STORY PEDIA

STORY PEDIA Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from STORY PEDIA, Publisher, Dhaka.

গল্প:         ⚔༺L̶I̶F̶E̶ ̶I̶S̶ ̶S̶T̶R̶A̶N̶G̶E̶ ̶༻⚔লেখক:  STORY PEDIAপার্ট: ১মছেলেটির নাম মো: ইয়াসিন হোসাইন রিজু। বয়স  ১৯...
16/06/2020

গল্প: ⚔༺L̶I̶F̶E̶ ̶I̶S̶ ̶S̶T̶R̶A̶N̶G̶E̶ ̶༻⚔

লেখক: STORY PEDIA

পার্ট: ১ম

ছেলেটির নাম মো: ইয়াসিন হোসাইন রিজু। বয়স ১৯ চলছে। ছেলেটি ছোট থেকেই বেশ মেধাবী কিন্তু তার পারিবারিক অসচ্ছলতার কারনে ১০ বছর বয়স থেকেই পরিবারের হাল ধরতে হয় তাকে। কারন তার বাবার স্ট্রোকের পর থেকে সেভাবে কাজ করতে পারে না আর বাসায় উপার্জনের ব্যাক্তি তার বাবায় এবং তার একটি ছোট বোনও রয়েছে তার বাবার একার উপার্জনে হয়ে উঠছিলো না। সে পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করতে শুরু করে তবে বেশিদিন সেভাবে যায়নি। কয়েক মাস পরেই সে পড়াশোনা ছেড়ে পুরোপুরি কাজে মন দেয়। সে কাজের ফাকে তার মালিকের কাছে মাঝে মাঝেই তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ জানাতো এবং সে যেই কাজটাই করতো বেশ মেধার সাথেই করতো। সে যেখানে কাজ করতো সেখানকার মালিক তার কাজের মেধা এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে পরামর্শ দেয় যেনো সে নাইট স্কুলে ভর্তি হয় কেননা তার দিনে পড়াশোনা করা অসম্ভব। সে একটি এনজিও চালিত স্কুলে ভর্তি হয় এবং সাড়াদিন কাজ করে রাত ১০ পর্যন্ত নাইট ক্লাস করতো। আর এখন তার S.S.C এর রেজাল্ট দিয়েছে সে গোল্ডেন A+ এ উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো এখনই কেননা সে কলেজে ভর্তি হলে কাজ করতে পারবে না। তার সাথে আরেকটি সমস্যা হলো কলেজে পড়াশোনা করার মতো সামর্থ্য তার ছিলো না। সে এনজিওর এক ভাইয়ার সাথে বিষয়টা আলোচনা করে। সে ভাইয়া তাকে বলে সে এই বিষয়ে কিছু করতে পারবে না কারণ তাদের এনজিও শুধু মাত্র স্কুল পর্যন্তই। তবে সে তাদের উপরের ভাইয়াদের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবে বলে। রিজু এক প্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছে হয়তো তার আর পড়াশোনা হবে না। কয়েক সপ্তাহ পরে এনজিওর সেই ভাইয়া তাকে ডেকে পাঠায়। রিজু সেখানে যায় এবং যেয়ে দেখে এনজিওর প্রধানদের মধ্যে একজন শাওন ভাইয়া বসে আছে। শাওন ভাইয়া একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং তার নিজেস্ব একটি কোম্পানি আছে সে সেখানে বিভিন্ন বিজনেস বিষয়ক সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। শাওন ভাইয়া তাকে ডাকে,

শাওন ভাইয়া: কেমন আছো রিজু?

রিজু: আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া। আপনি কেমন আছে?

শাওন ভাইয়া: আলহামদুলিল্লাহ। তোমার সমস্যা গুলোর বিষয়ে পুরোপুরি শুনলাম। তা তুমি ইংরেজি কেমন পারো?

রিজু: আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া যথেষ্ট পারি।

শাওন ভাইয়া : তুমি কি কখনও কম্পিউটারে লেখালেখি করেছ?

রিজু: জ্বি ভাইয়া। আমাদের স্কুলের যখন কোনো প্রোগ্রাম থাকতো তখন সাধারণত পোস্টারে বিভিন্ন লেখালেখি প্রিন্ট গুলো আমিই করে থাকতাম।

শাওন ভাইয়া: আচ্ছা খুবই ভালো। শোনো তাহলে আগামীকাল থেকে তুমি যেখানে করো সেখানে আর যাওয়ার দরকার নেই। তুমি আমার অফিসে চলে আসো আমি দেখছি কি করা যায়। কি পারবে তো?

রিজু: নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ ভাইয়া!

শাওন ভাইয়া: এই নাও আমার কার্ড এই ঠিকানায় চলে এসো কাল বেলা ১১ টার দিকে।

রিজু: ইনশাআল্লাহ ভাইয়া।

পরের দিন সকাল ১১ টায় রিজু হাজির হয় শাওন ভাইয়ার অফিসে। ভেতরে ঢুকে দেখে একটা পুরো ফ্লোর নিয়ে তার অফিস ১০-১২ জন কর্মচারী প্রত্যেকে কম্পিউটারে কাজে ব্যাস্ত। সে আস্তে করে পিওন এর কাছে গিয়ে বলে শাওন ভাইয়া আমাকে আসতে বলেছিলো আমার নাম রিজু। পিওন তাকে বসতে বলে শাওন ভাইয়ার কেবিনে চলে যায়। একটু পর বেড়িয়ে এসে ভেতরে যেতে বলে। ভেতরে গিয়ে দেখে শাওন ভাইয়া শাওন ভাইয়া ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে দেখে মনে হচ্ছে প্রচন্ড ব্যাস্ত। শাওন ভাইয়া তাকে বসতে বলে। প্রায় ২০ মিনিট চুপ করে বসে থাকে শুধু কিবোর্ডের টিপ টিপ আওয়াজ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে এতো নিরব কেবিন। কিছুক্ষণ পর শাওন ভাইয়া নীরাবতা কাটিয়ে উঠে বলে,

শাওন ভাইয়া: তোমাকে এখানে যে জন্য ডেকেছি। তুমি আমার এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করবে।

রিজু: ভাইয়া আমি কিভাবে? আমিতো মাত্র S.S.C দিলাম। আমি কিভাবে করবো? 😥

শাওন ভাইয়া : ভয় পাবার কিছুই নেই। বাইরে অতো জন কেন বসেছে আছে বুঝছো না? তোমার তেমন কোনোই কাজ নেই। তুমি আমার মেইল কন্ট্রোল করবে। কে কি মেইল দিলো টাইম মতো চেক করবে তাদের সঠিক ভাবে মেইলের রিপ্লাই দেবে। আমার কোথায় কখন কি কাজ তা নোট করবে কখন কার সাথে মিটিং সেই তালিকা তৈরি করবে এবং আমার ছোট খাটো কাজে হেল্প করবে ব্যাস এইটুকুই তেমন কিছু না। আর তোমার পারিশ্রমিক নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না। তোমার পরিবারের দায়িত্ব আমার! মাসের শেষে সময় মতো সব পৌছে যাবে আর প্রতি মাসে তোমার কাজের উপর ভিত্তি করে কিছু পকেট মানি দেওয়া হবে। তুমি আমার কাজের লোক না তুমি আমার ছোট ভাই হিসেবে থাকবে এখানে। মনে থাকবে তো?

রিজু ভাষা হারিয়ে কান্না করে ফেলেছে। শাওন ভাইয়া এগিয়ে এসে তার ঘাড়ে হাত রেখে বলে,

শাওন ভাইয়া: এই পাগল ছেলে এইভাবে কান্না করলে চলে এগুলো তো কিছুই না দেখবে তুমি যদি তোমার মেধা সঠিক ভাবে ব্যাবহার করো তবে ইনশাআল্লাহ বড় কিছু করতে পারবে। আর তোমার পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কিছু দিনের ভেতরেই সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। 😊

রিজু: ভাইয়া আপনার এই ঋণ আমার শরীরের সমস্ত রক্ত দিয়েও পরিশোধ করতে পারবো না। (কান্না জড়িত কণ্ঠে)

শাওন ভাইয়া: এই এইসব আর যেনো কখনও মুখে আনবে না। নইলে আমি কিন্তু রেগে যাবো।

পরের দিন সকাল ৮ টা থেকে রিজু শাওন ভাইয়ার অফিসে চলে আসে এবং সবার কাছে থেকে শেখা শুরু করে কার মেইলের কি ধরনের রিপ্লাই দিতে হবে। বাকী যত কাজ আছে সব শিখতে শুরু করে। প্রায় ২ সপ্তাহের ভেতর সে সব কাজ পুরোপুরি শিখে ফেলে। এবং সে শহরের ভালো একটা কলেজে চান্স পেয়ে যায়। যেহেতু সে এখন কলেজে পড়া শুরু করেছে সেহেতু তাকে এখন পড়াশোনাতেও মন দেওয়া লাগবে এইজন্য শাওন ভাইয়া তাকে দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টার ভেতরে সমস্ত কাজ শেষ করতে বলে। এইভাবে সে কলেজেও যেতে পারে আবার অফিসের কাজও করতে পারে।

এইভাবে সময় গড়িয়ে চলল.......

প্রায় দুই বছর পর এখন তার HSC পরিক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্টের অপেক্ষা। সময়টা ঈদের ভেতরে হঠাৎ শাওন ভাইয়া রিজুকে ডেকে পাঠায় জরুরি কাজের জন্য। রিজু অফিসে যেয়ে দেখে ভাইয়া খুবই চিন্তিত। রিজু শাওন ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করে,

রিজু: ভাইয়া কোন সমস্যা হয়েছে কি?

শাওন ভাইয়া: হ্যা রে রিজু অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে গেছে L ক্যাটাগরির প্রজেক্টটা কালকের ভেতরেই দেওয়া লাগবে।

রিজু: কেনো ভাইয়া এইটার ডেলিভারি তো এখনও প্রায় ১৫ দিন পরে।

শাওন ভাইয়া: হ্যা ছিলো কিন্তু ক্লাইন্ট এখন জোর করছে তাদের ইমার্জেন্সি লাগবে কালকেএ ভেতরেই দিতে হবে আর আমার পরিচিত ক্লাইন্ট তাই অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না কালকের ভেতরেই ডেলিভারি দিতে হবে।

রিজু: আচ্ছা ভাইয়া শান্ত হোন। এই প্রজেক্টের কাজ বেশি বাকি নেই। আজ রাতের ভেতরেই শেষ করা যাবে সমস্যা নেই।

শাওন ভাইয়া: তুই কি পাগল হয়েছিস আমি একা কিভাবে শেষ করবো এতো কাজ!

রিজু: আপনাকে একা কে করতে বলছে আমি আছি তো এই প্রজেক্টের পুরোটা আমার জানা আছে আপনি ভরসা রাখতে পারেন আমার উপর তারিখ ভাইয়ার থেকে দেখে দেখে শিখেছি কিভাবে করতে হয়।

শাওন ভাইয়া যেনো আকাশ থেকে পরলো ছেলে বলে কি সে নাকি দেখে দেখে শিখেছে তাও আবার সফটওয়্যার বানানো! হাসবে না কাদবে বুঝে উঠতে পারছে না।

শাওন ভাইয়া: এই তুই কি কিছু খাওয়া শুরু করেছিস নাকি কি আবল তাবল বলিস দেখে তো তোর চোখ দেখি।

রিজু: ভাইয়া কি বলেন এইসব! আমি আস্থা রাখতে পারেন আমি পারবো।

শাওন ভাইয়া: আচ্ছা তাহলে তুই 15 কোডের ফাইলটা আগে কমপ্লিট করে নিয়ে আয়।

রিজু: এইটা কোনো ব্যাপার হলো আমাকে ৫ মিনিট সময় দেন আনছি।

শাওন ভাইয়া তার পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখে সে প্রতিধাপ নিপুনভাবে করছে। ভূল হবার কোনো চান্স নেই! ঠিক ৫ মিনিটের ভেতরে ফাইল কমপ্লিট! শাওন ভাইয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে রিজুর দিকে। যেহেতু অফিসে কেউ নেই তাই আর কোনো পথ না পেয়ে রিজু কেই কাজটা করতে দেয়। সাড়ারাত ধরে রিজু আর শাওন ভাইয়া কাজ করে। সকাল ৯ টা নাগাদ কাজ শেষ। শাওন ভাইয়া শেষ বারের মতো প্রতিটা কোডের ফাইল মিলিয়ে চমকে উঠে। কি করে সমভব শুধু মাত্র দেখে দেখে কিভাবে একটা মানুষ এতো কিছু শিখতে পারে তাও আবার এতো কম সময়ে..............

চলবে.........

[ভূল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। পুরো গল্পটি পরার জন্য ধন্যবাদ।❤ নতুন গল্প প্রথমের দিকে যদি ভালো না লাগে তবে পরের পার্ট গুলোও পরে দেখুন ইনশাআল্লাহ ভালো লাগবে। একটি মেধা, পরিশ্রম, জীবনে আশা আচমকা উথাল-পাতালের ঘটনা নিয়ে লেখা গল্প।]

04/06/2020

এই পেজের জন্য এডিটর নেওয়া হবে
আগ্রহীরা ইনবক্স বা কমেন্ট করুন😀

13/05/2020

আজকে বাসার পাশে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পেছন থেকে এক বৃদ্ধা মহিলা 'দাড়ান একটু, দাড়ান' বলে চিৎকার করতে করতে আসতেছিল। আমি পিছনে ফিরে তাকাতেই উনি একেবারে আমার কাছাকাছি এসে পড়েছে। কোলে উনার একটি বাচ্চা নিয়ে দৌড়ে আসছিলেন। প্রথমে আমার গালে হাত বুলাতে লাগলো, তারপর আমার হাত ধরে বললো: 'কেমন আসেন? চিনসেন আমারে? আমগোরে খাওয়ন-কাপড়-কম্বল দিয়া আহেন যে।'
প্রথমে একটু অস্বস্তি লাগলেও কিছুক্ষণেই একটু চিনতে লাগলাম। বললাম: আপনি কামরাঙ্গীর চড়ের? তিনি বললো: 'হুম। আপনে আবার কবে যাইবেন? আপনার জন্য নিজের হাতে রান্না কইরা রাখমু। কবে যাইবেন আবার কন। ওইবার ঈদেও বলসিলাম। আহেন নাই। এইবার ঈদেও আসবেন। আমার বাচ্চাটা সারাদিন আপনার কথা কয়। আপনে কোলে নিয়া পড়াইতেন। এইটা আরেকটা বাচ্চা হইসে। মেডিকেলে নিয়া আইছিলাম।
"আপনি একটু আমার বাচ্চাটারে কোলে নেন, আপনার হাত ওর মাথায় রাখেন! আপনার একটু ছোঁয়া আমার বাচ্চাটারে দেন। আপনার হাত দিয়া একটু ধরেন। তাহলে আপনার মতো হইবো একদিন।"
বৃদ্ধার কথা শুনে অজান্তেই চোখ থেকে পানি এসে পড়েছিল। বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বললাম: 'আপনার বাচ্চা আমার চেয়ে অনেক বড় হবে। আমি কিছুই না। আমি আপনার বাসায় আসবো। আপনার হাতের রান্নাও খাবো। রান্না করে রাখবেন।'

© Yasin U. Emon Vhi❤

💔🙂RED EYE🙂💔Writer : STORY PEDIApart: 04 (শেষ পার্ট)মা মারা যাবার পর জীবনটা যেনো এলোমেলো হয়ে গেলো। নতুন করে শুরু করার আর ...
14/04/2020

💔🙂RED EYE🙂💔
Writer : STORY PEDIA
part: 04 (শেষ পার্ট)

মা মারা যাবার পর জীবনটা যেনো এলোমেলো হয়ে গেলো। নতুন করে শুরু করার আর কোনো আশাই দেখছিলাম না। মনে হচ্ছে আমি এখন সব হারিয়ে নিশ্ব্য হয়ে পরেছি। কিছু দিনপর থেকে সিগারেটে খাওয়া শুরু করলাম। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে নেশা করাও শুরু করে দিলাম।

এইভাবে বেশ কিছু বছর কেটে গেলো,
একদিন আমার এক বান্ধবী আমার কাছে এসে বলে যে, শুন অনিতা ডাকছে তোকে। আমি যেনো থমকে দাড়ালাম। মা মারা যাবার পর মায়ের টেনশনে আর ওর প্রতি ঘৃন্যায় ওর কথা ভূলেই গেছিলাম। আজ হঠাৎ আবার ঐ ঢাকছে! গেলাম ওর কাছে,

অনিতা আপু: কেমন আছো?

আসিফ ভাই: আলহামদুলিল্লাহ, তুমি কেমন আছো?

অনিতা আপু: আলহামদুলিল্লাহ। শুনলাম এখন নাকি নেশা শুরু করেছো বখাটে হয়ে গেছো।

আসিফ ভাই: হ্যা কিন্তু কারও ভাবনার সাথে তো খেলা করছি না অন্তত।

অনিতা আপু: হ্যা আমি জানি তুমি কোথায় কি কর কাদের সাথে থাকো সব খবর আমার কাছে আসে।

আসিফ ভাই: ওহহ আচ্ছা!

অনিতা আপু: হ্যা, আচ্ছা তুমি হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে এইভাবে মিলিয়ে গেলা কেনো? আমাকে ছেড়ে চলে গেলা কেনো? একটাবার খোজ নেওয়ার প্রয়োজনও মনে হলো না?

আসিফ ভাই: আচ্ছা এই কথা যখন উঠলোই আমার একটা প্রশ্ন আছে সেদিনের পর থেকে মাথায় ঘুড়ছে।

অনিতা আপু: কি বলো?

আসিফ ভাই: সেইদিন শবে-বরাতের রাতে আমি তোমার বাড়ি গেছিলাম যেয়ে শুনি তোমার মা তোমাকে বকছে ওতো রাত পর্যন্ত বাইরে থাকার জন্য তুমি সেইদিন কার সাথে ছিলে?

অনিতা আপু: তোমার পাশেই দাড়িয়ে আছে নিলিমার জন্য। ওরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলো শুনেছো নিশ্চয়ই আর ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয় তাই এইটা আমার দ্বায়িত্ব ওর সাথে থাকা। সেইদিন ওরা বিয়ে করে তারপর ওকে বাসায় এক পাঠালে নানা রকমের প্রশ্ন করতো তারপর কোনো সমস্যা হয়ে যেতো এই জন্য আমি ওর যায় আর বলি যে আমার সাথে ছিলো ও। বাড়িতে তো আসল ঘটনা বলতে পারছি না পাশেই ওর বাসা কোনো ভাবে যদি জেনে যেতো তাহলে ওর জীবন শেষ হয়ে যেতো এই জন্য চুপ করে দাড়িয়ে ছিলাম আর সবাই যে যার মতো বলেই চলেছিলো।

আসিফ ভাই: আচ্ছা আর একটা প্রশ্ন রাগ করবে না তো?

অনিতা আপু: না বলো?

আসিফ ভাই: আমি অনেকের কাছে অনেকবার শুনেছি তুমি নাকি আমার সাথে থাকা অবস্থায় আরও কয়েকজনের সাথে রিলেশনে জড়িয়ে পরেছিলে?

অনিতা আপু: মানে যা ইচ্ছা তাই? নিজের দোষ তুমি আমার উপর চাপায় দিচ্ছো এখন?

আসিফ ভাই: আমার দোষ মানে আমি আবার কি করলাম?

অনিতা আপু: কি করলা না? তুমি আমাকে ছাড়াও কতো গুলো মেয়ের সাথে রিলেশনে জড়িয়েছ হ্যা? কি মনে কর আমি কিছুই জানি না?

আসিফ ভাই: কে বলল তোমাকে এইসব?

অনিতা আপু: সিজার বলেছে ঐতো তোমার আসল রুপ ধরাই দিয়েছিলো। ঐতো আমাকে এসে এসে সতর্ক করতো আর তুমি কি করো না করো সব বলতো।

আসিফ ভাই: কি বলো এইসব!

অনিতা আপু: বাদ দাও পুরনো কথা যা হবার তা হয়ে গেছে। আমার সামনে বিয়ে তাই তোমাকে বিয়ের আগে শেষবারের মতো সামনে থেকে দেখতে আর কথা বলতে চেয়েছিলাম বলে ডেকে পাঠিয়েছি কিছু মনে করো না।

আসিফ ভাই: তোমার বিয়ে!

অনিতা আপু: হ্যা, আচ্ছা থাকো আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে মা বার বার ফোন দিচ্ছে।

এই বলে অনিতা চলে গেলো আর আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পরলো! কিন্তু একটা জিনিস খুব ভালো করে বুঝলাম এর পেছনে নিশ্চয়ই কেউ আছে। প্রথম সন্দেহ সিজারের উপর পরলো। তাই সব কিছু ছেড়ে আগে তাদের ধরলাম যারা আমাকে অনিতার ব্যাপারে খারাপ কথা বলেছিলো। সবাইকে ভালো করে ধরার পর সবাই শিকার করলো যে হ্যা সিজার তাদের এইগুলো করতে বলেছে।সিজার নাকি ওকে ভালোবাসতো তাই আমাদের রিলেশনে ভাঙ্গন ধরিয়েছে ছিলো। আমার কাছে ঐ নিজে এসে বলার মতো সাহস ছিলো না তাই সিস্টেমে আমার বড় ভাই বন্ধু ছোট ভাইদের দিয়ে আমার ভেতরে সন্ধেহের বীজ বপন করেছিলো৷ আর অনিতার কাছে ঐ নিজেই গিয়ে এইগুলো করেছে আমার নামে যেভাবে পারে সেভাবে খারাপ কথা বলে আমাকে তার কাছে ঘৃণার বস্তুতে পরিণত করেছে৷ এইগুলো অনিতার জানা উচিত এই ভেবে পরের দিন আমি অনিতাকে ডাক দিয়।

অনিতা আপু: কেমন আছো?

আসিফ ভাই: আলহামদুলিল্লাহ।

অনিতা আপু: কেনো ডেকেছো?

আসিফ ভাই: একটু কথা বলার জন্য।

অনিতা আপু: হুম বলো?

আসিফ ভাই: তোমার বিয়ে কার সাথে ঠিক হয়েছে?

অনিতা আপু: সিজারের সাথে

আসিফ ভাই: কি!!! কবে??

অনিতা আপু: তারিখ ফিক্সড হয়নি কিন্তু খুব জলদি যেকোনো দিন বিয়ের তারিখ ঠিক করে ফেলবে।

আসিফ ভাই: সিজারকে অনেক ভালোবাস না?

অনিতা আপু: পাগল নাকি? ভালো না বাসলে কি এমনি টাইম পাসের জন্য বিয়ে করছি নাকি।

আসিফ ভাই: হ্যা তাতো ঠিক। আচ্ছা শুনো আমার একটু কাজ আছে কিছু মনে করো না দেড়ি হয়ে গেছে অনেক আরেকদিন ভালোভাবে কথা হবে।

এই বলে সেখান থেকে চলে এলাম। আর সিজারের উপর যত রাগ ছিলো তা এখন মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছি কারণ অনিতা ওকে ভালোবাসে এর থেকে বেশি কিছু তো আর লাগে না। আর সিজারের গেম দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ! হয়তো সে অনিতাকে আমার থেকেও বেশি ভালো বেসেছে তাই তো সে এখন তার! এই হলো আমার জীবনের একটি অংশ আরও আছে ধীরে ধীরে সব বলবো তোমাকে তুমি চিন্তা করো না। 🙂

আমি: আচ্ছা ভাই। সত্যি যেনো এক সিনেমার থেকে কম কিছু ছিলো না।

আসিফ ভাই: হ্যা হয়তো ভাগ্যে তাই লেখা ছিলো।একটাবার শুধু ভেবে দেখো তোমার জীবনে যদি এমন কিছু হতো বা আমার জায়গায় তোমার নিজেকে এখন বসিয়ে দেখো কেমন লাগে!

আমি: হ্যা ভাই সত্যি সহ্য করার মতো না।

আসিফ ভাই: হুম 🙂

আমি: ভাই একটা প্রশ্ন আছে করবো?

আসিফ ভাই: হ্যা বলো?

আমি ভাই: ঐ যে আপনার মা মারা যাওয়ার পেছনে যেই চাচাকে আপনার মতে আপনি দায়ী করছেন সে কি আর কখনো আপনার সামনে আশেনি?

আসিফ ভাই: জানি না ভাই এসে থাকলেও খেয়াল করিনি কারন আমি এক অন্য জগতে চলে গেছিলাম মা হারানোর পর। থাকো আর কথা বলতে পারছি না অনেক ইমোশনাল হয়ে পরেছি ভিতরটা কেমন করছে। এখন একটু ডোজ না নিলে মাথা ঠিক হবে না। বাই ভালো থেকো।

আমি: আচ্ছা ভাই বাকি কাহিনি গুলো আরেক দিন শুনকবো আজ রাখি।

সত্যি আসিফ ভাইয়ের সাথে যা ঘটে গেছে তাই কোনো সিনেমার থেকে কম নই। অনেকের বিশ্বাস হবে না কিন্তু এটাই সত্য কোথাও বিন্দু পরিমাণও বানিয়ে লেখা নাই। আমারও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু সত্য তো সত্যই না চাইলেও ঘটবেই। দোয়া করবেন সবাই আসিফ ভাইয়ের জন্য আর অপেক্ষা করুন আবার আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হবো আসিফ ভাইয়ের।

[ভূল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। এতো কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ❤]

💔🙂RED EYE🙂💔Writer : STORY PEDIApart: 03[মাফ করবেন গল্পের আগের পার্টে একটু ভূল হয়ে গিয়েছে। এই পার্টের ঘটনা গুলো আমি শুনেছ...
11/04/2020

💔🙂RED EYE🙂💔
Writer : STORY PEDIA
part: 03

[মাফ করবেন গল্পের আগের পার্টে একটু ভূল হয়ে গিয়েছে। এই পার্টের ঘটনা গুলো আমি শুনেছিলাম না তাই এই পার্টটি দিতেও দেড়ি হয়ে গিয়েছে এবং আগের পার্টের শেষে একটু ভূল হয়ে গিয়েছে তাই একটু পেছন থেকে বলছি আপনাদের সুবিধার জন্য ]

দেখতে দেখতে শবে-বরাত চলে এলো সেই দিন তখন রাত দেড়টা বাজে হঠাৎ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেই একই কথা আবার বলছে শুনে আমার মেজাজ এইবার অতিরিক্ত খারাপ হয়ে গেলো। এইবার আর কিছু না ভেবেই ওর বাসার দিকে রওনা দিলাম। যেতে যেতে রাত দু'টা নাগাত বেজে গেলো। ওর বাড়ির সামনে যেয়ে দাড়ানো মাত্র ভেতর থেকে যা শুনতে পেলাম তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নিয়েছিলো!

অনিতার মা : না তুই একটা মেয়ে হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাইরে কিভাবে থাকতে পারলি? আর কেনোই বা ছিলি? কার সাথে ছিলি হ্যা এতো রাত পর্যন্ত?

এইভাবে ওর বাড়ির লোক সবাই ওকে বকা ঝকা করছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না কি হতে পারে! মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গেলো। কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা। আবার ফ্রেন্ডের কাছে গেলাম সবাই মিলে আড্ডা দিতে। তখন প্রায় আড়াইটার মতো বাজে সবাই মিলে আবার নদীর ধারে বসলাম আড্ডা দেওয়ার জন্য। তখন এক ফ্রেন্ড বলল যে চল নদীর ঐ পারে গিয়ে বসি। সামনে নদীর পারে একটি নৌকাও ছিলো তাই আমি আর ও হাটা ধরলাম। আর বাকী বন্ধুরা যখন উঠে আসবে ঠিক তখনই তাদের সামনে বৃদ্ধ এক চাচা এসে দাড়ায় আর তাদের বলে,

চাচা: বাবা তোমরা কোথায় যাচ্ছো?

এক বন্ধু: এইতো নদীর ঐপারে যাচ্ছি সবাই কেনো?

চাচা: ঐ নৌকায় যাবা নাকি?

বন্ধু: হ্যা কেনো?

চাচা: দেখো বাবা ঐ নৌকায় কেউ উঠোনা এতো রাতে না হলে তোমাদের সবার সাথে খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে তাই আর এইদিকে যেয়ো না বাসায় চলে যাও বাবা।

তখন সবাই ছোট ছিলো এইজন্য একটু ভয় পেয়ে গেলো! কেউ যেতে চাচ্ছিলো না। আমার মন মেজাজ প্রচন্ড খারাপ থাকায় তাদের নিষেধ করা সত্ত্বেও নৌকায় উঠে বসি। এই দেখে চাচা আমাকে ডাক দেয় আমি উঠে তার কাছে গেলে সে বলে,

চাচা: তোমাকে বার বার বারন করা সত্ত্বেও শুনলে না অবুঝের মতো একটা ভূল করে বসলে। এখন যেইটা বলছি মন দিয়ে শুনো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে ১০১ টাকা দিবা আর ১০০ টাকার সাথে ১ টাকার সোনালী কয়েন দিবা। আর যদি না দাও তাহলে তোমার সাথে খুব খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে যা তুমি কখনও কল্পনাও করতে পারবে না আর এর জন্য দায়ী একমাত্র তুমিই হবে।

আমি আর অত কিছু মাথায় নিয়নি হু হু করে চলে আশার জন্য যেই না দুই ধাপ দিলাম পেছন ঘুড়ে দেখি চাচা নাই! আশেপাশে ভালো করে দেখলাম দেখি নাহ কোথাও নাই আর আশেপাশে তো পুরাই ফাকা যেখানেই যাক চোখে তো পরবে কিন্তু একেবারে অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু ভাবলাম না। এমনই তো মনের অবস্থা খারাপ আর কিছু ভালো লাগছিলো না। বাসায় চলে গেলাম এইভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলো।একদিন হঠাৎ রাতে দেড়ি করে বাসায় ফিরছিলাম তো বড় রাস্তা থেকে নেমে গোলির ভেতর মাঝ পথে যেতেই দেখি সামনে দিয়ে সেই চাচা আসছে আমি একটু এগিয়ে গিয়ে চাচার সাথে কথা শুরু করলাম,

আসিফ ভাই: চাচা আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন চাচা?

চাচা: আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছো?

আসিফ ভাই: আলহামদুলিল্লাহ।

চাচা: তোমাকে যে আমি বলেছিলাম মসজিদে ১০১ টাকা দিতে আর ১ টাকার কয়েন যেনো সোনালি কালারের টাই হয়। কিন্তু তুমি কি করলে? এখনও দাওনি কেনো?

আসিফ ভাই: চাচা ভূলে গেছিলাম।

চাচা: আমি তোমাকে বারবার একই কথা বলছি যে ভূল করেছো তা শুধরিয়ে নাও না হলে হাজার কেদেও লাভ হবে না। তোমার জীবনে কিন্তু বড় কিছু হাড়িয়ে ফেলবা।

আসিফ ভাই: জ্বী ঠিক আছে চাচা।

এইবলতেই চাচা সামনে হাটা ধরে আমিও হাটতে শুরু করি এইবারও যেমনি দুই চার ধাপ দিলাম পেছনে তাকিয়ে দেখি আবারও চাচা নেই এইবারও একটু খুজে দেখলাম। এতো তাড়াতাড়ি গোলি শেষ করা সম্ভব না হেটে আবার গোলির ডান দিকে আরেকটা রাস্তা আছে ঐ দিকে হয়তো যেতে পারে এইভেবে ঐদিকে গেলাম যেয়ে দেখি যত দূর দেখা যায় পুরাই ফাকা কেউ নাই! এইবার একটু ভয় পায় হচ্ছেটা কি আমার সাথে। পরের দিন হতে হতে আবারও চাচার কথা ভূলে যায়। এর কয়েকদিন পর মা হঠাৎ প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরে! মাকে নিয়ে মেডিকেলে থাকতে হয়। বিভিন্ন টেস্ট করার পরে আমাদের সামনে যে পরিনাম আশে তা আমরা কেউ কখনই ভাবতে পারিনি! 😣 মায়ের একটা অসুখ হলে হয় এক সাথে পাখির বাসার মতো করে ঘিরে ধরেছে রোগে! কিডনির সমস্যা,পেটে পাথর, ব্রেইন স্ট্রোক করে ফেলেছে একবার, ডাইবেটিকক্স এইরকম আরও কয়েকটা রোগ! সেইদিন রাতে মায়ের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম খালাকে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম। মায়ের তো একেবারেই পানি খাওয়া বারন করে দিয়েছিলো ডাক্তার। শুধু পরিমাণ মতো খেতে হবে এর বেশি না। সেই দিন রাতে মা বারবার আমার কাছে পানি খেতে চাচ্ছে। আমি আর থাকতে না পেরে মাকে পানি খাওয়ায় দিয়। তারপর ভেতর ভেতর ভয় পাচ্ছিলাম নার্স না জানি কি বলে কাউকে কিছু না বলে পানি খাইয়ে দিলাম। তখন মা একটু ঘুমোচ্ছিলো আমি রুম থেকে বেড়িয়ে হসপিটালের কলিডর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম আর সেই একই কথায় ভাবছিলাম। সেই সময় দেখি ঐ সেই চাচা হেটে কলিডর পার হচ্ছে আমি তার দিকে এগিয়ে গিয়ে ডাক দিয়,

আসিফ ভাই: চাচা শুনিছেন?

চাচা: হ্যা

আসিফ ভাই: কেমন আছেন চাচা?

চাচা: আলহামদুলিল্লাহ। তোমাকে না বলেছিলাম মসজিদে টাকা দিতে তুমি কিন্তু এখনও দাওনি! আমি তোমাকে বারবার বলেছি তোমার জীবনে কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারাবে যা তুমি ভাবতেও পারবে না আর তার দায়ী একমাত্র তুমিই হবে।

এই বলে আবার চাচা চলে গেলো। আর আমি ভাবতে ভাবতে রুমে চলে এলাম। এইভাবে সকাল হয় আর ডাক্তার বলে মা আবার স্ট্রোক করে ফেলেছে তাই কিছু টেস্টের জন্য নীচে নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন মা আমার হাত ধরে বলে যে সে ওয়াসরুমে যাবে আমি খালাকে বলে তার সাথে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর সাড়াদিন দৌড়াদড়ির ওপর যায় সন্ধ্যার পর খালা বলে বাসায় যেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে। তাই আমি বাসায় যায়। ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিয়। হঠাৎ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে হসপিটালে যেতে হয় কারণ মা আবার ভোরের দিকে স্ট্রোক করে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে! আমি মায়ের কাছে গিয়ে হতভম্বের মতো বসেছিলাম যেইনা দরজার দিকে চোখ পরে দেখি সেইইই চাচা এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!............

চলবে.....

[ভূল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। এর পরের পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন কেননা এরপরেরটি শেষ পর্ব আর এর পরেই জানতে পারবেন অনিতা আপুর সাথে কি ঘটেছিলো! ]

💔🙂RED EYE🙂💔Writer : STORY PEDIApart: 02সে আমাকে হাত ধরে স্কুলের ভেতর নিজে যাবার পর থেকে লজ্জায় আর মাথা তুলতে পারছিলাম না...
07/04/2020

💔🙂RED EYE🙂💔
Writer : STORY PEDIA
part: 02

সে আমাকে হাত ধরে স্কুলের ভেতর নিজে যাবার পর থেকে লজ্জায় আর মাথা তুলতে পারছিলাম না। সেইদিন আবার কোনো এক বিশেষ কারণে ক্লাস টিচারদের মিটিং চলছিলো এই জন্য প্রতিটা ক্লাস বসে বসেই কাটাই দিতে হচ্ছিলো। এইভাবে শেষ ক্লাসের সময় যখন মাথা নিচু করে বসেছিলাম তখন অনিতা পাশে এসে দাড়ালো আর এক হাত আমার ঘাড়ের উপর রাখলো। আমি তার দিকে তাকালাম তখন সে বলল,

অনিতা আপু : কি হয়েছে? এইভাবে পুরোটা দিন মাথা নিচু করে বসে থাকার মানে কি?

আসিফ ভাই : না এমনই কিছু না।

অনিতা আপু : হ্যা বুঝতে পেরেছি। আর এই ছেলে মাথায় কমন সেন্স নাই? নাকি বুকে সামান্য পরিমাণ সাহস নাই? এইসব কথা অন্যকে দিয়ে বলাতে হয়? হয়তো সামনে এসে বলতে নয়তো একটা চিঠি লিখিতে মোবাইল দিয়ে পাঠানোর কি দরকার হ্যা?

চুপ করে রইলাম কারণ তার প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে ছিলো না, হয়তো বা ছিলো কিন্তু কেনো জানি এক অদ্ভুত দ্বিধাদ্বন্দে কারণে মুখ ফুটে কিছুই বলে উঠতে পারলাম না। এইভাবে কিছুক্ষণ কথপোকথন হলো। সেইদিন অনেক খুশি খুশি লাগছিলো। আসলে প্রথম ভালোবাসা বলে কথা সবাই নিশ্চয়ই এই অনুভূতিটা জানে যখন প্রথম ভালোবাসার মানুষ পাওয়া যায় কেমন লাগে! 🙈

ভালোই চলছিলো কিন্তু আমাদের ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো কিন্তু সেই ভালোবাসা ছিলো স্কুল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কখনও আমরা একসাথে হাত ধরে হাটিনি, এক সাথে বসে মন খুলে ভালোবাসার গল্প করিনি, কখনও এক সাথে ঘুড়তে যেতে পারিনি। বলা যেতে পারে যা হয় ভালোর জন্যই হয় আর এইটা বলার কারণ হলো আমাদের ভালোবাসাটা একটা পবিত্র ভালোবাসা নমুনা ছিলো। এইভাবে বেশ কয়েকটা মাস কেটে গেলো আর এই কয়েকটা মাসই ছিলো সুখের এর পর থেকে যা হলো তা যেনো আর কোনো ভালোবাসার মানুষদের সাথে না হয়।

তো যা হলো এর পরে, একদিন এক বড় ভাইয়ের সাথে পাড়ার মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় হঠাৎ ভাই বলে উঠলো,

বড় ভাই : আসিফ শুনলাম তুই নাকি পাশের এলাকার অনিতার সাথে প্রেম করছিস।

আসিফ ভাই : হ্যা ভাই কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন? [ কিছুটা লজ্জা আর কিছুটা অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম]

বড় ভাই : সেইটা জেনেছি কিন্তু তুই কি ঐ মেয়ের সম্পর্কে ভালোভাবে খোজ নিয়েছিলি আগে?

আসিফ ভাই: ভাই দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে পরছি চেনার মতো তো যথেষ্ট সময় পেয়েছি তাই না?

বড় ভাই: তা ঠিক কিন্তু আসিফ তোকে একটা কথা বলি মাইন্ড করিস না হ্যা। অনিতা মেয়েটা কিন্তু তোর জন্য ঠিক হবে না ভাই।

আসিফ ভাই: কিন্তু কেনো ভাই?

বড় ভাই: মেয়েতো একসাথে কয়েকটা প্রেম করে রে ভাই।

আসিফ ভাই : কি বলেন ভাই এইসব!

বড় ভাই : হ্যা রে ভাই। বিষয়টা একটু খোজ নিয়ে দেখিস।তুই কাছের ছোট ভাই হোস তাই বললাম বিষয়টা রাগ করিস না।

আসিফ ভাই : না ভাই ঠিক আছে। আচ্ছা ভাই থাকেন একটু কাজ আছে উঠি আজ।

এর পর সেখান থেকে চলে আসলাম আর ভাবলাম ভাই কি বলল এই সব! পরে আবার ভাবলাম ভাই হয়তো উল্টো পাল্টা কিছু বলছে আমিতো চিনি ওরে এতো দিন তো কোনো খারাপ কিছু দেখিনি। এরপর বিষয়টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম। এর কিছুদিন পর এক ছোট ভাই হঠাৎ আবার সেই একই জিনিস বলে! শুনেতো মাথা ব্যাপক গরম হয়ে গেছিলো মনে হচ্ছিলো মাথা ফেটে যাবে রাগে। ঐ আবার আমার বাড়ির পাশের ছোট ভাই কিছু বললাম না হাল্কা ধমক দিয়ে ছেড়ে দিলাম। আর ভাবলাম হয়তো এরা আমার সাথে মজা নিচ্ছে। এর পরেও বেশ কয়েকজনের কাছে একই কথা শুনতে পেলাম। কিন্তু কখনও ওকে কিছু জিজ্ঞাসা বা এই ব্যাপারে কোনো কথাই তুলিনি। দেখতে দেখতে শবে-বরাত চলে এলো সেই দিন তখন রাত দেড়টা বাজে হঠাৎ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেই একই কথা আবার বলছে শুনে আমার মেজাজ এইবার অতিরিক্ত খারাপ হয়ে গেলো। এইবার আর কিছু না ভেবেই ওর বাসার দিকে রওনা দিলাম। যেতে যেতে রাত দু'টা নাগাত বেজে গেলো। ওর বাড়ির সামনে যেয়ে দাড়ানো মাত্র ভেতর থেকে যা শুনিতে পেলাম তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নিয়েছিলো!

অনিতার মা : না তুই একটা মেয়ে হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাইরে কিভাবে থাকতে পারলি? আর কেনোই বা ছিলি? কার সাথে ছিলি হ্যা এতো রাত পর্যন্ত?

এইভাবে ওর বাড়ির লোক সবাই ওকে বকা ঝকা করছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না কি হতে পারে! মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গেলো। কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা। কোনো রকমে বাড়ি গেলাম আর সাধারণত এই রকম কারও সাথে হলে তাদের যা অবস্থা হয় আমারও তার ব্যাতিক্রম না। প্রচন্ড ভাবে ভেঙ্গে পরলাম সাড়ারাত ঘুম নাই খাওয়া দাওয়ার ঠিক নাই। আর পড়াশোনার কথা নাই বা বলি সেতো পুরোপুরি বাদ হয়ে গেলো। আর ওর সাথে কথা বলাও বন্ধ করে দিলাম। ঐ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি কখনও সাড়া দিয়নি।........

চলবে......

[এই পার্টটি ছোট করে দেবার জন্য দুঃখিত! আসল ঘটনা শুরু হবে এর পর থেকে এই পর্যন্ত পড়তে অনেকের বিরক্তি লাগলে লাগতেও পারে কিন্তু বিশ্বাস রাখতে পারেন এর পর ভাইয়ের জীবনে যা যা ঘটে গেছে হয়তো আর কখনও কারও জীবনে শুনেননি! এর পরের পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন। ভূলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন কেউ ব্যাক্তিগত নিবেন না। ধন্যবাদ ❤]

💔🙂RED EYE🙂💔Writer : STORY PEDIApart: 01[এই গল্পটি এক ভাইয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু সত্য ঘটনাকে নিয়ে লেখা। 🙂 এই গল্পটি মোট ...
06/04/2020

💔🙂RED EYE🙂💔
Writer : STORY PEDIA
part: 01

[এই গল্পটি এক ভাইয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু সত্য ঘটনাকে নিয়ে লেখা। 🙂 এই গল্পটি মোট চার পার্টে সম্পূর্ণটি আসবে আশাকরিএকটু ধৈর্য নিয়ে পুরোটা পড়বেন।]

পারিবারিক সমস্যার কারণে বেশ স্ট্রেসে দিন কাটছিলো, তাই চাইছিলাম যেনো মনটা অন্য দিকে লাগাতে পারি এইজন্য বেশি করে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ পেজ গুলোর ফানি পোস্ট দেখা শুরু করলাম। এইভাবে এক বড় ভাইয়ের সাথে পরিচিতি হয়।তার নাম আসিফ। তার পোস্ট গুলো বেশ ভালো লাগতো, তার সাথে কথা বলতে মজায় লাগতো। এইভাবে প্রায় ২ বছর কেটে গেলো একদিন হঠাৎ দেখি তার স্টোরিতে ইমোসনাল যা পোস্ট দেওয়া প্রথমে দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম। পরে ভাবলাম হলো টা কি এইরকমের পোস্ট তো কখনও দেখিনি ভাইয়ের গ্রুপে,পেজে, প্রোফাইলে। তাহলে আজ হলোটা কি? আর বেশি না ভেবে ভাইকে নক দিলাম,

আমি: ভাই! হঠাৎ কি হলো ? 😟

ভাই: কোথায় কিছু হয়নি তো!

আমি: না ভাই আমি আপনার স্টোরিতে দেখলাম আপনি ইমোসনাল পোস্ট দিয়েছেন যা কখনোই আপনার দ্বারা আশা করিনি! 😐

ভাই: কেনো আমি কি মানুষ না? না আমার ইমোসনাল পোস্ট দেওয়া বারন!

আমি: না ভাই তেমন কোনো কথা না ! এতো গুলো দিন থেকে আপনাকে দেখছি কখনও তো এই রকম ইমোসনাল হতে দেখিনি!

ভাই: হ্যা ! এই পরিবর্তনশীল জীবন একটি বড় মোড় নিয়ে নিয়েছে যা কখনোই ভাবতে পারিনি!

আমি : ভাই যদি কোনো সমস্যা না হয় বলতে পারেন। মনের ভেতরের কষ্ট যদি অন্যের সাথে ভাগ করে নেন তবে কষ্টটা কম হবে।

ভাই : হা হা হা! ভাই আমার জীবনের কথা যদি শুনতে শুরু করো তবে suspense মূলক সিনেমার থেকে কোনো অংশে কম মনে হবে না

আমি: ভাই যদি কিছু মনে না করেন তবে বলেন আমি শুনতে চাই।

ভাই : তবে আজ নই। কাল ভালোভাবে বলবো। আজ অন্য জগতে হারিয়ে আছি!

আমি: বুঝতে পেরেছি ভাই। ঠিক আছে কাল কথা হবে।

ভাই : হুম। 🙂

ভাইয়ের সাথে কথা শেষ করে ভাবতে থাকলাম কি এমন হয়েছে ভাইয়ের জীবনে যা তার সাথে এতোদিন কথা বলে কখনই বুঝতে পারিনি!

পরের দিন,

আমি: ভাই আছেন?

ভাই : হ্যা তবে কল দিচ্ছি দিয়ে ফোনে বলছি এতো কথা লিখে বলা অসম্ভব।

একটু পরে ভাই ফোন দিয়ে বলা শুরু করলো,

[সে যেভাবে বলেছে সেভাবে আপনাদের বলছি]

আমি এই পৃথিবীতে আশার পরে থেকেই দারিদ্র্যতার মুখোমুখি হয়েছি। কখনো নিজের ইচ্ছে চাওয়া পুরোন করতে পারিনি। তার ভেতর যখন একটু একটু বোঝা শিখলাম তখন থেকে দেখে আসছি বাবা মায়ের ঝগড়া! কখনো তাদের এক মত হতে দেখিনি! তারা সব সময় ঝগড়াঝাটি করতো! একজন ছোট বাচ্চা যে কেবল বোঝা শিখছে এই পৃথিবীর মানুষদের তার জন্য কতোটা ভয়ানক হতে পারে তার বাবা মা সব সময় ঝগড়াঝাটি করে একবার শুধু চিন্তা করে দেখো! তারা যখন ঝগড়া করতো আমি সবসময় ভয়ে কাদতাম। আসলে আমার বাবা মায়ের ঝগড়ার পেছনেও ছিলো দারিদ্র্যতা! এই দারিদ্রতা এমনই ভাই অতিরিক্ত চিন্তার ফলে সব কিছু বিরক্ত মনে হয় যদিও সেটা ভালোও হয়ে থাকে! আর এই বিরক্তের ফলেই সৃষ্টি পরিবারিক অশান্তি! যাইহোক এভাবেই কেটে চলল আমার শৈশব, কখনও পাড়ার খোলা মাঠে বালুর ভেতর গড়াগড়ি করতে করতে কখনও এক খন্ড লাঠি দিয়ে টায়ারে আঘাত করে পুরো পাড়া দৌড়ে বেড়ানো এই রকম আরও অনেক ধরনের খেলা খেলতে খেলতে। এর পর আসলো স্কুলে ভর্তি হবার পালা।আমাদের এলাকায় একটা প্রাইমারি স্কুল ছিলো, তো বাবার হাত ধরে প্রথম স্কুলে ভর্তি হলাম। প্রথম প্রথম ভালোই লাগতো তারপর যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠলাম তখন থেকে শুরু হলো ফাকিবাজি পড়াশোনা ভালো লাগতো না সাড়াদিন বাইরে বন্ধুদের সাথে খেলে বেড়াতাম। কোনো রকমে তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম এর থেকে শুরু হলো স্কুলের বাচ্চাদের সাথে মারামারি, গালাগাল করা স্কুলের শিক্ষকেরা বারবার বারন করতো অনেক বার সাসপেন্ডও করেছিলো। এইভাবে একটা বছরও চলে এলো তখন আমি চতুর্থ শ্রেণীতে উঠলাম। আরো বেড়ে গেলো মারামারি, গালাগাল। তখন প্রায় বছরের মাঝামাঝি সময় ঐ সময় রাগের মাথায় এক ছেলের পিঠে কলমের নিপ ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম তারপর স্কুলের অধ্যাপক আমাকে স্কুল থেকে বেড় করে দেয়। এর পর অনেক গুলো স্কুলে ট্রাই করেছিলাম কোথাও আর নেয়নি।পরে আম্মা একটা এন জি ও বা ফাইউন্ডেশনের মতো স্কুল গুলোর একটাই ভর্তি করলো। কিন্তু সেখানে নিয়ম ছিলো ভর্তি হতে হলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হতে হবে। আর কিছু করার ছিলো না বলে ভর্তি হতেই হলো। আগে থেকে সব পড়া ছিলো বলে পরের শ্রেণীতে ২য় নম্বর হলাম আর প্রথমে ছিলো এক মেয়ে। একটা জিনিস লক্ষ্য করতাম যে সেই মেয়েটা সব সময় আমাকে হিংসার চোখে দেখে কখনও ভালো করে কথাও বলতো না। এক সাথে এইভাবে পড়তে পড়তে ৫ম শ্রেণীতে চলে এলাম। আরেকটা জিনিস খেয়াল করলাম যে কেনো জানি আস্তে আস্তে মেয়েটাকে আমার অনেক ভালো লাগে তার সামনে যেতে লজ্জা লজ্জা লাগে। আর এইবয়সে যথেষ্ট পাকনামি বুদ্ধি হয়ে গেছিলো। একদিন বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে বলেই ফেললাম যে, জানিস বন্ধু অনিতাকে না আমি ভালোবাসি!🤭ওহহ! তোমাকে তো বলাই হয়নি যে মেয়েটির নাম অনিতা। সবাই তো হতভম্ব কি বললাম আমি।এর থেকে পুরো স্কুল ছড়িয়ে গেলো যে আমি অনিতাকে ভালোবাসি। এর বেশকিছু দিন পর একদিন অনিতা আমাকে হঠাৎ ডাক দেয় আমিও যায় তারপর,

অনিতা আপু : এই ছেলে কিসব শুনছি এইগুলো?

আসিফ ভাই : কোথায় কি শুনলা?

অনিতা আপু : কি শুনলাম মানে? তুমি সবাইকে বলে বেড়াচ্ছো নাকি তুমি আমাকে ভালোবাস?কথা কি সত্য?

আসিফ ভাই : মানে হ্যা! [আসলে ভয়ে বলেই ফেললাম]

অনিতা আপু : আমিতো তোমাকে ভালোবাসি না। 🙄

এইটাই হওয়ার কথা ছিলো সেই বয়সে। এইভাবে যখন ৫ম শ্রেণির শেষ ক্লাসটা চলে এলো তখন ওকে সাহস করে বলেই ফেললাম যে, তুমি কি আমার বন্ধু হবে? আমরা অন্তত ভালো বন্ধু হতে পারি। সে আমার কথায় রাজি হয় এবং আমরা বন্ধু হয়ে যায়। এইভাবে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠলাম একসাথেই ক্লাস শুরু হলো তখন আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম তাই আমাদের ভেতর একটা ফ্রেন্ডলি ব্যাপার চলে এলো। এইভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিটাও পার করে ফেললাম তবে পড়াশোনার অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। কোনো রকমে পাশ করলাম এর আসল সপ্তম শ্রেণি তো সেই একই ভাবে দিন কাটছিলো। নতুন বছরের বেশ কয়েক মাস কেটেও গেলো এর পর থেকে শুরু হলো আসল কাহিনি। একদিন আমার এক বান্ধবীকে আমার ফোনে I LOVE YOU ❤ লিখে দিয়ে পাঠালাম ফোনসহ অনিতাকে দেখানোর জন্য। এরপরে ভয়ে লজ্জায় বেশ কিছুদিন স্কুলে যায়নি। একদিন সাহস করে গেলাম ঠিকি কিন্তু কেনো যেনো স্কুলের গেটের ভেতর আর পা ঢুকছে না মনে হচ্ছে মাটির সাথে জমে গেছে। দাঁড়িয়ে থাকলাম বেশ কিছুক্ষণ হঠাৎ দেখি অনিতা আসছে আর এসেই আমার সামনে দাড়ালো আর বলল,

অনিতা আপু : কি ব্যাপার কোথায় হারিয়ে গেছিলে এতোদিন স্কুলে আসনি কেনো?

আসিফ ভাই : না এমনই।

অনিতা আপু : হুম বুঝতে পেরেছি চলো ভেতরে চলো।

এরপর সে আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে স্কুলের ভেতর প্রবেশ করলো!.....

চলবে......

[পরের পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন কেননা এর পর ভাইয়ের একটি ভূলের জন্য তার মা মারা যায় আর কেনো তার ভালোবাসার মানুষটাকে অন্যের কাছে হাসি মুখে দিয়ে দিতে হলো! ভূলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন কারও খারাপ লাগলে অবশ্যই জানাবেন সঠিক করার চেষ্টা করবো এবং কেউ ব্যাক্তিগত ভাবে নিবেন না। ধন্যবাদ ❤]

05/04/2020
05/04/2020
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কিছু কথা, কিছু মুহূর্ত, কিছু অনুভূতি যা চিরকাল মনে গেথে যায়। আমাদের গল্পগুলো মূলত সেই...
02/04/2020

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কিছু কথা, কিছু মুহূর্ত, কিছু অনুভূতি যা চিরকাল মনে গেথে যায়। আমাদের গল্পগুলো মূলত সেই গেথে থাকা সৃতি গুলোকেই ঘিরে। হতে পারে কিছু অংশ আপনার মন ছুয়ে যাবে কিছু অংশ আপনার জীবনের সাথে মিলে যাবে কিছু অংশ আপনার খারাপও লাগতে পারে! তবে একটা বিষয় ভালো খারাপ নিয়েই আমাদের জীবন তাই কিছু খারাপ লাগলে আমাদের জানাবেন আমরা সঠিক করার চেষ্টা করবো!🙂

Address

Dhaka
1312

Telephone

+8801987654321

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when STORY PEDIA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to STORY PEDIA:

Share

Category