
04/07/2025
হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি – আমি আর
নেই।
হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি – আমি আর নেই।
ঘরের চারদিক অস্বাভাবিক নীরব। জানালার পর্দা
থেমে গেছে, বাতাস থেমে গেছে, এমনকি আমার বুকের
ধুকপুকানিও থেমে গেছে। বিছানার একপাশে আমি
পড়েছিলাম... কিন্তু যে পড়ে আছে, সে আমি নই।
দেয়ালের ঘড়ির কাঁটা তখন নিশুতি রাতের তিনটা ছুঁইছুঁই।
অদ্ভুত এক ঠান্ডা শীতলতা ঘর ভরিয়ে দিয়েছে। অন্ধকারে,
জানালার বাইরে কোনো এক অচেনা ছায়া নড়ছে। হালকা
বাতাসের শব্দে কানে এল ফিসফিসানি,
"তোমার সময় শেষ।
বিছানার ওপর নিজের নিথর দেহ দেখার অনুভূতি
ভয়ানক। ঠোঁট নিস্তেজ, চোখ অর্ধেক খোলা। হঠাৎ করেই
জানালার বাইরে থেকে অদ্ভুত এক কালো ধোঁয়া ঢুকলো
ঘরের ভেতর। তীব্র একটা গন্ধ, মনে হলো হাজার বছরের
পুরোনো কবরের মাটি যেন কেউ এনে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
একটা অচেনা অন্ধকার সত্ত্বা ধীরে ধীরে আমার দিকে
এগিয়ে এল। তার কণ্ঠ যেন হাজার বছরের পুরোনো, কর্কশ
আর ছায়াময় ।
"হিসাবের খাতা খুলে ফেলো... আজ রাতেই তোকে নিয়ে
যাওয়া হবে।"
ঘরের দেয়ালে অদ্ভুত ছায়া নড়ছে। দেয়ালের ঘড়িটাও
হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। কারো অদৃশ্য হাত যেন আমার
জান্নাত-জা'হা'ন্না'মে'র আমলনামা ওল্টাতে লাগলো। মাথার
ওপর এক শীতল বাতাস। বুকটা হিম হয়ে এল।
আমি প্রাণপণে চিৎকার করতে চাইলাম। গলা দিয়ে
কোনো শব্দ বের হলো না। মনে হলো, চারদিকের দেয়াল
ঘন অন্ধকার হয়ে আসছে। ছাদের দিকে তাকাতেই ভেসে
উঠলো এক ভ'য়া'ন'ক মুখ – ভয়াবহ, কালো, শূন্য চোখের
কোটর। সে বলল,
-
"তোমার দুনিয়া শে'ষ। আর কোনো তওবা নেই।
শরীর কাঁপতে কাঁপতে অন্ধকারে ডুবে গেলাম। কে জানে.....
হয়তো এটাই সেই মৃ'ত্যু, যেখান থেকে আর কোনো ফেরত
নেই। কিংবা এর পরেও হয়তো আরও ভ'য়ং'কর কিছু
-
অপেক্ষা করছে...
আপনার মৃত্যুর কথা স্মরণ হলে, সেয়ার করে অন্যকে
স্মরণ করিয়ে দেন৷
এডমিন পোস্ট