Sumaiya Afroz : সুমাইয়া আফরোজ

Sumaiya Afroz : সুমাইয়া আফরোজ ভালোবাসা হলো বেইমানি করা, বিশ্বাস নিয়ে মজা করা, মন নিয়ে খেলা করা, কসম কেটে মিথ্যা promise. করা!

°মানুষ তো শুধু কথাতেই আপন°বাস্তবতার আঘাত যখন বুকের ভেতর ধাক্কা দেয়, তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়—কারা সত্যিই আমাদের আপন, আর কারা ...
07/05/2025

°মানুষ তো শুধু কথাতেই আপন°

বাস্তবতার আঘাত যখন বুকের ভেতর ধাক্কা দেয়, তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়—কারা সত্যিই আমাদের আপন, আর কারা শুধুই মুখের কথায় আপন সেজে থাকে।

কথার ফুলঝুরি দিয়ে আপন হওয়া সহজ, কিন্তু দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোই প্রমাণ করে কে সত্যিকারের আপন। জীবন যখন কঠিন মোড় নেয়, তখন অনেক মুখোশ খুলে পড়ে, সম্পর্কের আসল রূপ ধরা দেয়। তবুও আমরা বারবার বিশ্বাস করতে চাই, হয়তো এবার কেউ তো থাকবে, কেউ তো সত্যিকারের "আপন" হয়ে হাতটা ধরবে।

কিন্তু বাস্তবতা নির্মম। এখানে আবেগের চেয়ে প্রয়োজন বড়, সম্পর্কের চেয়ে স্বার্থের দাম বেশি। তাই তো দেখা যায়, বিপদে পড়লে যাদের উপর ভরসা করেছিলাম, তাদের বেশিরভাগই হারিয়ে যায়। যারা থাকে, তারা শব্দের বাহার দেখিয়ে দূর থেকে সহানুভূতির অভিনয় করে।

আসলে, জীবন একেবারে সহজ সরল নয়। এখানে নিজের ছায়াটুকুও কখনো কখনো সঙ্গ ছাড়ে। তাই হয়তো জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা এটাই—কথায় নয়, কাজে যারা পাশে দাঁড়ায়, তারাই প্রকৃত আপন।
কেউ আপন হোক বা না হোক, নিজেকে আপন করে ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় শক্তি। কারণ দিনের শেষে নিজের হাতটাই সবচেয়ে শক্তপোক্ত ভরসা।

"বাস্তবতা শেখায়, মানুষ বদলায়… আর তাতেই বোঝা যায়, কে শুধু কথায় আপন, আর কে হৃদয়ে আপন!"

পৃথিবীতে কোনো কিছুরই লাইফ টাইম গ্যারান্টি থাকে না। সে যেভাবেই হোক, হারাবেই! আর মানুষ? এ তো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষণস্থা...
06/05/2025

পৃথিবীতে কোনো কিছুরই লাইফ টাইম গ্যারান্টি থাকে না। সে যেভাবেই হোক, হারাবেই! আর মানুষ? এ তো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী জিনিস! পরিস্থিতি আর বাস্তবতায় কত মানুষ সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যায়!

খুব বেশি হলে, মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যুর দিন অবধি আপনাকে মনে রাখবে। তারপর মৃত্যুর সাথে সাথে আপনার নামটাও বিলীন হয়ে যাবে! বেঁচে থাকতেই কত মানুষ হারাবেন। নিজের অবস্থানে সবসময় আপনি যেমন, তেমনই থাকবেন। চোখের সামনে অনেক মানুষকে বদলে যেতে দেখবেন, তবে নিজেকে সহজে বদলাতে পারবেন না।

মানুষ ততক্ষণ অবধি আপনাকে মনে রাখবে, যতক্ষণ আপনি তার কাছে বিন্দুমাত্র প্রয়োজনীয়। মানুষের জীবন সবচেয়ে বেশি পরিবর্তনশীল। পরিস্থিতি মানুষকে বদলে যেতে বাধ্য করে।যাকে কেন্দ্র করে আপনি নিজেকে সুখী ভাবতে শুরু করবেন, বাস্তবতা তাকে কেড়ে নিতে খুব বেশি সময় লাগবে বলে মনে হয় না!

জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে এসে কত মানুষের সাথে পরিচয়, তাদের মধ্যে ঠিক ক'জনকে আপনি নিজে মনে রেখেছেন? ক'জনের সাথে আপনার যোগাযোগ হয়?

নিয়তির নিঠুর খেলায় মানুষ হারানোর পরেই মানুষকে চিনতে পারে–মানুষের মূল্য বুঝতে পারে। তবে হারানোর আগে, কেউ কারো মূল্য সহজে বুঝতে পারে না–কস্মিনকালেও না!

জীবনে কিছু সম্পর্ক কখনো হারায় না। সময়ের ব্যবধান বাড়তে পারে, যোগাযোগ কমে যেতে পারে, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে তারা থেকে যায়—একট...
05/05/2025

জীবনে কিছু সম্পর্ক কখনো হারায় না। সময়ের ব্যবধান বাড়তে পারে, যোগাযোগ কমে যেতে পারে, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে তারা থেকে যায়—একটি স্মৃতি হয়ে, একটি অনুভূতি হয়ে।

একজন মানুষ যখন তার অতীতের দিকে ফিরে তাকায়, তখন শৈশবের সেই বন্ধুর কথা মনে পড়ে, যার সঙ্গে বহু বছর কোনো কথা হয়নি, তবুও পুরনো কোনো ছবি বা বিশেষ কোনো মুহূর্ত হঠাৎ স্মৃতিতে এলে এক ধরনের উষ্ণতা অনুভূতি হয়। কিংবা সেই মানুষগুলোর কথা, যারা তার জীবনের কঠিন সময়ে পাশে ছিল—একটি সহানুভূতির স্পর্শে, একটি উৎসাহমূলক কথায়, কিংবা নিছক উপস্থিতি দিয়েই যাদের সঙ্গ তাকে শক্তি দিয়েছে, আশ্বস্ত করেছে।

একজন মানুষ তার শিক্ষাজীবনের দিকে তাকিয়ে দেখেন সেই শিক্ষকের কথা, যিনি তার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন, যখন সে নিজেও নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছিল না। হয়তো সেই শিক্ষকের বলা কিছু কথা আজও তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, তার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।

কখনো কখনো জীবনে এমন কিছু অপরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয়, যাদের সাথে আর কখনো দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবুও একটি বিশেষ মুহূর্তের কারণে তারা মনের গহীনে জায়গা করে নেয়। হয়তো সেটা কোনো সহযাত্রী, কোনো দোকানদার, কিংবা রাস্তায় দেখা হওয়া কেউ, যার একটি ছোট্ট আচরণ বা হাসি তার হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে যায়।

পরিবার কি শুধু রক্তের সম্পর্কের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়? একজন মানুষ বুঝতে শেখে যে জীবনে কিছু মানুষ আসে, যাদের সাথে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই, তবুও তারা হয়ে ওঠে সবচেয়ে আপনজন। যারা পাশে থাকে, যারা তার স্বপ্নের অংশীদার হয়, যারা প্রতিটি ছোট-বড় অনুভূতি বোঝে—তারা কি ভালোবাসার যোগ্য নয়?

কিছু মানুষ দূরে চলে যায়, কিছু মানুষ থেকে যায়। কেউ ভালোবাসা দিয়ে শেখায়, কেউ দূরত্বের মাধ্যমে জীবনের আরেকটি বাস্তবতা বোঝায়। কেউ এমনভাবে ভালোবাসতে শেখায়, যা সে আগে কখনো বুঝতে পারেনি।

যদি একজন মানুষ তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে আসা মানুষগুলোর কথা মনে করে, তাহলে সে বুঝতে পারে—তার জীবনের অনেক মানুষ কখনো না কখনো তার হৃদয় ছুঁয়েছে। তাদের কেউ হয়তো আজও তার জীবনে আছে, কেউ হারিয়ে গেছে, কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো, সেই অনুভূতিগুলো চিরস্থায়ী।

কারণ ভালোবাসা কেবল উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে না। এটি অনুভূতির গভীরতায়, স্মৃতির উষ্ণতায়, এবং সেইসব মানুষদের ছোঁয়ায় প্রকাশ পায়, যারা তার সত্যিকারের সত্তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যারা একদিন কারও হৃদয় ছুঁয়েছে, তারা সবসময় ভালোবাসার যোগ্য।।

05/05/2025

সবাই কাঁদাতে জানলেও সবাই কিন্তু কান্না মুছে দিতে জানেনা।আঘাত দিতে জানলেও তা ভুলিয়ে দিতে জানেনা।আর এখানেই মানুষে মানুষে পার্থক্য।

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী তরল পদার্থ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, হয়তো কেউ বলবে পারফিউম, কেউ বলবে সোনা গলানো লবণ। কিন্তু আসল দামী তরলটি কী জানো? একটি অশ্রু। হ্যাঁ, মাত্র ১% পানি আর ৯৯% অনুভূতি দিয়ে তৈরি সেই অশ্রু—যার মূল্য মাপে না কেউ, কিন্তু বহন করে হৃদয়ের সবচেয়ে গভীর ব্যথা, ভালোবাসা, বা অপূর্ণতা।

একটি অশ্রু কেবল চোখ থেকে ঝরে পড়া জলবিন্দু নয়—এটি এক একটি নিঃশব্দ আর্তনাদ। একটি মুহূর্তের অনুভব, যা অনেক কথার চেয়েও গভীর। কখনো তা হয় ভালোবাসার ছোঁয়া, কখনো বিচ্ছেদের আর্তি, কখনো আনন্দের বিস্ময়, কখনোবা ভেতর থেকে ফেটে বের হওয়া অসহায়তা।

আমরা অনেক সময় কথায় বা আচরণে অন্যকে আঘাত করি—হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে, হয়তো অসচেতনভাবে। কিন্তু সেই একেকটি আঘাত গড়ে তোলে অশ্রুর নদী। তখন যে কান্না আসে, তা শুধু চোখ ভেজায় না, সম্পর্ককে ভেঙে দেয়, বিশ্বাসকে জ্বালিয়ে দেয়, এবং আত্মার গভীরে দাগ ফেলে।

একজন মানুষের চোখে যখন জল আসে, সেটা কেবল দুঃখের বহিঃপ্রকাশ নয়—সেটা হয়তো অনেক দিনের চাপা কষ্টের বহিঃপ্রকাশ, হয়তো একটি শব্দের অসাবধানতাজনিত ধাক্কা। সেই অশ্রু যদি আমরা বোঝার চেষ্টা করি, তাহলে হয়তো বুঝব—সবচেয়ে সহজ কাজ হলো কাউকে কষ্ট দেওয়া, আর সবচেয়ে মানবিক কাজ হলো কাউকে কষ্ট না দেওয়া।

ভালোবাসা দিয়ে সম্পর্ক গড়ে উঠে, শ্রদ্ধা দিয়ে তা টিকে থাকে। অথচ একটি অবহেলা, একটি কড়া কথা, একটি মুহূর্তের রাগ—তাই ভেঙে দিতে পারে অমূল্য সম্পর্ক। আমরা যদি একটু থামি, একটু বুঝি, একটু সহানুভূতিশীল হই—তাহলে হয়তো এই পৃথিবীতে অনেক কম পড়বে এই "সবচেয়ে দামী তরলটি"।

শেষ কথা:

একজন মানুষ কাঁদলে তুমি তার চোখে শুধু পানি দেখো না—দেখো তার হৃদয়ের শব্দহীন আর্তি। দেখো তার ভাঙা বিশ্বাস, অথবা অপূর্ণ ভালোবাসা।

তাই, কথা বলার আগে, কাজ করার আগে—একবার ভাবো। তুমি যা বলছ বা করছ, তা কি কারো চোখে এনে দেবে সেই দামী অশ্রু?
ভালোবাসা, সহানুভূতি, আর নরম আচরণ—এই পৃথিবীতে এগুলোর বিকল্প নেই।

তোমার একটু কোমলতা হয়তো থামিয়ে দিতে পারে কারো ভেতরের ঝড়। সেই দায়িত্ব কি তুমি নিতে পারো না

04/05/2025

সমস্ত যোগাযোগ থেকে আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হতে হতে আমাদের কাছে যখন আর কোনও মানুষ থাকে না যোগাযোগ করার মতো, শত শত নাম্বারে ভর্তি ফোনটায় যখন একটাও নম্বর থাকে না ফোন করার মতো, ফ্রেন্ডলিস্টে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে একটাও মানুষ থাকে না বন্ধু বলার মতো, কিংবা সবুজবাতির মেলা বসা ম্যাসেঞ্জারে যখন একটাও মানুষ থাকে না মেসেজ করার মতো; তখন আমরা বেঁচে থাকার তাগিদে যা শিখে নিই তার নাম এক্সেপ্টেনস। মেনে নেওয়া। ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকেও একলা হওয়া এক অদ্ভুত যন্ত্রণা। ভালোবাসার কাঙাল হয়েও জড়িয়ে ধরার মতো একটা মানুষ না থাকা এক অদ্ভুত যন্ত্রণা। অনেক কথা বলার পরে কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া এক অদ্ভুত যন্ত্রণা। সামলে ওঠা যায় না। তবু বেঁচে তো থাকতেই হয়। তুমুল যন্ত্রণার শেষে সত্যিটুকু মেনে নেওয়াই হলো সেই ওষুধ যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।

কথা বলার একটা মানুষ নেই তো নেই, জড়িয়ে ধরার একটা মানুষ নেই তো নেই, বন্ধুত্বের বিকেল নেই তো নেই, স্বস্তির একটা কাঁধ নেই তো নেই। আমি আছি, আমাকে থাকতে হবে, আমি থাকবো। কেউ থাকুক ছাই না থাকুক। এইটুকুই...

জীবনের পথে চলতে গেলে অগণিত মানুষের সাথে দেখা হবে।ভিড়ের ভেতর দিয়ে এগোতে হবে, হাজার রকম কথা কানে আসবে।কিন্তু আপনার কাজ—শ...
04/05/2025

জীবনের পথে চলতে গেলে অগণিত মানুষের সাথে দেখা হবে।
ভিড়ের ভেতর দিয়ে এগোতে হবে, হাজার রকম কথা কানে আসবে।
কিন্তু আপনার কাজ—শান্ত থাকা। ইগনোর করা।

সবাইকে সন্তুষ্ট করার দায় আপনার নয়।
জীবনে কিছু মানুষ আসবে, যারা শুধুই বিষ ছড়াবে।
তাদের থেকে দূরে থাকতে শিখুন। নিজের মানসিক শান্তির দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।

মন খারাপ হলেও মানতে হবে—
আপনি যাদের বন্ধু ভাবেন, তাদের মধ্যেও কেউ কেউ আপনার ব্যর্থতা দেখতে চায়।
আপনার কষ্টে তারা যেন অদৃশ্য আনন্দ খোঁজে।
এই বিষাদের খেলায় আপনি সামিল হবেন না।

তর্কে যাবেন না, নিজেকে প্রমাণ করতে যাবেন না।
কেউ যদি আপনাকে নিয়ে হাসে, তাচ্ছিল্য করে—হেসে উড়িয়ে দিন।
আপনার সময় এবং এনার্জি মূল্যবান, এটা অপচয় করবেন না।

নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন।
শিরদাঁড়া সোজা করে চলুন।
সত্যিকারের বিজয়ীরা কখনও ব্যাখ্যা দেয় না, তারা কাজ দিয়ে প্রমাণ করে।

যখন অন্যরা আপনাকে নিয়ে সমালোচনায় মেতে থাকবে,
তখন আপনি নিজের জীবন রঙিন করে তুলুন।
বই পড়ুন, গান শুনুন, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান, ভ্রমণ করুন, গাছ লাগান, ছবি আঁকুন, উপাসনা করুন।
নিজেকে ভালোবাসুন।

সব কথার উত্তর দিতে নেই।
সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে নেই।
সবাইকে সন্তুষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।

দিনশেষে আপনি জানেন—
আপনি কে, আপনার কতটুকু মূল্য।
আর সত্যিকার যারা আপনাকে ভালোবাসে, তারাই আপনার পাশে থাকবে।
বাকিদের জঞ্জাল ভেবে ঝেড়ে ফেলুন।

জীবন সুন্দর। পথচলাটা সুন্দর।
শুধু মাঝে মাঝে আগাছা সাফ করে এগিয়ে যেতে হয়।

"চলার পথে আবর্জনা আসবে, কাঁটা ছড়াবে...
কিন্তু মনে রাখবেন, জীবন আপনার।
নিজের শান্তির জন্য কখনোই মাথা নত করবেন না।
মুক্তির রাস্তা নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়।

04/05/2025

আধপেট খেয়েও নারী থেকে যায়, রাখতে জানলে... আধাবেলা বকুনির পর, একটু আহ্লাদী কথায় নারী ভুলে যায় তার অভিমান-অভিযোগ। জগতের সবচেয়ে কোমল আর কঠিন বোধহয় নারী। কখনো অভিমানী, কখনো উগ্রতা, আবার কখনো কান্না মিশিয়ে একটা সম্পর্ক আঁকড়ে রাখার প্রথম আর শেষ চেষ্টাটা নারীই করে।

নারীকে রেখে দেওয়া সহজ– একটু মিষ্টি কথার ফুলঝুরি, অথবা বাড়তি ভুল প্রশংসাতেও নারী থেকে যায়। নগর ঘুরে, ঘরে ফিরে, একটা মৃদু হাসিতে কোমলতা মাখিয়ে ❝কেমন আছো?❞ প্রশ্নেও নারী থেকে যায়। একটু মনোযোগে নারী ভালোবাসে ছারখার হয়ে, চুরমার হয়ে।

কঠিন নারী প্রেম পেলে সহজ... নারীকে নরমে, আদরে রেখে দিতে পারলেই নারী থেকে যায়। দশ টাকার একটা সতেজ গোলাপেও নারীকে রেখে দেওয়া যায়! শুধু রাখার মতো চেষ্টাটুকু নারী বুঝতে পারলেই থেকে যায়।

একটু প্রেমে, একটু জেদে, একটু যত্নে নারীকে রাখা যায়... নিজের করে, ভুবন বানিয়ে। আমরা রাখতে পারি না বলেই, নারী থাকতে পারে না। সম্পর্কের আশেপাশে আগাছা সরিয়ে রাখলেই নারী থেকে যায়, বেসে যায় অসীম ভালো।

03/05/2025

রায়হান একা থাকে শহরের এক ছোট্ট ফ্ল্যাটে। বাইরে থেকে দেখে সবাই ভাবে, সে খুবই স্বাভাবিক—চাকরি করে, হাসে, কথা বলে। কিন্তু সে লুকিয়ে রাখে একটা গোপন সত্য। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। আয়নায় সে দেখতে পায় এক অন্য রায়হান—যে চোখে তাকিয়ে হাসে, কিন্তু কণ্ঠ নেই।

প্রথমদিকে সে ভেবেছিল, এগুলো কল্পনা। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই আয়নার মানুষ তার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে—মনের কথা, ভয়, অপমান, শৈশবের স্মৃতি, হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের কথা।

রায়হান বুঝতে পারে, এই আয়নার রায়হান আসলে তার ভেতরের দমন করা 'আমি'—যে কাঁদতে চায়, প্রতিবাদ করতে চায়, ভালোবাসা চায়।

এক রাতে রায়হান ঠিক করে—সে পালাবে না। সে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে ফেলবে। সেই রাতের পর আর আয়নার মানুষ কথা বলে না। সে ফিরে যায়, কারণ রায়হান নিজের আসল সত্তাকে স্বীকার করে নিয়েছে।

---

💫যখন সবকিছু পরিকল্পনামতো হয় না:- ১০টি শিক্ষার➤➤➤জীবন অনিশ্চিত—আমরা যতই পরিকল্পনা করি না কেন, অনেক কিছুই প্রত্যাশিতভাবে ঘ...
02/05/2025

💫যখন সবকিছু পরিকল্পনামতো হয় না:- ১০টি শিক্ষার
➤➤➤

জীবন অনিশ্চিত—আমরা যতই পরিকল্পনা করি না কেন, অনেক কিছুই প্রত্যাশিতভাবে ঘটে না। ব্যর্থতা, মানসিক চাপ ও আবেগগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কীভাবে সৌম্যভাবে চলা যায়, তার সহজ কিন্তু গভীর নির্দেশনা দরকার হয়। প্রতিকূলতা মানে শেষ নয়, বরং এগুলোই আত্মোন্নয়ন এবং শান্তির নতুন পথ।

কিন্তু আমরা কীভাবে জীবনের এই অনিশ্চয়তাগুলোকে গ্রহণ করতে এবং ভালোবাসতে শিখব?

যখন সবকিছু তোমার ইচ্ছেমতো হয় না—তখন শিখে নাও এই ১০টি শিক্ষা

১. গ্রহণ করলেই আসে শান্তি
বাস্তবতাকে অস্বীকার করলে শুধু কষ্টই বাড়ে। কী হওয়া উচিত ছিল সেটা না ভেবে, যা হয়েছে সেটাকে মেনে নেওয়া মানে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।

২. আবেগ স্থায়ী নয়
কোনো অনুভূতি—দুঃখ, রাগ বা হতাশা—চিরস্থায়ী নয়। এগুলো ঢেউয়ের মতো আসে ও যায়। এটা বোঝা গেলে আবেগের তোড়ে ভেসে যাওয়ার ভয় কমে।

৩. নিজের প্রতি সদয় হও
সবচেয়ে কঠিন সমালোচক আমরা নিজেরাই। কঠিন সময়ে নিজের প্রতি মমতা ও দয়া দেখালে আত্মনিরাময় দ্রুত হয় এবং সিদ্ধান্তও হয় সঠিক।

৪. নিয়ন্ত্রণের মায়া থেকে মুক্ত হও
আমাদের অধিকাংশ কষ্ট আসে এমন কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়ার চেষ্টা থেকে, যা আমাদের হাতেই নেই। ফলাফলের ওপর জোর না দিয়ে জীবনকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করলে শান্তি আসে।

৫. দৃষ্টিভঙ্গিই পার্থক্য গড়ে দেয়
ঘটনা যত খারাপ মনে হয়, সেটা পুরোপুরি নির্ভর করে আমরা কেমন করে তা দেখি। "আমার সঙ্গে কেন এমন হলো?" এর বদলে "আমি এটা থেকে কী শিখতে পারি?" ভাবলে সমস্যা হয়ে ওঠে শেখার ক্ষেত্র।

৬. থামো ও নিঃশ্বাস নাও
চাপের মুহূর্তে একবার থেমে গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া অনেক বড় ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। ধীরে চললে প্রতিক্রিয়া হয় বুদ্ধিমানের মতো, আবেগপ্রবণ নয়।

৭. তুলনা মানেই অস্বস্তি
অন্যের সাফল্যের সঙ্গে নিজের কষ্টের তুলনা করলে শুধু অশান্তি বাড়ে। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা—নিজের পথে মনোযোগ দিলে জীবনের অর্থ বাড়ে।

৮. ব্যথাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
কষ্টের অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায়। ব্যথা এড়িয়ে না গিয়ে, কৌতূহল নিয়ে গ্রহণ করলে তা হতে পারে আধ্যাত্মিক ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের সুযোগ।

৯. কৃতজ্ঞতা বদলে দেয় হৃদয়ের রঙ
কঠিন সময়েও কিছু না কিছু থাকার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া যায়। কী নেই সেটা না ভেবে কী এখনো আছে সেটাতে মনোযোগ দিলে অন্ধকারেও আলো খুঁজে পাওয়া যায়।

১০. ছেড়ে দাও, এগিয়ে যাও
অতীত আঁকড়ে থাকলে বর্তমান

একজন শিক্ষক বলতেন— জীবনে যা কিছুই করো না কেন, নিজের সুখের চাবিকাঠি অন্য কারো হাতে তুলে দিও না। কখনোই কারো ওপর এত বেশি নি...
02/05/2025

একজন শিক্ষক বলতেন— জীবনে যা কিছুই করো না কেন, নিজের সুখের চাবিকাঠি অন্য কারো হাতে তুলে দিও না। কখনোই কারো ওপর এত বেশি নির্ভরশীল হবে না যে, তাদের সামান্য অবহেলাতেই তোমার মন খারাপ হয়ে যায়, বিশেষ করে মানসিকভাবে।

তোমার মন খারাপ? তাহলে হেমন্তের গান শুনো, নিজের জন্য এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি বানাও, বিকেলের মিষ্টি রোদে আপনমনে হাঁটো, কিংবা প্রিয় লেখকের বইয়ে ডুব দাও। যদি কোনো সৃজনশীলতা থাকে, তবে সেটাই হোক তোমার সঙ্গী।

অন্যকে ব্যঙ্গ করে স্ট্যাটাস দেওয়া, নিজের দুঃখ-দুর্বলতা সবার সামনে প্রকাশ করা— এগুলো কোনো পরিণত মানসিকতার পরিচয় নয়। খুব বেশি একা লাগলে বা মন খারাপ হলে ঘর অন্ধকার করে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকো, প্রার্থনা করো।

পুরোনো স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো— কিন্তু নিজের সাথে এমন একটা সম্পর্ক গড়ে তোলো, যেন দুঃখের দিনগুলোতে কাউকে না পেলেও নিজেই নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে পারো।

যদি কোনো কাজে সফল হও, নিজেকে পুরস্কৃত করো। যদি ব্যর্থ হও, নিজের সাথে একটু অভিমান করো, কিন্তু হাল ছাড়বে না। তবে কখনোই অন্যের চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার ভুল করো না।

কারণ, মানুষ সবসময় তোমার গুণের চেয়ে তোমার ত্রুটিগুলো দেখতেই বেশি পছন্দ করবে। তুমি যদি পারো, সেটাই যথেষ্ট। একা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াটা স্বাভাবিক মনে করো, একা পার্কে সময় কাটানোটা যেন হাস্যকর না লাগে।

নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন করো, যাতে মুড অফ থাকলে নিজের জন্য এক টুকরো চকলেট কিনতে পারো, নিজের জন্মদিনে নিজেকে একটা সুন্দর উপহার দিতে পারো। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করো, নিজের পছন্দের পোশাক নিজের জন্য নিজেই কিনতে পারো।

মাঝেমধ্যে নিজেকে কিছু ফুল উপহার দাও। ঘরের কোণায় একটা ফুল রাখো, সুন্দর সুবাস মন ভালো করে দেবে। সবার মন জয় করাও তোমার দায়িত্ব নয়, কারণ পৃথিবীর কেউই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। তাই যেখানে প্রয়োজন, সেখানে "না" বলতে শেখো।

"আমার বাবা-মা আমাকে বোঝে না, বন্ধুরা আমাকে সময় দেয় না, কাছের মানুষ আমাকে অবহেলা করে"— এসব ভাবনাকে প্রশ্রয় দিও না। কারণ এগুলো আসলে তোমার নিজের তৈরি করা মানসিক চাপ।

কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবে? বরং এমন এক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলো, যাতে তোমার উপস্থিতিই সম্মানের অনুভূতি সৃষ্টি করে।

আমি শিখেছি... নিজের জন্য বাঁচতে হয়আমি জীবনে অনেককিছুর ভিড়ে হেঁটেছি।অনেক মুখ চিনেছি।অনেক কথা কানে এসেছে—কিছু সরাসরি, কিছু...
01/05/2025

আমি শিখেছি... নিজের জন্য বাঁচতে হয়

আমি জীবনে অনেককিছুর ভিড়ে হেঁটেছি।
অনেক মুখ চিনেছি।
অনেক কথা কানে এসেছে—কিছু সরাসরি, কিছু ফিসফাসে।
প্রথম প্রথম খুব লাগতো।
ভেতরটা যেন কেউ কুচিকুচি করে ছিঁড়ে দিত।
চোখের সামনে হাসি, পিছনে বিষ—এই দ্বিমুখী আচরণ আমায় অবাক করতো।

আমি ভাবতাম, কেন?
আমি তো কারো ক্ষতি করিনি।
আমি তো সবাইকে আপন ভেবেছিলাম।

তারপর একদিন বুঝলাম—সবাই আপন হয় না।
সবাই আপনার ভালো চায় না।
অনেকেই অপেক্ষা করে কখন আপনি হোঁচট খাবেন, কখন আপনি ভেঙে পড়বেন, যাতে তারা আড়ালে দাঁড়িয়ে নীরব আনন্দে ভাসতে পারে।

আমি তখন সিদ্ধান্ত নিলাম—আর নয়।
নিজের শান্তি, নিজের সম্মান—এবার নিজের হাতে রাখবো।
কারও কথায় কান দেব না, কারও ছোট করে দেওয়া ভ্রুকুটি আমায় স্পর্শ করবে না।

যখন কেউ বলেছে, "তুমি পারবে না," আমি আর পাল্টা জবাব দেইনি।
শুধু মন খুলে হাসছি।
কারণ আমি জানি, তারা আমার গল্পের লেখক নয়।
আমার গল্প আমি নিজেই লিখবো।
আমার ব্যর্থতারও মালিক আমি, আমার সাফল্যেরও মালিক আমি।

আমি শিখেছি—সব প্রশ্নের উত্তর দিতে নেই।
সব অপমানের প্রতিবাদ করতে নেই।
চুপচাপ নিজের কাজ করে যেতে হয়।
চুপ থাকা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং ওটাই সবচেয়ে বড় শক্তি।

আমি এখন অন্যরকম জীবন বেছে নিয়েছি।
যখন অন্যেরা পেছনে কথা বলে, আমি সামনের রাস্তা খুঁজি।
যখন ওরা আমাকে ছোট করে, আমি আরও উঁচুতে উঠি।
আর যখন বিষ ছড়ায়, আমি গন্ধ শুকি গোলাপের।

এখন আমি জানি—কারও জন্য থেমে থাকবো না।
কারও ব্যর্থ আনন্দের উৎস হব না।
আমি এখন সময় বের করি নিজের জন্য—
এক কাপ চায়ে মুগ্ধ হই, নিজের প্রিয় বই পড়ি, ছাদে উঠে আকাশ দেখি, পুরনো ছবিতে হারিয়ে যাই।
আমি বাঁচি।
নিজের জন্য বাঁচি।

আমি শিখেছি—কিছু সম্পর্ক ছেড়ে দিলে জীবন হালকা হয়।
কিছু তিক্ততা মন থেকে মুছে দিলে নিঃশ্বাস গভীর হয়।
সবাইকে সাথে নিয়ে চলা যায় না—এটা মেনে নিতে হয়।
কারণ জীবনের পথে একাই হাঁটতে হয়—নিজের ছায়া সাথে নিয়ে।

আজ আমি কৃতজ্ঞ—
সেই সব আঘাতের জন্য,
যা আমাকে ভেঙে না দিয়ে গড়ে তুলেছে।
সেই সব একাকীত্বের জন্য,
যা আমায় নিজেকে ভালবাসতে শিখিয়েছে।

আমি এখন জানি—
আমি কারো প্রমাণ নই, আমি কারো গল্প নই।
আমি নিজের গল্প।
নিজের সৃষ্টি।
নিজের শক্তি।।☺️🌸

আমি এখনো অপেক্ষা করি,তোমার বলা সেই শেষ কথাটার অর্থ খুঁজে পেতে ।তুমি বলেছিলে- “ভালো থেকো”,আমি আজও বুঝে উঠতে পারিনি,সেই শব...
01/05/2025

আমি এখনো অপেক্ষা করি,
তোমার বলা সেই শেষ কথাটার অর্থ খুঁজে পেতে ।

তুমি বলেছিলে- “ভালো থেকো”,
আমি আজও বুঝে উঠতে পারিনি,
সেই শব্দের ভেতরে কী ছিল?
আশীর্বাদ, বিদায়, না কি অপরাধবোধ? 🙃

তুমি চলে গেলে ঠিকই,
কিন্তু রেখে গেলে এমন এক নীরবতা,
যেটা প্রতিদিন আমাকে জেগে থাকতে বাধ্য করে। 🌺

তোমাকে ভুলিনি,
আমি শুধু শিখে গেছি-
ভালোবাসা মানেই সবসময় দুজনের গল্প হয় না। 😊

Address

Dhaka

Telephone

+8801749033380

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sumaiya Afroz : সুমাইয়া আফরোজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share