IAB News-24

IAB News-24 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সকল সহযোগী সংগঠন সমূহের সংবাদ পেতে পাশে থাকুন!

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পরিচিতি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ভূমিকাঃ
আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে সত্য দীনসহ অগণিত নবী-রাসূল সা. প্রেরণ করেছেন। নবী-রাসূলগণ সা. হক-বাতিল, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সফলতা-ব্যর্থতার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিধানপূর্বক শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তির সঠিক পন্থা নির্ধারণ করে গেছেন। তাঁরা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যা

য়ের প্রতিরোধের মাধ্যমে মানবজীবনকে সুন্দর , সফল, সার্থক ও শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় সমাসীন করেছেন। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর পর এ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উম্মতে মুহাম্মদী অর্থাৎ গোটা মুসরিম জাতির ওপর। এ দায়িত্ব মুসলমানরা যে যুগে যতটুকু পালন করেছেন সে যুগে ততটুকু শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তি পেয়েছেন।

আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামের সুমহান আদর্শে দেশের শতকরা প্রায় ৯০ জন লোক বিশ্বাসী।ইসলামের প্রতি এদেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও দরদ অত্যন্ত গভীর। জনগণ চায় ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হোক। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী, কায়েমী স্বার্থবাদী মহল, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের এজেন্টদের বহুমুখী ষড়যন্ত্র ইসলামী আদর্শ কায়েমের পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে। একদিকে জনগণকে বার বার ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য শাসকগোষ্ঠী ইসলামের নাম ব্যবহার করে আসছে। অন্যদিকে ইসলামের উত্থানকে ঠেকানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ফলে দেশে বিরাজ করছে অগণিত সমস্যা। এ সমস্যার কথা অনেকেই স্বীকার করেন এবং তা সমাধানে বার বার আন্দোলনও হয়েছে, কিন্তু সমস্যা রয়েই গেছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানেরর জন্য সর্বাগ্রে মূল কারণ চিহ্নি করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত নৈতিক আদর্শ বিবর্জিত সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য, খোদাভীরু লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের কোন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

এ সত্য উপলব্ধির প্রেক্ষিতে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ওলামায়ে কিরাম, পীর-মাশায়েখ ও দীনদার বুদ্ধিজীবীগণের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালের ১৩ই মার্চ জালেম শাসকগোষ্ঠী ও শোষণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা গত ২০ নভেম্বর’০৮ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে নিবন্ধন লাভ করে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর নিবন্ধন নং-০৩৪।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দল নয়। দলাদলী ইসলাম সমর্থন করে না, কারণ দলীয় রাজনীতি সংকীর্ণতা, কোন্দল ও হানাহানি সৃষ্টির নামান্তর। দলীয় রাজনীতি মুসলিম উম্মাহর সংহতি ও ঐক্যকে বিনষ্ট করে উম্মাহকে শতধাবিভক্ত করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বস্তুতঃ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দল-মত নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন। স্বাধীনতা আন্দোলন কিংবা ভাষা আন্দোলন যেমন কোন দলীয় আন্দোলন ছিল না, যা ছিল দু’টি ইস্যুকে সামনে রেখে দলমত নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন আন্দোলন। অনুরূপ নিছক নেতা বা সরকার পরিবর্তন নয়, দেশে প্রচলিত মানবরচিত সকল অনৈসলামী নীতি এবং জাহেলী সমাজের সার্বিক পরিবর্তন সাধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামী আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৫২’র ভাষা আন্দোলন বা ’৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কোনরূপ তুলনা করা হয়নি। কারণ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাথে অন্য কোন আন্দোলনের তুলনা করা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। এটা শুধুমাত্র আন্দোলনের ধরণ বুঝাবার জন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের মূল ইস্যু হচ্ছে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা।

অতএব, যতদিন বাংলার জমিনে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

উদ্দেশ্যঃ দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন।
লক্ষ্যঃ প্রচলিত জাহেলী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খেলাফতে রাশেদার নমুনায় বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা।

কর্মসূচিঃ
১. দাওয়াত: একটি সুখী সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য জনসাধারণকে সচেতন করা এবং সর্বস্তরে ‘আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার’ তথা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা চালাতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করা।
২. সংগঠন: আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে প্রতি আগ্রহী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, দল ও ব্যক্তিদেরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কাফেলায় সংঘবদ্ধ করা।
৩. জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণ: নৈতিকতাসমৃদ্ধ আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান প্রসারের পাশাপাশি প্রচলিত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, কর্মমূখি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনগণকে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও আদর্শিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সংঘবদ্ধ লোকদের আদর্শিক আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংগঠনিক দিক থেকে ইসলামী সমাজ গঠনের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা।
৪. ঐক্য: ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে গণমানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সংহতি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো।
৫. শিক্ষা সংস্কার: জাতীয়ভাবে সর্বজনীন কল্যাণকে সামনে রেখে প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষাকে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে কর্মমূখি শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্টা চালানো।
৬. খেদমতে খালক: খেদমতে খালক বা সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষের সেবা, জালিমের প্রতিরোধ এবং খেটে খাওয়া মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
৭. সমাজ সংস্কার ও অর্থনৈতিক মুক্তি: সর্বস্তরে সুদ, ঘুষ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি ইত্যকার সামাজিক ব্যাধি উচ্ছেদ করে গণবিপ্লবের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ গঠন করা। অপরদিকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে সম্পদের সর্বোত্ত ও সঠিক ব্যবহার, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং কৃষি বিপ্লবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি দুসভিত্তিক সমাজব্যবস্থা উৎখাত করে ইসলামের যাকাত ও হালাল ব্যবসার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা।
৮. অপশক্তি-অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ: জাহেলী অপশক্তি ও অপসংস্কৃতির সয়লাব রোধ করে সুস্থ্য ধারার সৃজনশীল ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর সক্রিয় প্রয়াস চালানো।
৯. অমুসলিম বা সংখ্যালঘুদের অধিকার: অমুসলিম বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান-মাল, ইজ্জত-আবরুর নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান।
১০. গণআন্দোলন: সমাজ ও রাষ্ট্রের অকল্যাণকামী ভোগবাদী ও খোদাদ্রোহী নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে খোদাভীরু দেশপ্রেমিক যোগ্য লোকের নেতৃত্বে ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা।

সাংগঠনিক কাঠামোঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাশে-এর কেন্দ্রীয় কাঠামোতে রয়েছে-
ক. একজন আমীর
খ. মজলিসে সাদারাত (প্রেসিডিয়াম)
গ. মজলিসে শুরা (পরামর্শ পরিষদ)
ঘ. মজলিসে আমেলা (কার্যনির্বাহী পরিষদ)

সাংগঠনিক স্তরঃ
আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত লোকদের সাংগঠনিক মানে উন্নীত করার জন্য তিনটি স্তর রয়েছে:
(ক) সদস্য
(খ) কর্মী
(গ) মুবাল্লিগ।

ক. সদস্য:
যিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাতে একমত হয়ে সদস্য ফরম পূরণ এবং সাপ্তাহিক বৈঠকসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন তিনি আন্দোলনের একজন সদস্য বলে গণ্য হবেন।

খ. কর্মী:
যে সদস্য নিম্মলিখিত ছয়টি কাজ নিয়মিত আঞ্জাম দিবেন তিনি আন্দোলনের কর্মী বলে গণ্য হবেন।
১. নিয়িমিত সাপ্তাহিক, মাসিক বৈঠক ও সভা-সমাবেশে যোগদান।
২. নির্ধারিত হারে নিয়মিত মাসিক এনায়ত (চাঁদা) প্রদান।
৩. নিয়মিত কুরআন-হাদীস, বুজুর্গানেদীনের কিতাব, ইসলামী সাহিত্য ও সাংগঠনিক সিলেবাসভুক্ত বই অধ্যয়ন করা।
৪. নির্ধারিত ফরমে ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ।
৫. তিন ছবকের বাস্তবায়ন (ক. দীন কায়েমের নিয়তে প্রতিদিন দু’রাকাত নামাজ আদায় খ. সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর রাস্তায় দান করা,
গ. মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াতের মাধ্যমে আন্দোলনের সদস্য করা।)

গ. মুবাল্লিগ:
উপরোক্ত পাঁচটি কাজ অব্যাহত রেখে যে কর্মী নিুলিখিত পাঁচটি গুণ অর্জন করবেন তিনি আন্দোলনের সর্বোচ্চ স্তরের অধিকারী অর্থাৎ মুবাল্লিগ হবেন।
১. ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার কাজকে জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানানো অর্থাৎ সকল কাজের উপর আন্দোলনের কাজকে প্রাধান্য দান।
২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উন্নতির-জন্য সার্বক্ষণিক চিন্তা-ফিকির করবেন।
৩. উত্তরোত্তর ইলম-আমল, জান-মাল ও সময়ের কুরবানী বৃদ্ধির চেষ্টা চালাবেন।
৪. সকল প্রকার প্রলোভন ও ভয়কে পরিহার করে আন্দোলেনর জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন।
৫. দশটি মৌলিক দোষ: যথা- কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, মিথ্যা, কীনা, গীবত, কৃপনতা, রিয়া ও বড়াই বর্জন করা এবং দশটি মৌলিক গুণাবলী: যথা- ছবর, শোকর, ভক্তি একীন, ইলম, তওবা, খুলুছ ভয়, তাওয়াক্কুল ও মহব্বত অর্জন করা।

বাইতুল মালঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নীতিমালা অনুযায়ী সংগঠনের সর্বস্তরে বাইতুল মাল বা অর্থ তহবিল থাকবে। দায়িত্বশীল, সদস্য, কর্মী, মুবাল্লিগ, অধঃস্তন শাখাসমূহ, শুভাকাক্সক্ষী ও সহযোগি সংগঠনের নিয়মিত মাসিক এককালিন এয়ানত-ই (চাঁদা) এ আন্দোলনের আয়ের উৎস। প্রকাশ থাকে যে, নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের সার্বিক হিসাব নিরীক্ষা করা হয়।

বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রচলিত কোন দলীয় রাজনীতি নয় বরং এটা দীন কায়েমের এক সর্বজনীন আন্দোলন যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ ও রাসূল সা. নির্দেশিত এবং হযরত সাহাবায়ে কিরামের অনুসৃত পথে পরিচালিত।
২. হক্কানী ওলামা-পীর-মাশায়েখ ও দীনদার বুদ্ধিজীবীদের সমন্বিত নেতৃত্ব।
৩. পরামর্শের ভিত্তিতে (শুরা) সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৪. দেশে বিরাজমান মতাদর্শগত (অর্থাৎ এদেশের মানুষ পুঁজিবাদী, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, চায় না ইসলামী আদর্শভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র চায়) সংকট নিরসনকল্পে গণভোট (রেফারেন্ডাম) ও মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা।
৫. রূহানিয়াত ও জিহাদের সমন্বিত প্রয়াস।
৬. অপশক্তি (ঊারষভড়ৎপব), অপসংস্কৃতি (উবাবষরংয ঈঁষঃঁৎব) ও সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন প্রতিরোধে সোচ্চার কণ্ঠ।
৭. আদর্শ মানুষ গড়ার এক অনন্য সংগঠন।
৮. প্রচলিত ধারার রাজনীতি নয় বরং আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের দায়িত্ব পালনে একটি ঐক্যপ্রয়াসী শক্তি।
৯. ইসলামীবিরোধী নারী নেতৃত্বসহ সকর বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান।
১০. এই আন্দোলনের বিপ্লবী শ্লোগান-
“শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই”

অতএব, দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে উদাত্ত আহ্বান, আসুন দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদানের মাধ্যমে ঈমানী দায়িত্ব পালন করি এবং বাংলাদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বাত্মক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে উভয় জাহানের কামিয়াবী অর্জন করি।

কর্মী /মুবাল্লিগদের দৈনন্দিন আমলঃ
১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়েতে আদায় ও তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করা।
২. প্রতিদিন ফজর ও মাগরিব নামাজের পর কিছু সময় জিকির, অযিফা, তেলাওয়াতে কুরআনসহ নফল ইবাদতের চেষ্টা করা।
৩. নিয়মিত কুরআন-হাদীস, মাসয়ালা-মাসায়েল,আল্লাহর অলীদের কিতাব, আন্দোলনের বই পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করা।
৪. সাধ্য মোতাবেক চলতে-ফিরতে , ওঠতে-বসতে সর্বদা জিকরুল্লাহ ও দরুদ শরীফ জারী রাখা।
৫. দৈনিক সাধ্যানুযায়ী আন্দোলনের দাওয়াত দেয়া।
৬. দীন কায়েমের নিয়তে প্রতিদিন দু’রাকাত নামায (সালাতুল হাজত) আদায় করা।
৭. আল্লাহর পথে পরিমানে কম হলেও নিয়মিত দান করা ও জান-মাল কুরবানীর জন্য আল্লাহর দরবারে তাওফীক কামনা করা।
৮. প্রতিদিনের পারস্পরিক লেনদেন পরিস্কার রাখা এবং আচার-আচরণ সুন্দর হওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখা।
৯. প্রত্যহ কারো কোন উপকার করা।
১০. হালাল উপার্জন ও হারাম থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা।
১১. অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায়ের চেষ্টা করা।
১২. রাতে ঘুমানোর পূর্বে সমস্ত দিনের কাজকর্মের এহতেসাব (আত্মসমালোচনা করে ভুল-ত্র“টির জন্য আল্লাহর দরবারে এস্তেগফার ও ভাল কাজের জন্য শুকরিয়া আদায় করা।
১৩. ঘুমানোর সময় অজু রেখে সুরায়ে ফাতেহা ও সুরায়ে এখলাসসহ দোয়া-দরুদ পড়ার অভ্যাস করা।

আল্লাহ্ আমাদের সকলকে দ্বীন কায়েমের পথে শহীদ অথবা গাজী হিসেবে কবুল করুন-আমীন।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ লক্ষীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শানে রেসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ...
21/11/2024

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ লক্ষীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শানে রেসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর নিযুক্ত হওয়ায় অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীকে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ফুলেল...
21/11/2024

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর নিযুক্ত হওয়ায় অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীকে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ফুলেল শুভেচ্ছা

সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর নিযুক্ত হয়েছেন অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম ও চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ।

আজ সন্ধ্যায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, জ‌য়েন্ট সে‌ক্রেটারি জেনা‌রেল ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ মারুফ শেখ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান।

আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আ হ ম আলাউদ্দীন, দফতর সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদার, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দীক, প্রকাশনা সম্পাদক মাস্টার মাহবুব আলম, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মাওলানা ইউনুছ তালুকদার, বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শীল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এহতেশামুল হক পাঠান, উপ সম্পাদক কে এম শামীম আহমেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বাংলদেশের প্রখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ ও প্রাজ্ঞ আলেম-ওলামাদের মধ্য হতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ১১জন সদস্য নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস গঠন করা হয়েছে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৫ আগামী ০৬ ডিসেম্বর-২৪ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
21/11/2024

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৫ আগামী ০৬ ডিসেম্বর-২৪ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দৃষ্টি হারানোদের পাশে নগর সভাপতি'র নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দ।স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছররা গুলির আঘা...
25/09/2024

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দৃষ্টি হারানোদের পাশে নগর সভাপতি'র নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দ।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছররা গুলির আঘাতে বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানো ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলার হরিপুর ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম সহ আহতদের দেখতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এ যান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নগর সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল হক তালুকদার, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমূখ।

পরিদর্শন শেষে নগর সভাপতি সকলকে নিয়ে আহতদের দ্রুত পরিপূর্ণ শিফার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের যৌথ সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত। এসময়...
18/08/2024

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের যৌথ সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত। এসময় দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে পঙ্গু হাসপাতালে শায়খে চরমোনাইআজ ১৭ আগস্ট ’২৪ শনিবার, বিকালে স্বৈরাচার বিরোধী গণ...
18/08/2024

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে পঙ্গু হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই

আজ ১৭ আগস্ট ’২৪ শনিবার, বিকালে স্বৈরাচার বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও আহতদের দেখতে রাজধানীর শ্যামলী জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অন্যতম অভিভাবক মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়ার সহ-সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, মুফতী মুস্তফা কামাল, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, শেরেবাংলা নগর উত্তর সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি কারী জয়নাল আবেদীনসহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ ।

কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হটিয়েকল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্র...
08/05/2024

কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হটিয়ে
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে
-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসাবে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রতি ন্যূনতম আস্থা নেই। ফলে ডামি নির্বাচন দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হয়। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে হয়। এটা সরকারের জন্য লজ্জার। দেশকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে এখন সরকারকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া দরকার। অন্যথায় সরকারের প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতি দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের খাদে নিপতিত করবে।

মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক শায়খুল হাদীস মকবুল হোসাইন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, জিএম রুহুল আমিন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, হাফেজ মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। তিনি সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে কারা দেশ চালাবে তা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে।

সম্প্রতি 'কালবেলা' সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় "ধর্মান্তরকরণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর নতুন মিশন! বাড়ছে উদ্যোগ।" শিরোনামে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, ভ্রাহ্মণ্যবাদের উস্কানিতে প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশের ইসলামপন্থা ও ধর্মীয় আলেমগণকে নিয়ে এই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। এই সম্পর্ক নষ্ট করতে একটি পক্ষ সবসময় সচেষ্ট থেকেছে।

নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক।প্রধান অতিথিমুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল ...
08/05/2024

নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক।

প্রধান অতিথি
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) সিনিয়র নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

বক্তব্য রাখবেন
দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, বুদ্ধিজীবী, জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সময়: ১০ মে ২০২৪ শুক্রবার, দুপুর ২.৩০মি.

স্থান: নসরুল হামিদ মিলনায়তন, রিপোটার্স ইউনিটি, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।

কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে পাবে।-মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমইসলামী আন্দোলন বাংল...
07/05/2024

কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ
ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে পাবে।
-মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ তাদের হারানো সবধরনের অধিকার ফিরে পাবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে অন্যায়, অবিচার, জুলুম-নির্যাতন থাকবে না। দুর্নীতি-দু:শাসন থাকবে না। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করার সুযোগ থাকবে না। সবধরনের অধিকার ফিরে পাবে। নাগরিক ও ভোটাধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার, সেই অধিকার দেশে নেই। মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষ সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ইসলামের আলোক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবে। মানুষ তখন ইসলাম থেকে আর ফিরে যাবে না। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানেরে দেশে ইসলাম আজ পরাজিত। এই জন্য ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ফিরে আসতে হবে।

সোমবার বগুড়া জেলার শেরপুর পৌরসভাস্থ মহিপুর বাজার ঈদগাহ মাঠে শেরপুর উপজেলা মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ইসলামী সম্মেলনে এলাকার বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম ও মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে শেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়রের আপন ছোট ভাই এবং কুসুম্বি ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত বর্তমান সফল চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলম পান্না এবং শেরপুরের সাবেক এমপি জনাব গোলাম মো. সিরাজুল ইসলামের পিএস পৌরসভা বিএনপির সহ-সভাপতি জনাব আজিজুর রহমানও সদস্য ফরম পুরণের মাধ্যমে নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাইর হাতে হাত রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ যোগদান করেন। উভয়ই বাকি জীবন ইসলামের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি একমাত্র ইসলাম। ইসলামের সৌন্দর্য এবং মানবতার মুক্তি ফিরে পেতে সকলকে ইসলামের সুমহান ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে। তিনি বলেন, চলমান প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে একদল অন্য দলের কাছে নিরাপদ নয়। কিন্তু ইসলামে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই নিরাপদ। এজন্য উচিত রাজনীতিতে গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন ফিরিয়ে আনতে ইসলামের পথে ফিরে আসা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাগুরা সদর শত্রুজিৎপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি ওসমান গনি মুসাপুরীকে দেখতে হসপিট...
07/05/2024

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাগুরা সদর শত্রুজিৎপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি ওসমান গনি মুসাপুরীকে দেখতে হসপিটালে যান দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী সহ আরো অনেকে।

মধুখালীর ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েব আমিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং খুনিদের শাস্তির দাবি...
07/05/2024

মধুখালীর ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েব আমিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং খুনিদের শাস্তির দাবি জানান।

ফরিদপুর জেলাধীন মধুখালী থানার অন্তর্গত পঞ্চপল্লী এলাকায় সংগঠিত হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হাফেজ আশরাফুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম এবং রহিম আফরোজ এর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই।

উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুফতি মোস্তফা কামাল সহ জেলা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, সেক্রেটারি হাফেজ মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহিদুল আলম সহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।

মুফতি ফয়জুল করিম মধুখালীতে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে শাহাদত বরণ কারী আশরাফুল ও আসাদুল এর কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ খবর নেয়া সহ শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা দেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ফরিদপুরের মধুখালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগকে কেন্দ্র করে অগ্রবাদীদের পিটুনিতে শাহাদাত বরণকারী দুই সহোদর ভাই সহ আহতদের যথাযথ চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সাথে আগামী বুধবারের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে ৩ মে ঢাকা মহানগর সহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে সমাবেশ করা হবে। এরপরও সরকারের কর্ণপাত না হলে পরবর্তীতে আরো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন মধুখালীর ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন শহীদ পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে। অবিলম্বে ঘটনার মূল নায়ক ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যান সহ উগ্রবাদী হিন্দুদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

এ সময় নেতৃবৃন্দ আহত ও নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

14/02/2024

গোল টেবিল বৈঠক

সভাপতির বক্তব্য দেন-
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম
পীর সাহেব চরমোনাই

Address

55/B, Noakhali Tower, Purana Paltan Dhaka, Dhaka Division
Dhaka
1000

Telephone

+88029567130

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when IAB News-24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to IAB News-24:

Share