14/08/2025
ক্ষমতায় বসার ৬ দিনের মাথায় জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করলো। এরপর শুরু হলো বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙলো, অফিস-আদালত থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামালো। সকল প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেললো। বঙ্গবন্ধুকে বানিয়ে দিলো স্বৈরাচার।
৭ মার্চের জাতীয় দিবস বাতিল করলো। ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো বন্ধ করলো। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করলেও কারাদণ্ড দেওয়া শুরু করলো। বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতা মারলো। বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে দিলো। বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুড়িয়ে দিলো। বঙ্গবন্ধুর সমাধী গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলো। বাংলার মাটি থেকে মুজিববাদের কবর রচনার ঘোষণা দিলো।
ফলাফল? ফলাফল আজ দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। কারাদণ্ডের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করেও সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা এক কাতারে নেমে এসে স্বার্থহীনভাবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, ভালোবাসা জানাচ্ছে। শোক প্রকাশ করছে।
এক বছর আগে কেউ কল্পনা করেছে এমন হবে? কেউ কল্পনা করে নি, আমিও করি নি, কিন্তু হয়েছে। এটাই বঙ্গবন্ধুর শক্তি। বাংলার মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের প্রতিদান। চাইলেই সবাইকে নিষিদ্ধ করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা গেলে জিয়া-মোশতাক আরো আগেই করতো।
এ বছর যা হচ্ছে এটাও বরং সামান্য। এই প্রতিকূল সময় পেরিয়ে গেলে আরো কি অবস্থা হবে সেটা কল্পনাতিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে-হলে বঙ্গবন্ধু বন্দনা হবে, সচিবালয়ের রুমে-রুমে বঙ্গবন্ধু বন্দনা হবে। মানুষ পঙ্গপালের মতো বেরিয়ে আসবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা জানাতে। এর জন্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
শত চেষ্টা করেও কেউ বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করতে পারবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু অমর, অবিনশ্বর, চিরঞ্জীব। বঙ্গবন্ধু এভাবেই যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক থাকবে।