Anandamela

Anandamela শিশুশিক্ষা হোক আনন্দের সাথে।

‘আনন্দের সাথে শিখি’ স্লোগান ধারণ করে আমাদের যাত্রা শুরু। শিশুর কোমল মন বিনোদনের সাথে শিখতে আগ্রহী। ‘মাই ফাস্টর্ আর্লি—রা...
26/02/2025

‘আনন্দের সাথে শিখি’ স্লোগান ধারণ করে আমাদের যাত্রা শুরু। শিশুর কোমল মন বিনোদনের সাথে শিখতে আগ্রহী। ‘মাই ফাস্টর্ আর্লি—রাইটিং’ সিরিজের এই হ্যান্ডরাইটিং বা লিখতে শিখি বইগুলোতে আমরা শিশুদেরকে সহজভাবে অক্ষর লিখতে শেখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। নির্দেশিত প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে তারা সহজেই অক্ষর লেখা আয়ত্ব করতে পারবে।

শিশু যদি আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে রং করতে পারে তাহলেই আমাদের উদ্দেশ্য সার্থক।

নতুন বই ২০২৫।বইমেলার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে রকমারিতে অথবা আমাদের পেজ ইনবক্স ও হোয়াটসঅ্যাপে।https://www.rokomari.com/book/...
03/02/2025

নতুন বই ২০২৫।
বইমেলার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে রকমারিতে অথবা আমাদের পেজ ইনবক্স ও হোয়াটসঅ্যাপে।

https://www.rokomari.com/book/452789/boka-robot

03/02/2025

শুরু হয়েছে বইমেলা। নতুন বইয়ের প্রচারণা দিয়ে শুরু হলো নবপদচারণ।

🥀প্রশ্ন টা ছিল, "তাজমহল কে তৈরি করেন?" উত্তর লিখেছিল, "মার্বেল মিস্ত্রিরা।"পরীক্ষার খাতা দেখতে দেখতে চমকে উঠলেন মানিক বা...
23/03/2024

🥀প্রশ্ন টা ছিল, "তাজমহল কে তৈরি করেন?"
উত্তর লিখেছিল, "মার্বেল মিস্ত্রিরা।"

পরীক্ষার খাতা দেখতে দেখতে চমকে উঠলেন মানিক বাবু।ক্লাস ৮ এর ইতিহাস পরীক্ষার খাতা,এটা কি উত্তর !প্রথমে এক চোট হাসলেন,তারপর রাগ হল এত কষ্ট করে ইতিহাস পড়ানোর এই রেজাল্ট !লাল কালির পেনটা দিয়ে লাইনটা কেটে একটা বড় করে শূন্য বসিয়ে দিলেন মানিক বাবু। হোপলেস!কিস্যু হবে না।খাতা ঘুরিয়ে নামটা দেখলেন তারিফ আহমেদ।

ওদিকে আবার দেরি হয়ে যাচ্ছে স্কুলের,বাকি খাতা গুলো স্কুল থেকে এসে দেখতে হবে আর দেরি করলে ট্রেনটা মিস হয়ে যাবে।খাতার বান্ডিলটা বেঁধে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে তাকের উপর রেখে স্কুলে যাওয়ার জন্য উঠলেন মানিক বাবু।

মানিকবাবু উত্তর চব্বিশ পরগনার অজ পাড়া গ্রামের একটি স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক।
ছাত্রদের পড়ানোর ব্যাপারে কোনো ত্রুটির কথা বলে সবচেয়ে বড় শত্রুও মানিকবাবুর দিকে আঙুল তুলতে পারবে না।প্রায় পঁচানব্বই ভাগ ছাত্রই খুব গরীব পরিবারের।কারোর বাবা ভ্যান টানে,কেউ বা দিন মজুরের কাজ করে কেউ বা ইট ভাটার শ্রমিক,ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই স্কুল থেকে ফিরে কেউ বা স্কুল কামাই করে বিভিন্ন কাজ করে কিছু পয়সা রোজগারের জন্য।তারমধ্যেও মানিকবাবু স্বপ্ন দেখেন তার ছাত্রদের নিয়ে,নিজের পকেট থেকে পয়সা খরচ করে টুকটাক বইপত্র কিনে দেন,নিজের খরচেই আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন,স্কুলছুট ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে আবার স্কুলে ফেরত আনেন।তিনি তো স্কুলের কেবল ইতিহাস শিক্ষক নন, একই সাথে প্রধান শিক্ষক।

টিফিনের পর ৮ এর ক্লাস ছিল মানিক বাবুর।ক্লাসে ঢোকার সময়ই মনে পরে গেলো সকালের খাতা দেখার কথা,হ্যাঁ ছেলেটির নাম মনে আছে তারিফ আহমেদ,মনে থাকবে না!ছিঃ ছিঃ কি উত্তর,এতদিন ইতিহাস পড়ানোর ফল তার?ছেলেটি কে চেনেন মানিকবাবু।কালো করে,মাথায় ঝাঁকড়া চুল,কান দুটো একটু খাড়া খাড়া।

ক্লাসে ঢুকে চক,ডাস্টার রেখে চেয়ারে বসেই বললেন,"তারিফ কোথায়?এসেছে আজ?" বাকি ছাত্ররা সমস্বরে উত্তর দিল, "না স্যার।" মানিকবাবু মনে মনেই বললেন,"এদের দিয়ে কিস্যু হবে না,আমারই পণ্ডশ্রম।"

তারপর ৫ দিন কেটে গেলো,তারিফ স্কুলে আসছে না।টিচার্স রুমে এসে মানিকবাবু জিজ্ঞেস করলেন,"আপনারা কেউ ক্লাস ৮ এর তারিফ আহমেদের ব্যাপারে জানেন?১০ দিন হয়ে গেলো আসছে না।" অঙ্কের দিলীপবাবু মোবাইল খুটখুট করতে করতে বললেন,"দ্যাখেন স্কুল-টুল ছেড়ে কোথাও কাজে ঢুকল হয়ত,ওই বাসস্ট্যান্ডের ওখানে মফিজুলের চায়ের দোকান,ও যেন কি একটা হয় তারিফের,গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসুন।"

ছুটির পর স্কুল থেকে বেড়িয়ে সটান মফিজুলের চায়ের দোকানে হাজির হলেন মানিকবাবু।

আরে আসেন আসেন মাস্টারমশাই,বুসেন...
-না গো আমি চা খেতে আসিনি,পরে একদিন আসব,বলছি তুমি তারিফ কে চেন?আমাদের স্কুলে পড়ে,দিন দশেক হল আসছে না।কি হয়েছে কিছু...
আরে আর বুলেন না মাস্টারমশাই,ওর বাপ পাথর খাদানে কাজ করত,ফিরেছে কি সব রোগ নিয়ে সিলিকুসিস না কি যেন একটা,আর বেশিদিন বাঁচবে না মুনে হয়...

কথাটা শুনে যেন ধাক্কা লাগল মানিকবাবুর,অতোটুকু একটা ছেলে।এবার পড়বে কি করে ও?আসার পথে ট্রেন বেশ ফাঁকা ছিল,মানিকবাবুর মন খুছখুছ করছে,কি এমন রোগ যে বাঁচবে না তারিফের বাবা?স্মার্টফোন টা খুলে মানিক বাবু সার্চ করলেন, সিলিকুসিস,সার্চ রেজাল্ট এল সিলিকোসিস।অসংখ্য আর্টিকেল,একের পর এক পড়তে লাগলেন মানিকবাবু।বাড়ি ফিরেও পড়ে চললেন।অনেক ওয়েবসাইট,ব্লগ পড়ার পর স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন।সিলিকোসিস কে বলা যেতে পারে শ্রমঘটিত রোগ,যারা পাথর খাদানে পাথর ভাঙার কাজ করেন তাঁদের ফুসফুসে দীর্ঘদিন ধরে সিলিকা জমতে জমতে এই রোগ হয়।শুধুমাত্র ভারতবর্ষে এই রোগে ৫০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত!কোনো রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই অল্প মজুরীতে বেশি লাভ করার জন্য খাদানের মালিকরা নিশ্চিন্ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় পড়াশোনা না জানা সরল গ্রামের মানুষদের।

মানিকবাবু তাকিয়ে রইলেন বাড়ির দেওয়ালের দিকে,এই ইমারত,রাস্তা,ব্রিজ তৈরি হচ্ছে,তৈরি হয়ে এসেছে শ্রমিক দের রক্ত ঘাম আর প্রাণের বিনিময়ে,এক মাস আগে ক্লাস ৫ এর প্রশান্তর বাবা মুম্বাইয়ে বহুতলে কাজ করতে গিয়ে পরে মারা যায়,অথচ এ যেন সাধারণ মৃত্যু,কেউ সাজা পাবে না।কেউ এদের কথা বলবে না,লিখবে না।চোখের সামনে যেন দেখতে পেলেন একদল মানুষ কে,হাড় সর্বস্ব,ধুঁকছে,ক্রমাগত কেশে চলেছে তবুও একটা বিরাট পাথর বয়ে নিয়ে চলছে।কারোর পক্ষাঘাত,কেউ দৃষ্টি হারিয়েছে,কারোর হাত নেই পা নেই,তাঁদের পিষে দিয়ে ছুটে চলেছে অত্যাধুনিক গাড়ি,মাথা তুলছে শপিং মল...

মানিক বাবু উঠে দাঁড়ালেন।তাক থেকে লাল পেনটা নিলেন,নিচ থেকে পরীক্ষার খাতার বান্ডিলটা বের করলেন,হ্যাঁ এই তো রোল নং ২৩,তারিফ আহমেদ,১ এর 'ছ' নম্বর কোশ্চেনের উত্তর,৫ দিন আগে তারিফের এই উত্তরটাই প্রচণ্ড রাগ করে কেটে দিয়েছিলেন মানিকবাবু,আসলে তিনি ইতিহাস ভুল শিখেছেন,বরং বলা ভালো ভুল শেখানো হয়েছে।দেশের কোটি কোটি ছাত্রকে যেভাবে ভুল শেখানো হয়।মানিক বাবু নিজের দেওয়া ক্রস চিহ্নটা কে ভালো করে কাটলেন,তারপর বড় করে একটা রাইট দিলেন,পাশে ফুল মার্কস ১

প্রশ্ন টা ছিল, "তাজমহল কে তৈরি করেন?"
তারিফ উত্তর লিখেছিল, "মার্বেল মিস্ত্রিরা।"

কিছু মানুষ হয়ত কিছু তৈরি করে টাকা লাগিয়ে শ্রমকে ক্রয় করে, তারপর শ্রমিক কে ভুলে যায়।
কিন্তু কিছু মানুষ তাদের সমস্ত শ্রম দিয়ে একদিন মৃত্যু শয্যায় পড়ে যায়, তবুও তার কোন প্রশংসা হয় না,এটাই সমাজের নীতি, এবং আমাদের নীতি...........

সংগৃহীত

#তাজমহল








আপনার শিশুর জন্য আমাদের কালারিং বুকগুলো পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় ১৪৬ নং স্টল Anandamela এবং ৫২৪-৫২৫ নং পরিবার পাবলিকেশন্স এ।
03/02/2024

আপনার শিশুর জন্য আমাদের কালারিং বুকগুলো পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় ১৪৬ নং স্টল Anandamela এবং ৫২৪-৫২৫ নং পরিবার পাবলিকেশন্স এ।

বইমেলা ২০২৪ এ আসছে মিনা শারমিন’র কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘ঘণ্টিমামার আজব ঘণ্টা’...
19/01/2024

বইমেলা ২০২৪ এ আসছে মিনা শারমিন’র কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘ঘণ্টিমামার আজব ঘণ্টা’...

19/01/2024

বইমেলা ২০২৪ দিয়ে শুরু হচ্ছে আনন্দমেলা’র নবযাত্রা। নতুন নতুন বইয়ের আপডেট পাবেন প্রতিদিন।

করোনাকালের অস্থির সময়ে আমাদের শিশুদের আনন্দমূখর রাখার প্রত্যয়ে গড়ে উঠেছিল এক ছোট্ট প্রয়াশ ‘আনন্দমেলা’। করোনাকাল এখন অতীত...
22/09/2023

করোনাকালের অস্থির সময়ে আমাদের শিশুদের আনন্দমূখর রাখার প্রত্যয়ে গড়ে উঠেছিল এক ছোট্ট প্রয়াশ ‘আনন্দমেলা’। করোনাকাল এখন অতীতের গল্প। মাঝের দীর্ঘ বিরতিতে আমরা ‘আনন্দমেলা’কে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করেছি, নিজেদের একটু গুছিয়েও নিয়েছি। ‘আনন্দমেলা’ এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এবং সারাবছরই শিশু-কিশোরদের সাথে থাকার দীপ্ত প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাবার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

আগামী মাস থেকেই শুরু হচ্ছে আমাদের নতুন কার্যক্রম। বছরজুড়ে ৬টি ইভেন্ট পরিকল্পনা করেছি আমরা। ক্রমান্বয়ে আপনাদেরকে বলব সেইসব স্বপ্নময় বৃত্তান্ত। আপনাদের পরামর্শ আমাদের কাছে আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য হবে।

আপনার শিশুর সৃজনশীল চর্চার মাধ্যম হোক ‘আনন্দমেলা’। আনন্দের সাথে বেড়ে উঠুক আমাদের আগামী প্রজন্ম।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত করুন আপনার প্রিয়জনদের, সাথে পেজ লাইক দিয়ে রাখুন যাতে প্রতিটি কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারে আপনার শিশু।

ফেসবুক গ্রুপ লিংক : https://www.facebook.com/groups/anandamelabd

‘আনন্দের সাথে শিখি’ স্লোগান ধারণ করে আমাদের যাত্রা শুরু। শিশুর কোমল মন বিনোদনের সাথে শিখতে আগ্রহী। ‘মাই ফাস্টর্ কালারিং’...
01/09/2022

‘আনন্দের সাথে শিখি’ স্লোগান ধারণ করে আমাদের যাত্রা শুরু। শিশুর কোমল মন বিনোদনের সাথে শিখতে আগ্রহী। ‘মাই ফাস্টর্ কালারিং’ সিরিজের বইগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ভিক্তিক চিত্র আলাদা আলাদা বইয়ে সহজতর থেকে অপেক্ষাকৃত কঠিন ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে। প্রথমদিকে সহজ ছবিগুলো শিশুকে রং করার সাহস ও আগ্রহ যোগাবে, ফলে ক্রমান্বয়ে কঠিন ছবিগুলো ওর কাছে সহজ মনে হবে। একই বইয়ের সাহায্যে একটি বিষয়ের নানাবিধ ছবি রং করার সুযোগ পাবে।

শিশুর পছন্দ অনুযায়ী রং করার জন্য বিভিন্ন রঙের পেন্সিল, প্যাস্টেল অথবা ক্রেয়নসের প্রয়োজন হবে। শিশুর সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিশুকে নিজের মতো করে রং করার স্বাধীনতা দিলে ভালো লাগবে। রং করতে যেয়ে ভুল করলেও রাগারাগি করা যাবে না। বরং শিশুদের কাজের প্রশংসা করলে ওরা আরো বেশি উৎসাহিত হবে, তাই ছবি রং করার পরে প্রশংসা করলে রং করার প্রতি শিশুর আগ্রহ বাড়বে।

শিশু যদি আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে রং করতে পারে তাহলেই আমাদের উদ্দেশ্য সার্থক।

03/08/2022
আমাদের ছোট্ট মুশফিকুর রহিম তালহা। ছোট্ট বলাটা অবশ্য ঠিক হচ্ছে না, কারণ সে ইতোমধ্যেই অসাধ্য সাধন করে নিজের প্রতিভার জানান...
03/08/2022

আমাদের ছোট্ট মুশফিকুর রহিম তালহা। ছোট্ট বলাটা অবশ্য ঠিক হচ্ছে না, কারণ সে ইতোমধ্যেই অসাধ্য সাধন করে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছে। তার বয়সে গল্প বলার মতো দুঃসাহস আমাদের কোনোদিনই ছিল না, তালহা সেটাই করেছে। কথাসাহিত্যিক বাবা তৌফিক মিথুনের সন্তান তালহা যেন রক্তের জয়গান গেয়েছে।

বাবার কাছে বলা গল্পটা বই আকারে প্রকাশটা বিশেষ সারপ্রাইজ ছিল ওর জন্মদিনে। এমনকি ওর বাবা-মাও জানত না এই বই প্রকাশের খবর। আরো বেশি আনন্দের বিষয় এটাই যে, বইমেলা চলাকালীন দ্বিতীয় মুদ্রণে যেতে হয়েছে।

পাঠকের ভালোবাসা সে তো বইমেলা চলাকালীনই পেয়েছে। আজ তার স্কুল থেকে তাকে লেখক হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
প্রিয় তালহা, তোমাকে অভিবাদন ও শুভেচ্ছা। তুমি আমাদের গর্বিত করেছ।

বইটি ঘরে বসে পেতে: https://www.boikini.com/Vooter_Sathe_Juddho

Address

18/1 Nayapaltan
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Anandamela posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Anandamela:

Share

Category