29/05/2025
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“এমন কোনো দিন নেই, যে দিনসমূহের সৎকাজ আল্লাহ তাআলার নিকট যিলহজ মাসের এই দশ দিনের সৎকাজ অপেক্ষা বেশি প্রিয়।” [তিরমিযি, ৭৫৭]
আর মাত্র দুই দিন বাকি। আসুন এই দশ দিনের সুমহান মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিই–
১. স্বয়ং আল্লাহ এই দিনগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
[সূরা হজ, ২২: ২৮]
২. কুরআনে এই দিনগুলোর ব্যাপারে আল্লাহ শপথ করেছেন।
[সূরা ফাজর, ৮৯: ১-২]
৩. এই দশ দিন বছরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।
[বুখারি, হাদীস নং ৯৬৯]
৪. এই দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ থেকেও উত্তম।
[জামে আত-তিরমিযি, ৭৫৭]
৫. এই দিনগুলোর মধ্যেই আছে ঈদ তথা কুরবানির দিন, যা আল্লাহর নিকট সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭৬৫]
৬. এই দিনগুলোতেই অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হজ্জ পালন করা হয়।
[লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃ. ২৬৯]
৭. এই দিনগুলোর মধ্যে আরাফার ফজিলতপূর্ণ দিনটি রয়েছে, যে দিনটি অনন্য ও অসাধারণ। [সূরা মায়িদা, ৫: ৩; মুসলিম, ১৩৪৮]
৮. এই দশ দিনে ফরজ আমলের ফজিলত অন্যান্য দিনে ফরজ আদায়ের তুলনায় বহুগুণে বেশি। আবার এই দিনগুলোতে নফল আমলের ফজিলত অন্যান্য দিনে নফল আদায়ের তুলনায় অনেক অনেক গুণ বেশি। তবে এই দিনগুলোতে নফল আমলের ফজিলত অন্যান্য দিনের ফরজের চেয়ে বেশি নয়।
[ইবনু রজব, ফাতহুল বারী, ৯/১৫]
৯. রমজানের শেষ দশ দিনের চেয়েও উত্তম।
[মাজমুউল ফাতাওয়া, ২৫/২৮৭; যাদুল মাআদ, ১/৫৭]
১০. সালফে-সালেহীন এই দিনগুলোতে অধিক ইবাদত করতেন।
বই- যিলহজের প্রথম দশক (ফজিলত ও বিধি-বিধান)
মূল- শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ, শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল