12/06/2025
১৯২১ সালে ডেনমার্কের ছোট্ট গ্রাম এগ্টভেদে প্রত্নতত্ত্ববিদরা খুঁজে পেলেন এক কিশোরীর সমাধি, যে আজ পরিচিত ‘এগ্টভেদ গার্ল’ নামে। ব্রোঞ্জ যুগের এই মেয়ে পৃথিবীতে এসেছিল আনুমানিক ৩৪০০ বছর আগে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ থেকে ১৮ বছর।
তাকে পাওয়া গিয়েছিল একটি কূপাকৃতির সমাধির ভেতরে, ওক গাছের গুঁড়ি কেটে তৈরি একটি কফিনে, যা মোড়ানো ছিল বলের চামড়ায়। ডেনমার্কের ওই অঞ্চলের অম্লীয় মাটির গঠন এমন ছিল যে, সময়ের সাথে সাথে পচন থেমে গিয়েছিল, এবং অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছে তার জামাকাপড়, এমনকি কিছু নরম টিস্যুও।
এগ্টভেদ গার্লের উচ্চতা ছিল প্রায় ১.৬ মিটার। তার চুল ছিল ছোট, সোনালি রঙের আর নখ ছিল পরিচ্ছন্ন, ছাঁটা—যা ইঙ্গিত দেয়, নিজের পরিচর্যায় সে বেশ সচেতন ছিল। কিন্তু যা তাকে সবচেয়ে আলাদা করে তোলে, তা হলো তার পোশাক, যা যুগের তুলনায় বেশ ভিন্নই বলতে হবে। সে পরেছিল একটি ঢিলেঢালা, ছোট হাতার উলের ব্লাউজ, যা তার পেটের অংশ অনাবৃত রেখেছিল, এবং একটি ছোট স্কার্ট, যা মোটা উলের তার দিয়ে পাকানো ছিল। কোমরে বাঁধা ছিল ব্রোঞ্জের চাকতিসহ একটি উলের বেল্ট—সম্ভবত প্রতীকী, কিংবা অলঙ্কার। বাহুতে ছিল ব্রোঞ্জের চুড়ি।
তার পায়ের পাশে পাওয়া যায় এক শিশুর দেহাবশেষ—বয়স আনুমানিক ৫ থেকে ৬ বছর। এই শিশুর পরিচয় আজও রহস্য; কে ছিল সে? তার আত্মীয়া, সেবিকা, না কি অন্য কোনো ধর্মীয় অনুষঙ্গ?
মাথার পাশে রাখা ছিল বার্চ গাছের বাকলের তৈরি একটি ছোট বাক্স, যার ভেতরে ছিল তার দৈনন্দিন ব্যবহৃত ব্রোঞ্জের পিন, সূঁচ, ও একধরনের ছিদ্র করার সরঞ্জাম। এসব হয়তো তার কাজে লাগত জামাকাপড় তৈরিতে।
কৃতজ্ঞতা : দুনিয়ার জানা-অজানা