20/06/2023
মাদারীপুর সদরে বাবু নামের এক মাদক বিক্রেতার কারণে ধংশের দিকে যুবসমাজ
মাদারীপুরের ঝাউদি ও আলিনগর ইউনিয়নের সীমানা এলাকায় মাদক বিক্রির করে যুবসমাজকে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে
জহিরুল ইসলাম বাবু নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে এবিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে অপমান ও লাঞ্ছিত হয়েছে এলাকার অনেকই। বিষয়টি অনুসন্ধানে গেলে এ-সব তথ্য বেরিয়ে আসে সংবাদ কর্মিদের কাছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সদর উপজেলা ঝাউদি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের হোগলপাতিয়া (নদীর পূর্বপাড়) গ্রামের আক্তার বেপারির ছেলে বাবু প্রবাস থেকে এসেই এলাকার কিছু বখাটে যুবকদের নিয়ে মাদক (ইয়াবা) বিক্রির পাশাপাশি সেবনও শুরু করেন। এলাকার কয়েকজন বাধা দিলে তাদেরকে অপমান লাঞ্ছিত করা হয়। বাবুর কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন এলাকাবাসি। তবে বাবু গ্রুপের মারধর শিকারের ভয়ে কেউ প্রকাশে প্রতিবাদ করতে পারছেনা। তাই এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা। আরও জানাযায়, হোগলপাতিয়া গ্রামের সাথে রয়েছে কালকিনি উপজেলা আলিনগর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকা, একসময়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত (সর্বহারা) দলের লোকজন এ-সব অঞ্চলে বসবাস করতো। কারণ এসব এলাকায় যাতায়াতের ভালো কোন ব্যবস্থা নেই। এ-ই বাবুর বাড়ির সদর উপজেলার মধ্যে হলেও নদীর পূর্বপাড়ে তার বসবাস। তাই বেশির চলাচল কালকিনির আলিনগর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকায়। প্রায় একমাস আগে বাবু বিয়ে করে সদর উপজেলার টুবিয়া গ্রামে। বিয়ের একসপ্তাহ যেতে না যেতেই বাবু মাদক সেবন করে বাড়িতে এসে মারধর শুরু করতো সদ্য বিবাহিত গৃহবধূকে। মারধর ও নির্যাতন সইতে না পেরে ঐ গৃহবধূ পাশের এক বাড়িতে গিয়ে নির্যাতনের কথা জানায় এবং তাদের সহায়তায় বাবার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয়। খবর পেয়ে গৃহবধূর বাবা তাকে উদ্ধার করে টুবিয়া বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শালিস মিমাংসা হওয়ার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশে জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, আক্তারের ছেলে বাবু বিদেশ থেকে এসেই ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি শুরু করেছে। এতে এলাকার যুবসমাজ ধংশের দিকে চলে যাচ্ছে। বাবু কয়েকজন নিয়ে গ্যাং বানাইছে, এলাকার সবাই ওরে বেয়াদব ছেলে হিসেবে জানে। কেউ কিছু বললে তাদেরকে অপমান করে। তাই মাদককে ভয়াল ছোবল থেকে যুবসমাজকে বাচাতে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
উক্ত বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য জহিরুল ইসলাম বাবুর বাড়ি গেলে সে, মুঠোফোনে জানতে চান কে আপনাদের পাঠাইছে?। এ-র ৫/৭ মিনিট পরে ফোন করে মুঠোফোনে মাদক ব্যবসায়ী বাবু সাংবাদিকদের মেরে বস্তা ভরে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়।