধু ওই বাচ্চাদের কথাই মনে পড়ছে বারবার যারা এত এত এত কষ্ট পেল।।।