06/06/2025
ি_পোস্ট
🚦সতর্কতা মূলক🚦
বাইক টা দিছে শ্বশুরমশাই
আব্বা দিছে তেল,
তাই তো আমার গতির সাথে
জেট বিমান ও ফেল।
দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটুক
আমার কিসের ভয়,
গেলে যাবে বাপ-শ্বশুরের
আমার কিছু নয়।
চলরে আমার মোটরগাড়ি
জোরসে মারো টান,
কে কি বলে শুনব না আজ
ধরছি চেপে কান।
আহা হা হা কি মনোরম
গাঁয়ের বাঁকা রাস্তা,
ছয় শ কিলো ঘুরে এসে
করব রে আজ নাস্তা।
এমন গতি তুলবরে আজ
আমার গতি দেখে,
থমকে যাবে পথের পথিক
পন্থ চলা রেখে।
গতির চোটে কাঁপছে মানুষ
উড়ছে পথের ধুলো,
লাফিয়ে উঠছে পথের ধারের
বান্ধা ছাগল গুলো।
গতি আরও বাড়িয়ে দিলাম
পথটা পেয়ে সরু,
হঠাৎ দেখি সামনে আমার
বিশাল বড় গরু।
ধাক্কা লেগে হুন্ডা আমার
পড়ল গিয়ে খাদে,
আমার তখন হুঁশ ছিল না
ফিরছে দুদিন বাদে।
দু দিন বাদে জ্ঞান ফিরলে
চেয়ে দেখি ভাই,
আমার যে দুই পা ছিল
তার একটা সাথে নাই।
সকল কিছু শোনার পরে
চমকে গেল গা,
বাইকটা না কি ঠিকই আছে
আমার গেছে পা।
আমার শখের বাইকে এখন
অন্য মানুষ চড়ে,
পা হারিয়ে কান্দি আমি
বন্ধি হয়ে ঘরে।
ঘরে বসে ভাবি যদি
পা টা পেতাম ফিরে,
তিড়িং বিড়িং ছেড়ে
আমি বাইক চালাতাম ধীরে।
মনরে বলি মন যদি তুই
বুঝতে দু দিন আগে,
তবে কি তোর পা হারিয়ে
পঙ্গু হওয়া লাগে!
এধরনের মানসিকতা পরিহার করুন ধীরে আস্তে গাড়ি চালান, জীবন অনেক দামি। গতির ক্ষতি!
কবিতার মাঝে বাস্তবতা ফোটে উঠেছে। সামনে ঈদ, তাই সতর্কতা.......
পোস্ট করা, প্রতি ঈদেই এভাবে অনেক মায়ের বুক খালি হয়।