05/08/2025
হযরত আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহার উপর যখন অপবাদ দেয়া হয় এবং মদিনার মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ বিন উবাই সহ অনেকেই তা প্রচারে উঠে লেগে পড়ে, তখন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় এক মাস আয়িশার সাথে কথা বলেন নি, কাছে যান নি।
অতঃপর আয়িশাকে একদিন বলেন, ভুল করে থাকলে স্বীকার করে আল্লাহর কাছে তাওবা করতে তাহলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন৷
জবাবে মা আয়িশা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত আর ভেঙ্গে পড়া পরিস্থিতির ভেতরেও যে উত্তর দেন তা বিষ্ময়কর এবং অত্যন্ত বিচক্ষণ ও জ্ঞানী ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণ করে, যিনি মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবরীতি ঠাহর করতে পারেন।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন:
❝ আল্লাহর শপথ! আমি জানি, যদি আমি বলি যে আমি অপরাধ করিনি, তবে আপনারা আমাকে বিশ্বাস করবেন না। আর যদি আমি স্বীকার করে নিই যে আমি যা করিনি, তা করেছি, তবে আপনারা তা( ঠিকই) মেনে নেবেন। কাজেই আমি আপনাদের কাছে কিছুই বলতে পারছি না। তবে আমি কেবল ইয়াকুব (আঃ)-এর কথাটি বলছি:
فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ
(সবরই উত্তম, আর তোমরা যা বলছ, আল্লাহই সেই ব্যাপারে সাহায্যকারী)।"
(সূরা ইউসুফ: ১৮)
এরপর আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা চুপ হয়ে যান এবং আল্লাহ তাআলা সরাসরি ওহির মাধ্যমে তার নিষ্পাপ হওয়ার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা আসে সূরা আন-নূরের আয়াত (১১-২০)-এর মাধ্যমে, যেখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে দেন যে, আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা নির্দোষ এবং এ অপবাদ মুক্ত।
যখন কারো প্রশংসা করা হয় তখন খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করে। কিন্তু যখন কিনা কারো বদনাম করা হয় তখন প্রায় সবাই তা বিশ্বাস করে।
কোনোটাই ঠিক নয়।
প্রশংসা হোক বদনাম হোক, মুমিন শরীয়তের নীতিমালার আলোকে যাচাই ব্যতিরেক কারো সম্পর্কে কোনো ধারণা করবে না।
এটা এই যুগের প্রধানতম এক ফিতনা যা থেকে তাহাজ্জুদগুজার বান্দাও মুক্ত নয়!
আল্লাহ হিফাজত করুন।