24/07/2024
এতো গুলিবর্ষণ হয়েছে যে, ঢাকায় প্রত্যেকটি মহল্লায় গুলিবিদ্ধ মানুষ আছে। আমি একটি আবাসিক এলাকায় থাকি। এখানে বাড়িতে বাড়িতে গুলির চিহ্ন। রাস্তায় গুলির খোসা। রাবার বুলেট ও ছররা বুলেট পড়ে আছে।
মানুষ হাসিনার প্রতি এতোই ক্ষিপ্ত ছিল যে, সকাল ১০ থেকে রাতের ১১ টা পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ক্ষণে ক্ষণে গুলিতে মানুষ আহত হচ্ছে। শহীদ হচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা...
তবুও কারো কোনো বিকার নেই। রাস্তায় থেকে যাচ্ছে। গুলির তীব্রতায় পালিয়ে দেয়ালের আড়ালে যাচ্ছে। আবার ফিরে আসছে রাস্তায়।
যারা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে নি, তারাও তাদের বাড়ির গেইট খুলে রেখেছিল জালিমের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশ নেওয়া লোকদের হেল্প করার জন্য।
আমার চোখের সামনে শুধু যুবকরা আহত-নিহত হয় নি, বৃদ্ধরাও তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নারী ও মধ্যবয়স্ক নারীরাও বিজিবির নিক্ষেপকৃত বুলেট হজম করেছেন। তারপরও নারীদের পানি ও টুথপেস্ট বিতরণ বন্ধ হয়নি।
একটা গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী হলাম। সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখেছি। জনগণ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
আমি আশা করি এই আন্দোলন আমাদের সাহস যুগিয়েছে। ঢাকায় আন্দোলন করা যায় না, এই মিথ ভেঙ্গে দিয়েছে।
আমরা আছি, আমরা ছাই থেকে আবার জ্বলে উঠবো। ইনশাআল্লাহ।
-আহমেদ আফগানী