
20/09/2025
জরিপ অনুযায়ী
বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষ দৈনিক ফেসবুকে সক্রিয়। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ তরুণ তরুণী নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে মনিটাইজেশনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন । এদের মধ্যে বিরাট একটি অংশ রাতারাতি বড় হতে কেবল ভিউ ও লাইক বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। মানসম্মত কিংবা শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরির চেয়ে ট্রেন্ডি বা বিতর্কিত বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী !
জনপ্রিয়তার নেশায় তরুণরা মানসিক চাপ ও হতাশার দিকে ঝুকে পড়ছে । লাইক,শেয়ার এবং ইনকাম এর হিসাব কষতে কষতে তারা বাস্তব জীবন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।হতাশা হয়ে শেষপর্যন্ত শুরু করে মানহীন এবং অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি! এতে আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পরছে !
ফেসবুক মনিটাইজেশন একটি ইতিবাচক সুযোগ। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না হলে অর্থ ও খ্যাতির পেছনে ছুটতে গিয়ে নৈতিকতা, ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক মূল্যবোধ হারাচ্ছে !
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক মনিটাইজেশনকে শিক্ষামূলক, তথ্যসমৃদ্ধ, সংস্কৃতিমূলক বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা উচিত। তারা মনে করেন অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষাই প্রকৃত সাফল্য।
সুতরাং রাতারাতি বড় ক্রিয়েটর এবং মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য অস্তির না হয়ে ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করুন একটু সময় লাগলেও টিকে থাকতে পারবেন বহু দিন !
হাছনাইন সিকদার