17/08/2023
করিম মিয়ার বয়স এখন ৮০+। জীবনের শেষ ধাপে। ছেলে মেয়েরা বড় হয়েছে। যে যার মতো করে জীবন গড়ে নিয়েছে। করিম মিয়া এই বয়সে বউয়ের নামে তখন একটা ফ্লাট কিনেছেন। পোস্ট অফিসের জমানো টাকাটা বউয়ের নামেই রাখলেন। ব্যাংক ব্যালেন্স, পেনশনের টাকা তখন আর নমিনি নয়, একদম বউয়ের নামেই জমা রাখলেন। অথচ যৌবনে এতে ছিলো বড্ড ভয়। বউ যদি তার টাকা নিয়ে অন্য কারো সঙ্গে চলে যায়!
তখন তার জন্য ছিলো কঠোর কিছু নির্দেশনা। বাবা মায়ের কথা শুনে বউ কে এসে পরামর্শ দেওয়া ছিলো প্রতিদিন এর রুটিন। স্ত্রীর সামান্যতম শখ ছিলো পাহাড় সমান বিলাসীতা। ছিল না তার ছোট্ট ছোট্ট চাওয়া পাওয়ার গুরুত্ব। ছিল না তার প্রতি একটু সম্মানবোধ । ভবিষ্যতে একসাথে জীবন মরনের অপেক্ষা গুনবে ছিলোনা তার চিন্তা ভাবনা।
বৃদ্ধকালে বলা চলে এখন তিনি একদম বউয়ের আঁচলে। এখন তার বাবা মা,ভাই বোন আর পৃথিবীতে নেই।
ছেলে মেয়েগুলো তাদের যে যার মত সংসার সামলাচ্ছে।তাই একমাত্র স্ত্রী ছাড়া তার আর অন্য কোন অপশন ও নেই । হয়তো বাবা মা জীবিত থাকলে বেশিরভাগ পুরুষই স্ত্রীর মান সম্মানের প্রতি সচেতন থাকে না। যৌবন থাকতে একটু কথাকাটাকাটি তে বউকে বলতেন আমার ঘর থেকে বের হয়ে যাও, আমার কোন কিছুই তোমার নয়। আর বৃদ্ধ বয়সে এসে বলছেন, আমার সব সম্পদ তোমার, প্লিজ আমার সেবা করো।
আহা !
পুরুষ এটা বুঝে না, যৌবনে যার সাথে গভীর প্রণয় হলো না, বৃদ্ধ বয়সে তাকে আটকিয়ে কি লাভ! বৃদ্ধ পুরুষটির সাথে তার স্ত্রীরও তখন এক পা কবরে। এতো সম্পদ দিয়ে স্ত্রী তখন কি করবে, যার যৌবনে একটা শখ পূরণ করতে সারারাত কাঁদতে হয়েছে!
(সংগৃহীত)